১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪২

সন্জু ৩০৭ বলেছেন: আমি যতটুকু জানি (-) "হাইফেন" দুই বা ততোধিক শব্দাংশকে যুক্ত করে।
আর (_) "ড্যাশ" ব্যবহার হয় শুন্যস্থান বোঝাতে।
তবু একবার নিশ্চিত করে জেনে নিতে পারলে ভাল হয়।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫২

ম্যাভেরিক বলেছেন: হাইফেন, -
হাইফেন মূলত শব্দের মধ্যবর্তী বিরামচিহ্ন। দুই বা ততোধিক শব্দ আলাদা করে লিখলে ভাব পরিবর্তিত হয়ে যায়, আবার একসাথে লিখলে দ্রুত পড়তে ও বুঝতে সমস্যা হয় এবং বিভ্রান্তির অবকাশ থাকে, এ ধরণের ক্ষেত্রে তাদেরকে হাইফেন ব্যবহৃত হবে।

'নজরুল রচিত' বা 'নজরুলরচিত' না লিখে 'নজরুল-রচিত' লিখলে সবচেয়ে স্পষ্ট হয়, তাই এখানে হাইফেন।

তবে ছোট দৈর্ঘ্যের শব্দগুচ্ছে হাইফেন বাদ দেয়া যেতে পারে যদি দ্রুত বুঝতে সমস্যা না হয়।

হাইফেন আকারে ছোট এবং এর দুপাশে ফাঁকা থাকবে না।

ড্যাশ
ড্যাশ মূলত বাক্যের মধ্যবর্তী বিরামচিহ্ন। দু ধরণের ড্যাশ আছে।
ক. হাইফেন থেকে একটু বড় এন ড্যাশ, –। কাজ অনেকটা হাইফেন-এর মতো। হাইফেন শব্দকে যুক্ত করে একক কিন্তু যৌগিক শব্দে পরিণত করে; এন ডেশও শব্দকে যুক্ত করে, কিন্তু একক ভাবযুক্ত করে না।

ঢাকা–১০০০, ৮–৯ বছরের শিশু, সুশীল–কুশীল দ্বন্দ্ব

দুপাশে ফাঁকা থাকবে না।

খ. এন ডেশ থেকে বড় এম ডেশ, —। মূল বাক্যের গতি হঠাৎ থামিয়ে তার ভেতর অন্য বাক্য ঢুকিয়ে দিতে এটি ব্যবহৃত হয়, মূলতঃ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।

আমি তাকে ডেকে বললাম — তার দৃষ্টি তখন দূর-দিগন্তে নিবদ্ধ — মানুষকে ভালোবেসেই সুখী হও তুমি।

এ ধরণের ড্যাশের দুপাশে সাধারণত একটি করে ফাঁকা থাকে, তবে না দিলেও বড় সমস্যা নেই।

সংক্ষেপে বললাম। আরও প্রশ্ন থাকলে বলবেন।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৫৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: এন ও এম ড্যাশের চিহ্ন সব জায়গায় স্পষ্ট আসেনি, আবার দিলাম।

হাইফেন -
এন ড্যাশ –
এম ড্যাশ —