![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখের আশায় ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে পড়ছে। আর আমি তখন সত্যের সন্ধানে ছুটছি।
- তাশমীদ! কোথায় যাচ্ছ?
- জী চাচা ! এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি।
- সন্ধার সময় বাসায় থাকবে! রাতে একটা বড় মিটিং হবে মুহিত সাহেব আসবেন।
- কোন মুহিত চাচা?
- কোন মুহিত মানে ? আবুল মাল আবদুল মুহিত! অর্থমন্ত্রী।
- চাচা ! আপনিতো জানেন আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলি। কি জানি কখন কোন কথা মনে পড়ে গেলে উনার সামনে কখন কোন বেয়াদবি করে ফেলি। পড়ে আপনিই লজ্জায় পড়বেন। সেক্ষেত্রে আমার না থাকাই ভালো।
- বেয়াদব কোথাকার! আমার বাসায় থাকিস! আবার আমার উপর কথা বলিস! বাসার এত বড় মেহমান আসবে কখন কি প্রয়োজন হবে। বাসার কোন বড় ছেলে নেই তুই ছাড়া তাই তোকে থাকতে বলেছি। আর নীতিকথা ফুটাস? এই দেশে কে কত বড় সৎ তা দেখা আছে! উনাদের মত মন্ত্রি এম্পিদের ধরে বিজনেস চালাতে হয়।
- চাচা! আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
- চুপ কর হারামজাদা! আর একটা মুখের উপর কথা নয়। আমার বাসায় থাকলে আমার কথামত চলতে হবে! যদি না পারিস তাহলে তোর বাপকে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি তোর ব্যবস্থা যেন অন্য কোথাও করে।
মাথা নিচু করে বাসা হতে বেরিয়ে এসেছি। বন্ধুদের সাথে বসে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছি আর ভাবছি সন্ধার সময় বাড়ি যাব কিনা! বন্ধুর জন্মদিন আজ। রাতে বার্থডে সেলিব্রেট করা হবে। এদিকে মুহিত সাহেব রাতে বাসায় থাকবেন। তাঁর আপ্যায়নের কোন কমতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বাসার বড় ছেলে হিসেবে আমার থাকতেই হবে।
চায়ের দোকানে বন্ধুরাসহ বসে আছি । হঠাত এক ক্রেতা সিগারেট কিনতে এসে বেশ ঝগড়া পাকিয়ে ফেলেছে দোকানদার মামার সাথে। উনি বেনশন এক জায়গা হতে ১১ টাকা করে কিনে। এখানে ১২ টাকা কেন ? এই নিয়ে ঝগড়া। শেষে ঝগড়া মিটমাট হলো কিন্তু উনি জঘন্য ভাষা মুহিত সাহবেকে গালিগালাজ করছিলেন। আর বলছিলেন, যদি তাকে এই মুহুর্তে সামনে পেত তাহলে নাকি তাঁর পশ্চাৎদশে বেনশনের ছ্যাকা দিয়ে দিতেন।
আমি এই কথা শোনার সাথে সাথে লোকটার হাত ধরে বলে উঠলাম,
"দাদা আমার বাসায় চলুন! ব্যাটা টাকলা মুহিত আমার বাসায় আজ সন্ধায় আসবেন। আপনি ইচ্ছামত তাঁর ওখানে ছ্যাকা দিতে পারবেন"।
লোকটার মুখ ভয়ে চুপসে গেলো। আমার কথার উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করলো। আমি কি ভুল কিছু বললাম। :/
©somewhere in net ltd.