![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।
মূ র্তি , প্রতিমা, ভাস্কার্য , মন্দির , পুরনো স্থাপত্য যারা ভাঙ্গে তাদের কাছে হয়তো মোটেও সেটা দোষের কিছু না। দোষের কিছু মনে হলে হয়তো ভাংতোও না কোন দিন। অন্য জনে সেটাকে কি মনে করলো না করলো তাতে কি বা আসে যায়! কিংবা আরেক গ্রুপের মানুষ এই হৃদয়ে ধারন করা বস্তু গুলোকে ভাঙতে গিয়ে বিবেকের দংশনও হয়তো তাদের হয় না কখনো । হতে পারে এটা তাদের কাছে পুরনো ইতিহাস থেকে অর্জিত জেনেটিক্যাল শিক্ষা, হয়তো ঐতিহ্যও মনে করেন অনেকেই। বেহেস্তে যাওয়া সহজ পথও মনে করতে পারে! যেমন অনেক জঙ্গী গ্রুপ মনে করেন নাস্তিকদের, ব্লগারদের ( যারা সমালোচনা করেন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর; সমাজ , সভ্যতা, ধর্ম , দর্শন, রাজনীতি, রাষ্ট্র সব কিছুকে যারা সভ্যতার আলোয় যুক্তির দ্বারা রেক্টিফাইড করতে চান; তাদের যুক্তি, সমালোচনা হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই অনেকের যুক্তিকে, অনেকের আদর্শকে, অনেকের বিশ্বাসকে, অনেকের স্বার্থকে আঘাত করে অস্তিত্বহীন করে তোলে) লুকিয়ে পিছন দিক থেকে এসে ঘাড়ে চা-পাতির কোপ বসালে সরাসরি বেহেস্তের টিকেট হাতে পাওয়া যায়! আর মূর্তি ভাঙলেও যে হিন্দুদের খুব বেশি আর্থিক ক্ষতি হয় তাও তো না । মাঝে মাঝে হয়তো দু-চার জনকে একটু দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়া হয় ভিটে-মাটি দখল করার জন্য, হয়তো কারো কারো মনটাতেই একটু আঘাত লাগে এই যা! পাকিস্থানিরা মূর্তি ভাঙ্গে, তালেবানরাও ভাঙ্গে। আল-কায়দার অনুসারীরাও ভাঙতো, এখন আইএস’রাও ভাঙছে । ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের শুরুর দিকে আরবেও তো ভাঙ্গা হয়েছিল। এই মূর্তি ভাঙার সাথে যেহেতু এত এত মানুষ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই যুক্ত হয়েছে সেটা কি এত খারাপ কাজ হতে পারে! আর সবচেয়ে বড় কথা যারা যেখানে দূর্বল, শক্তিহীন, হয়তো শান্তি প্রিয় কিংবা নির্বোধ তারা সেখানে মার খাবে, প্রতিনিয়ত ধ্বংসের মুখোমুখী হবে এটাই তো প্রকৃতির নিয়ম! যেমন হরিণ একটি শান্ত শিষ্ট নিরীহ প্রাণি, অথচ তার ভাগ্যে লেখা জীবনের প্রতি মূহুর্তে ভয়ার্ত করুন পরিণতি! অথচ দূর্দান্ত প্রতাপশালী হিংস্র বাঘ, সিংহ, হায়না সদর্পে যাপন করেন উদ্বেহীন দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন। এই দেশে দূর্বল, শক্তিহীন, হয়তো শান্তি প্রিয় কিংবা নির্বোধ হিন্দুদের পরিণতি হরিণের মতো হওয়াটাই প্রকৃতি সিদ্ধ একটি ব্যাপার । ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনে, মিশরে তো মূর্তি, মন্দির নেই সেখানে ভাঙ্গা হয় শিয়াদের মসজিদ, খ্রীষ্টানদের গীর্জা কিংবা পুরোনো স্থাপত্য শৈলী! কেননা তারা সেখানে সংখ্যায় কম কিংবা দূর্বল, শক্তিহীন, হয়তো শান্তি প্রিয় কিংবা নির্বোধ । এভাবেই জগত জুড়িয়া যুগে যুগে , দেশে দেশে মার খাবে দূর্বল! কাজেই হে দূর্বল, যদি জগতে গৌরবের সাথে, সন্মানের সাথে বাঁচতে চাও তো দূর্বলতা ত্যাগ কর, প্রকৃষ্ট রূপে ত্যাগ কর ! সবল হও, সবল হও দেহ ও মনে । তোমার দর্শন , তোমার বিশ্বাস, তোমার ধর্ম যদি তোমাকে মানবিক করে , সভ্য শান্তিপ্রিয় করে তবে মানবিক হও, শান্তিপ্রিয় হও। কিন্তু যে মানবিকতা , যে সভ্য শান্তিপ্রিয়তা তোমাকে তিলে তিলে দূর্বল করে, মেরুদন্ডহীন করে , ধ্বংস করে ; প্রতিপক্ষের আঘাত থেকে তোমাকে বাঁচাতে অক্ষম সেই মানবিকতা, সেই শান্তিপ্রিয়তাকে আপাতত সিন্ধুকে তুলে রাখুন । আগ্রাসী না হয়ে আঘাতের জবাবে অন্ততঃ পাল্টা আঘাতের কথা ভাবুন, প্রতিকারের চেয়ে অন্ততঃ প্রতিরোধের কথা ভাবুন! আর না হলে প্রকৃতি আপনাকে টিকতে দেবে না , প্রকৃতি দূর্বলদের টিকতে দেয় না। আগে সন্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রাষ্ট্রে সুনিশ্চিত হোক, আগে রাষ্ট্র আপনার সংবিধানিক আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করুক তারপর না হয় মানবিকতা আর শান্তির কথা ভাববেন!
©somewhere in net ltd.