নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীর মুজাহিদ

আমি বাংলাদেশী,আমি বাংলাকে ভালোবাসি।আমার ধর্মধর্ম

বীর মুজাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ বাল্যবিবাহ ॥ উত্তরটা কারো জানা থাকলে বলুন

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৫


উইলিয়ামের ছেলে জেম্সের ১২ বছর পার হওয়ার সাথে সাথে উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী ধুমধাম উৎসব করে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ালো। তাদের ছেলের ১২ বছর বয়স পার হয়েছে, এখন তার অনেক বন্ধু হবে, মেয়েদের সাথে তার পরিচয় হবে এবং স্বাধীনভাবে মেয়েবন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়া, থাকা এগুলো করবে। জেম্সের একটা নতুন জীবন শুরু হলো। অ্যাঞ্জেলীনা জলির ছয়টা সন্তান হওয়ার পর তার বাপ-মা বলেছে, এঞ্জেলীনা এখন যেন বিয়েটা করে নেয়। নাউযুবিল্লাহ!
এসব কাফির-মুশরিকদের জন্য কোনো সমস্যা নয়। কারণ ওদের ছেলেমেয়েদের কর্মজীবনে প্রবেশ করে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত তাদের শারীরিক/জৈবিক চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করার জন্য এটাকে তারা উৎসাহিত করে থাকে। ওদের দ্বীন নেই, ভদ্রতা নেই, সভ্যতা নেই, আত্মসম্মানবোধ কোনোটাই নেই। আর মৃত্যুর পর সরাসরি জাহান্নামে।
কিন্তু মুসলমানদের তো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম রয়েছে। মৃত্যুর পর জবাবদিহিতা রয়েছে। সেজন্যই কাফির-মুুশরিকদের জীবনাচরণ আর মুসলমানদের জীবনাচরণ কখনো এক হওয়ার কথা নয় এবং হতেও পারে না।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বেপর্দা, বেহায়াপনা এবং বিবাহ বহির্ভুত স¤পর্ককে নিষিদ্ধ করেছেন। এসব আচরণ মহান আল্লাহ পাক যিনি খালিক্ব মালিক রব উনার সন্তুষ্টি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের পথে অন্তরায়। এগুলো ফিতনাসহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যারও কারণ।
তাই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম- ছেলেমেয়েরা সাবালক সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ের ব্যবস্থা করতে তাগিদ দিয়েছেন এবং যিনি আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে শাদী মুবারক করে অল্পবয়সের বিয়েকে মুবারক খাছ সুন্নত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর স্কুলগুলোতে ১০ বৎসর বয়স থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এর অর্থ ঐসব দেশে ১২ বৎসর বয়স পর্যন্ত শারীরিক মেলামেশার বিষয়টাকে নিরুৎসাহিত করা হলেও ঐ বয়সের আগেভাগেই ছেলেমেয়েরা বল্গাহীন মেলামেশা শুরু করে দেয়। আর এই কাফির-মুশরিকরাই আমাদের দেশে ‘১৮ বৎসরের আগে বিয়ে নয়’ বলে সরকারকে আইন পাস করতে বাধ্য করেছে। অল্পবয়সে বিয়ে হলে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে ভয় দেখায়। এদেশে ওদের দালালেরও কমতি নেই। তারা মুখস্থ কথা বলে।
এই দালালদের কাছে প্রশ্ন-
# অল্পবয়সের বিয়েতে কার কি সমস্যা হয়েছে, কেস স্ট্যাডিসহ সেটার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখা উপস্থাপন করো?
# কাফির-মুশরিকদের দেশগুলোতে কিশোর-কিশোরীরা অতি অল্পবয়স থেকেই যে অবাধে মেলামেশা করতে থাকে, ওদের কিশোর-কিশোরীদের কোনো সমস্যা হয় না! সমস্যা কি কেবল আমাদের দেশে হওয়ার যোগ্য?
আর আমাদের দেশের সরকারের কাছে প্রশ্ন-
# সম্মানিত দ্বীন ইসলামে এমন কোনো নিয়ম-নীতি কেউ কি দেখাতে পারবে, যেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর?
# তাহলে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে স্বীকৃত অল্পবয়সে বিয়েকে সরকার আইন করে বন্ধ করে দিবে কেন?
# সরকারের কাছে কি নতুন করে ওহী নাযিল হয়েছে? নাউযুবিল্লাহ!
আসলে কাফির-মুশরিকরা চায়, অল্পবয়সের বিয়েকে বাধাগ্রস্ত করে এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান কিশোর-কিশোরীদের চরিত্র নষ্ট করতে, বেপর্দা-বেহায়াপনায় মশগুল করে দিয়ে রহমতশূন্য করতে, ঈমান থেকে সরিয়ে দিতে, কাফির-মুশরিকদের আচরণে অভ্যস্ত করতে এবং সর্বোপরি মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে।
অল্পবয়সে বিয়ে রোধ করতে আইন করে এখন কি দেখছি আমরা। আনুষ্ঠানিক বিয়ে ব্যতীত ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশার প্রবণতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। বেপর্দা, বেহায়াপনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
মহাখালী কলেরা হাসপাতাল (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণাপত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের শহুরে তরুণ-তরুণীদের শতকরা ৮০ শতাংশ ১৮ বৎসর বয়স হওয়ার আগেই পরস্পর শারিরীক সংস্পর্শে আসার অভিজ্ঞতা হচ্ছে এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একরকম মিনি পতিতালয় গড়ে উঠেছে। নাউযুবিল্লাহ!
অল্পবয়সের এই অবাধ মেলামেশায় কি তারা অন্তঃসত্তা হয় না কিংবা এতে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই?
বিয়ে ব্যতীত কোনো সমস্যা নেই আর শরীয়তসম্মতভাবে বিয়েটা হলেই কি সব সমস্যার শুরু হয়?
সরকার যদি অবাধ মেলামেশা বন্ধ করার জন্য তথা সম্মানিত পর্দা রক্ষা করে চলতে আইন করতো, অল্পবয়সের বিয়ে যদি রোধ করা না হতো, তাহলে যাদের প্রয়োজন তারা বিয়ে করে নিতে পারতো। তাহলে এই বেহায়াপনা হতো না, ছেলেমেয়েরা চরিত্রহীন এবং গুনাহগার হতো না। সমাজ থেকে সম্ভ্রমহরণ, খুন-খারাবী, নারীটিজিং এবং নারী-নির্যাতনের হার কমে যেত।
কাফিরের দেশগুলো কাফেরের ধর্ম অনুযায়ী চলে। এমনকি আমাদের দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা তাদের আচার-আচরণ যথানিয়মে পালন করে যাচ্ছে। তাহলে শতকরা ৯৮ ভাগ যেখানে মুসলমান, সেখানে মুসলমানরা তাদের ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না- এটা কোন্ নিয়ম? সম্মানিত ইসলাম ধর্মে হাত দেয়ার অধিকার সরকারকে কে দিলো?
সরকারের মনে রাখা দরকার- মহান আল্লাহ্ পাক তিনি প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের ফল পুরোপুরিই দিবেন আর খন্ড খন্ড মেঘ জমে যখন চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসবে তখনকার অবস্থাটার কথাটাও সরকারের জ্ঞানে রাখা দরকার। গণতন্ত্র এবং রাজনীতি নিয়ে আমরা কথা বলি না; আমরা মুসলমান, দয়া করে সম্মানিত দ্বীন ইসলামের অনুসারী হয়ে আমাদেরকে থাকতে দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.