|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ইউক্রেন আজ আক্রান্ত, বিবৃতিতে দাবি রাষ্ট্রদূতের 
সম্প্রতি ইউক্রেনের অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে কিয়েভের অবস্থান তুলে ধরে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউক্রেনের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ওলেকসান্দার শেভচেঙ্কো। বিবৃতিতে রুশ আগ্রাসনের সম্মুখে ইউক্রেন আজ আক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রদূত শেভচেঙ্কো। 
‘বিবৃতির উদ্দেশ্য সম্প্রতি ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ক্রেমলিনের নির্মম হস্তক্ষেপের বিষয়ে রাশিয়ার অভাবনীয় মিথ্যাচার ও প্রচারণার জবাব দেয়া।
তাদের প্রথম মিথ্যা অভিযোগ হলো ইউক্রেনের বর্তমান সরকার অবৈধ। কিন্তু সত্য হলো এই যে, টানা তিন মাসের জনবিক্ষোভ ও শতাধিক মানুষের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ, বিরোধী নেতারা এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা অচলাবস্থা নিরসণে একটি সমঝোতায় পৌঁছান। সমঝোতা অনুযায়ী ২০০৪ সালের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করার কথা ছিলো।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ এই সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন এবং এতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে জনবিক্ষোভের মুখে ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাংবিধানিকভাবে দেশের দায়িত্ব বর্তায় ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওপর।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী যদি প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অপারগ হন তবে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবে পার্লামেন্টের স্পিকার। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৫ মে।
এ পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনিয়াকের নেতৃত্বে  ইউক্রেনে একটি বৈধ সরকার গঠন হয়। এ সরকার পার্লামেন্টে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন পায়।
তাই ইউক্রেনে অভ্যুত্থান হয়েছে এ রকম তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং পার্লামেন্ট এক্ষেত্রে বৈধ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছে।
এছাড়া রাজধানী কিয়েভের প্রতিবাদকারীদের ‘কিয়েভের ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে রুশ প্রচারণা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা।
পক্ষান্তরে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় ক্রেমলিনের পদক্ষেপ অস্ট্রিয়ায় হিটলারের অসৎউস এবং চেকোস্লোভিকিয়ায় আগ্রাসনের সঙ্গেই তুলনীয়। আগ্রাসন চালানোর অজুহাত হিসেবে হিটলার ওই সব স্থানে বসবাস করা জার্মান সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার ধুয়ো তুলেছিলেন।
অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানবাধিকারের বৈশ্বিক ঘোষণার তৃতীয় প্যারায় সুস্পষ্টভাবে উদ্ধৃত আছে। তাছাড়া ইউক্রেনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে সমাজের সবস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
একই সঙ্গে কিয়েভের আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ময়দানে ডানপন্থি দলগুলোর তৎপরতা ও সরকারে তাদের প্রভাবের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, শুধুমাত্র ময়দানের সেলফ ডিফেন্স বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মীরা। আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলো সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে।
বর্তমান সরকার ইউক্রেনের ডানপন্থি স্ভোবোদা পার্টির মাত্র দুই জন মন্ত্রী রয়েছেন। কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনেও তারা ১০.৪ শতাংশ আসন লাভ করেন।
তুলনামূলকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে ২৬.৬ শতাংশ, অস্ট্রিয়ায় ২০.৫ শতাংশ, ফিনল্যান্ডে ১৯.১ শতাংশ এমনকি রাশিয়াতেও ১১.৭ শতাংশ আসন লাভ করে ডানপন্থিরা।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় অপপ্রচার হলো গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মার্চ মাসের ২৭ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১শ’ সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেনের অখণ্ডতা বজায় রাখার পক্ষে মত দেয়। পাশাপাশি ক্রিমিয়ার তথাকথিত গণভোটকে প্রত্যাখ্যান করে।
অথচ তথাকথিত এ গণভোটের পর রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, ৮৩ শতাংশ ক্রিমিয়ান নাগরিক গণভোটে অংশ নিয়ে তাদের ৯৭ শতাংশ রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে মত দেয়।
পক্ষান্তরে ক্রিমিয়ার আদিবাসী তাতারদের রাজনৈতিক সংগঠন মজলিশ এ নির্বাচন বয়কট করে জানায়, তথাকথিত নির্বাচনে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।এমনকি এসব ভোটারের অর্ধেকই রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
এমনকি রাশিয়ার মানবাধিকার কর্মীদের তরফে ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোতেও ভোটের হার ৩০-৫০ শতাংশ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
সাধারণত আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো জাতি গণভোট দাবি করতে পারে তখনই যদি তারা ওই ভূখণ্ডের আদি বাসিন্দা হন কিংবা তাদের ভুখণ্ড জোরপূর্বক কোনো দেশ দখল করে রাখে।কিন্তু জাতিগত রুশরা ক্রিমিয়ার আদি বাসিন্দা নয়।
ক্রিমিয়ার ১২ শতাংশ বাসিন্দা আদিবাসী তাতার এ গণভোট বয়কট করেছেন।  এছাড়া কোনো ধরনের নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের উপস্থিতি ছাড়াই রুশ অস্ত্রের মুখে অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচন।
এমনকি গণভোটের প্রাক্কালে ক্রিমিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ মিশনকে ক্রিমিয়া ছাড়তে বাধ্য করা হয়। জাতিসংঘের বিশেষ দূত রবার্ট সেরিও তার শান্তিরক্ষী মিশন বন্ধ করে ৫ মার্চ ক্রিমিয়া ত্যাগ করেন।
ইউক্রেনের গণবিক্ষোভ চলাকালে ইউক্রেন কিংবা ক্রিমিয়ার একজন জাতিগত রুশের ওপরও হামলা চালানো হয়নি। পক্ষান্তরে ক্রিমিয়া দখলের পর ইউক্রেনপন্থি রাজনৈতিক কর্মী এবং ক্রিমিয়ার আদিবাসিন্দা তাতারদের ওপর চালানো হয় অসংখ্য হামলা।
এমনকি গণভোটের বিরুদ্ধে নিজের মনোভাব প্রকাশ করায় একজনকে জনসম্মুখে পিটিয়ে হত্যা কর হয়। নিরপেক্ষ গণমাধ্যমকে করা হয় হয়রানি।অনেক ক্ষেত্রে অপহরণ ও মারধরের ঘটনাও ঘটে।
১৭ এপ্রিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেও স্বীকার করেন যে ক্রিমিয়ার তথাকথিত রুশপন্থি সেলফ ডিফেন্স ফোর্সকে সহায়তা করেছে রাশিয়ার সামরিক সদস্যরা। যদিও এর আগে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আসছিলেন।
ঠিক একই ভাবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।
 
এভাবে ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
ক্রিমিয়ায় হস্তক্ষেপের অজুহাত হিসেবে রাশিয়া কসোভার উদাহরণ দিলেও রাশিয়া নিজেই কসোভাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাছাড়া কসোভায় সেখানকার আদি বাসিন্দারা স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছিলো। জবাবে তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত দমনাভিযান চালানো হয়।
অথচ ক্রিমিয়ায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বড় কথা তথাকথিত ওই গণভোটের পর ক্রিমিয়ার আদিবাসিন্দা মুসলিম সংখ্যালঘু তাতাররা বর্তমানে সেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
১৯৪৪ সালে তাদের ক্রিমিয়া থেকে মধ্য এশিয়ায় নির্বাসনে পাঠায় সাবেক সোভিয়েত শাসক স্টালিন। ইউক্রেনের স্বাধীনতা লাভের পর তাদের ক্রিমিয়ায় ফেরত আসতে উৎসাহ দেয়া হয়। ফলে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৬৬ হাজার জাতিগত তাতার ক্রিমিয়ায় ফেরত আসেন।
তাদের ৮৫ শতাংশকেই  জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া খোলা হয় ১৫টি স্কুল এবং তৈরি হয় ৩২৪টি মসজিদ। 
এছাড়া ইউক্রেনের অধীনে ক্রিমিয়ার ১৬ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন তাতার।  অথচ জোরপূর্বক  ক্রিমিয়া দখলের পর সেখানে এখন তাদের আওয়াজকে দমন করা হচ্ছে।
তাদের রাজনৈতিক সংগঠন তাতার মজলিশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জেমিলেভের ওপর ৫ বছরের জন্য ক্রিমিয়ায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ কর হয়েছে।
পাশাপাশি গত ৬ মে মজলিশের সদস্য আব্দুর রহমান এগিজকে রুশপন্থি তথাকথিত সেলফ ডিফেন্স সদস্যরা মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করে।
এ পরিস্থিতিতে এটা সুস্পষ্ট যে  বর্তমানে ইউক্রেনই আক্রান্ত। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলো ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রুশ মদদে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাধানের যে কোনো আলোচনার প্রতি অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে তারা।
স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর  ইউক্রেন স্বেচ্ছায় তাদের হাতে থাকা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রভান্ডার নষ্ট করে ফেলেছিলো।  সে সময় রাশিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফে আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রাখবে।
অথচ রাশিয়ার নির্মম আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক শক্তির শিথিলতার সুযোগে আজ ইউক্রেন আক্রান্ত।
এ ঘটনা বিশ্বের ছোটো ছোটো দেশগুলোর প্রতি পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর তরফে আশঙ্কার বার্তাই পৌঁছে দেবে।
তবে আমরা আমাদের নৈতিক সমর্থন দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী আমাদের শুভানাধ্যায়ীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।
ইউক্রেন শান্তি চায়, লড়াই চায় না। তবে এমনকি পরমাণু শক্তিধর প্রতিপক্ষের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে লড়তেও তারা প্রস্তুত।
বিশ্বের শান্তি, ন্যায়বিচার এবং সকলের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, অখণ্ড ইউক্রেনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। 
[আমরা রক্তদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি্। আমরা সকল স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ আর স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। জাতিগত ভাবে আক্রান্ত ইউক্রেনের বিষয়টি তাই মনে দাগ কেটে গেল। তাই পুরোটা কপি-পেষ্ট হলেও তথ্য এবং সূত্র হিসাবেও রেখে দেওয়া জরুরী মনে হল। ]
 ১৬ টি
    	১৬ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:২২
২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপাত দৃষ্টিতে তাই হয়তো.....
২|  ২০ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:৪০
২০ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:৪০
রিফাত হোসেন বলেছেন: গ্যাস এর চাবি রাশিয়ার কাছে । আর তারা মোটামোটি স্বয়ং সম্পূর্ণ । ভুক্তভোগী অন্যন্যা দেশ হবে ইউরোপের ।
  ২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:২৫
২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চাবি থাকলেই কি স্বৈরাচারী হতে হবে? 
আর তারাতো নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছে নিজেরাই পারমানবিক ভান্ডার ধ্বংস করে। এখনতো তাই মনে হচ্ছে!!!
৩|  ২০ শে মে, ২০১৪  রাত ১০:০৭
২০ শে মে, ২০১৪  রাত ১০:০৭
রাহি বলেছেন: আমার মতে ক্রিমিয়া আক্রমণ ছিল পুতিনের জীবনে নেওয়া সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। রাশিয়া কোনো সময় চাইবে না তার ঘাড়ের উপর ন্যাটো বাহিনী বসে থাকুক। তাদের খাবারের পানি খেতে হলেও ইউরোপের কাছে ভিক্ষে চাইতে হোক। তাছাড়া যদি ইউরোপ সরাসরি রাশিয়ার সীমানায় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো। তাহলে সারা বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে যেত। পারমানবিক চুক্তি বাতিল হতো। এর মাঝে রাশানরা হলো পাঠান জাতির মতো নির্বোধ। পরিণতি, ক্ষতি এইসব চিন্তা না করে রাগের মাথায় বড় ধরনের কান্ড করে ফেলে। আপনি কি এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন যে পারমানবিক যুদ্ধ শুরু করতো না? বর্তমানে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা বলতে একমাত্র পারমানবিক অস্ত্র। আমেরিকা ইউরোপের সামনে দাড়াবার যোগ্যতা নাই এই অস্ত্র ছাড়া। 
আমাদের দেশের উদাহারণ দিলে ভালো মত বুঝবেন। আজ যদি চীন বাংলাদেশে সামরিক ঘাটি করতে চায়, তাহলে ভারতের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে। ফলাফল বাংলাদেশ সবসময় আক্রমনের ঝুঁকিতে থাকবে। বাংলাদেশ যা করতে পারে নিজে শক্তিশালী হওয়া, চীনের অনুদানে। ইউক্রেনেরও তাই হওয়া উচিত। 
কখনোই দুই হাতির লড়াই শুরু হলে, আপনি অধিকতর শক্তিশালী হাতিকে সমর্থন করতে যাওয়া উচিত না। যদি আপনি দূর্বল হোন। কারন পরাজিত হাতিটি যতই অন্যটির তুলনায় দূর্বল হয়না কেন, আপনাকে ভর্তা করে দেওয়ার জন্য তার একপাই যথেষ্ট। 
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনে এক পা দিয়ে বসে আছে। এ কেবল খেলার শুরু বলা যায়। 
যাইহোক রাশিয়া ইউক্রেনের পুটু মারবে এটাই বাস্তবতা। ইউরোপ পরাজিত করতে পারবে না। যে জাতি ভদকা আবিষ্কার করেছে, তাকে এত সহজে হারানো সম্ভব না।   
 
  ২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৪০
২১ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার উদাহরনেই আপনার মতের বিরোধীতার বাস্তবতা বর্তমান।
চীন ঘাটি করতে চাইলে বাংলাদেশ আক্রান্তের ঝুকিতে থাকবে- তাই কি তারা সাজানো গণভৌটের নামে বা সংখ্যালঘুদের সাহায্যের নামে চালিত ভারতীয়/চায়না আগ্রাসনকে মেনে নেবে- বা ভারতের/চীনের কনফেডারেশনে যোগ দেবে???
তা যেমন নয়- তেমনি ইউক্রেন যখন স্বাধীন রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা বিশ্বের দায়িত্ব।
যদিও তারা প্রথমেই ভুল করেছে...স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ইউক্রেন স্বেচ্ছায় তাদের হাতে থাকা "বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রভান্ডার " নষ্ট করে ফেলেছিলো। সে সময় রাশিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফে আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রাখবে।
অথচ রাশিয়ার নির্মম আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক শক্তির শিথিলতার সুযোগে আজ ইউক্রেন আক্রান্ত।
আমাদের সতর্কতা, সচেতনতার জায়গাটা এখানেই। আগ্রাসী শক্তির মিথ্যা অজুহাত, মিথ্যা তথ্যের বিভ্রান্তির কাটতে কাটতে ইরাক ধ্বংস হয়ে যায় (গণবিধ্বংসী অস্ত্র খুজে পাওয়া না গেলেও)। 
আমাদের যেমন হুজুগে স্বভাব, আর টপ লেভেলে মিরজাফরদের কিলবিলানী....
শুধু অফার পেলেই বুঝি তারা স্বার্থে দেশটাও বেঁচে দেয়-!!!
তাই আমজনতার সার্বক্ষনিক সচেতনতা, সতর্কতা খুব জরুরী, ইউক্রেন বা ইরাক হবার আগেই।
আর তার উপর আছে মুসলিম সেন্টিমেন্ট। বৃহত রাশীয়ায় যেখানে ধর্ম ছিল নির্বাসিত, সেখানে স্বার্ধীতির পর ৬টি মুসলিম দেশের অভ্যুদয় ঘটে। যার মধ্যে ইউক্রেন অন্যতম। সেখানকার আদীবাসী তাতার মুসলিমরাও একটা ফ্যাক্টর এখানে। শুধু সাদা চোখে ন্যাটোর বিরোধীতা নয়। নয় কি?
ভোদকাকেতো বার্গার দিয়াই টুকরা টুকরা করে ফেললো!!!অজেয় কি এর পরও বলবেন???????
৪|  ২০ শে মে, ২০১৪  রাত ১০:৫৩
২০ শে মে, ২০১৪  রাত ১০:৫৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাহির মন্তব্যকে সমর্থন করছি এই কারনে যে,ইউক্রেন আসলে দাবার বড়ি। আসল লড়াই তো আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলির। এব্যাপারে অনেক আগে আমি পত্রিকা থেকে সংগৃহিত করে লিখেছিলাম--এককশক্তির দাবীদার এবং তার দোসর পশ্চিমাদের চ্যালেঞ্জ। নামে সেখানে রাহির যুক্তিও ব্যাখ্যা করা আছে।
আর মাত্র সেদিন যে বিল্ডিংএ আশ্রয়নেয়া ৪২জন প্রো রাশিয়ান সমর্থকদের পুড়িয়ে মারা হলো সে কথা কি উল্লেখ্য নয়,একেবারেই?? আপনাকে ধন্যবাদ আপডেটের জন্য।( আমার লেখায় মন্তব্যের ঘর কিন্তু একেবারে ফাকা)।
  ২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৪৪
২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপরের জবাবও তবে আপনার জন্য 
পশ্চিমারা অনককেই ঘুটি বানায়, বানাতে চায়, ব্যার্থও হয়..
আমাদের অবস্থান পরিস্কার থাকতে হবে-আমাদের অস্তিত্বের জন্যই। আমরা কি ঘুটি হবো না চাল ব্যার্থ করে দেব!
ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়াতো থাকেই। 
৫|  ২১ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:০৬
২১ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:০৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: 
আমি রাজনীতি বুঝিনা, ক্রিমিয়ার এই প্রসিকিউটর   আমার নয়া ক্রাশ  
  
  
  
 
সুন্দর বিশ্লষণ 
 
  ২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৫১
২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায়... ক্রাশ খাইলে কেম্তে হইবো 
এর এসিসটেন্ট আছৈ নাকি  ক্রাশ খাইতে মুঞ্চায়
 ক্রাশ খাইতে মুঞ্চায় 


ধন্যবাদ।
৬|  ২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:১৪
২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: একজন ঘুনপোকার দেয়া প্রসিকিউটর তো ভারতীয় সিনেমার নায়িকা হতে পারে আরামসে! লেখাটা অনেক বড় আর অনেক অনেক তথ্য দেয়া! পড়তে গিয়া দেখি সব মাথার উপ্রে দিয়ে যায়! জ্ঞানার্জন হলো আর কি! ধন্যবাদ।
  ২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৫৫
২২ শে মে, ২০১৪  বিকাল ৫:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইজান, আপনিও নজর দিছেন  
 
হুম, বড়। কিন্তু উপ্রে দিয়া যাওয়ার মতো কি  আসলেই!!! (তাজ্জব হবার ইমো হবে)
জ্ঞানার্জন হয়েছে বলে লেখা সার্থক। 
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৭|  ২৩ শে মে, ২০১৪  রাত ১:২৯
২৩ শে মে, ২০১৪  রাত ১:২৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: @ বিদ্রোহী ভৃগু ইউক্রেনে যুদ্ধরত দুইপক্ষকে তাহলে কি বলবেন?? এরা কি দুইপক্ষের বড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না? ধন্যবাদ।
  ২৪ শে মে, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০৪
২৪ শে মে, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যবহৃত হচ্ছেতো বটেই। আমারও যেমন দেখূননা কেমন দুই ভাগে ভাগ হয়ে আছি! নেই কি?
আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে সুবিধাবাদিরা সুবিধা নিচ্ছে। 
আমরাও বুঝেও কেমন দলান্ধতায়-দেশকে পিছিয়ে নিচ্ছি!!!
তবে এর মাঝে একদলই সত্য থাকে। 
অন্যদল থাকে মোনাফেক-তারা মূখে বলে দেশপ্রেমের কথা, সুন্দর বুলি আর ণীতি কথা.. কিন্তু কাজে থাকে অন্যায়, স্বার্থান্ধতা, দলীয়করণ, ব্যক্তিস্বার্থ ....
সত্যবাদী দল দুর্বল হলে বিপদ তখন হয় সর্বমূখি। তা ইউক্রেনে. মিশরে বা বাংলাদেশে - একই রকম!
৮|  ২৫ শে মে, ২০১৪  রাত ১:০৮
২৫ শে মে, ২০১৪  রাত ১:০৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন:  মোনাফেক-তারা মূখে বলে দেশপ্রেমের কথা, সুন্দর বুলি আর ণীতি কথা.. কিন্তু কাজে থাকে অন্যায়, স্বার্থান্ধতা, দলীয়করণ, ব্যক্তিস্বার্থ ....এখানে একমত। ধন্যবাদ।।
৯|  ১৫ ই জুন, ২০১৪  রাত ২:৪৮
১৫ ই জুন, ২০১৪  রাত ২:৪৮
রাহি বলেছেন: তো রাশিয়ার কি করা উচিত ছিল? ন্যাটো এসে তার ঘাড়ের উপর বন্দুক রাখবে। আর চেয়ে চেয়ে দেখবে? ইউক্রেন নিজেই নিজের পুটু উড়িয়ে দিয়েছে। আর ক্রিমিয়া ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়ার অংশ ছিল। এখন আরকি আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিল। রাশানদের মাঝে নিজের টান অনেক বেশী। ক্রিমিয়ায় সচ্ছ ভোট হলেও রাশান ফেডারশনে যেত। কারন ক্রিমিয়ার অধিকাংশ অধিবাসীও রুশ। 
আপনার চুলকানীর কারন মুসলিম ইস্যু যা বুঝলাম আরকি। রাজনীতিতে, প্রতিরক্ষানীতিতে এসব খায় না। প্রতিরক্ষানীতি বিবেক থেকে পরিচালিত হলে অস্ত্রের জায়গায় তস্বিহ থাকতো। 
যাইহোক, আজ মুড নাই। অন্যদিন আপনার সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা হবে। কারন কথা বাড়তেই থাকবে। 
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:৩৯
২০ শে মে, ২০১৪  রাত ৯:৩৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: kichhu korar nai