নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীর মুজাহিদ

আমি বাংলাদেশী,আমি বাংলাকে ভালোবাসি।আমার ধর্মধর্ম

বীর মুজাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ওহাবী-খারিজীদের ছল-চাতুরী করে বাহাছ থেকে পলায়ন ॥ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ বিরোধী ও অপপ্রচারকারীদের প্রতি- আবারো ১০০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫


গত ০২-০১-২০১৫ ঈসায়ী তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার অন্তর্গত চিলমারী উপজেলার থানাহাট বাজার জামে মসজিদে জুমুয়ার নামাযে খুতবাপূর্ব বক্তব্যে ওহাবী-খারিজীপন্থী ইমাম বলে যে, “১. “ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) উপলক্ষে শুধুমাত্র একদিন রোযা রাখা ব্যতীত আরো কোনো আমল হাদীছ-কুরআন দ্বারা ছাবিত নেই। ২. প্রচলিত মীলাদ বিদয়াত। মীলাদ-ক্বিয়াম করা নাজায়িয। কেউ যদি মীলাদে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাযির-নাযির জেনে ক্বিয়াম করে- তাহলে এটি শিরক। ৩. সোনালী তিন যুগ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগ এবং হযরত তাবিঈন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগ ছাড়া পরবর্তী কোনো যুগের নিয়ম বা আদর্শ মানা যাবে না। ৪. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উনার নুবুওওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে অর্থাৎ ৩৯ বছর বয়স মুবারক পর্যন্ত উনার কোনো আমল বা আদর্শ অনুসরণযোগ্য নয় বা মানা যাবে না- ইত্যাদি ইত্যাদি।
তার কুফরীমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উক্ত মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ ইমামের কাছে তার বক্তব্যের কোনো দলীল আছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে- আমি আলেম ছাড়া কারো কাছে দলীল দিতে ইচ্ছুক নই। এ কারণে উক্ত মসজিদের কমিটি এবং মুসল্লীগণসহ গত ১৭ই মার্চ-২০১৫ ঈসায়ী তারিখে বাহাছ হবে এ বিষয়ে একটি বাহাছনামা চুক্তি করা হয়। সে অনুযায়ী দুইপক্ষের বাহাছকারীগণও উপস্থিত হন। পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার পক্ষের অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার পক্ষের বাহাছকারীগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ১. হাফিযুল হাদীছ, আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ফজলুল হক্ব ছাহেব (রাজারবাগ দরবার শরীফ, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার সুযোগ্য মুহাদ্দিছ, দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনাদের নিয়মিত কলামিস্ট), ২. আল্লামা মুহম্মদ আফজালুল হক মিয়া (সাবেক উপাধ্যক্ষ- বাছরা আজিজিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসা, রাজারহাট, কুড়িগাম), ৩. আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল আউয়াল (উপাধ্যক্ষ- নাগেশ্বরী কামিল আলিয়া মাদ্রাসা, কুড়িগ্রাম), ৪. আল্লামা মুহম্মদ মতিয়ার রহমান (সাবেক প্রিন্সিপাল, সাতদরগাহ নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক এমপি, উলিপুর), ৫. আল্লামা মুহম্মদ আলী সরকার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ- বড় রংপুর কেরামতিয়া কামিল মাদ্রাসা, রংপুর), ৬. আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল গণী (প্রাক্তন অধ্যক্ষ, বাকরেরহাট, ফাযিল মাদ্রাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম), ৭. আল্লামা আব্দুস সবুর (মুহাদ্দিছ- সাতদরগাহ নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম), ৮. আল্লামা মুহম্মদ আসগর আলী (প্রধান মুফাসসির, বড় রংপুর কেরামতিয়া কামিল মাদ্রাসা, রংপুর), ৯. মাও মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম (প্রভাষক- সাতদরগাহ নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম), ১০. আল্লামা মুহম্মদ হামিদুর রহমান (প্রভাষক- লালমনিরহাট, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা), ১১. আল্লামা মুহম্মদ মমতাজুল হাসান কারীমী (উলিপুর নাছিরিয়া দরবার শরীফ), ১২. আল্লামা মুহম্মদ শাইখুল ইসলাম শায়েখ (মুফাসসির, বড় রংপুর কেরামতিয়া কামিল মাদ্রাসা), ১৩. মুহম্মদ আব্দুল্লাহ আল বাকী (ফক্বীহ- বড় রংপুর কেরামতিয়া কামিল মাদ্রাসা, রংপুর) এবং অন্যান্য হক্কানী উলামায়ে কিরাম।
আর পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনাদের বিপক্ষে ছিলো- ১. মালানা আব্দুল জলিল (মুহাদ্দিছ- কুড়িগ্রাম কামিল আলিয়া মাদ্রাসা), ২. মালানা আবদুল লতিফ (কুড়গ্রাম), ৩. মালানা জব্বার ফারুকী (শিক্ষক- রাজারভিটা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, চিলমারী, কুড়িগ্রাম), ৪. মুফতে শামিমসহ আরো কয়েকজন ধর্মব্যবসায়ী মালানা।
এক পর্যায়ে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ বিরোধীরা বাহাছের শর্ত ভঙ্গ করে বাহাছ শুরুর পূর্ব মুহূর্তে বলে যে, বাহাছ হবে গোপনে ঘরের মধ্যে; প্রকাশ্যে নয়। উভয় পক্ষের ৪/৫ করে এবং মসজিদ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত থাকবেন। আর কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
একথা শোনার পর উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুছল্লীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা বলেন, বাহাছ অনুষ্ঠিত হবে খোলা ময়দানে, প্রকাশ্যে। কিন্তু পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার বিপক্ষের ওহাবী-খারিজী-জামাতী-দেওবন্দী-তাবলীগীরা গণমানুষের গণরোষের কারণে ভয় পেয়ে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে বাহাছ করতে সম্মত হয়নি। এবং তারা বাহাছ অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়নি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও জনগণের মাঝে তাদের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার বিপক্ষের ওহাবী-খারিজী-জামাতী-দেওবন্দী-তাবলীগীদের ছল-চাতুরি ও টালবাহারার কারণে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও জনগণের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাহাছ অনুষ্ঠান স্থগিত করেন।
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার বিপক্ষের ওহাবী-খারিজী-জামাতী-দেওবন্দী-তাবলীগীরা লেজ গুটিয়ে পলায়ন করলে এবং প্রশাসন বাহাছ অনুষ্ঠান স্থগিত করায় পরে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পক্ষের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা চিলমারী বাজারস্থ আলহাজ্ব মরহুম সিরাজুল হক ছাহেবের বাসভবন সংলগ্ন মাঠে এক বিরাট পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার মাহফিল আয়োজন করে।
উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে দলীলভিত্তিক ওয়াজ করেন- হাফিযুল হাদীছ, আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ফজলুল হক্ব ছাহেব (রাজারবাগ দরবার শরীফ, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা উনার সুযোগ্য মুহাদ্দিছ, দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনাদের নিয়মিত কলামিস্ট)। আরো ওয়াজ করেন- আল্লামা মুহম্মদ আলী সরকার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ- বড় রংপুর কেরামতিয়া কামিল মাদ্রাসা, রংপুর), আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল গণী (প্রাক্তন অধ্যক্ষ, বাকরের হাট, ফাযিল মাদ্রাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম, আল্লামা মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম (প্রভাষক- সাতদরগাহ নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, উলিপুর, কুড়িগ্রাম)
প্রধান অতিথি তিনি বলেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ এবং পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার বিরোধিরা কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী। তিনি আরো বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হাযির ও নাযির। পাশাপাশি তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন।
পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ বিরোধীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে তিনি বলেন, কেউ যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ নাজায়িয প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তাকে ১০০ কোটি টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ!
পরিশেষে বাতিলপন্থী খারিজী, ওহাবী, লা-মাযহাবী, তাবলীগী ধর্মব্যসায়ীদের থেকে দূরে থাকার জন্য সবাইকে আহব্বান করা হয় এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করতঃ দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে উক্ত ওয়াজ মাহফিল শেষ করা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.