নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না। আমি কেউ হতে চাই না কখনো। আমি চাই, আমার কোন নাম না থাকুক, বয়স-গোত্র-দেশ কিচ্ছু না থাকুক...

বিপ্লবের সাগর

আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।

বিপ্লবের সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফকির লালন সাঁইজীর ১২৫ তম তিরোধান বার্ষিকী।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯



ফকির লালন সাঁইজির ১২৫তম তিরোধান বার্ষিকী স্মরণে বাউল সংগঠন লালন বিশ্বসংঘ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে তিনদিনব্যাপী সাধুসঙ্গসহ নিখিলবঙ্গ বাউলসঙ্গীত উৎসব। উৎসবে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাউল সাধকরা, এসেছেন বাউল গবেষকরাও।

শুক্রবার ঢাকার শাহবাগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল চারটায় কুষ্টিয়ার লাল সমাধির প্রধান খাদেম ফকির মোহাম্মদ আলী শাহের উৎসব উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে আসবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিল্পী ফরিদা পারভিন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।

উৎসব কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আল মামুন গ্লিটজকে বলেন, “বাউল সাধক, গবেষকদের কখনও কোনো সীমানা থাকে না। অখণ্ড ভারতবর্ষে বাউলরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করতেন। এখন সে সুযোগ নেই। তাদের বাউল সাধনা, বাউল গান সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে গেছে দেশ-দেশান্তরে। আমরা তাই বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের শিল্পীদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছি উৎসবে। দুদেশের বাউল সাধনার নানা ধারা নিয়ে এ উৎসব আগে কখনও হয়নি।”

শাকিল গ্লিটজকে আরও বললেন, “বাউলশিল্পীদের নিয়ে আমাদের সমাজে এখনও নানা কুৎসা রটানো হয়। সমাজ তাদের নিয়ে মিথ্যা ভাবে, তাদের নিয়ে আছে মিথ্যা প্রচারণাও। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে তাদের সেই ধারণার পরিবর্তন করতে চাই।”

রবীন্দ্র-নজরুল জন্মোৎসব, তিরোধান উৎসব নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে মাতামাতি হলেও বাউল শিল্পীদের নিয়ে জাতীয় পযর্ায়ে বড় কোনো আয়োজন করা হয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শাকিল জানান, উৎসবটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকায়। দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে শেরপুরে, তৃতীয়টি লালন শাহের স্মৃতিবিজরিত কুষ্টিয়ায়।

ঢাকার উৎসবে বাউলশিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে সাধুসঙ্গ, এখানে বাংলাদেশ-ভারতের সাধুরা তাদের ভাবের আদান-প্রদান করবেন। দুই বাংলার গবেষকরা বাউল গান নিয়ে এখানে গবেষণা করবেন, থাকছে আলোচনা সভাও। উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিকাল চারটায় শুরু হবে সাধুসঙ্গ, এরপর আলোচনাসভা। তারপর সন্ধ্যায় শুরু হবে বাউল গান পরিবেশনা।

উৎসবের দ্বিতীয় পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণচোরা গ্রামের রাজাপাহাড়ে। সেখানেও থাকছে তিন দিনের আয়োজন।

news:bd

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.