নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরিত্রহীন পাত্র, প্রতারক পুরুষ ও প্রবাসী ব্যাচেলর ছোকরা

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১৬

দেশে একটা জীবন ছিল। মতির দোকানের চা। ওই পিচ্চি, দুটো বেনসন দিয়ে যা। অথবা চলন্ত রিকশা থেকে আমাকে দেখেই, "এই সাঈফ! রিক্সা, থামো থামো!" তারপর বন্ধুর সাথে কথাচ্ছলে পরোটা ডিম ভাজার রেস্তোরায় ঢুকে খাওয়ার ফাকে এক চক্কর আড্ডা।অথবা বাস থেকে নেমেই ফুটপাতে ঝাপি নিয়ে বসা কলাওয়ালার সাথে দাম দর করা।রান্না করতে ইচ্ছে না করলে কাছের কোন সহকর্মী, সহপাঠীকে ফোন করে হোটেলে গিয়ে চারটা ডাল, ভাত খিচুড়ি খেয়ে নিবার স্বাধীনতা ছিল। এমনকি রিক্সাওয়ালার সাথে এক প্রস্থ গল্প, বাসে ট্রেনে পাশে বসা লোকটির সাথেও আড্ডা জমিয়ে কথা দু'টো কথা বলার লোকের অভাব ছিলনা।



প্রবাসটা সেখানে নির্বাসিত দ্বীপে বসবাস করার মত। ফ্রিজ ভর্তি খাবার, আরাম দায়ক বসতভিটা সবই আছে। কিন্তু দেখা যাবে সপ্তাহান্তের আস্ত দু'টো দিন কারো সাথে কোন কথা না বলে, কারো সাথে কোন দেখা না হয়ে ঘরে শুয়ে বসে নাটক দেখে চলে গেল। ঘোরতর অলসতার কারণে কিন্তু পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভার রাখতে শুকনো বিস্বাদ (হোল হুইট,আস্ত গমের) রুটি খেয়ে শুয়ে পড়লাম। অথবা ইফতার করে প্রচন্ড ক্লান্তির কারণে এক ঘুমে সকালের আলো। উৎসবের মাইক, সাইরেন শব্দের অভাবের চেয়ে অভিমান করে টানা ২৪ ঘন্টা উপবাস থাকার ব্যাপার গুলোই নাড়া দেয় বেশি।



ব্যক্তিগতভাবে প্রচন্ড স্বার্থপর ও অন্তর্মুখী হবার কারণে এ ধরনের জীবনযাপনে আপত্তি নেই, বরং বেশ আয়েশের সাথেই অভ্যস্ত। কিন্তু দেশে সারা জীবন আতলামি করে আসা মোটা ফ্রেমের চশমার নরম-শরম ছেলেটিকেও দেখি কীসের জন্য যেন উশখুশ করছে। দেশে মা মানা করে দিয়েছে বলে পর্ক, মদ, বার এসবের ত্রি সীমানায় সে ঢুকবেনা। কিন্তু সপ্তাহে ৫ দিন গাধার মত খাটুনির পর বারে গিয়ে মদে গলা ভিজিয়ে না নাচলে যে পরের সপ্তাহে কাজ করার স্ফূর্তি আসেনা। বা নিজেকে লোকজ সংস্কৃতির সাথে মিলাতে না পারার কারণে সংস্কৃতিগত দূরত্বের কারণে এতগুলো মানুষের সামনে বিচ্ছিন্ন প্রজাতির এলিয়েন ভেবে কষ্ট পেতে থাকে। তাই সবুজ তার মোটা ফ্রেমের চশমার ফাক দিয়ে সঙ্গিনী পাবার স্বপ্ন দেখতো, যেটা সে আগে বই-পুস্তকের ভাজের বাইরে আনেনি। পিএইচডি কোয়ালিফাইং পাশ দিয়েই বাড়ি যায়, বাবা-মা নাকি বিশেষ সূত্র মারফর পরিচিত কনে দেখাবে।



আজ থেকে ১৫ বছর আগেও প্রবাসী পাত্র ব্যাপারে একটা অন্ধ ভক্তি ছিল। পিয়াজ কাটা, মদের ছিপি লাগানো, থালা বাটি ধোয়া, টেবিল মোছা চাকুরি করে নিজের পড়ালেখার পয়সা জুগিয়েছে ছেলেরা। দেশে কর্ম খালী নেই, তাই প্রবাসী বলে যা পেত তাতেই নিজের মেয়েকে গছিয়ে দিতে আপত্তি করেনি অভিভাবককূল। সবুজের মত কলুর বদল গুলো এক কালে দেশে গেলে পাত্রীর বাবা-মা পাত্র্রীর "স্থানীয় গোপন সম্পর্ক" অগ্রাহ্য করে মেয়ের নাকে দড়ি দিয়ে টেনে হেচড়ে লম্পট প্রবাসী ছোকরার গ্রাসের নাগালে বসিয়ে দিতআশ্চর্যজনকভাবে, সেই সব কামলা খাটা ছোকরার দল ডিগ্রি নিয়ে এখন চাকুরি করে গাড়ি বাড়ি হাকায়, তাদের এক এক জনের বিশাল দশা, প্রতিষ্ঠিত। নব্বইয়ের শেষের দিকে দেশে রীতিমতো কর্পোরেট বিপ্লব শুরু হল।কোন মতে ব্যাচেলর পাশ দিয়ে একটা এমবিএ ডিগ্রি চালু রেখে এক এক জন মোটা মাইনের চাকুরে, গাড়ি, ফ্ল্যাট আর বউ সংসার নিয়ে আরামে দিন কাটানো যুবকের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে লাগল। হুড়মুড় করে পড়ে যেতে লাগলো প্রবাসী ছোকরাদের দাম।



ব্যাপারটা ইডেনের কেলেঙ্কারির মতই। প্রবাসী পুরুষের প্রতারণা ও চরিত্রহীনতার বেপরোয়া সংবাদের সুবাদে এখন কেউ প্রবাসী পাত্রের প্রস্তাবে নূন্যতম "খোজ-খবর" নেবার মত সময়, আগ্রহ দেখায়না।সাবধানের মার নেই, ঝামেলা করে প্রবাসী ছোকরার "কাহিনী-চরিত" জানার চেয়ে চার পাচটা কর্পোরেট ফুল বাবুর দেখে চোখের সামনে বাগদান সেরে ফেলা যায়। ব্যাচেলর ছোকরা বাসা ভাড়া নিতে এসেছে, তাই বেশি বাক্য ব্যয় না করে, "এখন দেশেই ভাল চাকুরি আছে, প্রবাসে কেন বাপু? আমি আমার মেয়েকে বিদেশে পাঠাবোনা।অন্য জায়গা দেখো। "-বলেই সশব্দে দরজা লাগিয়ে দেন গৃহকর্তা।



কোয়ালিফাইং পাশ সবুজের বেলায় ঠিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রাবস্থায় যারা পড়াশোনার সুবাদে সম্পর্ক করেছেন, তারা উচ্চশিক্ষার তাগিদে কোন প্রকার বিবাদ ছাড়াই দু'জন/একজনের ফান্ডে বিদেশে পড়তে চলে যান। কিন্তু সবুজের কপালে এমনটা জুটেনি। তার উপর, সবুজ এখনও "ছাত্র", পেশা হিসেবে পড়াশোনার কথাই লেখা থাকবে, এটা আবার মোটা মাইনের চাকুরি করা পাত্রের ভিড়ে ভীষণ নিচু দরের পেশা। ভাবখানা এমন, ছোকরা লেখাপড়াই শেষ করেনি, এখনই এসব কী? লেখাপড়া শেষ করো, চাকুরি ধরো , চাল-চুলা বানাও, তারপরে না হয়ে আমার মেয়েকে পুষবে, এর আগে কী! এসব কথার ভাল যুক্তি আছে, পড়াশোনা বাবদ যে ফান্ড পায় সেটি প্রায়শই ঝুকিপূর্ণ থাকে। ফান্ড চলে যেতে পারে, আবার যে ফান্ড পায় তা সাধারণ চাকুরিজীবীদের ১/৩ ভাগ। নিজের হয়ত চলে মাস শেষে ভালই বাচে, কিন্তু ঘাড়ের উপর আরেকজন চেপে বসলে সর্বশান্ত হবার উপক্রম হয়।



পুরুষের বিয়ে করার যোগ্যতাটা এখনও বউ খাওয়ানো, চাল-চুলার মালিকানার উপর নির্ভরশীল। বিদেশে "ছাত্র", দু'পয়সার ঝুকিপূর্ণ ফান্ড নিয়ে পড়ালেখা করে, ভিন দেশে অর্থ-বিদ্যা সব হারিয়ে ছোকরা যেকোন সময় পথে বসতে পারে। তাই একেবারে বিদেশে চাকুরির সনদ দেখাতে হবে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলে যদি দেখা যায়, সামান্য ইন্ট্রাক্টর বা ল্যাব টেকনিশিয়ান, ঢাবির কলা ভবনের ছাত্রী প্রতারিত হয়ে গলায় ফাস লাগায়। দেশে মোবাইল বিপ্লবের যুগে মেয়েরা এখন যথেষ্ট স্মার্ট (বুদ্ধি-মতি), যোগাযোগের উপায় জানে। নেহাৎ মতিভ্রম না হলে কেউ প্রবাসী লম্পট,প্রতারক ছোকরার সাথে সম্পর্কে জড়ায়না, হাতের কাছে চাল-চুলার যোগ্যতা বুঝে খুব দ্রুত একজনের সাথে গাটছড়া বেধে ফেলে। তার উপর, প্রবাসী ছাত্র ছোকরা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের কর্মজীবীরা পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়ে সহধর্মিনীকে দেশে ফেলে আসার মত ঘৃণ্য কাজ করে (পাত্রের সাময়িক অপারগতার দায় কেউ নিতে রাজি নয়) পাল্টা কেলেঙ্কারির রসদ জোগায়। আবার বিদেশে নিয়ে গিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে খাইয়ে পরিয়ে নাকি "দাসীগিরি" করিয়ে নেয়, এ মর্মে জনৈক ব্লগার আমাদের নিশ্চিত করলেন। আবার বাসায় বসে থাকতে না চাইলে, অড জব (কী ঘৃণ্য ব্যাপার!) করিয়ে নেয়। মেয়ে তো দেশে থাকতে একটা এনজিও তে সসম্মানে ভাল বেতনের চাকুরি করতো, প্রবাসে গিয়ে কী অধঃপতন, দাসীগিরি!



তাই রিক্সার টুনটুন আওয়াজ, সুখ নিমগ্ন কর্পোরেট দাসত্ব, মায়ের হাতের ভাত, বন্ধুর আড্ডা ফেলে যেসব অর্বাচীনের দল দু'পয়সার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গতর খাটেন, নিজের বিরুদ্ধ রুচি, সংস্কৃতি, ও পরিবেশে বাঁচার সাহস দেখান---- তাদের হাতে নিজের ভগ্নি/কন্যাকে তুলে দিবার মত ভুল যেন কেউ না করে। দেশে সুখ থাকতে ভূতের কিল খেতে যারা বিদেশগামী হন, তাদের জন্য রাস্তা ঘাটে শেতাঙ্গিনী কুলটার অভাব নেই, সপ্তাহান্তে। বিদেশের চলনসই ঘন ঘন ডিভোর্স, লিভ টুগেদার, বারের সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হতেই তো এই পোড়ামুখো ছোকরা গুলো ভিনদেশে গিয়েছে। নামের সামনে "ড." লিখবার মত পড়াশোনার শেষ করলেও ততদিনে "বৃদ্ধ ব্যাচেলর" বিয়ে করার মত বিবাহ যোগ্য "বৃদ্ধা ব্যাচেলর" অবশিষ্ট থাকবেনা। বরঞ্চ বয়সের ফারাকের কারণে পরকীয়া জাতীয় রুচিবোধ জন্মাবে। সে ক্ষেত্রে অড জব আর ছাত্রত্বের অভিশাপমুক্ত হয়ে প্রবাসে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৩৫ বা তদুর্ধ্ব বয়সী বৃদ্ধ ব্যাচেলরদের পাখি ভাইয়ের শরণাপন্ন হয়ে শর্ট ডিভোর্সী বা সন্তান সমেত বিধবা মহিলা খোজা ছাড়া গতি নেই।



এতে করে এককালীন "নারীবাদী" পূণ্য করার সুবাদে বুড়াকালে বিয়ে করার "ভিম-রতি হেতু কলঙ্কও" মোচন হবে।



কারো ব্যক্তিগত রুচি, পরিসরে আঘাত লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী। সেজন্য মাইনাস বাটন চেপে খানিকটা ঘিন্না মুক্ত হতে পারেন।



মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +২৯/-৫

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কোয়ালিফাইং পাশ করেছেন জেনে খুশী হলাম। এরপরে খাটুনি কমলেও কমতে পারে। বারে গিয়ে আর গলা না ভিজিয়েও বোধ করি চলতে পারবেন।

বিয়ে নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু নেই। ঝামেলা কম বলে প্রবাসী ছেলে বেশী পছন্দ করলেও (যা সব ক্ষেত্রে সত্য নয়), বাঙ্গালী মেয়েরা সাধারনত ভাল হয়। মেয়েদের যদি খুব বেশী অপমান না হয়, তবে সাধারনত পরিস্থিতির সাথে তারা আপোষ করে নেয়।

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৩০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হা হা হা আমার কোয়ালিফাইং পাশ, পরীক্ষা দেয়া এখনও বহু দেরি। ওটা আরেকজনের গল্প-বিড়ম্বনা শুনালাম। কারো অপমান "ধুয়ে, খেয়ে পরে", এবং তার উপর অভিমান, অপমানবোধের সাথে আপোষ করে চলার মত আমার বুদ্ধি, অভ্যেস কোনটাই নেই। কাজেই গাটছড়া বাধার হিসাব কিতাব আমাকে বাদ দিয়ে চিন্তা করলে খুশি হব। ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৪২

গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: good post

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১২:৪৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ, গুরু!

৩| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:১৫

দাসত্ব বলেছেন: মোটাদাগে কথা বলে ফেললেন। শেতাংগিনী কুলটা যে এখানে প্রচুর , তবে রক্ষনশীল মার্জিতও আছে। আমাদের দেশে রক্ষনশীলতার ঘোমটার নীচে অনেক খেমটাও নাচে।
অড জব .. এটা সেটা নিয়ে কথা বললেন। আমি নিজে বেশ ভালো অবস্থায়ই আছি। প্রফেসরের রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট , তবে এসব মানসিকতা পোষন করেন বলেই দেশের উন্নতি হয়না।
হোয়াট ডু ইউ মীন বাই অড জব?
এরা সব কাজকে সম্মান করে , প্রফেসর ক্লীনারকে হাই হ্যালো বলে হাগ করে। কাজ যাই হোক- সবাই এটিকোয়েট জানে।
ব্যাড পোস্ট।
আর মানুষের মন বলে কথা , মনোহারিনী কোন বিদেশীনিকে ভালো লাগতেই পারে , ভালো ভাবে চিন্তা করে কথা বলবেন।

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:২০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ব্লগে কতদিন হল, ভাই? পোস্টের স্যাটায়ার ধরতে এত কষ্ট হয়? অড জবকে যারা ঘিন্না করে অপাত্রে কন্যা দান করতে চাননা, তাদের মুখের ভাষাটা স্বগোতক্তি করলাম, বুঝলেন এবার? প্রবাসী কারো বিদেশিনী ভাল লেগে গেলে সেটার কলঙ্ক আবার পিছিয়ে পড়ে থাকা প্রবাসী ব্যাচেলর ছোকরাদের গায়ে লাগে, সেটা বুঝেন আশা করি। কারো ব্যক্তি পছন্দ নিয়ে আমাদের স্টেরিওটাইপ গোছের ভাবনা গুলো গোড়ামি আর অন্ধ বিশ্বাসের জন্য দেয়, সেটিও বুঝেন আশা করি। ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:৩৩

দাসত্ব বলেছেন: স্যাটায়ার নিজে লিখিনা , তাই সেই পয়েন্ট অব ভিউতে দেখিনা।
স্বগোক্তি করলেন ভালো কথা , তবে পরিশেষে একটা স্বউক্তি রাখলেই ভালো হতো ক্ষমা প্রার্থনার কথাটা বাদে।
ব্লগে কতদিন হলোর ধোঁয়া তোলার প্রয়োজন নাই , পাতা পোড়ালেও ধোঁয়া হয় , তেল পোড়ালেও ধোঁয়া হয়।
পাতা পুরান না তেল পুরান ? - হাস্যকর

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:৪৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হ্যাঁ, ভাই! চার বছর পর আপনার আজকের পোস্ট, মন্তব্য গুলো একটু মিলিয়ে দেখবেন, কত তফাত! "অভিজ্ঞতা" জিনিসটা ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়তা থেকে অর্জন নিতে হয়, কেউ শিখিয়ে দেয়না। আর সেটার জন্য খানিকটা সময় দরকার। আপনার ব্লগীয় অভিষেকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। :)

৫| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:৪৯

অ্যামাটার বলেছেন: লেখার প্রথম দিকে, প্রবাস জীবন বয়ে বেড়াতে, প্রতিটা শব্দে একটা অস্পৃশ্য অতৃপ্তি-হাহাকার মেখে মেখে আছে।

পরের অনেকাংশের সাথে আমার দেখা অবস্থার মিল খুঁজে পেলাম না ঠিক, হতে পারে আমার দেখার ঘাটতি আছে!

তবে হ্যাঁ, প্রবাসী পাত্রের ভাত এখন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে নাই বললেই চলে।

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ১:৫১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সেটাই!

৬| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ২:১৪

জাতি জানতে চায় বলেছেন: কর্পোরেট দুনিয়ার চরম বাস্তবতা!

০৯ ই মে, ২০১০ রাত ৩:১৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সেই!

৭| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ২:৫৯

ডিটেকটিভ বলেছেন: প্রনাসী সুশিক্ষিত পাত্রের ভাত সবচেয়ে বেশী সমাজে। ঘটুনা হৈলো মাইনষে এখন খবর লয় পোলা প্রবাসে কি করে ? এইটা হৈলো কতা

৮| ০৯ ই মে, ২০১০ রাত ৩:১৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: শিরোনাম পড়েই মন্তব্য সারলেন নাকি ভাই?

৯| ১০ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৬

সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: লেখাটা পড়ে কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না । আসলে এই ব্যাপারটা কখনও চিন্তা করিনি। ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: খুব কষ্ট করে আমার ব্লগে আসেন এবং মন্তব্য করেন দেখে ভাল লাগছে, ম্যাডাম।আপনার ব্লগে আমাকে এক প্রকার ধমক দিয়েই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন গত নভেম্বরে। সেই হার্ড ফিলিংস থেকে মুক্ত হয়েছেন দেখে আরো ভাল লাগছে। ভার্চুয়াল পরিসরে এসে এতদিন রাগ পুষে রাখাটা অন্যায়, তাই না?

ধন্যবাদ!

১০| ১০ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২১

তেলাপোকা বলেছেন:
লগ-ইন করতে হলো।
কেনো?

প্লাস দেবার জন্য। :)

১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:২৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বিখ্যাত ব্লগার, তেলাপোকা, কেমন আছেন? ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৩২

শাওন বলেছেন: ৪ বছর ধরে ব্লগিং করতেছেন । একটা কারণে আপনার ব্লগের ধারে কাছেও যেতাম না আমি । কোনোদিন ভেতরে ঢুকেও দেখিনি কি লিখেছেন , একটা কারনে ।
যাইহোক । আজকে এই লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগতেছে । সাথে সাথে + দিয়েছি । ভালো থাকবেন ।

১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আহ ব্লগের পুরনো মুখ গুলো দেখে খুব ভাল লাগছে জানেন! :) সেই একটা কারণ খোলা মনে এখানে লিখে দিলে বাধিত হতাম। আপনার মত অনেক খ্যাতিমান ব্লগারই আমার ব্লগের ব্যাপারে "এক/একাধিক" কারণে অসন্তুষ্ট। তবে, আপনার সাথে আমার কোন প্রকার গোল/বিবাদ আছে /ছিল বলে স্মরণ নেই।ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪০

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন:
-

লেখা কিন্ত চমৎকার হয়েছে|


যারা ভাল করে না পড়ে কমেন্ট করবে তাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে|


উপড়ের ছবিটা কি নিউ জার্সি থেকে নিউ ইয়র্কে ঢুকার টানেলের মুখ.....???


(++++++)

১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী! অসতর্ক থাকলেই ভুল হতে পারে, করার কিছু নেই। :)

১৩| ১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৮

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: স্যাটায়ার করেন আর যাই করেন, প্রবাসী পাত্রের হাতে মেয়ে তুলে দেয়ার কিছু করুণ বাস্তব ঘটনা আশেপাশে দেখেছি তো, আমিও এটার ঘোর বিরোধী।

১০ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: প্রতারণার আসল ঘটনাগুলো পুরো প্রবাসী জনতাকে কলঙ্কিত করছে। সত্য । কিন্তু ব্যাপারটি এখন ঢালাও ভাবে ইডেনের মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিবনা, কারণ ইডেনের কিছু "বাস্তব ঘটনা আশেপাশে দেখেছি তো, আমিও ইডেনের ঘোর বিরোধী।" হয়ে গেল কিনা!

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:২৩

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: |-) |-)

১৫| ১১ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৩০

সাজিদ বলেছেন: বিয়ে এমন একটা ব্যাপার যেখানে কোন জেনারেল বা মোটা দাগের বিবেচনা করাটা মারাত্নক একটা ভুল। একজন প্রবাসে থাকলেই ভাল বা খারাপ হয় না। তেমনি কেউ অমুক প্রতিষ্ঠানের হলেই পুত্র বা কন্যার জন্য উপযুক্ত পার্টনার হবে এমন ধারনা করাটা বিরাট ভুল। এখানে কেইস টু কেইস দেখতে হবে। আর দেশে যাবেন কেন বিয়ে করতে। এখানে অনেক বাংলাদেশী আছে ও ভাল মেয়েও আছে।

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:০৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: গাটছড়া বাধার সংস্কৃতিটা এখানে আলোচনার মুখ্য বিষয় নয়। প্রবাসী ছোকরাদের নিয়ে দেশী মহলের চিন্তা ভাবনার কিছু নমুনা দিলাম। দেশের প্রতি একটা দায়, টান দেখাতে যারা দেশে ফিরেন, তাদের সাথেও সেই রকমই ব্যবহার চলে।ছোকরা বিদেশে থাকতে আবার দেশের ভাত নষ্ট করতে কেন এখানে ফিরেছে?

১৬| ১১ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৪১

দেশী পোলা বলেছেন: হেহেহে যত যাই বলো বাছা, বাঙালী রমণীর আঁচলে নিজেরে যেদিন বাঁধিবে সেদিনই তোমার খবর হয়ে যাবে।

সাধে কি আর সকলকে বিদেশী বিয়ে করতে বলি? :)

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:০৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বাঙালি রমনীর বয়ে গেছে এক অসুস্থ লোকের সাথে গাটছড়া বাধতে। যার মন ভর্তি দগদগে ঘা ফোসকা, তাকে পাবনায় পাঠানো দরকার। তা না করে, কে চায় নিজের বোন/কন্যার জীবন ধ্বংস করতে, বলুন? তাই আমৃত্যু চিকিৎসা চলুক।

১৭| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:১৮

সাজিদ বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। দেশে ব্যাক করতে চাইলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়। কেউই সমর্থন করে না এখানে না সেখানে।

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:২০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৮| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:২১

দেশী পোলা বলেছেন: জনাব, আমরা জন্ম হইতেই মৃত্যুর দিকে প্রতিদিন ধাবিত হইতেছি, আপনার এসব জাগতীক চাওয়া-পাওয়া হিসাব করে নিজেকে ক্ষুদ্র করার কোন কারণ দেখি না, বাঙালি রমনী না পাইলে কি হইবে, পর্ক, মদ বা বার, আর কুলটা মেয়ে মানুষ উপরওয়ালাই বানিয়েছেন, মাঝে মাঝে নীতি বা ধর্মের সাথে আপোষ করে ওগুলোকে ট্রাই করে দেখতে পারেন, মনের ঘা সারে কিনা, আফটার অল, উনি রাহমানুর রাহিম, পরম ক্ষমাশীল

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:২৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আজ্ঞে সেটাই জনাব। মানসিক খোরাক, উন্নতি, প্রগতি থেমে থাকতে পারে, কিন্তু শরীর, পেট তো থেমে নেই। শরীর, পেট বাঁচিয়ে রাখতে বিকল্প জিনিসের দরকার আছে। আফটার অল, জীবন বাঁচানো তো ফরয, নাকি? :) ধন্যবাদ।

১৯| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:০৬

বিডি আইডল বলেছেন: প্রবাসী পাত্র মাত্রই এই সমস্যাটা না...১ম জেনারেশনের প্রবাসী ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও এটা আছে ব্যাপক ভাবে....মিথ্যে বলা পাত্র যেমন আছে আবার দেখেছি প্রতারণা করা দেশীয় কূল বধুকেও...এটাই বাস্তবতা...

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৪০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনি এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন।প্রবাসে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেছেন, গাটছড়া বাধার পর্বও শেষ। কিন্তু একবার দেশের বাইরে পা দিলে দেশের দরজাটা বন্ধই করে দেয়া হয়। বিদেশি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরছে, সেকি!!!! বিদেশে এত সুযোগ সুবিধা ফেলে, বলেন কি!!! নাকি বিদেশে ভাত জুটাতে না পেরে দেশে ফিরছে!!! দেশে এসে, দেশে থেকে কি হবে!!! আমরাই পারলে বিদেশ চলে যাই, আর ছোকরা কিনা দেশে দু'পয়সার ভাত খেতে দেশে ফিরছে!!!

ওদিকে আরেক পক্ষ! ছোকরা দেশের মানুষের টাকা খেয়ে দেশকে কিছু না দিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছে, স্বার্থপরতা আর দেশদ্রোহী ব্রেন ড্রেন আর কাকে বলে?

২০| ১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:১৩

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: পোস্ট আর কমেন্ট ভালই জমছে।বড় মিয়াগো কথা আগে ভাল কইরা হজম করি তারপর আমিও কিছু কমু

২১| ১২ ই মে, ২০১০ ভোর ৪:২৬

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।তবে লেখাটায় বিশেষ একটা শ্রেনীর কথায় বারে বারে এসেছে ।সব শ্রেনীর কথা আসলে আরো উপভোগ্য হইত।

ইউরোপ আমেরিকার পাত্রগো এই দশা মিডেলইস্টের পাত্রগো তো আরো বেহাল দশা।এদের এখন কেউই মেয়ে দিতে চায়না।

১২ ই মে, ২০১০ ভোর ৫:০৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: চোখের সামনে হতভাগা "ছাত্রদের" দাগা খেতে দেখলাম তো, তাই দৃষ্টান্তগুলো একপেশে হয়ে গিয়েছে। প্রাইমারী স্কুলে পড়া ছাত্র আর পি এইচডিতে অধ্যায়ণরত ছাত্রের পরিচয় /পেশা একটাই, তারা ছাত্র, এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে মাথা উচু করে দাড়িয়ে দুটো কথা বলার বা অধিকার আদায়ের যোগ্যতা অর্জন করে নাই। চাকুরিজীবীরা না হয় দু-দশ হাজার ডলার, রিয়েল কামান একটা "পেশা" নিয়ে। ছাত্রত্ব সেখানে কোন পেশার মাঝে পড়েনা, ওরা শুধুই ছাত্র, পাঠশালায় যায়, বিদ্যা নেয়ার পর্ব এখনও শেষ হয় নাই।

২২| ১২ ই মে, ২০১০ ভোর ৫:৪৬

আতিকুল হক বলেছেন: কথা সত্য। তবে আমার মনে হয় সমস্যা বাড়ার একটা বড় কারন অন্য। একটা সময় ছিল যখন বাপ-মা ধইরা মেয়ের বিয়ে দিত। এখন বাপ-মা পছন্দ করলেই বিয়ে করবে এমন মেয়ের সংখ্যা এক্সপোনিয়ানসিয়ালি ডিক্রিস করতেছে। এইজন্যই এমন পাত্রদের পাত্রী খুইজা পাওয়া কঠিন হইয়া যাইতেছে।

তবে আপনি খালি ছেলেদের কথা কইলেন। যেইসব মেয়ে বাইরে পড়তে আসতেছে বিয়ে না কইরা, তাদের অপশন দুইটা - ব্যাচমেট বা সিনিয়র কাউরে বিয়া করা, নাহয় বিয়াই না করা। তবে এমন মেয়ের সংখ্যা কম বইলা প্রবলেমটা প্রবল হয় নাই।

গুড পোষ্ট, প্লাস। তবে নিজের বোন বিয়ে দিতে আমিও প্রবাসী পাত্র হইলে এক হাজার একটা বেশি চিন্তা করমু। সো আমার বেলাতেও কেউ হাজার একটা চিন্তা করবে। কিছু করার নাই।

১২ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৩৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ। এই হ্রাসের ব্যাপারটি মানুষের উপর আস্থা কমে যাবার ফল, আগের দিনের মত কেউ সহজেই কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।

বিয়ে না করে বিদেশে পড়তে গিয়েছে এমন মেয়েরা নেহাৎ সংখ্যালঘু এবং শুধু মাত্র মেয়ে বলে তাদের ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এখন পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে প্রবাসী ব্যাচেলর ছেলে-মেয়ের অনুপাত ১০:১। অর্থাৎ, একজন মেয়ে পিছু দশটা ছেলের বাছাই করবার সুযোগ থাকছে।কাজেই প্রবাসী ছেলেরা প্রায়শই দেশের ব্যাপারে হতাশ হয়ে হাতের কাছে নগন্য কিছু মেয়ে লুফে নিচ্ছে, সে হিসেবে মেয়েরা নিশ্চিত থাকে। ভীষণ কুৎসিত হবার কারণে দেশে যে মেয়েটার বিয়ে হচ্ছেনা, তাকে প্রবাসে পাঠিয়ে দিন, পাত্রের অভাব হতে দেখিনা।

আপনার বোনের বেলায় আমার পরামর্শ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পারডু, বার্কলে, ভার্জিনিয়া, রিভারসাইড, ডালাস, সাউথ ক্যারোলিনা, আরবানা শ্যাম্পেইন মিলিয়ে যে বৃহৎ জনগোষ্ঠী আছে, আপনি নিজেও তাদের একজন প্রতিনিধি। নিজেদের গন্ডির মাঝে আস্থা থাকলে এত ক্ষুদ্র পরিসরে এসে এক হাজার একটা বেশি চিন্তা চিন্তার প্রয়োজন পড়বেনা আশা করি। ধন্যবাদ।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:১৮

ফিরোজ খান বলেছেন: " উৎসবের মাইক, সাইরেন শব্দের অভাবের চেয়ে অভিমান করে টানা ২৪ ঘন্টা উপবাস থাকার ব্যাপার গুলোই নাড়া দেয় বেশি। "

ভয়ংকর শব্দ ভাই। কঠিন

২৪| ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৪০

নকীবুল বারী বলেছেন: প্রবাসী জীবন যাপন দেশের জীবন যাপনের চেয়ে অনেক কঠিন। আর এখনকার অধিকাংশ পরিবারে দেখা যাচ্ছে একটা কি দুটা মেয়ে। অনেক পরিবারই মেয়ে এখন প্রবাসে পাঠাতে চায় না।

তবে প্রবাসের প্রতি অন্ধ টান ভালো নয়। আমার বুয়েটে আমি দেখেছি, সবার মাঝেই একটা ধারনা থাকে দেশে ভালো কিছু হবে না। দূণীতি, হাবিজাবি। বাইরে যাওয়ার আগ্রহ প্রবল। প্রায় সবাই বাইরে চলে যায়। আমার মতে দেশে চেষ্টা না করে, বাইরে যাওয়ার প্রতি এতো আগ্রহ ভালো নয়।

১৩ ই মে, ২০১০ রাত ১০:১০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: একটু ভেবে দেখবেন ভাই, প্রসঙ্গচুত্যি ঘটালেন কিনা! আপনার আমার মতে দেশে চেষ্টা না করে, বাইরে যাওয়ার প্রতি এতো আগ্রহ ভালো নয়। বিষয়াদি নিয়ে আরেক দিন, ভিন্ন পোস্টে আলাপনের ইচ্ছা রাখি। ধন্যবাদ।

২৫| ১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৪৩

হুমায়রা হারুন বলেছেন: সাংঘাতিক সুন্দর লিখেছেন। অনেক অনেক ++++++++++

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:১৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সর্বনাশ করেছেন ম্যাডাম। ঘোরতর জন আপত্তি মূলক পোস্টে একটু জোরালো ধনাত্মক মনোভাব প্রকাশ করাটা বেশ ঝুকিপূর্ণ, অন্তত ব্লগ কমিউনিটিতে একটা বদনাম হয়ে যাবার আশংকা থেকে যায়। তারপরেও কৃতজ্ঞতা সহকারে ধন্যবাদ জনাবেন।

২৬| ১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:০০

সাদাকালো` বলেছেন: +++

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:৩৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭| ১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: অত্যন্ত জোরালো, সাবলীল, ঝকঝকে লেখা। যুক্তিযুক্ত।

আচ্ছা ভেবে দেখেছেন কি ডকটরেট করতে এই যে দ্বোজত্ব/বুড়োত্ব এসে যায় তার পেছনে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশন যট দায়ী, তা না হ'লে ১৬ বছরে মাধ্যমিক, ১৮ বছরে উচ্চ মাধ্যমিক, ২২ বছরে অনার্স (চার বছরের)করে যদি বাইরে যেতে পারতেন কেঊ, তাহ'লে ২৭ বছরে পিএইচডি করে সময় মতই বিয়ে করতে পারতেন।

আমাদের পুরো ঊচ্চ মাধ্যমিক ব্যাচটাকে আবুল ফজল আমাদের পরের ব্যাচের সাথে একীভুত করে বলেছিলেন যে আর কোনদিন বাংলাদেশে সেশন জট হবেনা। জট ছাড়েনি মাঝখান দিয়ে আমাদের দুটো ব্যাচ বলী হয়ে গেছে।


আর দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে প্রবাসী কারো আগ্রহ থাকলেও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠেনা। প্রবাসীরা যারা যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, ইউরোপ বা অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন তারা আদর্শ পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। আমাদের দেশের জংগলের আইন মেনে নিতে আদর্শগত ভাবেই তাদের ভীষন অসুবিধে হয়। ভাবতে পারেন আমি ভ্যাট দেব, ভ্যাট রেজিট্রেশন সার্টিফিকেট বের করতে আমাকে ঘুষ দিতে হয়। এদেশে যে ব্যাক্তি পাই পয়সা হিসেব করে ইঙ্কাম ট্যাক্স দেয় তাকেও কম করে হলেও পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় (কিছু সংখ্যক চাকুরীজীবি ছাড়া)।

বিয়ের বাজারের দর পতন অবশ্যই বাস্তব সত্য। এখানে নিরাপত্তা বোধেরও একটা ব্যাপার আছে। মেয়ে বিয়ে করে বিদেশে চলে গেলে বুড়ো মা বাবাকে একেবারেই নিসংগ হয়ে যেতে হয়নেক ক্ষেত্রেই। এখনকার কর্পোরেট এনভায়ারমেন্টে উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যায়-মেয়েও অভাবে থাকলোনা, আবার আশেপাশেও থাকলো।

দূর কোন পরবাসে-ভাল থাকুন।

১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:০২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ত্রিশোনকু।

২২ বছরে গ্রাজুয়েশন করে ২৭ শে পিএইচডি, মানে দাড়াল কোন প্রকার বিরতি না দিয়ে ক্লাশ ১ থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যন্ত চোখ কান বুজে পড়া লেখা করে যাওয়া।অতি মেধাবী, কষ্ট সহিষ্ণুদের পক্ষেই সম্ভব। আর ২৭ শে পিএইচডি করে হাত পা ছেড়ে বসে গেলাম, তাও কিন্তু সম্ভব নয়। পিএইচডি করার দায়বদ্ধতা থেকে গবেষণা /পড়া লেখাটা চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কখনও আলসেমি, কখনও বা চাকুরি নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা, পারিবারিক বিষয়াদি, এডমিশন/ফান্ড নিয়ে বিড়ম্বনা, কখনও বা মাস্টার্সের সময়, চাপ, কখনও বা পিএইচডি করতে এসে স্কুল বদল, গবেষণার ক্ষেত্র বদল, পিএইচডির মাঝে পার্ট টাইম চাকুরি, ইন্টার্নি বিবিধ কারণে ঠিক ৩০ এর মাঝে শেষ করে ফেলাটা সম্ভবপর হয়না। গ্রাজুয়েশনের পর এসব মিলিয়ে গড়পরতায় ৭-৮ বছর লেগে যায়।

আপনিও ভাল থাকুন।

২৮| ২১ শে মে, ২০১০ রাত ১১:২৫

মাহমুদ রহমান বলেছেন: এত অভিমান ভালো না!

সাঈফ সাহেব, ভালো দেখে একটা বিয়ে করেন বউ রোগ সারিয়ে দিবে!

২২ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া মাইরি! রমনীকূলের ভেষজ-কবিরাজি গুণে শারিরীক আর মানসিক রোগ বিষেজ্ঞদের ভাত মারা যায় আরকি!

২৯| ২৭ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:৫৯

শাহ্ নাজ বলেছেন: আমার দেখা অনেকেই আছে যারা বাইরে পড়াশোনা (BBA,PhD) করা অবস্হাতেই দেশে গিয়ে বিয়ে করেছে। কোন প্রবলেম ফেইস করেনি।মেয়ে পক্ষ খুশীমনেই বিয়ে দিয়েছে। " প্রবাসী প্লাস ছাএ " এই বেপারে তাদের অনাগ্রহ দেখা যায়নি।যারা বুদ্ধিমান তারা ভুলটা করছে না। ঔ ছেলে ভুল পরিবারগুলোতে নক করেছে ।
আর যেহেতু বিয়ে অনেক বড় একটা বেপার আর প্রবাসী অনেক ছেলেদের ( ছাএ নয় শুধু, সামগ্রিক) নামে অনেক কিছু শোনা যায় তাই মেয়ের পরিবারগুলো তো একটু চিন্তা ভাবনা করবে, তাই না?।
যাইহোক সবকিছুই পরিস্হিতি, নেগেটিভ/হতাশ/রাগ হবার কিছু নেই।

২৭ শে মে, ২০১০ সকাল ৭:২৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পোস্টটি ব্লগীয় উষ্কানি থেকে লেখা। ব্যক্তিগত কোন আক্ষেপ নেই।আপনার ভাষায় যারা খুশি মনে বিয়ে দিয়েছেন, তারা খুশি মনে মেয়েকে বিদেশে দাসীগিরি করতে পাঠাচ্ছেন, এ মর্মে প্রবাসী বিদ্বেষী ব্লগারা মত দিতে বিলম্ব করবেন না। প্রবাসে কামলা খাটা, অড জব করা, দাসীগিরি করার অভিরুচির সাথে ঠান্ডা মাথায় আপোষ করতে জানেন এমন "সঠিক" পরিবার খুজে বের করে কন্যা ভিক্ষে করার মত সময় কই প্রবাসীদের, বলুন?

৩০| ২৭ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

শাহ্ নাজ বলেছেন: ব্যক্তিগত কোন আক্ষেপ নেই জেনে খুশী হলাম।

আর কন্যাতো খুজে বের করবে ছেলের পরিবার, প্রবাসী ছেলের সময় না থাকলেও চলবে এইক্ষেত্রে । অন্তত আমার দেখা বিয়েগুলো ওভাবেই হয়েছে। এমনকি আমাদের পরিবারেও।

আর দাসীগিরি বলে যে বেপারটা উল্লেখ করেছেন, আমার জানামতে তো অনেক মেয়ে উৎসাহী হয়ে অড জব করে দেখেছি,শুনেছিও। কেউ করে টাইম পাস করতে, কেউ করে কুইক কাড়িকাড়ি টাকা কামানোর জন্য,কেউ করে ছাএ/চাকুরিজীবি বরকে সহায়তা করার জন্য। কেউ কেউ তো দেখেছি বর না চাইলেও জোর করে অড জব করে,বরের কথা পাত্তাও দেয় না। আমার মনে হয় প্রবাসী বিদ্বেষী অনেক ব্লগাররা এই বেপারগুলোই জানেন না। কিছু কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ শুনে ঔগুলোকে সত্যি মনে করেন।

আর ভালো মন্দ সবক্ষেত্রেই আছে, দেশী/প্রবাসী ছেলে সবার মাঝেই, তাই (মেয়ের পরিবারের) দেখে শুনে বুঝে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেই লেঠা চুকে যায়।

২৭ শে মে, ২০১০ রাত ৯:৩৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দাসীগিরি বিষয়ে আপনার ধনাত্মক মনোভাব জানা গেল।

বিয়ে করবে ছেলে কিন্তু পছন্দ করবে ছেলের পরিবার, কনে তল্লাশি করার বোঝাটাও পুরোপুরি চাপিয়ে দিবেন ছেলের পরিবারের উপর। আজকালকার পাড় রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরাও মনে হয় বিয়ের জন্য হাত পা ছেড়ে পরিবারের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে বসে নেই। এক কালে হয়ত ছিল, নিজের পছন্দ-অপছন্দের বালাই না করে কলা গাছের সাথে মেয়েরা বিয়েতে বসতো, আপনার কথিত পরিবারের চাপে পড়ে।

চিঠি লেখার যুগের বাবা মা রা যদি মোবাইলের যুগের মেয়ে বাছাই করতে যায়, যথেষ্ঠ বিড়ম্বনার সম্ভাবনা আছে বৈকি। এখন তাই ছেলের বাবা-মা কে গলদঘর্ম হতে হয়, "কী যুগ পড়েছে, আমরা কী ছিলাম আর এরা কী হচ্ছে।" বর্ণ, জাত-কূল-বংশ, রূপ, বিদ্যা সব মিলাতে গিয়ে পরিবারের পছন্দের জগা খিচুড়ি অবস্থা। পরিবারের দাপটে পড়ে আবার মামা-চাচাদেরও সনদ-মতামত নেয়া লাগে, কোন মুরুব্বি ভেটো দিয়ে বসলে আবার গ্যাণ্জাম।

দেখে শুনে বুঝে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেই লেঠা চুকে যায়।-এই কাজটা তাই পাত্র-পাত্রীর উপর ছেড়ে দেয়াটাই একালের জন্য বুদ্ধিমানের বিষয়।

৩১| ২৮ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:২৭

শাহ্ নাজ বলেছেন: যদিও আমার সাড়ে পাচঁ বছরের প্রবাসী জীবনে অড জব/জব (শুধুমাএ ৪ মাস একটা স্কুলে বাচ্চাদের ইংলিশ পড়ানো ছাড়া) করার সুযোগ হয়নি, তাই বলে কোন ঋণাত্নক মনোভাব আমার কখনই ছিল না। আমার পরিচিত প্রবাসী বান্ধবী/অন্যদের মাঝেও দেখি নাই।


'আপনার কথিত পরিবারের চাপে পড়ে।'

হে হে এখানে কোন চাপই দেয়া হয় নাই। আমরা (শ্বশুরবাড়ি) জাস্ট অনেকগুলো মেয়ে পছন্দ করে রেখেছিলাম। এরপর যাকে পছন্দ করেছে সেই পরিবারও রাজি ছিল। সো বিয়েটা হয়ে গেলো। ছেলের পছন্দের কোন মেয়ে ছিল না।তাই পরিবারকেই সে দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার অন্য প্রবাসী ভাই নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে,সেখানেও কারো কোন আপত্তি ছিল না। সবাই বরং মেয়ে দেখার ঝামেলা থেকে বেচেছে।

আর এখনকার যুগে দেখে শুনে বুঝে পাত্র-পাত্রী যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করে তাহলে সবার লেঠাই আসলে চুকে যায় হে হে ।

২৮ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:৫১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই! বিয়ে জিনিসটা এযুগেও পুরুষ নামক ক্রেতার ইচ্ছা মাফিক। কুরবানি হতে রাজি হওয়া এক পাল ভেড়ার মাঝে থেকে একটা বেছে নিবার মত রাজসিক এবং বিলাসী অধিকার একান্ত পুরুষের। প্রবাসী পুরুষের জন্য ভেড়ার পাল আমদানির ব্যবস্থা করা দরকার। দেখি, পাখি ভাইয়ের সাথে জোট করে দেশের বাইরে নতুন ভেড়ার হাট বসানো যায় কিনা! ভাল থাকবেন।

৩২| ২৮ শে মে, ২০১০ সকাল ৭:৩৫

শাহ্ নাজ বলেছেন: আজকালকার পাড় রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরাও মনে হয় বিয়ের জন্য হাত পা ছেড়ে পরিবারের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে বসে নেই।
এটা আপনারই কথা। সো, বিয়ে জিনিসটা এযুগেও পুরুষ নামক ক্রেতার ইচ্ছা মাফিক কথাটা আর খাটে না।

আপনার বন্ধুর মত আরো অনেকে 'প্রবাসী পাএ/দেশী পাএ' বলে সমস্যায় আছেন কারন মেয়ের পরিবাররাও আর না বুঝে কোরবানি হতে রাজি না। তাই বলতে হবে আজকাল কেউ আর 'ছেলে/মেয়ে' ভেড়ার পাল হতে রাজি না।

যাইহোক ভাইয়া, সবার জীবন সহজ,সরল, সুন্দর হোক এইটাই কামনা।

২৮ শে মে, ২০১০ সকাল ৮:২২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভেড়ার পাল কথাটা আপনার আমরা (শ্বশুরবাড়ি) জাস্ট অনেকগুলো মেয়ে পছন্দ করে রেখেছিলাম। এরপর যাকে পছন্দ করেছে সেই পরিবারও রাজি ছিল। সো বিয়েটা হয়ে গেলো। কথাসূত্রে বলেছি ম্যাডাম। এটি আমার কোন কথা প্রসঙ্গে নয়। এ কালে ভেড়ার পাল নীতি প্রায় অচল, যদিও আপনি প্রবাসীদের সময় বাচানোর জন্য সেটিকেই সম্ভাব্য সমাধান বলে দাড় করাতে চেয়েছেন। ধন্যবাদ।

৩৩| ২৮ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৪৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব বাস্তবধর্মী পোস্ট। ভালো লাগলো। একটা কথা আজ বলে নিতে চাই, আপনার লেখা আমি সব সময় পড়ি তবে মন্তবত্য করতে দ্বিধাবোধ করতাম। কারনটাও বলে দেই, আপনার দেয়া খাবারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, যেটা আমার শোকেসে রাখা আছে। কমেন্টের উত্তরে আপনি বলেছিলেন সন্দেহজনক নিক। তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করার লোভ সামাল দিতাম। ইদানিং আমার কিছু পোস্টে আপনার কমেন্ট পেয়ে কমেন্ট করার সাহস পেলাম। আশা করি এখন আপনি সন্দেহমুক্ত হয়েছেন। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

২৮ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৫২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: খাবারের পোস্টের গোড়াতে যেটি বলা সেটি :P ইমোটিকন সহকারে ছিল।খেয়াল করেননি, অথবা খেয়াল করলেও আমলে নেননি। ব্লগে কতো কেপি টেস্ট, ছাগু টেস্ট চলে, সে ধরনের মানহানীকর কোন 'সন্দেহ' আমার ব্লগে করা হয়নি, হয়না। এত মামুলি সন্দেহের ফুল টোকায় আহত হয়ে অভিমানবশত ম্যাডামরা অনেক কিছু করে বসেন। 'স্পর্শকারতা' বিষয়ে আমার নারী-পুরুষ ভেদ জ্ঞান কম, থাকলেও সেই জ্ঞানটুকু মাথা থেকে সরিয়ে রেখে কথা বলার চেষ্টা করি। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩৪| ২৮ শে মে, ২০১০ রাত ৯:১৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: না, না, ইমোটিকন আমি ঠিকই দেখেছিলাম। আর সেটাকে বড় করেও দেখিনি। তখন আমি ব্লগে নতুন ছিলাম তো তাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছিলাম। এই আর কি। আর আমার সেন্স অফ হিউমার মাশাল্লাহ! আপনি আবার মাইন্ড খাইলেন না তো? :P

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ১২:৪১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: অযথা ক্যানো মাইন্ড খাইতে যাবো? মাইন্ড খাইতে তো টাকা লাগে। আমার ননসেন্স অফ হিউমারে আপনারাই তড়িতাহত হতে পারেন।যেমন অনেক নামী দামী ম্যাডামের ব্লগে আমি ব্লকড। B:-/

৩৫| ৩১ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: পছন্দের বিয়ে আয়োজনের বিয়ে, প্রবাসী বিয়ে বা দেশের বিয়ে সব বিয়েই আসলে নির্ভর করে দুজন মানুষের মনের একাত্মা হওয়ার উপর। অনেক নারী যেমন সারা জীবন ঘর করেন এক স্বামীর সাথে অনেক পুরুষও তেমন কাটিয়ে দেন স্ত্রীর সাথে সারাটা জীবন কিন্তু সবাই সত্যিকারে কতটা সুখি বা অসুখি সে শুধু তারাই বলতে পারেন।
সামাজিক পারিবারিক নানান নিয়ম, শ্রেণী ভেদে, দেখে শুনে এমন দুজনকে একসাথে জুড়ে দেওয়া হয় অনেক সময় যারা হয়তো একদিনের জন্যও একে ওপরকে বুঝে উঠতে পারে না অথচ কাটিয়ে দেয় একসাথে আজীবন।
পরিবর্তনের এই যুগে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে। ভালোবাসার বিয়েও মেনে নেন অভিভাবক কিন্তু নিজেরাই নিজেদের নতুন করে চিনে বিয়ের পরে আর ভালোবাসার পাত্রটি হয়ে উঠে অসহ্য । তাই এভাবে ঢালাও মতামতে কিছুই বিচার করার নেই আসলে। সুখ অসুখের প্রতিফলন ঘটবে দুটি মানুষের জীবন যাপনের নিজেস্ব ধরনের উপর।....
ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য

৩৬| ২৪ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:০৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: হু, বিবাহ শাদির ব্যাপারটা দিনেদিনে কঠিন হৈয়া উঠতাছে।

২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ৩:২৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বিয়ে শাদীর বিকল্প বের করা দরকার।

৩৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪১

বাঙ্গাল বলেছেন: বিবাহ বাজারের হওয়া এখনো ধরতে পারি নাই ...তবে তা যে অনুকূলে প্রবাহিত হবে না তা...বুঝতে বাকি নাই.
এক্ষণে দেশজ কন্যাদের নানান ক্রিয়া কলাপ ব্লগ, ভিডিও , পত্রিকা পাঠের পর তাদের প্রতি আজকাল তেমন আকর্ষণ অনুভব করি না ... আজকেও পরক্রিয়া উন্মত্ত জনৈক মাতার হাতে তার শিশু হত্যার খবর পেলাম ....আর ডিভোর্স, পারিবারিক অনাচারতো রোজকার....
প্রবাসী কৈন্যাদের যেসব মাইনাস পয়েন্ট ছিল তা এখন দেশের দিকে প্রবাহিত হইতেছে ...সুতরাং ব্যক্তি মাত্রই তার নিজোস্ব অভিরুচিতে সিদ্ধান্ত নিবে ...
তবে দেশজ শিক্ষিত কন্যার পরিবারের মর্র্মান্তিক চাহিদার ফর্র্দ কিভাবে একজন প্রবাসী "ব্যাচেলর ছোকরা" মিলাবে তা মাথায় আসে না ...গাড়ি, বাড়ি, প্লট, ফ্লাট...উহু! হিসাব মিলে না

৩৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এত ঝামেলায় কে যাবে রে ভাই। এরেন্জড ম্যারেজের রিস্ক নেয়া আর সাতার না জেনে সাগরে লাফ দেয়া একি জিনিস। নিজেরই গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করা্ই উত্তম।

৩৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২

রিয়াল ফেরদৌস বলেছেন: যাদের গার্লফ্রেন্ডও নাই সেই ব্যাচারাদের কি হবে? এরেন্জড ম্যারেজের রিস্ক নেয়া ছারা আর কি করতে পারে।তবে ব্যাপারটা সময়ের চাহিদার সাথে মিল রেখেই করা উচিৎ মানে দেশি মদ না পেলে বিদেশি, আমগো কালচার যেমন ওদেরকে ফলো করছে তেমন আনেকজাগায় ওরাও আমাদের কালচার ফলো করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.