নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. সেই একটা সময় ছিল। যখন পাশের বাসার কেউ হয়ে উঠতো আত্মীয়ের চেয়েও বেশি কিছু। আমাদের পাশের বাসায় এক পরিবার ছিল। তাদের এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলেটা ছিল কারো কাছ থেকে কেনা। আমি জেনেছিলাম অনেক পরিণত বয়সে। আমার পিতা মাতা কখনো বলেনি সে ঐ আংকেল আন্টির সন্তান নয়। একদম নিজের ছেলের মতই সে বড় হয়েছে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে আমার মোটামুটি মানের বন্ধু হওয়ার পরও আমি তাকে কখনোই সত্যটা বলিনি। এর মধ্যে আংকেল মারা গিয়েছে। তারা এতটাই গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল যে তাদের গ্রামের আত্মীয় স্বজনরাও জানতো এটা তাদের সন্তান। শুধু কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু আর অতি নিকট আত্মীয় স্বজন জানতো ব্যপারটা। তাই ঐ ছেলে(বর্তমানে যুবক) কখনোই জানতে পারেনি তার জীবনের সত্য কথাটা।
২. গত কয়েকদিন এক কুড়িয়ে পাওয়া শিশু (যার নাম দেয়া হয়েছে 'একুশ' কে নিয়ে মিডিয়াতে খুব আলোচনা চলছে। অবশ্য এ আর নতুন কী! অনেক বছর ধরেই এভাবে ডাস্টবিনে বা রাস্তায় বা কোথাও শিশু পাওয়ার খবর আমরা পাই। আবার কারো না কারো কাছে পালিত হওয়ার ব্যবস্থাও হয়ে যায়। একদম কিছু না হলে সরকারী ব্যবস্থাও আছে। এবার আলোচিত হয়েছে এ কারণে যে, এবারই সম্ভবত আদালতের মাধ্যমে এই শিশুটি কার কাছে যাবে সেটা নিস্পত্তি করা হয়েছে। যে কারণেই আমার এই পোস্ট।
৩. আদালত তার রায়ে বলেছে, যদি কোনদিন প্রকৃত পিতা মাতা সন্তানের দাবি করে তাহলে তাদের ফেরত দিতে হবে। তাহলে এখন এই নতুন অভিভাবকের ভূমিকা কী হবে?
ক. তারা কী ছোট থেকেই একুশকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবে যে সে তাদের সন্তান নয়। তাহলে বাচ্চাটার মানসিক অবস্থার কী হবে?
খ. আবার যদি না জানিয়ে বড় করে তাহলে যদি কখনো সত্যিই প্রকৃত মা কিংবা বাবা হাজির হয় তখন একুশের মানসিক অবস্থার কী হবে? তখন বর্তমান অভিভাবকদেরই বা কেমন লাগবে?
গ. যেভাবে মিডিয়াতে এসেছে অল্প কয়দিনেই পাড়া মহল্লা, স্কুলে সবাই একুশ নিয়ে গল্প করবে। স্বাভাবিকভাবেই একুশের কানে পৌঁছাতে সময় লাগবে না। এটাও তো একুশের স্বাভাবিক বিকাশে বাধার সৃষ্টি করবে।
ঘ. একুশের বর্তমান পিতা মাতা কি পারবে পরচর্চায় লিপ্ত আত্মীয় স্বজন থেকে একুশকে দূরে রাখতে?
৪. আমার মনে হয় সমাধান হতে পারে এভাবে -
ক. একুশকে নিয়ে দূরে কোথাও নতুন জীবন শুরু করা। আমাদের মত দেশে আত্মীয় বৎসল সমাজে এটা খুব কঠিন হবে।
খ. যেভাবে আছে সেভাবেই মানুষ করা আর যদি কখনো অভিভাবক ফেরত আসে তাহলে ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা রাখা।
গ. হয়তো বা ২১ বছর পর শিশু কিশোরদের মানসিকতাও বর্তমানের মত থাকবে না। ডিজিটাল যুগে এনালগ যুগের মত অতি আবেগী নাও হতে পারে। কারণ সমাজ দ্রুত পরিবর্তনশীল।
ব্লগারদের মতামত জানতে চাই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজ যখন সমস্যায়, তখন অনেক কিছুর সঠিক সমাধান করা মুশকিল হবে। ভালো যে, কিছুদিন পর, মানুষ এগুলো ভুলে যাবে। যদি শহর হয়ে থাকে, কেহ কাউকে জানবে না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাধারণ জনগণ নিয়ে সমস্যা নাই। সমস্যা হলো আত্মীয় স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশী...
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
অতঃপর হৃদয় বলেছেন:
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন:
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে, তাদের নিজের ভবিষ্যতই অনিশ্চিত; ফলে, ওরা আর কোনদিন দেখা দিবে না।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেখা না দিলেই ভালো। কারণ তখন সন্তান তাদের গালি দিবে...
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
বাংলা টেক গুরু বলেছেন: একমত