![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
বি.এইচ.মাহিনী :
সভ্যতার এ যুগে প্রযুক্তি ছাড়া চলেনা একটি ক্ষণও। আর প্রযুক্তির ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে কম্পিউটার। কম্পিউটার নামক এ ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমান যুগটাই কম্পিউটারের যুগ। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির জন্য তেমন একটা ঘুরতে হয় না। তবে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতার কারণে অনেক সময় চাকরিই তাঁকে খুঁজে বের করে। আর চাকরি না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং বা ব্যবসায় নেমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এমন দৃষ্টান্ত আজ অহরোহ।
কাজের ধরন : কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সফল ক্যারিয়ার গড়তে এখন অনেক পথই খোলা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা মূলত দুই ভাগে কাজ করেন। কেউ হন প্রোগ্রামার হিসেবে আবার কেউবা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে। এ দুই ধরনের কাজেই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ ছাড়া আঁকায় দক্ষতা থাকলে গ্রাফিকস বা ওয়েব ডিজাইনারও হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি আছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ। ঘরে বসেই বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের চর্চা করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়া যায়। নিজেই আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থান করে দেওয়া যায়। অন্যদিকে অফিস-আদালতের চাকরিতো আছেই। প্রতিটি ব্যাংক, করপোরেট হাউস, গণমাধ্যমসহ প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি অফিসেই প্রয়োজন হয় কম্পিউটারে দক্ষ জনবলের।
বিদেশে চাকুরির সুযোগ :
বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাহিদা দেশের বাইরে। উদাহরণ স্বরূপ দেখা যায়, বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুগল এ বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এক সপ্তাহের একটি কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে ঢাকার আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। বেশ কয়েকজনকে সেই কর্মশালা থেকেই চাকরিও দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন, কিন্তু ফল প্রকাশ হয়নি, এমন শিক্ষার্থীও গুগলে চাকরি পেয়েছে। তাই বলা যায়, কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ালেখার গুরুত্বই আলাদা। কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়া শিক্ষার্থীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর এমন কর্মসূচি গ্রহণ করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যায়। সরাসরি গুগল, ফেসবুক বা অন্তর্জাতিক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে পারার সুযোগ এই বিভাগের শিক্ষার্থীদে খুব বেশিই হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি অনেক ছাত্র এসব নামকরা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের আসন করে নিয়েছেন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিবছর বেশ কিছু শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যান। তাঁরাও বেশ ভালো করছেন।
কাজের ক্ষেত্র ঃ আমাদের দেশে মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনেক বেশি। তবে সরকারি অফিস গুলোয় কম্পিউটারে উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের নিতে আগ্রহ কম দেখায়। যদিও ইদানিং সে ধারণার পরিবর্তন এসেছে। দেশের চাকরিগুলোর বেশির ভাগই শুরুতে সহকারী প্রোগ্রামার, আবার অনেকে সিনিয়র প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিছু কিছু জায়গায় সিস্টেমস অ্যানালিস্ট হিসেবেও নিয়োগ হয়ে থাকে। টাইগার আইটি, বাংলালিংকসহ মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো, বেক্সিমকো, ইনফিনিটি, লিডস, দোহাটেক, বিডিকন, ন্যানোসফট, অটোমেশন, বেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর লোক নিয়ে থাকে।
যোগ্যতা : কম্পিউটারে চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম শর্তই হচ্ছে ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও দক্ষতা। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার ওপরই নির্ভর করে বেশির ভাগ চাকরি। এখানে একাডেমিক সনদের তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কদর অবশ্যই আলাদা।
বেতন-ভাতা : বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন অতি উচ্চমানের। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের চাকরির শুরুতে বেতন দেওয়া হয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার। আর দেশেও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতন হয়ে থাকে। অনেকে প্রতিষ্ঠান শুরুতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় তাদের সার্কুলার দেয়। শুরুতে বেতন অনেকটাই নির্ভর করে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানের উপর। তাই আমাদের দেশে দিন দিন কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখার প্রতি শিক্ষার্থীর আগ্রহ বাড়ছে। এখানে রয়েছে উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা।
©somewhere in net ltd.