নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলান সাহলান : মাহে রমাদান। প্রকৃত ত্যাগের শিক্ষায় আলোকিত হোক আমাদের জীবন

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা :)

আহলান সাহলান : মাহে রমাদান
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন :
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর—যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।” ( সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)

রমজান মাস, এতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের দিশারী এবং ষ্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। ( সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)


রমযান (আরবি ভাষায়: رمضان‎ রমদ্বান, হল ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস, যে মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ ইসলামিক উপবাস সাওম পালন করে থাকে। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ত্রিশ দিনে হয়ে ।

'সওম'-এর শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম 'সওম'। সওম-এর বহুবচন হচ্ছে সিয়াম, যাকে আমরা রোযা বলে থাকি। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা।

আবার কোরআনের ভাষায় চুপ থাকা, নিরবতা পালন, সংযম অবলম্বন, নিস্তব্ধতাকেও সিয়াম বলা হয়েছে ।

“ (সন্তান ভূমিষ্ঠ করার পর ) যদি তুমি কাউকে (কোন প্রশ্ন বা কৈফিয়ত করতে ) দেখ, তবে তুমি বল, ' আমি দয়াময়
আল্লাহ্র জন্য (কথা বলা থেকে ) ""বিরত " থাকার নজর মেনেছি । সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না ।
(সূরা মারইয়াম / 26 )
এখানে ''সওম" এর অর্থ হচ্ছে কথা বলা থেকে বিরত থাকা ।

পবিত্র রমজানে সকল বিশ্বাসী, মুসলিম, মুমিন, মুত্তাকী সকলেই যার যার মুক্তি ও কল্যানের জন্য সামর্থ অনুযাীয় আমল করার চেষ্টা করে থাকেন।
কিন্তু দু:খজনক সত্য হলো কিছু ভুল, কিছু প্রক্ষেপন, কিছু ধারনায় আমরা মূল সত্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। আত্মিক এবং বাহ্যিক উভয় মিলেই যেখানে পূর্ণতা সেখানে আমরা কেবলই বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানেই আটকে আছি। তা যেমন সালাম বা নামাজে, ফিতরা বা দানে, তেমনি সিয়াম বা রোজায়!
যে সংযম, যে বিরত থাকার, যে নিয়ন্ত্রনের জন্য মাসব্যাপী সাধনার হুকুম- তাই ব্যার্থতায় পরিণত হয় সেই সব ভুলে।

মৌ-লোভী মোল্লারা ছোটকালে শুনেছি বলেছে- রোজার মাসে যত খাও কোন হিসাব নেই!!!!!!!!!!!!
কি বৈপ্যরীত্তের আহবান!!! ভাবা যায়! এখন হুজুর বলেছে এবং নিজেদেরও খাবারের প্রতি দুর্বলতা সব মিলে সমাজে ক্যান্সারের চেয়ে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে গেছে রমজানের ভোগ! অথচ মাসটাই ত্যাগের! সংযমের। আর তাই দেখা যায় সারাদিন উপোসের ভাব ধরে রেখে সন্ধ্যা না হলেই ঝাপিয়ে পড়ি -খাবারের উপর!!!!!! এই অধিক ভোগ মানসিকতায়ই বাজার মূল্য বেড়ে যাচ্ছে লাগামহীন! দরিদ্ররা পড়ছে আরো বেশি কষ্টে!

অথচ উল্টোটা হয়েছে আগে। নবী সা: এর সময়, খেলাফতের সময়, ইসলামের মূল শিক্ষার সময়। রমজান এলে সকল দ্রব্যের মূল্য কমে যেত। মানুষের চাহিদা কমে যেত! সংযমের মানসিকতায় খাদ্য অন্য মাসের চেয়ে কম লাগত। ফলে বাজারে তার প্রভাব পড়ত। আর দরিদ্র মানুষেরা তাতে উপকার ভোগী হতো।

যে সংযম আবশ্যিক করা হয়েছে, আসুন তা যথাযথ পালন করি। ইফতারে সেহরীতে বাহুল্য বর্জন করি। স্বাভাবিক পানাহারের মাঝে কেবল এক বেলা বর্জন । মহান আল্লাহর হুকুম এবং সিয়ামের প্রকৃত অর্থ বাস্তবায়ন করতে, নিজেদের উপোসী না করে সিয়ামকারী হিসিবে প্রতিষ্ঠিত করতে- বদলে ফেলুন নিজেদের ভুল গুলো। ভোগের যে প্রচলিত বিলাস ব্যসন তা বর্জ ন করুন। কাড়ি কাড়ি ইফতারী নয়, সেহরীতে মাছ, মাংস দুধ, দই উন্নতমানের সব বাড়তি আইটেম নয়- স্বাভাবিক পানাহারের থেকেও কম গ্রহণই কিন্তু আল্লাহর আদেশ। সর্ব প্রকার ত্যাগেরই কিন্তু আদেশ দেয়া আছে।

এবং সেই সংযমের ফলে উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে সমাজের দরিদ্র, অসহায়, মানুষদের পাশে দাড়াই। তাদের ঈদের বাজর, পোষাক সহ প্রয়োজনীয় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। তখইনতো মনে আসবে ঈদ। খূশি। ঈদ আল ফিতর বা দানের মহোৎসব।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের প্রকৃত সিয়ামকে অনুধাবন, পালন ও প্রতিষ্ঠা করার জ্ঞান, সক্ষমতা এবং মন মানসিকতা দান করুন।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

করুণাধারা বলেছেন: আহলান সাহলান, মাহে রামাদান!

আল্লাহর ক্ষমা, হেদায়েত ও রহমত যেন এই মাসে অর্জন করতে পারি। আমিন।


০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর হোক।
আমিন।
আপনার পাশাপাশি আমরা্ও যেন পারি সেই প্রার্থনার আরজি রইলো :)

২| ০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক পোস্ট ।আর একটু পরেই তারাবিতে যেতে হবে। বছরের সর্বোত্তম মাস। পোস্টে ভালোলাগা। ‌++
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় পদাতিক দাদা
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হুম। প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অফিস টাইম বদলে দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা আর এ মাসের রহমত বরক এবং মাগফরিাতরে সকল
কল্যান যেন সকলে লাভ করতে পারি তার নিবেদন রইল।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা রইল কবি :)

রমজান বয়ে আনুক সকল রহমত, বরকত আর কল্যান

৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার জন্য দোয়া করবেন।

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ।

আপনি দোয়া করবেন আমাদের সবার জন্য।
মাহে রমজানের অপার কল্যানে আমরা সকলে কল্যানলাভ করি।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৮

বলেছেন: রমজান মোবারক --

রমজান মাসে যত খাও হিসাবে নেই -- হা হা

এই খা খা করে দিন শেষ।।



সুন্দর লিখেছেন ভাই। +++

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রমজান মোবারক :)

হুম। শেষ হলেই ভাল ভাই।
কিন্তু এখনো অনেক পরিবারের ইফতার আর সাহরীর আ্ইটেম দেখলেতো মাথা ঘুরে!!!!

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মৌ লোভী মৌলবিদের কারনে মানুষ ইসলামের সঠিক মেসেজ পায়না।

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাতীয় কবি শত বৎসর আগে কেঁদে গেছেন।
আজো তার হেরফের নেই বরং বাড়ছে... মুসলিম নামধারীদের হাল নিয়ে একটা গবেষনা তথ্য দিলাম!
দেখূন বাস্তবতা কই<
ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো,-- যারা সত্যিকার ভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়।
স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা।

মুসলমানরা পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশি ধর্মীয় বয়ান,ওয়াজ নসিহত শোনে কিন্তু কোন মুসলিম দেশ পৃথিবীর সেরা রাষ্ট্র হতে পারেনি। অথচ গত ষাট বছরে মুসলমানরা অন্ততঃ ৩০০০ বার জুমার খুতবা শুনেছে।

একজন বিধর্মী চাইনিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে দুই নম্বর নকল জিনিষ বানানোর অর্ডার দিয়ে বলে, অমুক বিখ্যাত কোম্পানির লেবেল লাগাবেন। পরে যখন তাদেরকে বলি আমাদের সাথে খানা খান, তখন তাঁরা বলেন, হালাল না, তাই খাবোনা। তাহলে নকল মাল বিক্রি করা কি হালাল?

একজন জাপানি নব্য মুসলিম বলেছেন, আমি পশ্চিমা দেশগুলিতে অমুসলিমদের ইসলামের বিধান পালন করতে দেখি, আর পূর্বের দেশগুলিতে ইসলাম দেখি কিন্তু কোন মুসলিম দেখিনা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগেই ইসলাম এবং মুসলমানদের পার্থক্য বুঝেই আল্লাহর ধর্ম গ্রহন করেছি।

ইসলাম ধর্ম শুধু নামাজ রোজা নয়, এটি একটি জীবন বিধান এবং অন্যের সাথে মোয়ামালাত আর মোয়াশারাতের বিষয়। একজন নামাজ রোজা পড়া আর কপালে দাগওয়ালা মানুষও আল্লাহর চোখে একজন মোনাফেক হতে পারে।

নবী(স) বলেছেন, "আসল সর্বহারা আর রিক্ত মানুষ হচ্ছে তারা, যারা কেয়ামতের দিন রোজা, নামাজ, অনেক হজ্জ্ব, দান খয়রাত নিয়ে হাজির হবে কিন্তু দুর্নীতি করে সম্পদ দখল, অন্যদের হক না দেয়া, মানুষের উপর অত্যাচারের কারণে রিক্ত হস্তে জাহান্নামে যাবে।"

৭| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,



ঠিকই বলেছেন আমরা বাহ্যিক নিয়মে আটকে আছি। একটি মাস আমাদের সকল কিছুতেই সংযমের প্রাকটিস করার কথা যা বছরের বাকী দিনগুলোতেও যেন ধারাবাহিক থাকে তার রিহার্সাল। সংযমের , ভালো কাজের, সত্য বলার ইত্যাদি যা যা ভালো আছে তাদের দেখা বছরের ৩৬৫ দিনই পাওয়া ভার। খোদ রোযার দিনেই ইফতারী থেকে শুরু করে রাতের সেহরীর সময় পর্য্যন্ত সবই অসংযম। মানুন আর না-ই মানুন এই রোযার মাসেই প্রত্যেক সাধারন পরিবারের মাসের খরচ নুন্যতম তিনগুন বৃদ্ধি পায়।

পরম করুনাময় আমাদের সব কিছু অনুধাবনের , পালনের , প্রতিষ্ঠাকরনের জন্যে তৈরী করে দিন।

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। সেটাইতো!
ত্যাগের মাসের ভোগের জন্য কত আয়োজন! আর তাতে সংযমের কথা না মনে করিয়ে মৌ-লৌভীরা ইন্ধন দেয়-
আরে থাক, রহমতের মাস... যত খাও হিসাব নাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বনচটকানা মারতে ইচ্ছে করে, শুনলে!

শীঘ্রই আরেকটা পোষ্ট দিব, যদি আগে দেখে থাকেন আমি প্রতি রমজানে একবেলার আহারের ব্যায় আলাদা একটা বক্সে জমা করি। এবং ২৭ -২৮ রমজানে সঞ্চয় অনুপাতে (অন্য কেউ অংশ নিলে ) ২-১০ জন পর্যন্ত ঈদের বাজার করে দিয়েছি। প্রথম ২ বছর একাই ছিলাম। পরের বছর আরেকজন অ!শ নিলেন। তারপরের বছর বুবু আমেরিকা থেকে অংশ নিলেন। সেবার বেশী মানুষখে খুশি বিলাতে পেরেছিলাম।
এবার রমজানেও আজ থেকে নতুন সিয়াম বক্স চালূ করছি। দোয়া করবেন।

৬ এর উত্তরে একটা চরম বাস্তবতা দেখূন। আমাদের পোষাকি আর আচরনী ধর্মের অবস্থান কত নীচে!
এসব মোল্লারা যদিবা জান্নাত পায় অবস্থান হবে এরচেও নীম্ন স্তরেই বোধকরি।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার শেষের কথাগুলো যদি আমাদের বুঝে আসত সঠিকভাবে। সবকিছু হয়ে গেছে লোক দেখানো।

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

অথচ ইসলাম হলো আত্মার গহন গভীরের জাগরণ।
পূর্নতায় বিশ্বাসে, কর্মে এবং বাস্তবতায়

৬ এর উত্তরের তথ্যে চোখ বুলিয়ে দেখূন কি নিম্নতম অবস্থানে নামধারী সউদ গং এবং তার অনুসারী আমাদের মোল্লা গং এর অবস্থান। ইউরোপ আমেরিকা বা ভীন্ন দেশে যারা বুঝে শুনে ইসলাম গ্রহণ করছে তারা অনেক উন্নত অবস্থানে।
ইসলামী যে আচার আচরন, সত্য বলা, অন্যের হক আদায়। বিনয়, সমাজ সেবা! সত্য প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়তা। সেবা। কল্যানমূখীতা সবই তারা বাস্তব কর্ম জীবনে এপ্লাই করছে। আর পোষাকীরা মিথ্যা ফখরে উল।টো ব্যভহার গুলোই তাদের আচরনে, জবানে জারি রেখেছে। যার ফলে মুসলিমদের সর্দার দেশ হয়েও সউদ গংয়ের অবস্থা ১৩১!
আমরা আরো নীচে!
দু:খজনক।
মসজিদের আলেম গুলোকে ,ানুষ করা গেলে বদলানো যেত এ্ বাস্তবতা! কিন্তু সেখানেও পেট্রোডলারে ঝনঝনানি।
তাইতো ঈমনা থাকে পিছনে পড়ে আর লেবাসী শয়তান আগে হাটে!!!!!!!

৯| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান কথা সমৃদ্ধ পোষ্ট, যতার্থই বলেছেন-
মানুষের দেহ ও মনকে সংযমের শাসনে রেখে
ইসলামি শরিয়ত বা জীবনবিধানের পরিপন্থী
যাবতীয় অসামাজিক ও অমানবিক কার্যাবলি
পরিহার করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও তাকওয়া
অর্জনের কঠোর সিয়াম সাধনাই মাহে রমজানের
মূলকথা তাই রোজা অর্থই হল আত্মসংযম।

তবে আমার মনে হয় আত্মসংযমের সাথে সাথে
আত্মার আধ্যাতিক ক্ষমতা সম্প্রসারনের জন্য কিছু
কিছু কাজের মাত্রা যথা সংকাজ, নফল নামাজ,
কোরান তেলাওয়াত , জিকির, দরুদ পাঠ
প্রভৃতির পরিমান সম্প্রসারন করা যায় ।

মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ড. এম এ আলী ভায়া।

হুম। সেই মূলকাজকেতো মহাশূন্যে ঠেলে পাঠীয়েছে তারা। পোষাকি আর লোকদেখানো কর্মেই লিপ্ত!
যে জন্য আজ মুসলিম নামে জনসংখ্যা অগনন ইসলাম নেই। ইসলামী আচরন গুলো ইউরোপে দেশে চর্চিত।
দু:খজনক।

আধ্যাত্ব চর্চাতো আত্মাকে জাগ্রত করে। অহম দূরে ঠেলে দেয়। বিনয়ী করে। অথচ সেই মূল অর্ধেককে রীতিমতো
চর্চার বাইরে রেখেই তারা পোষাক, আতর, আর মিষ্টির সুন্নতের আড়ালে ইসলামকে পঙ্গু করে পুরা জাতিকে বিশ্ব মাজারে হাস্যস্পদ করে রাখছে। বদলে যাক মন্দ চর্চা
শুভ চর্চায় জাগ্রত হোক জ্ঞান।
বিতারিত হোক শয়তান।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পবিত্র মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা...


পরে পড়ে মন্তব্য করছি.

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মোবারক হোক রমজানের মাস :)

অপেক্ষায় রইলাম

১১| ০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আহলান, আহলান

০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আহলান, আহলা
আহলান, আহলান
মাস এলো রমজান
শুভ হোক হোক কল্যনা

১২| ০৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একটি বছর পর এল রমজান
----------------------------
গাই তার গুনগান যিনি মহিয়ান।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মোমিনেরা তাই সবে করে গুনগুন
আহলান সাহলান - মাহে রমজান !

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমীন।

প্রিশু জানবেন ভাই।

১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

আপনার জন্যেও প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল :)

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন । গুরুত্বপূর্ণ ও যুক্তিযুক্ত বার্তা পেলাম । ঠিকই ,বেশীর মানুষ বোধহয় একটু বেশীই আত্মমগ্ন হয়ে গেছে । যে কোনো ধর্মেই এমনটা দেখা যায় । মানুষ পূজোতে গিয়ে দর্শন করার আগেই সেলফি তুলতে ব্যস্ত । যে ধর্মই মানুষকে সুশৃঙ্খল হতে শেখায় । মানুষ মনে হয় না ততোটা শেখার চেষ্টা করে ।

রমজানের অনেক শুভকামনা রইলো

১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীল পরি।

রমজানে সময় এলোমেলো হওয়ায় উত্তর দিতে দেরী হলো।
আন্তরিক ভাবে দু:খিত!

হুম । যুক্তিপূর্ন সত্রটাকে এড়িয় সুবিধাবাদী ধর্মাচারে মানুষ আগ্রহী বেশি। আর ধর্মাবতার নামধারীরা তাতে টুপাইসের সুযোগে তাতেই হাওয়া দেয়! প্রকৃত ধর্মাচারের সততার কাঠিন্য ত্যাগ, মুক্তি আর আত্মার গহন চর্চার কষ্টটুকু স্বীকার করতে চায়না বলেই লোক দেখানো আচার সর্বস্বতায় মগ্নতা বাড়ছে সকল ধর্মেই।
আরেক দিকে ক্ষমতার নামে ধর্মের মিস ইন্টারপ্রিটেশনতো আছেই।
মৌলিক স্থায়ী ক্ষমতার আঁচল ছেড়ে ক্ষনিকের মোহে মানুষ হত্যার মতো ঘৃনিষ পাপে ডুবছে তারা ধর্মের নামেই।
কখনো মসজিদে, মন্দিরে গীর্জায় তো কখনো গো-মাতা রক্ষার ধূয়া তুলে মানব হথ্যা!
এক অদ্ভুক অন্ধকার ছেয়ে আছে ধর্মের নামে অধার্মিকতার।

মানুস মুক্ত হোক। মানুষ আগে মানুষ হোক। মানুষের জন্যে না ধর্ম।
মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্য জ্ঞানে
পাবিরে অমূল্য নিধি বর্তমানে - ক'জনায় অনুভবে ধারন করে!!!
করলেই হয়তো আমরা পেতাম এক সহিষ্ণু সমাজ।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ।

রমজান মাসে যত খান তার হিসেব নাই । আমি তো খালি পানি দিয়ে চাইলাতেছি । আহা এত এত খাবার খাবো এখন থেকে ।

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাহে রমজানের শুভেচ্ছা

তা খেলে আর সংযম হলো কোথা? ;)
মউ লোভী সব মৌলভির দলে যেতে চান? ;) জলদি বেশি বেশি খান
হা হা হা

১৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

জুন বলেছেন: সংযম কোথাও নেই আছে বেহিসেবী খরচের স্থুল প্রতিযোগিতা ভৃগু।
সুন্দর লেখায় ভালোলাগা রইলো।
পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা।

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসােনা সব!
কথিত হুজুরেরাও যেন এক কাঠি সরেস!

সত্যের জন্য দৃঢ়চেতনা নিয়ে রুখে দাড়ানোর মানুষ কমছে দিনে দিনে!!

পবিত্র রমজানের সকল কল্যান রহমত, বরকত, মাগফিরাত মঞ্জুর হোক আপনার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.