নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক পরশ্রীকাতরতা, পরশ্রীকাতর রাজনীতি: আওয়ামীলিগের আন্তর্জাতিক স্বাক্ষর!!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

আমাদের ১৬কোটি আমজনতা মোটামুটি সহজ ভাবে ৩ ভাগে বিভক্ত। আওয়ামীলীগ বিএনপি অন্যান্য।

বুঝে হোক না বুঝে হোক, আদর্শে হোক বা উত্তরাধীকার সূত্রে হোক এই বিভাজন চলে আসছে বিশেষ করে বড় দুটি দলক কেন্দ্র করে! সেই বিরোধে রাজনৈতিক সুস্থতা, চর্চা, সংস্কৃতি শতভাগ অনুপস্থিত থাকলেও পরশ্রীকাতরতা ব্যাপক ভাবে বিরাজমান।



সতীনেও মাঝে মাঝে মুখ দেখাদেখি হয়! কিন্তু আমাদের প্রধান দুই নেত্রীর যেন তাও হারাম!!! তো একটা জাতি এগিয়ে যাবে কিভাবে? এর মাঝে ক্ষমতার অন্ত:কোন্দলে রেষারেষী হিংসা তো রয়েছেই প্রকাশ্যে মিথ্যা অপবাদ, ব্যক্তি আক্রমন, রুচিহীন স্থুল কথা, খোদ সংসদে বসে অসংসদীয় ভাষায় বিরোধীদের গালাগালি থেকে শূরু করে মাঠে ময়দানে, টকশোতে মিডিয়ায়.. বচসা প্রায়ই হাতাহাতিতে রুপ নেয় বা উপক্রম হয়।



শালীনতা, সভ্যতা, ভব্যতা শব্দ চয়নে, ভাষায় রুচিতেতো নেইই.. প্রায়ই মনে হয় কোন নিম্নশ্রেণী বা রুচির অকথ্য ভাষা রুচি যেন হুট করেই মঞ্চে, টিভিতে, ইন্টারভিউতে চলে আসছে!!!



সেই বিরোধ যে সবসময় নীতিগত, জাতীয় স্বার্থগত বা আন্তর্জাতিক কোন ইস্যুতে তা নয়- পান থেকে চূন খসায়ও সেই বিরোধ!!!!

গালিভার লিলিপুটের গল্পে যেমন ডিমের কোন অংশ দিয়ে ভাঙ্গা হবে তা নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ হয়!

আমাদের কথিত নেতা-নেত্রীরা মনে হয় তেমনি মূখিয়ে থাকেন! অন্তত তাদের বচন তো তাই স্বাক্ষ্য দেয়!



এই ক্ষেত্রে সবচে এগিয়ে বর্তমান সরকারী দল। আগের নির্বাচিত টার্ম বা এবারের অনির্বাচিত টার্মে- মাশাল্লা একের চে আরেক দারুন দারুন সব মন্তব্য, আমজনতাকে উপেক্ষা উপহাস আর কমেডিয়ান মন্তব্যে ভরপুর।

এর মাঝে আবার বিরোধী নেত্রীকে তির্যক বাক্যকাণে ভাসিয়ে কেউ কেই নাকি মন্ত্রী সভায়ও স্থান পেয়েছেন। আবার স্থান পাবার পরও তাদের নিয়মিতই সেই দায়িত্ব পালনে সচেতন দেখা যায়! মন্ত্রনালয় বিষয়ক মন্তব্য মাসে খুজলে একটা দুটো পেলেও ভিন্নমতকে গালাগালি প্রায় প্রতিদিনের ইস্যু!



তো এতদিনতো দেশের ভিতরে- এভাবেই যায় যায় দিন!

এবার আন্তর্জাতিক ভাবেও নিজেদের হীনমন্যতা আর দৈন্যতাকে চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশ করলো-তারা!



শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটা রাস্তার নামকরণের সিদ্ধান্ত থেকে ঘটনার শুরু। বিক্ষোভ, প্রতিবাদপত্র, সমাবেশ, ই-মেইল অনলাইন এক্টিভিজমের মাধ্যমে ঠেকানো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলিগ! এমনকি শিকাগো সিটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ !!! !



শিকাগোর আওয়ামী লীগ নেতা মনির চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষে একজন অ্যাটর্নির (আইনজীবী) মাধ্যমে স্থানীয় সময় শুক্রবার মামলা দায়ের করেন। আমরা কি নিজেদের হীনমন্যতার নোংরামোর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষর রেখে দিলাম??????



তারপরও তার উদ্বোধন হয়েছেে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে রাস্তার উদ্বোধন করা হয়েছে। ইলনয় স্টেটের শিকাগো শহরে স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ উদ্বোধন করা হয়।



- See more at: Click This Link

বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্মানকে আমরা সহজভাবে নিতে পারলাম না!!!! ব্যক্তিগত বিরোধ পছন্দ-অপছন্দের বাইরে বহির্বিশ্বেতো অন্তত মিনিমাম ভব্যতা টুকু বজায় রাখা উচিত ছিল। সম্মানতো বাংলাদেশেরই।



অবশ্য আমজনতার ভাবনাই ভুল বটে।

যে দেশে একজন নোবল লরিয়েটকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লাগে মন্ত্রী মিনিষ্টার সহ একটা বিশেষ শ্রেণী-সেখানে বিরোধ নেতার প্রতি সহনশীলতা সেতো সোনার পাথর বাটি!



কিন্তু যতদিন আমরা এই পর্যায়ে না আসতে পারব- ভিন্নমতকে সহ্য করতে না পারব, সম্মান দিতে না পারব- এবং জাতিগতভাবে আমাদের পাওয়া না পাওয়াকে বুঝতে না পারব, ততদিন আমাদের শত্রুরাই লাভবান হবে। তারা ফোকর দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেবে। আর আমরা হুটো-টুটসিদের মতো লড়তে লড়তে একসময় হয়তো তারচে করুন পরিণতির অপেক্ষায় থাকব।



আমাদের বোধোদয় হোক।







সংবাদ ও ছবি সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রেজওয়ান26 বলেছেন: সম্মানী ব্যক্তিকে আমরা সম্মান করতে না পারলেও বিদেশীরা যে তা পারে এটা তারই প্রমান। ধন্যবাদ শিকাগো সিটি মেয়রকে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যর্থার্থ বলেছেন।

ধন্যবাদ।

কাউকে সম্মানিত করলে অন্য কেউ ছোট হয়না।

কবে যে এইসব হীনমন্যতা থেকে আমাদের রাজণীতিকরা মুক্ত হবেন।

ভাববেন দেশ নিয়ে! কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে
দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় কিভাবে লিডিং পজিশনে যাওয়া যায় তা নিয়ে দারুন সব প্লান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।

দেশের উন্নয়নে কে কার চেয়ে ভাল পরিকল্পনা করতে পারে-তার উপর ভিত্তি করে ভোট যুদ্ধের ফলাফল হবে!!!

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবাক ব্যাপার!!!!!!!!!!!

৫৭ বার পঠিত! সত্য সাহসী মাত্র একজন!!!!

নাকি সকলেই ভীত?
নাকি সুশীল মুখোশ খোলার ভয় !
নাকি ট্যাগিং আশংকা!!!

অথবা
এভাবেই চলুক- বিভাজনে বিভাজিত জাতীয় আন্তর্জাতিক সকল পর্যায়ে!! তাতেই সকলে একমত!!!

কি জানি বাপু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্মানকে আমরা সহজভাবে নিতে পারলাম না!!!! ব্যক্তিগত বিরোধ পছন্দ-অপছন্দের বাইরে বহির্বিশ্বেতো অন্তত মিনিমাম ভব্যতা টুকু বজায় রাখা উচিত ছিল। সম্মানতো বাংলাদেশেরই।

অবশ্য আমজনতার ভাবনাই ভুল বটে।
যে দেশে একজন নোবল লরিয়েটকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লাগে মন্ত্রী মিনিষ্টার সহ একটা বিশেষ শ্রেণী-সেখানে বিরোধ নেতার প্রতি সহনশীলতা সেতো সোনার পাথর বাটি!

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
“ তারা ফোকর দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেবে। আর আমরা হুটো-টুটসিদের মতো লড়তে লড়তে একসময় হয়তো তারচে করুন পরিণতির অপেক্ষায় থাকব। ”

কথাখান জব্বর, বিদ্রোহী ভৃগু।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.