নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিল্লি ব্লগে স্বাগতম

জগতের সকল বিল্লি সুখি হোক

বুদ্ধিমতী বিল্লি

ভাই আমি যে মাল্টি নিক এইটা বুঝতেই পারছেন, তয় ফিমেল মাল্টি। আমারে আবার ভুল কইরা ছাইয়া ভাইবেন না ফেবুতে আমি, www.facebook.com/billi02

বুদ্ধিমতী বিল্লি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজা মশাইয়ের তিন কন্যা (২০১৩ ভার্সন) ;);)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৫

বলছি এক সুখি রাজার গল্প। রাজার তিন কন্যা। বড় মেয়ে, মেঝো মেয়ে আর ছোট মেয়ে। তিন কন্যার মধ্যে রাজা তাঁর ছোট মেয়েকেই সবচেয়ে বেশী ভালোবাসতেন।



একদিন রাজা মশাই তাঁর তিন কন্যাকে ডেকে আনলেন। তিনি তিন কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "আম্মাজানরা তোমরা আমাকে কেমন ভালোবাসো বলো দেখি..."





বড় কন্যা বললো, "বাবা আমি তোমাকে হিমালয় পর্বতের বিশালতার মত ভালোবাসি।"

এই শুনে তো রাজা মহাখুশি...



মেঝো কন্যা বললো, "বাবা আমি তোমাকে সৌদিআরবের খাঁটি সোনার মত ভালোবাসি।"

রাজা তো তখন আনন্দে ডগমগ...



সবশেষে ছোট কন্যা বললো, "বাবা আমি তোমাকে হলুদের মত ভালোবাসি।"

এই কথা শুনে তো রাজা রেগেমেগে একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো....!!! "নিমোকহারাম মেয়ে, এত আদর করে তোকে মানুষ করেছি কি আমাকে সামান্য হলুদের মত ভালোবাসবার জন্যে....!?! এই মূহুর্ত থেকে আমার রাজপ্রাসাদে তোর আর কোনো স্থান নেই..."

রাজা তাঁর উজির-নাজির, পাইক-পেয়াদাদের ডেকে হুকুম করলেন ছোট রাজকন্যাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিতে। তৎক্ষনাত ছোট রাজকন্যাকে রাজ্য থেকে বহুদূরে এক গহীন অরন্যে রেখে আসা হলো.....



দিন যায়, রাত যায়....... রাজকন্যা একাকী বনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়...



হঠাৎ একদিন একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে রাজকন্যার মোবাইলে ফোন আসে।

=> হ্যালো, কে বলছেন?

=> আমাকে আপনি চিনবেন না। আসলে আমিও আপনাকে চিনি না।

=> আমি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলি না।

=> ওহ্ সরি, বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।

রাজকন্যা ফোন রেখে দিলো।



হঠাৎ করেই তার মনে হলো, এভাবে কলটা কেটে দেওয়া ঠিক হয়নি। এমনিতেই বেশ কয়দিন ধরে একা একা আছে, কথা বলে অন্তত সময়টা তো পার করা যেতো। রাজকন্যা ঐ নাম্বারে কলব্যাক করলো।

=> সরি, কিছু মনে করবেন না। আমার আসলে তখন ওভাবে ফোন রেখে দেওয়া ঠিক হয়নি।

=> না না, ঠিক আছে। তা বলুন...

=> আসলে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি একাকী সময় কাটাচ্ছি। পরে ভাবলাম আপনাকে ফোন করে অন্তত একটু কথা তো বলতে পারবো।

=> আমারো একই অবস্থা, একদম একা আছি। আপনার নাম্বার আমি জানতাম না। এমনি মোবাইলে উল্টা পাল্টা ডিজিট টিপাটিপি করে কল দিলাম, আর ওমনি দেখলাম রিং হচ্ছে।

=> হুম। আপনি একা কি জন্য?

=> আমি উত্তরপুরের রাজার একমাত্র পুত্র আপেল কুমার। আমার বাবা আমার ওপর রাগ করে আমাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিয়েছে।

=> আরে কি আশ্চর্য...! আপনার আর আমার ঘটনা তো একই রকম। আমি দক্ষিনপুরের রাজার ছোট কন্যা চাঁনকুমারী। আমার বাবাও আমার ওপর রাগ করে আমাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিয়েছে।



এভাবে তাদের মধ্যে অনেক কথা চলতে থাকে। একসময় তারা জানতে পারে যে দুজন একই বনেই আছে তবে দুজন বনের দুপ্রান্তে।



কিছুদিনের মধ্যেই রাজপুত্র আর রাজকন্যার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। তারা একসাথেই বনের মধ্যে থাকে। একসময় তাদের মধ্যে গভীর প্রেম শুরু হয়ে গেলো।



বেশ কিছুদিন পর উত্তরপুরের রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারলো। সে তখন ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য বনের মধ্যে গেলো।



আপেল কুমার তো রাজপ্রাসাদে ফিরে যেতে নারাজ। সে সাফ সাফ জানিয়ে দিলো, চাঁনকুমারীকে বিয়ে না করে সে কোথ্থাও যাবে না।



বেশ ধুমধাম করেই বনের মাঝে আপেল কুমার আর চাঁনকুমারীর বিয়ে হলো। এরপর রাজকন্যা আর রাজপুত্র উত্তরপুরের রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলো।



দিন ভালোই যাচ্ছে তাদের। তারপরও কেন যেন কিছুই ভালো লাগে না। আসলে সেই বনের প্রতি তাদের গভীর মায়া জন্মে গেছে।



একদিন সকালে নাশতা খাওয়ার সময় রাজকন্যা আর রাজপুত্র দুজনে মিলে রাজাকে বললো তারা বনে ফিরে যেতে চায়। রাজা তো প্রথমে মানতেই চায় না। যা হোক, পরে অবশ্য রাজা মেনে নেয় বিষয়টা।

রাজা রাজপুত্র আর রাজকন্যার জন্য বনের মাঝে বিশাল এক রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিলেন।



সেই প্রাসাদে আপেল কুমার আর চাঁনকুমারী সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।



একদিন আপেল কুমার তার লেটেস্ট Ferrari গাড়িটা নিয়ে বনের মধ্যে ড্রাইভ করছিলো। হঠাৎ সে দেখলো একটা বড় গাছের নিচে এক অসুস্থ বৃদ্ধ লোক প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। সে তাড়াতাড়ি ঐ লোকটিকে গাড়িতে তুললো। এরপর তার রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলো।



চাঁনকুমারী লোকটিকে দেখেই চিনতে পারলো। এই লোকটা তার বাবা, যে একদিন তাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সে সেটা প্রকাশ করলো না।

বৃদ্ধ রাজা কিন্তু তার মেয়েকে চিনতে পারলো না....



ধীরে ধীরে জানা গেলো, রাজার বড় আর মেঝো কন্যা চক্রান্ত করে সব সম্পতি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়ে বৃদ্ধ রাজাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে বের করে দিয়েছে।



চাঁনকুমারী আর আপেল কুমার মিলে অনেক চিকিৎসা আর সেবা-যত্ন করে রাজাকে সুস্থ করে তুললো। রাজা বেশ আরামেই সেই রাজপ্রাসাদে থাকতে থাকলো।



দিনের পর দিন যায়। রাজপুত্র আর রাজকন্যা খেয়াল করলো রাজা কেমন যেন চুপচাপ উদাসিন ভাবে ঘুরাঘুরি করে। সারাক্ষন কেমন যেন একটা একাকিত্বের মধ্যে থাকে।



রাজপুত্র আর রাজকন্যা ঠিক করলো তারা রাজাকে বিয়ে দিবে। তারা রাজার জন্য পাত্রী ঠিক করলো। বিয়ের সব আয়োজন করা শুরু করলো, বিয়ের দিন-তারিখও ঠিক হয়ে গেলো।



সারা বন জুড়ে তখন রাজার বিয়ের ধুমধাম আয়োজন চলছে। দেখতে দেখতে রাজার গায়ে হলুদের দিন চলে এলো।



রাজার গায়ে হলুদের দিন সারা বন জুড়ে ব্যাপক আয়োজন চলছে। ১৫/২০ জন ওয়েডিং ফটোগ্রাফার আনা হয়েছে ছবি তোলার জন্য। চারদিক যেন ঝলমল করছে।



যা হোক, রাজাকে বেশ সাজিয়ে-গুজিয়ে যথা সময়ে গায়ে হলুদের স্টেজে নেয়া হলো। রাজা স্টেজে বসার পর খেয়াল করলো তাঁর সামনে সবই আছে শুধু হলুদের বাটি নেই। রাজা তো তখন ভীষন রেগে গেলো। তিনি প্রায় স্টেজের ওপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকলেন, "এসব কি হচ্ছে? এগুলো কি ধরনের ফাজলামি হচ্ছে? আজকে আমার গায়ে হলুদ, আর আমার সামনে হলুদের বাটি নাই.....!!! এইটা কিছু হলো.....!!!"



রাজকন্যা তখন হলুদের বাটি নিয়ে রাজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। রাজকন্যা তখন রাজাকে বললো, "বাবা আমি তোমাকে বলেছিলাম, তোমাকে হলুদের মত ভালোবাসি। সেই কথাকে তুচ্ছ মনে করে তুমি আমাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিয়েছিলে। এখন তো বুঝতে পেরেছো হলুদ কত মূল্যবান জিনিষ......."



রাজা তখন তাঁর ভুল বুঝতে পারে, মেয়েকে চিনতে পারে। এরপর মেয়েকে জড়িয়ে ধরে রাজা হাউমাউ করে কেঁদে দেয়। রাজকন্যা ফিরে পায় তার বাবাকে..............



এরপর দক্ষিনপুরের রাজা, রাজকন্যা চাঁনকুমারী আর রাজপুত্র আপেল কুমার সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো..........



***THE END***





আমার গল্পটি ফুরোলো, নটে গাছটি মুরোলো...... :P:P:P:P:P

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: রাজকন্যা মোবাইল চালায় !






ডিজিটাল রুপকথার মইদ্যে ফেসবুক থাকন উচিত ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৬

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: ভাই এইটা ২০১৩ ভার্সন ;)

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৫

মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: :p :D. হাহাহাহা ভাল লাগ্ল বাট পাইলট. ভাইএর কথার সাথেও একমত ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৭

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: থ্যাঙ্কু

কইলাম না, ২০১৩ ভার্সন :P :P :P :P

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

শিপন মোল্লা বলেছেন: বাহ গল্প তো দারন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: ;)

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০০

বনলতা মুনিয়া বলেছেন: মাল্টিবাজ দেখি গল্পের রিমিক্স ভার্সন বাইর করছে ;) ;) :P :P

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: আপা যে কি বলেন ;)

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: :-P :-P :-P ++++

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: ;) ;) ;)

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৯

একজন আরমানের আত্মা বলেছেন:
ওরে গল্প পইড়া আমি হাসতে হাসতে শেষ।

মাল্টিকে স্বাগতম মাল্টি থেকে ! ;)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩

বুদ্ধিমতী বিল্লি বলেছেন: থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.