![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।
এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে মানুষের উপলদ্ধ সকল সত্য বা অনুমিত সত্য (সেটা মিথ্যাও হতে পারে) চিরকালই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকে না। থাকার কথাও না। কারণ আমরা অনেকেই পরস্পর বিপরীত অবস্থানে থেকেও প্রত্যেকে নিজের অবস্থান ও অনুধাবনকে একমাত্র সত্য (যেটা সত্য নাও হতে পারে) বলে মানি ও তা অন্যকে বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করি এবং অন্যের মত , অবস্থান ও অনুধাবনকে মিথ্যা বা অসত্য হিসেবে মত পোষণ করি। যদিও মানুষের অতীতের অনেক প্রচলিত ও উপলদ্ধ সত্যই (যদিও প্রকৃত পক্ষে তা ছিল মিথ্যা) বর্তমানের অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবনের দ্বারা পরাজিত হয়ে মিথ্যা ও ভ্রান্তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানের প্রচলিত ও উপলদ্ধ অনেক সত্যও ( প্রকৃত পক্ষে যদি তা মিথ্যা হয়) লক্ষ কোটি বছর পরে মিথ্যা ও ভ্রান্তে পরিণত হতে পারে! তাই বর্তমানের প্রচলিত ও উপলদ্ধ সব সত্যই যে চিরকালই সত্যের কাতারে থাকবে সেটা ভাবাও কোন যৌক্তিক জ্ঞান না! অনেক মিথ্যাকেও কখনো কখনো আবেগের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য সত্যে পরিণত করা যায়, আবার অনেক সত্যকেও যুক্তির জালে জড়িয়ে মিথ্যায় মিলিয়ে ফেলা যায়!! তাই বলা যায় আদর্শ ও বিশ্বাসের এই দ্বন্দ্ব শাশ্বত-চিরন্তন! আর আদর্শ ও বিশ্বাসের এই ভিন্নতা দিয়ে আমরা আদর্শ , মানবতা , নৈতিকতা ও সৃষ্টিকর্তাকেও এমনভাবে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে দাঁড় করিয়েছি যেখানে সংঘাত অনিবার্য! আমরা কেউ কেউ একে অপরের বিশ্বাস ও আদর্শকে মোকাবেলা করার জন্য নিজে হয়েছি কুঠার হস্ত, হয়েছি সহিংস ও অমানবিক। আদর্শ ও বিশ্বাসের অবস্থানকে হিংসা ও অমানবিকতার স্থানে দাঁড় করিয়ে নিজেদের সৃষ্টিকর্তাকেও বানিয়েছি সেইসব কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা!
প্রকৃতপক্ষে এই সহিষ্ণু ভাব অনেকেরই নেই যে, কারো আদর্শ ও বিশ্বাসকে যদি মোকাবেলা করতে হয় তবে তা আদর্শ ও বিশ্বাসের যুগোপযোগী, সম-সাময়িক পরিশোধিত যুক্তি ও মানবতা দ্বারাই করা উচিত। সরল-সোজা বুদ্ধিতে আমি বুঝি, আদর্শ ও বিশ্বাস আরো সাবলীল আরও সুন্দর হতে পারে যদি তা যুগোপযোগী, সম-সাময়িক যুক্তি ও মানবতা দ্বারা পরিশোধিত হয়। তাই আদর্শ ও বিশ্বাসের এই পরিশোধনের পথকে বন্ধ না করে আরও সুগম করা উচিত একটি ভালো সমাজ, একটি ভালো রাষ্ট্র, একটি ভালো সর্বজনীন সভ্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আদর্শ , মানবতা , নৈতিকতা ও সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ফিলোসফি গুলোকে নির্দিষ্ট ধর্ম, স্থান , কাল ও পাত্র দ্বারা সীমায়িত না করে বরং আমরা প্রত্যেকে নিজেদের দোষ-ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা গুলোকে নিয়ে ভাবি আর তা থেকে উত্তোরণের পথ খুঁজি। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেরা ঘোষণা করে আমরা কেউই শ্রেষ্ঠ হতে পারবো না। কোনটি ভালো, ঠিক ও শ্রেষ্ঠ তা মুক্ত চিন্তা ও পরিশোধনের আলোকে আপনি টিকে থাকবে স্বমহিমায়! এটা নিয়ে সংঘাত ও রক্ত ঝরানোর খেলা খেলে কোন লাভ হবে না, বরং প্রত্যেকে রক্ত স্বল্পতায় হয়ে পরবো দূর্বল এ্যানিমিয়া রোগী !!!
©somewhere in net ltd.