নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ইসলাম ধর্মের একটা যুগ উপযোগী পরিবর্তন দরকার'

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

ধর্মই তো। মানুষের তৈরি বিশ্বাস, আচার, সংস্কৃতি। মানুষ মানুষের জন্যই ধর্ম তৈরি করবে, বিশ্বাস করবে, পালন করবে। এই তো ধর্ম। মানুষের জন্য মানুষই যে ধর্ম তৈরি করে, সেটাতে ভুল-ত্রুটি থাকলে পরবর্তী সংস্করণে সেটা শোধরানোর সুযোগও থাকে। ধর্ম নিয়ে কারো বাড়তি সুবিধা আদায়ের অভিসন্ধি থাকলে অভিযোগে বলা হয়,



"ওমুক (শত্রু পক্ষ) ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করছে।



অর্থাৎ বক্তার কাছে ধর্মের একটা সঠিক ব্যাখ্যা আছে। সে অনুসারেই তিনি ধর্মের কথা নিজের মত করে মানতে চান, বুঝতে চান। মানুষের কাছে ধর্মের এই পরিবর্তনশীল রূপের চাহিদা, পরিবর্তন করে যুগের সাথে মানিয়ে আপোস করে চলার শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ১৫০০ বছরের পুরনো সনাতন সংস্কার আকড়ে রাখা বা পালনে মাঝে শিথিলতা খোজার প্রয়োজন পড়ে। মানুষের জন্য ধর্ম মানুষেরই আবিষ্কার । তাই মানুষের প্রস্তাবিত নীতিকথা, ঈশ্বর সংক্রান্ত বিশ্বাসগুলো বিজ্ঞানের মতই শনৈ শনৈ বদলাবে, মানুষের চাহিদামত আধুনিক হবে --এটাই একালের গ্রহণযোগ্য ধর্মের মর্মকথা।



আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি পোপের কথা। নাস্তিকেরাও তবে স্বর্গে যাবেন। অদ্ভুত শান্তি শান্তি ভাব হয়। অন্তত মানুষের তৈরি বিশ্বাসের যৌক্তকতা নিয়ে বিজ্ঞানের অস্ত্র হাতে বোকা সোকা ধার্মিকদের উপর নাস্তিকেরা কলম নিয়ে চড়াও হবেন না--সে আশ্বাসটা পেলে পোপের বাণীর কার্যকারীতা বুঝা যেত।



ধরুন শফি হুজুরের কথাই । রাজনীতির মত অপবিত্র বিষয়াদি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় লোকেরাই তার বহু আগের তেতুল সমাচার নতুন করে প্রচার করলো। তেতুল নিজেই হয়ে গেল রাজনৈতিক হাতিয়ার। কখনও বা সরকারের পক্ষ হয়ে বিরোধী দলকে ঘায়েল করার যৌক্তিক শব্দ। অথচ হুজুরকূলের 'তেতুল' জাতীয় শব্দের ব্যবহার বহু পুরনো ও বহুল চর্চিত। দেশের সিংহভাগ শিক্ষিত মানুষ ধর্ম সংক্রান্ত জলসায় বসেননা, বা আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে স্যুটেড-বুটেড জাকির নায়েকের ইসলামের বিজ্ঞানীকরণ গোছের 'জ্ঞানদীপ্ত' কথাবার্তা শুনেই তৃপ্ত থাকেন। কাজেই আর্দশের যুদ্ধে আলাদাভাবে শফির তেতুলের বয়ান শিক্ষিত পরিমন্ডলে প্রচার ও প্রসার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

ঘটনাচক্রে শাহরিয়ার কবীর আমাদের জানান শফি ৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে হিন্দুদের ঘর বাড়ি জালিয়েছেন। অর্থাৎ শাপলা চত্ত্বরের মত বির্তকিত জায়গায় অবস্থান নেবার আগে তেতুল শফির পরিচয় জানা বা চরিত্র প্রকাশ করার কোন প্রয়োজনীয়তা ছিলনা।আজাদ রাজাকার যদি টিভিতে ধর্ম ব্যবসা করতে না আসতো--তবে বেইমানদের জনস্রোতে ৭১ এর সেই কুখ্যাত বাচ্চু রাজাকারকে খুঁজে পেত বাংলার মানুষ? ৭১ এর অজ্ঞাত-অরাজনৈতিক দিল্ল্যা রাজাকার যদি আজ ওয়াজের নামে ধর্ম ব্যবসা বা রাজনীতির নামে জামাত না করতো--কেউ কি তার বিচার/ফাঁসি/মেশিন ম্যান হবার মচ্ছবে নামতো?



অন্তত জুম্মার নামাযের কল্যাণে যেসব মডারেট পন্থী ধার্মিক সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও চার্চে যান --তারা কাদের পিছনে নামায পড়ে ধর্ম করার তৃপ্তি নেন? খোঁজ নিলে অবাক হবেন শোলাকিয়ার মাওলানা মাসউদের মত

'আসল'. 'সঠিক' আলেম দেশে অতি নগন্যই। আপনি যার পিছে নামায পড়েন হয়তো তিনি আমিনীপন্থী অথবা হাটহাজারি শফি পন্থী। হয়ত চক্ষু লজ্জার ভয়ে আমরা মসজিদে প্রতিবাদ না করে, নামায পড়েই চলে আসি। তারপর ব্লগে বসে তুবড়ি ছুটাই,



'তেতুল শফি একটা মোনাফেক, ইসলামের ভীষণ ক্ষতি করছে ! পরকালে মোনাফেকের শাস্তি কাফেরের চেয়েও বেশি।'



কথিত শান্তির ধর্ম ইসলামে শুনতাম যাকে, তাকে কাফের, মুনাফেক বলা মানা। খোদ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাও আহমেদীয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানিত্ব বিষয়ে বলেন, কে মুসলিম, কে অমুসলিম আল্লাহ নির্ধারণ করবেন, বিচার করবেন। অথচ আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি শফি ইসলামের ক্ষতি করছেন। ইসলামকে অপরাপর ধর্মের মত যুগ উপযোগী করার যে ধারা, মানব কল্যাণে সেকেলে ধ্যান ধারণা বর্জনের যে সুমহান প্রয়োজন--- সেটাকে অবজ্ঞা করলে ধর্মেরই ক্ষতি হয়। অন্তত আপনার ধর্ম অন্য ধর্মের চেয়ে ভাল, উদার, আধুনিক, প্রগতিশীল এটা প্রমাণ করাটা খুব বেশি জরুরি হয়ে দাড়ায়।



বোমা, সন্ত্রাসের কারণে নিজেদের বিশ্বাস নিয়ে প্রচন্ড আত্মগ্লানিতে ভুগে মুসলমানরা। তাদের ভীষণ ব্যর্থ ও হাস্যকরভাবে দিনরাত জপ করে যেতে হয়,



'ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।.......ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।'



অথবা



"ওমুক ইসলাম আসল ইসলাম না।" অথবা "ধর্মের নামে জবাই করা ইসলাম সমর্থন করেনা।"



এক একজন ইসলামের সেবাদাস --ইসলামের ক্ষতি, ইসলামের ভাবমূর্তি নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। কিন্তু কার/কাদের কাছে? কার কাছে জবাবদিহিতা? অবশ্যই অমুসলিমদের কাছে দায়বদ্ধ! যাদের কাছে শান্তির ধর্ম হিসেবে ইসলামকে বিকানো যায়, ততই মঙ্গল। ক্ষতিটা ইসলামের হয না মানুষের--সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। ধর্মের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য ধর্মের স্রষ্টাই যথেষ্ট। ধর্ম নিয়ে মানুষ বাড়াবাড়ি, ব্যবসা করলে বা মৌলবাদী হয়ে গেলে, নবীকে নিয়ে কার্টুন আঁকলে ---তাতে আল্লাহ বা তার ইসলামের কোন লাভ-ক্ষতি হয় বলে মনে হয়না।



আমার মনে হয় ধর্ম প্রসঙ্গে সবা্রই সরল স্বরূপে আসাটা জরুরি। আপনি যদি দেখেন শফি পন্থী, জামাত পন্থী, আমিনী পন্থী হুজুর মসজিদে নামায পড়াচ্ছেন--না যাওয়াই উত্তম । আপনার ব্যক্তিধর্ম আপনি শান্তির আগরবাতি জালিয়ে বাসায় করুন--কেউ বাধা দিবেনা।



শফিদের ব্যর্থতার কারণ, তারা পোপের মত উদার হতে পারেননি। অথবা ইসলামের কথিত ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য যে আধুনিকতা, আপোস, পরিবর্তনশীল মানসিকতার দরকার ছিল --তার কোনটাই নেই। সে অর্থে মুসলিমদের নবী বেশ আধুনিক ছিলেন। কোনঠাসা আর আত্মগ্লানিতে থাকা মডারেট ধার্মিকেরা বেশ সতর্কভাবে শফিকে মোনাফেক প্রমাণের জন্য নবীর সমকালীন ইতিহাসের দারস্থ হবে। তারা নিজেরাও জানেন কোরআন-হাদীসে তেতুলের চাইতেও গুরুতর কথা আছে, যেগুলো এড়িয়ে যেতে চান, অথবা সেগুলোকে মৌনভাবে প্রত্যাখ্যান করে শাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি-টুপি-আগরবাতি-জিলাপি-আতর-মিলাদ গোছের উপাসনা সর্বস্ব ধর্মাচার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চান।



ধর্ম থাকবে মানুষের মনে ও মন্দিরে। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বাড়াবাড়ি আর সবকিছু নিয়ে করা যায় --ধর্ম নিয়ে নয়। ধর্ম খুব পবিত্র স্পর্শকাতর জিনিস, সফেদ কাপড়ে মুড়িয়ে চন্দন, গোলাপজল মাখিয়ে উচু স্থানে যত্ন করে তুলে রাখার জিনিস। এতে করে রক্তপাত, বোমাবাজি, সাম্প্রদায়িকতা কম হয়---মানুষ শান্তিতে থাকে।



ইসলামকে প্রকৃত শান্তির ধর্ম হতে হলে বাকিসব ধর্মের মতই আচার-অনুষ্ঠান-উৎসব-সামাজিকতা-উপাসনার মতই কিছু একটা হতে হবে।সঙ্গীত, শিল্প, ভাষ্কর্যকে ভালবাসতে হবে। ধর্মের প্রকৃত সংজ্ঞার মাঝে ঢুকে গেলে নবীকে নিয়ে কেউ কুৎসা রটাবেনা, মডারেট মুসলিমরা তাদের ধর্ম নিয়ে আত্মগ্লানিতে ভুগবেনা, 'প্রকৃত ইসলাম', ভুল ব্যাখ্যা, জবাই/বোমা সমর্থন করেনা করেনা বলে ভাবমূর্তি উদ্ধারের প্রয়োজনও পড়বেনা।



সেটার জন্য ধর্মকে মানুষের সৃষ্টি জেনে মানুষকেই অধিকার নিয়ে ধর্ম বাণী গুলো বদলাতে হবে, যেমনটা প্রস্তাব করেছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী,



"আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় ইসলাম ধর্মের একটা যুগোপযোগী পরিবর্তন দরকার।"



ইহুদি-নাসারারা তাদের ধর্মকে পছন্দমত ম্যানিপুলেট করে সামনে এগিয়ে গেছে, মুসলমানরা কেন বেহেশতের লোভে-দোজখের ভয়ে পশ্চাদপদ হয়ে থাকবে?



মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

বিজন শররমা বলেছেন: যারা কোন ধর্ম মানে না বা ধর্মে বিশ্বাস করে না তারা একধরনের শান্তি বা স্বস্তিতে আছে । এক ধরনের শান্তিতে আছে তারা, যারা অন্ধ ভাবে ধর্ম মানে । এরকম অন্ধ ভাবে ধর্ম মানা সম্ভব সেই সব দেশে যেখানে একটি মাত্র ধর্ম চালু আছে এবং বিজ্ঞানের তেমন প্রসার নেই । কিন্তু সেকুলারীর, বহু ধর্মের অথবা বিজ্ঞানের চর্চা আছে এমন দেশে এই যুগে বিজ্ঞানের বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে বা বিজ্ঞানের কাছে অনেক ধর্মীয় কথা বার্তার পরাজয় দেখে অন্ধ ভাবে ধর্ম মানা লোকেরা “পরকালের পুরস্কার” সম্বন্ধে সন্ধিহান হয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা । সমস্যায় আছে এরাই ।
বিভিন্ন ধর্ম “পরকালের পুরস্কার” সম্বন্ধে নানা কথা বলেছে । এই কথার উপর বিশ্বাস করে ধর্মের লোকেরা বিপুল পরিমান সময়, টাকা, আনন্দ বিসর্জন দিয়েছে (আশা একটাই, পরকালে অনেককিছু পাবে ) । মৃত্যুর পর মানব দেহ পুড়ে বা মাটিতে গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । “পরকালের পুরস্কার” পেতে হলে একটা দেহ তো লাগবে । বিজ্ঞান নানা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, নানা রহস্য উন্মোচন করেছে । কিন্তু এমন আশা দেখা যায় নি যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া মানব দেহ থেকে “পরকালের পুরস্কার” ভোগ করতে পারে এমন একটা দেহ পাওয়া যাবে । অথচ এই আশায় ইতিমধ্যেই বিসর্জন দেয়া হয়েছে কতকিছু । সব কিছুই তাহলে পানিতে হেলো ? এমনটা মনে হলে ধর্মে বিশ্বাসীদের মাথা খারাপ হবার মতন অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক নয় কি ?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত মত/বিশ্বাস প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

আপনি লাশ থেকে পরকালের পুরষ্কার ভোগের দেহ সন্ধান করছেন বিজ্ঞান দিয়ে? এটা না করে বরং বিজ্ঞান দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। সেটা যদি প্রমাণ না পান, অন্যের বিশ্বাস নিয়ে বিজ্ঞান দিয়ে যুদ্ধের নামাটা খুব উত্তম কাজ না।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

আলোকন বলেছেন: খোঁজ নিলে অবাক হবেন শোলাকিয়ার মাওলানা মাসউদের মত
'আসল'. 'সঠিক' আলেম দেশে অতি নগন্যই।


'আসল'.'সঠিক' আলেম!!!
হাসাইলেন ভাই।
এই মাওলানা মাসউদ বহুত আগে থেকেই উগ্রপন্থি।
যার কারনে গত সরকারের আমলে সে একবার ধরাও পড়সিল।
আর তার উগ্রপন্থার কারনেই আলেমরা তাকে দেখতে পারেন না।

আপনি যার পিছে নামায পড়েন হয়তো তিনি আমিনীপন্থী অথবা হাটহাজারি শফি পন্থী।
বাংলাদেশের খুব কম আলেমই আছেন, যারা আমিনীর পলিটিক্সকে সমর্থন করতেন এবং করেন। কারন আলেমরা বিশ্বাস করেন না, বিএনপির মতো দল কখনো কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক সমাজ নির্মান করতে পারবে। আর জামায়াতের সাথে আলেমদের বিরোধের কারন কোন জামায়াতিরা ইসলামের কিছু মৌলিক জিনিস বিশ্বাস করে না।
এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে থেকে চলে আসা বিরোধ। নতুন কোন বিষয় না।


শফি সাহেবকে বাংলাদেশের ৯০% এর বেশি আলেম অনুসরন করেন। কারন তিনিই বর্তমানে আলেমদের মধ্যে বয়সে ও শিক্ষায় প্রবীন। এই অনুসরনের বিষয়টা ধর্মীয়। রাজনৈতিক না। আজকে শফি সাহেবও যদি রাজনীতির খাতায় নাম লেখান, তাহলে আলেমদের মধ্যে তার অনুসারীর সংখ্যা ৯% এ নেমে যাবে।


আমিনী এবং মাসউদ সাহেবের মতো লাখে ২/৪জন চেষ্টা করসে আলেমদের কোন রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ বানানোর। তারা পারে নাই। কোনদিন পারবেও না ইনশাল্লাহ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মাসউদ প্রকৃত বা আসল আলেম এই রায়টা আপামর সাধারণ মানুষের যারা গণজাগরণ মঞ্চে হাজিরা দিয়েছেন।

আমিনীদের নেটওয়ার্ক কম বড় না। ইসলামি ম্যাগাজিন মাসিক মদীনার নাম শুনেছেন নিশ্চয়? তার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন আমিনী গ্রুপের নেতা । তাদেরই আরেক অংশ আল্লামা আজিজুল হককে কেন শায়খুল হাদীস বলা হয়--সেটা জানেন? আমি আমিনী পন্থী ইমাম বলতে কিন্তু আমিনীর রাজনৈতিক নেতা/কর্মী বুঝাইনি। বরং আমিনীর ফতোয়ার অনুসারী বুঝিয়েছি।


অরাজনৈতিক বলে শফির মর্যাদা রাখা যাচ্ছেনা। বাংলা বাঘের লেজ দিয়ে মৌলবাদী কান চুলকালে যা হয়। শিক্ষিতরা ব্লগ, পত্রিকা, তেতুল, ইউটিউব বুঝেন--এর বাইরে শফির পরিচয় তাদের কাছে স্রেফ ভন্ডের মতই।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

আশীষ কুমার বলেছেন: ধর্ম অর্থ কি? ধর্ম কার জন্য?

ধর্ম অবশ্যই মানুষের জন্য। ধর্মের জন্য মানুষ নয়। ধর্মকে ধারণ করলে মানুষ ভালো থাকবে।

প্রতিটা বস্তুকণার নিজস্ব ধর্ম (গুণ-প্রপারটিজ অব ম্যাটার) আছে। এটা সহজাত। সহজাত মনে করেই সে তা ধারণ করে। বিভিন্ন পর্যায়ে সে ধর্মের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনও একটা সহজাত প্রক্রিয়া।

ধর্ম আপনাকে রক্ষা করবে, আপনি ধর্মকে কখনোই নয়। আপনি ধর্মকে ধারণ করবেন। এর অন্যথা হলেই হানাহানি। ঠিক যেভাবে রক্ষক ভক্ষক হয়ে উঠে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আসল প্রশ্নটা হচ্ছে

ধর্ম কি মানুষের সৃষ্টি?

নাকি স্রষ্টা বলে কেউ আছেন --যিনি অবতার দিয়ে ধর্ম পাঠিয়েছেন?

রাতের আধারে প্রতিমা ভেঙ্গে আসলে বা প্রকাশ্যে নবীকে নিয়ে কুৎসা রটনা হলে--সেই ধর্মকে রক্ষা করার দায়িত্বও তাহলে ধার্মিকের উপর বর্তায়না। যে ধর্ম মানুষকে রক্ষা করতে পারেনা, মানুষ কেন সে ধর্ম রক্ষার কাজ করবে?


৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হঠাৎ ধর্ম নিয়ে ভাবছেন যে?

শফী সাহেবকে আমার ভন্ড মনে হয় নি কোন দিনও। যা মনে হয়েছে তা হল তিনি বাস্তববাদী নন । তার বক্তব্য আমার ভাল লাগেনি এবং সে কারনেই তিনি ভন্ড নন। তিনি তার অনেক ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে ইসলামের বলে চালাতে চেয়েছেন - এটা ভন্ডামির পর্যায়ে যায় না, কারন এটা আসলে তার বিশ্বাস।

ইসলাম যেহেতু কোরান নির্ভর, তাই অপরিবর্তনীয়। কোরান শ্বাশত। হ্যা, কোরানের ব্যাখার বিভিন্নতা রয়েছে তবে তা খুব বেশী পার্থক্য নয় বলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মধ্যে মোটামুটি কাছাকাছি আচার আচরন পরিলক্ষিত হয়।

"নাস্তিকরা স্বর্গে যাবে" কথাটা খুব চমৎকার লাগতে পারে। অথচ স্বর্গে কে যাবে আর কে না যাবে তা শুধু স্রষ্টা নির্ধারন করবেন। যদিও ইসলাম ধর্ম সৎকর্মের সাথে বিশ্বাসকেও স্বর্গে যাবার জন্যে আবশ্যক করেছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধর্ম বিষয়ে আপনার সোজা-সরল ব্যক্তি-বিশ্বাস পড়লাম।

ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে 'ইসলাম' বলে চালিয়ে দিলে তো ইসলাম ধর্ম মতে পরকালে ভীষণ শাস্তি হবার কথা --এবং এটার অর্থ ঘুরে ফিরে ভন্ডামিই।

কেউ যদি আলেম হয়, তার দলিল সাপেক্ষেই কথা বলা উচিৎ এবং তার কথার সাপেক্ষে দলিল চাওয়া উচিৎ। আপনি কি সেই দলিল চেয়েছেন? তার ১৩ দফা এ যুগে অচল-অবাস্তব। কিন্তু সেগুলো কী আপনার প্রিয় ইসলাম ধর্ম বিরোধী?

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সাঈফ শেরিফ আমি পুরাটাই কন্ফিউজ আপনার ধর্মের ব্যপারে । আপনি যদি অন্যকোন ধর্মের হন প্লিজ ইসলাম ধর্ম নিয়ে মনগড়া বিষলেষন করবেন না আর মুসলমান হলে তওবা করে একজন প্রকৃত মুসলমান হন । আল্লাহ আমাদের ঈমানকে মজবুত রাখার তওফিক দান করুন- আল্লাহুমা আমিন ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এই যে একজন বললেন,

"মানুষের জন্য ধর্ম, কিন্তু ধর্মের জন্য মানুষ না।"

আবার কোরআনে শুনি আল্লাহ বলেন, "আমি মানুষ আর জ্বীনকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।" বা "আমার ইবাদত, রোজা, কুরবানি সব আল্লাহর জন্য"---এই যে আত্মসমর্পণ কঠোর বাণী--মাঝে মাঝে মনে হয় ধর্মের জন্যও মানুষ। সব কিছু বিসর্জন দিয়ে নিজের ধর্মকে টিকিয়ে রাখার বাসনা দেখে মনে হয় তাদের বেলায়

"ধর্মের জন্য মানুষ নয়" --কথাটা সত্য না।

আপনার মত কী ভাই?

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

ভিটামিন সি বলেছেন: মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সাঈফ শেরিফ আমি পুরাটাই কন্ফিউজ আপনার ধর্মের ব্যপারে । আপনি যদি অন্যকোন ধর্মের হন প্লিজ ইসলাম ধর্ম নিয়ে মনগড়া বিষলেষন করবেন না আর মুসলমান হলে তওবা করে একজন প্রকৃত মুসলমান হন । আল্লাহ আমাদের ঈমানকে মজবুত রাখার তওফিক দান করুন- আল্লাহুমা আমিন ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দোয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ সবাইকে রহম করুন। আমিন।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

এম আর ইকবাল বলেছেন:
ধর্ম সুষ্টি হয়েছে,
মানুষের জন্য ।
ধর্মের জন্য মানুষ নয় ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আগে শুনি ধর্মকে কে সৃষ্টি করলো? মানুষ না আপনার স্রষ্টা?

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: জীবন একটাই , কেউ দেখাতে পারেনি মরে যাওয়া মানুষ ফিরে এসেছে বা আত্মার কার্যক্রম সে অনুভব করেছে । গোটা সৃষ্টিই বিজ্ঞানময় । নিতান্ত মূর্খরা বলে আল্লাহ ও বিজ্ঞান । তাদের অজান্তে দুটি বিশয়কে আলাদা করে দুটি দলের সৃষ্টি করছে এবং আস্তিক ও নাস্তিক এর অপ্রয়োজনীয় উদ্ভাবনা সংঘটিত হচ্ছে । আমি করমের মাধ্যমে এক নিরাকার অথচ দৃশ্যমান এক শক্তিকে পেয়ে যাচ্ছি । আমাদের , আমি ও তাবৎ প্রকৃতি ,এই বিশ্ব চরাচরের সব কিছু সেই শক্তির অংশ । এ এমন এক প্রক্রিয়া যাকে বুঝতে গেলে সাধনা আর কর্মের প্রয়োজন সর্বাধিক । ধর্ম একটা পুরনো সময়ের শক্তিমান গোত্রের ক্লাব মাত্র । প্রথমে মূর্তিপূজা ও পরবর্তীতে নিরাকার শক্তিতে পুনর্বাসন । আদিতে কিন্তু সূর্য, পানি, বায়ু ও শস্যের পুজা হতো সঙ্গত কারনে । ধর্ম আবিষ্কার সঙ্গত কারনে হয়েছে এবং এই আধুনিক যুগে তার পরিশিলতা ও রিফরম এর প্রয়োজন আছে । কারন একদল লোক উন্মত্ত হয়ে আরেক দলের উপর আক্রমন করবে আর ক্ষতি গ্রস্ত করবে মানুষের সাধারন জীবনকে। আরব দের তেল প্রাপ্তি এই নানা ফন্দি ফিকির কে বাড়িয়ে তুলছে।আমি শেষ মেশ সুফিবাদিদের পন্থা উত্তম বলে মেনে নিয়েছি । জীবনটাকে উপভোগের জন্য , ফসল ফলানোর জন্য , বংশ রক্ষার জন্য সবসময় তীব্র তাগিদ অনুভুত হয়েছে । আপনি আচরি ধর্ম ।

আলোচনা চলুক ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনি বাহাই ধর্ম নিয়ে একটু পড়াশোনা করে দেখতে পারেন। আপনার চিন্তা ভাবনা, পছন্দের সাথে বেশ যাবে। শুভেচ্ছা।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

শফিক আলম বলেছেন: "আপনি যার পিছে নামায পড়েন হয়তো তিনি আমিনীপন্থী অথবা হাটহাজারি শফি পন্থী। হয়ত চক্ষু লজ্জার ভয়ে আমরা মসজিদে প্রতিবাদ না করে, নামায পড়েই চলে আসি। তারপর ব্লগে বসে তুবড়ি ছুটাই,আপনি যার পিছে নামায পড়েন হয়তো তিনি আমিনীপন্থী অথবা হাটহাজারি শফি পন্থী। হয়ত চক্ষু লজ্জার ভয়ে আমরা মসজিদে প্রতিবাদ না করে, নামায পড়েই চলে আসি। তারপর ব্লগে বসে তুবড়ি ছুটাই"...সহমত। এই পর্যন্ত যতগুলো মসজিদে নামাজ পড়েছি, বেশির ভাগের ইমামই কোন না কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী, বিশেষ করে উগ্রবাদের। তারা প্রকৃত মানবিক জ্ঞান কমই রাখেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন:

লক্ষ লক্ষ শফি মসজিদে নামায পড়ায়--কিন্তু বিশেষভাবে শফীর পিছে লাগার কারণটা গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এসেছে। জনমত সেটাকে বেশ ভাল ভাবেই গ্রহণ ও প্রচার করেছে।

ইমাম-মোল্লারা যেখানে প্রকৃত মানবিক জ্ঞান বিতরণে ব্যর্থ সেখানে আপনার মত শিক্ষিত নামাজিরা "প্রকৃত, মানবিক" ধর্ম প্রচার প্রসার ও পড়ালেখার কোন উদ্যোগ নিয়েছে কী? নাকি অভিযোগেই খালাস?

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

এম আর ইকবাল বলেছেন:
ধর্ম কখনো কাউকে তার সম্পকে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়নি ।
কারণ সে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না,
চাপিয়ে দিতে পারে ।

যারা ধর্মের ব্যবসায়ী তারা তো মুখিয়ে আছে,
আস্তিক বা নাস্তিক
এর ডাণ্ডা নিয়ে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এই মাত্র বললেন,

ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষের জন্য" (ধর্ম মানুষের কল্যাণের জন্য)

এখন আবার বলছেন,

"ধর্ম কখনো কাউকে তার সম্পকে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়নি । কারণ সে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না,
চাপিয়ে দিতে পারে ।" (তার মানে ধর্ম মানুষকে তার দাস বানিয়ে রাখেছে)।


স্ববিরোধী হয়ে গেলনা?

নাস্তিক হওয়া কি খারাপ কিছু? এত ভয় কেন? কেউ নাস্তিক বললেই তার ব্যবসায়িক পরিচয় জেনে ফেলেন--খুব কৌশলী আপনারা। :)

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

মেলবোর্ন বলেছেন: প্রথয়মত আপনি যে বড় ভুলটা করেছেন যে বাকী ধমের মত ইসলামকে এক করে ফেলা বাকী ধর্ম পরিবর্তন হয়েছে কারন তারা মুল গ্রন্থের পরির্বতন করেছে বিধায় ইসলামে এই সুযোগটা নেই আর মুসলমানরা আল্লাহরন বানীকে পরিবর্তন করতে কখোনই চায় না সেটা করনে ইসলামেই অস্তিস্ত থাকে না কারন আজ যা আধুনিক কাল তা সেকেলে কতবার পরির্বতন করবেন?

আর সৃস্টিকতা যদি সত্য হয়ে থাকেন তবে তিনি তার সৃস্টির ভালো টা জানেন এবং সেটা এত ভালে জানেন যে সেটা সকল যুগের জন্য প্রজয্য হতে হবে একটা উদাহরন দেই

মানুষ বলে আল্লাহ কি চান? এটা একদমই মৌলিক প্রশ্ন যে আল্লাহ কি চান ? কোরআনে কিছু আয়াত আছে যা আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেয় সুরা নং ৪ সুরা আন নিসা আয়াত ২৭-২৮ "আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে।

আগে আপনার মনুষ্যত্ব অর্জন করুন তারপর আপনার জীবনকে ভালো কাজের মাধ্যমে সাজান সুন্দর করে গড়ে তুলুন অলঙ্কৃত করুন. খুবই সধারন ছোট বিষয় সমুহ দিয়ে শুরু করুন যেমন নামাজ সঠিক ভাবে পড়ার চেস্টা করুন, কিছু দোয়া মুখস্ত করুন , কোরআন বুঝে পড়ুন ২-৩ টা আয়াত প্রতিদিন বুঝে পড়ুন, সত্য কথা বলুন, কাজে অফিসে সৎ থাকুন, আপনার বাবা মার প্রতি সদয় হোন এবং ভালো ব্যাবহার করুন, ছোটদের আদর করুন এগুলো কোন কঠিন বিষয় নয়।

মহানবী (সঃ) ইসলাম প্রচারের পুর্বে চল্লিশ বছর পরিচিত ছিলেন আল-আমিন বা বিস্বাসী বলে, সবাই তাকে পছন্দ করতো তার কথা ও কাজে সবাই সন্তুস্ট ছিল। তাই সত্যবাদীতা ও ভালো কাজই হলো ইসলামের মুল বিষয় সমুহের একটি। আর এই ভালো কাজের সাথে যখন খোদাভীতি ও খোদা প্রীতি যোগ হয় তখন সেই ভালো কাজের উদ্দেশ্য হয় পরিস্কার আর ফালাফলও হয় সবচেয়ে ভালো।আমাদের মহানবী (সঃ) সেটাই করে গেছেন সারা জীবন আমাদেরও এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনি ভালো কাজ করতে পারেন ভালো কথার মাধ্যমে, শিক্ষা জ্ঞান লাভ করে মানুষের কল্যানে সেই শিক্ষা কাজে লাগানোর মাধ্যমে সেটা হতে পারে ধর্ম, ব্যবসা, চিকিৎসা, বা বিজ্ঞান যার মূল উদ্দেশ্য হবে জানা এবং সেটা মানুষের ও সৃস্টির সকল জীবের উন্নয়নে কাজে লাগানো।

আমাদের কাছ থেকে এই ছোট বিষয় গুলোই আমাদের সৃস্টিকর্তা চান।

আর ভালো কাজের পুরস্কার : দেখুন সুরা ২ সুরা বাকারা আয়াত ২৫: "আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। "

এখন বলুন এগুলো কি পরিবর্তন হবে কোনদিন আমি জানি অনেক বিষয় আছে যা আমাদের কাছে মনে হয় ইসলাম খুবই খারাপ ধর্ম সেই খারাপ বিষয় গুলোকে কোরআনের আলোকে যাচাই করেন দেখুন সেগুলোকি আসলেই ইসলামে বলা আছে কিনা আসলেই সঠিক পথ কিনা কারন যা খারাপ আমরা প্রত্যক্ষ করছি সেটা মানুষের সঠিক জানার অভাবে নয়তো কিছু অংশ মান্য করে অন্য বিষয় এরিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য বা ধান্দাবাজ কিছু ধমের পোষাক ধারী লোকের জন্য ধর্ম আপনাকে ভালো খারাপের মধ্যে পার্থক্য দেখায় মানা না মানা আপনার আপনাকে কেহ জোর করলো তবে ভাববেন সে ধর্ম সম্পকে জানে না কারন ধর্মে জবরদস্তি নেই সেটা তার জানার কথা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বটম লাইন হলো--ইসলাম আর দশটা ধর্মের মত উপাসনা সর্বস্ব, সংস্কার সর্বস্ব ধর্ম না।ধর্মের প্রচলিত সংজ্ঞার মাঝে কোনভাবেই ইসলামকে ফেলা যায়না। এটাই মনে হয় অন্য সব ধর্মালম্বীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইসলাম/মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সাহায্য করছে।

যেকারণে নবীকে গালি দেয়া অসংখ্য অমুসলিম পাবেন, কিন্তু যীশু, দুর্গা, কৃষ্ণ, বুদ্ধকে গালি দেবার মত মুসলিম পাওয়া যায়না।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনি তো খুব পুরনো একজন ব্লগার। এই প্রথম আমি আপনার একটি পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

একজন খুবই বিশৃঙ্খল মনের মানুষ আপনি।

হ্যাঁ, একগাঁদা তথ্য ও তত্ত্বের জান্ক আপনার মগজ। হতাশ ও নৈরাশ্যবাদী।

এলোমেলো ও বিশৃঙ্খল। সত্যি তাই। দুঃখিত। হার্শ মন্তব্যের জন্য।

এত বেশী বিশৃঙ্খল হলে কাউকে যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে বোঝানো যায় না। তাই সরাসরি রায় দিয়ে দিলাম। আমার ব্যক্তিগত রায়। যদিও আপনার কোন কিছু যায় আসে না।

ভাল থাকবেন। আল্লাহ আপনাকে সুবুদ্ধি দিন। চিন্তার শৃঙ্খলা দিন। আমীন!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: গালি দিলেন না এতেই আমি খুশি। সচলায়তন, আমার ব্লগে বুদ্ধি-শুদ্ধি-শৃঙ্খল-সভ্য মানুষ থাকেন--সেখানে তো আমার জায়গা হবেনা।

অনেক কথা আছে সরাসরি বলা যায়না, বলাটা বিপজ্জনক । জাঙ্ক কথার ফাকে ফাকে ঢুকিয়ে দিতে হয় বার্তা গুলো। ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনি তো খুব পুরনো একজন ব্লগার। এই প্রথম আমি আপনার একটি পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

একজন খুবই বিশৃঙ্খল মনের মানুষ আপনি।

হ্যাঁ, একগাঁদা তথ্য ও তত্ত্বের জান্ক আপনার মগজ। হতাশ ও নৈরাশ্যবাদী।

এলোমেলো ও বিশৃঙ্খল। সত্যি তাই। দুঃখিত। হার্শ মন্তব্যের জন্য।

এত বেশী বিশৃঙ্খল হলে কাউকে যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে বোঝানো যায় না। তাই সরাসরি রায় দিয়ে দিলাম। আমার ব্যক্তিগত রায়। যদিও আপনার কোন কিছু যায় আসে না।

ভাল থাকবেন। আল্লাহ আপনাকে সুবুদ্ধি দিন। চিন্তার শৃঙ্খলা দিন। আমীন!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ!

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

হারান সত্য বলেছেন: "ইহুদি-নাসারারা তাদের ধর্মকে পছন্দমত ম্যানিপুলেট করে সামনে এগিয়ে গেছে, মুসলমানরা কেন বেহেশতের লোভে-দোজখের ভয়ে পশ্চাদপদ হয়ে থাকবে?"

আসলেই কি তাই? গতি মানেই কিন্তু শুধুমাত্র সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া নয় - মুখ ঘুরিয়ে নিলেই সেটা পশ্চাত দিক হয়ে যায়। ইহুদী-নাসারাদের নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের যে অগ্রগতি সেটাকে আপনি যেভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া ভাবছেন দৃস্টিভঙ্গী বদলে দিয়ে কেউ যদি সেটাকেই পশ্চাতপদতা বলে ভাবে - সেই ভাবনা/বিশ্বাসকে আপনি মানতে পারবেন?

___________________________________________________
আসুন জানি মহাসত্যের পরিচয়, মুক্ত হই ধর্মান্ধতা ও ধর্মবিদ্বেষ থেকে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তো আল্লাহর ব্যাপারে কেউ যদি অন্ধ হয়, তাকে ধর্মান্ধ বলবেন? তাতে কি আল্লাহ অখুশি হয়ে বান্দাকে দোজখে দিবেন?

কতটুকু আমল/ইমান করলে তাকে ধর্মান্ধ বলা যায়, সেই মানদন্ডটা কি আপনারা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন?

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

দিশার বলেছেন: কোনো ধর্মই পার্মানেন্ট না। এই ইতিহাস ধার্মিক মানুষ রা স্বীকার করতে চায় না। ধর্ম পাল্টায় যুগের সাথে। ইসলাম না, সব ধর্মই ঘোষণা করে যে সে পাল্টাবে না . কিন্তু বাধ্য হয়।

যেমন ইসলামী আইন বড় ধাক্কা খাবে, মানুষ যখন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা তৈরী করে, মানুষ এর মত দেখতে রোবট বানাবে। আমার ধারণা আমাগী ৫০ বছর এর আগেই সেটা সম্ভব। প্রচলিত সমাজ বেবস্থা ভেঙ্গে পরার সম্ভাবনা খুব নিকটে। কারণ মানুষ তখন চাইবে তার মন এর মত রোবট তৈরী করে নিতে। এবং রোবট কে জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নিতে। এমন অনেক সমস্যা আছে যার কোন হদিস কোরান হাদিস দিতে পারে না . যেমন "সরোগেট " মা। এখন বিশ্বে সরোগেট মা হচ্ছে অনেকে, শারীরিক কারনে যারা মা হতে পারছে না তাদের জন্য চমত্কার একটা বেবস্থা . অথচ যে বেপারে ধর্মে কোন দিক নির্দশেনা খুজতে যাওয়া টা বোকামি। এমন অজস্র উদাহরণ দেয়া যায় .

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আচ্ছা, সরোগেট মা কিন্তু মানুষ এবং মানুষ পয়দা করতে মানুষেরই গর্ভের আশ্রয় নিতে হচ্ছে--এটার সাথে ইসলামের বুঝাপড়ার কী বৈপরিত্য পেলেন।

এমন তো না যে শূণ্য থেকে কোন সিনথেটিক বায়ো মলিকুল দিয়ে ল্যাবের ভিতরেই মানুষের গর্ভ ছাড়াই মানুষ তৈরি হচ্ছে। আর আর্টিফিসিয়া ইন্টেলিজেনস এখনও তার মধ্যযুগও দেখেনি। একটু ধৈর্য্য ধরুন।

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

কাফের বলেছেন: পরিবর্তনশীল যুগ, মানুষ ও মানুষের চিন্তা ভাবনার সাথে ভারসাম্য না থাকলে যে কোনো জিনিষ বিলিন হতে বাধ্য।

আমি যদি এখন জানতে পারি যে ৫০০বছর পর খ্রীস্টান ধর্ম টিকে থাকবে আর ইসলাম ধর্ম বিলিন হয়ে যাবে তাহলে খুব একটা অবাক হবো না! বাইবেল সময়অনুযায়ী পরিবর্তন হলেও কোরআনের বেলায় সেটা হবে বলে মনে হচ্ছে না।




২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কাফেরের ব্যক্তিমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ! :)

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আলোকন বলেছেন: মাসউদ প্রকৃত বা আসল আলেম এই রায়টা আপামর সাধারণ মানুষের যারা গণজাগরণ মঞ্চে হাজিরা দিয়েছেন।

ঠিকই বলসেন ভাই। মাসউদ যে প্রকৃত বা আসল দরবারী আলেম তা সবাই জানে। মাসউদ যেই দলের সমর্থনে বিগত সরকারের আমলে জঙ্গিবাজি করে নিরপরাধ মানুষ মারসে, সেই দলের জন্যে সে গণজাগরণ মঞ্চ কেন বেশ্যাখানায়ও হাজিরা দিতে পারবে।

আফসুসের কথা হলো, কিছু চেতনাধারী আজও বুঝতেসেনা যে তারা কন্ডমের মত ব্যবহৃত হইসে। যেই কন্ডম দিয়ে "রান্ডিয়া" আর "বাল" তাদের অনৈতিক বাসররাত পালন করেছে। তারপর ৬ই মে সকালে সেই কন্ডম ডিস্টবিনে ফেলে দিসে।

আমি আমিনী পন্থী ইমাম বলতে কিন্তু আমিনীর রাজনৈতিক নেতা/কর্মী বুঝাইনি। বরং আমিনীর ফতোয়ার অনুসারী বুঝিয়েছি।

আমিনীর ফতোয়া কি জিনিস ভাই?
ফতোয়া বলা হয়, যে কোন সমস্যার কুরআন ও হাদীস সমর্থিত সমাধান কে। "নামাজের জন্যে অযু থাকা ফরয" এটাও একটা ফতোয়া।

অরাজনৈতিক বলে শফির মর্যাদা রাখা যাচ্ছেনা। বাংলা বাঘের লেজ দিয়ে মৌলবাদী কান চুলকালে যা হয়। শিক্ষিতরা ব্লগ, পত্রিকা, তেতুল, ইউটিউব বুঝেন--এর বাইরে শফির পরিচয় তাদের কাছে স্রেফ ভন্ডের মতই।

শিক্ষিত সমাজ কোন কথার অর্ধেক নিয়ে অপপ্রচার চালায় না। সমর্থনও করে না।
শফি সাহেব একটা উপমা দিলেন। আর আপনার সো কলড শিক্ষিত সমাজ ২ বছরের পুরানো সেই উপমা নিয়ে নোংরা অপপ্রচার চালালো।
মতিয়া চৌধুরী যখন পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে রংপুরের নারীদের বেশ্যা বলে আখ্যা দিসে, তখন আপনার সো কলড শিক্ষিত সমাজ কি করসিল?

আপনার মতো দুই চারটা স্বাধীনতার চেতনা ব্যবসায়ি সো কলড শিক্ষিতলোক শফি সাহেবকে কি বললো, তাতে শফি সাহেবের কিছুই যায় আসে না।

শফি সাহেব নারীকে তেতুল ঊপমা দিসে বলে আপনাদের চুলকানি শুরু হয়ে গেসে। কিন্তু তিনি যে সারাজীবন নারীকে গোলাপের সাথে তুলনা দিয়ে আসছেন, তা আপনাদের চোখে পড়ে না কেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: রাগারাগি করে তো মানুষকে বুঝানো যায়না ভাই। মুফতিদের ফতোয়া দেবার বৈধতা আছে--আমিনীর ব্যাপারে সেটাই বলছিলাম। বিবাদ-বিভাজন করেন কেন? মসজিদে যখন নামাযে যান--কখনও জানতে চান ইমাম জামাতী/আমিনী/শফি/তাবলীগি কিনা? তাহলে বাইরে এসে হট্টগোল ফ্যাসাদ, ফেতনা করেন কেন?

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

আলোকন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ইমাম-মোল্লারা যেখানে প্রকৃত মানবিক জ্ঞান বিতরণে ব্যর্থ সেখানে আপনার মত শিক্ষিত নামাজিরা "প্রকৃত, মানবিক" ধর্ম প্রচার প্রসার ও পড়ালেখার কোন উদ্যোগ নিয়েছে কী? নাকি অভিযোগেই খালাস?

প্রকৃত মানবিক জ্ঞান বলতে কি বুঝালেন আপনি? আর "প্রকৃত, মানবিক" ধর্ম কি?
আপনি কি বলতে চাইছেন যে,"ইমাম-মোল্লারা যেই ইসলাম ধর্ম প্রচার করে, সেই ইসলাম মানবিক না"?
ঝেড়ে কাশুন...

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

যে শহর চোরাবালি বলেছেন: সাঈফ ভাই দারুন লিখেছেন।

মনে হচ্ছে কেউ লেখাটাকে স্যাটায়ার হিসাবে পড়ছে না। আপনার শুরু থেকে মন্তব্য না করাই ভাল ছিল।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: :)

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

জনাব মাহাবুব বলেছেন: আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন তারপর ধর্ম নিয়ে ভাববেন।


ধর্মের পরিবর্তন নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে। X( X( X(


আপনি সঠিকভাবে ধর্ম পালন করছেন কিনা সেটা আগে ভাবুন, অন্যকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আচ্ছা চেষ্টা করছি।

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

যে শহর চোরাবালি বলেছেন: ****আগের কমন্টে বলতে চাচ্ছিলাম মন্তব্যর জবাব না দেয়াই ভাল ছিল

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

সাজেদ বলেছেন: ইসলামই ত সবচেয়ে বেশী প্রগতিশীল, পরিবর্তনশীল live ধর্ম। দুনিয়ার কোটি কোটি মুসলমান শত শত মাহযাবে বিভক্ত হয়ে তাদের মনমত ইসলামকে কাস্টোমাইজ করে পালন করছে।

শিয়া, সুন্নী, সুফি, আহমাদীয়া, কোরান ওনলী ত আছেই। তাছাড়া আছে রাজতন্ত্রী, গনতন্ত্রী, ইহুদী-নাসারা প্রেমিক, তালেবান, হেফাজাতী, জামাতী, তবলীগি। এছাড়া মরিসবুকাইলী, হারুন ইয়াহীয়া, জাকেরনায়েক ভক্ত বৈজ্ঞানিক মুসলমান। আবার প্রাকটিসিং আর নন-প্রকাটিসিং বলে সুশীল মুসলমানদের বড় দুই দলও দুনিয়ায় বিদ্যমান। আরও আছেন ইহুদী-নাসারাদের ঘোর শত্রু মেলবোর্ন, টরেন্টো, লন্ডন, নিউইয়র্কের জ্ঞানী হালাল মুচলমান।

এনারা সবাই নিজেদের কে প্রকৃত মুসলমান এবং অবিকৃত কোরানের অনুসারী বলে মনে করেন। নিজেদের উপযোগী করে এনারা ইসলাম ব্যাখ্যা করে, নিজেদের হালাল-হারাম ইহজাগতিক কর্মকান্ডকে কোরান-হাদীস দিয়া justify করে ইহকাল-পরকালকে ফিট রেখে আত্মতৃপ্তিতে ঢেকুর তোলেন প্রায়শই ব্লগে আর সোসালমিডিয়াতে।

সমস্যা হইল এই সবগুলি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক, রক্তক্ষয়ী শত্রুতা; যা দুনিয়াকে করছে অস্থির আর মুসলমানদের করছে কুপমন্ডুক, কমিক character বাকী দুনিয়ার কাছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মাজহাব শত শত না। আমি জানিনা আপনি কত দেশের মুসলিম দেখেছেন, মিশিছেন। ৫০-৬০ টা দেশের মুসলিম এক জামাতে নামায পড়তে দেখলে এই মাজহাব নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন থাকেনা। ৮ রাকাত বনাম ২০ রাকাত তারাবী মনমত কাস্টোমাইজেনের ব্যাপার না। মৌলিকাভাবে তারা এক।

বাকি কথার সাথে একমত।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কেউ যদি আলেম হয়, তার দলিল সাপেক্ষেই কথা বলা উচিৎ এবং তার কথার সাপেক্ষে দলিল চাওয়া উচিৎ। আপনি কি সেই দলিল চেয়েছেন? তার ১৩ দফা এ যুগে অচল-অবাস্তব। কিন্তু সেগুলো কী আপনার প্রিয় ইসলাম ধর্ম বিরোধী?


আপনি যেহেতু একজন প্রকৌশলী সেজন্য আপনার অংক ভাল জানার থাকার কথা। একটি ইকুয়েশনের মাল্টিপল সলিউশন থাকতে পারে। তেমনি ইসলামী আচার আচরনের ক্ষে্ত্রেও সেইরকম কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। শফির কথাগুলো ইসলাম বিরোধী নয়, তবে সেগুলো প্রকৃত ইসলামের দীপ্তিকেও প্রতিফলন করে না। শফি সাহেব সেইসময় ফতোয়া দেন নি বরং ওয়াজ করছিলেন, তাই অনেক কিছুতে নিজের পছন্দের প্রতিফলন হয়েছে।

আর অচল অবাস্তব হবার কথা বলছেন? এক সময় কামাল আতাতুর্ক ইসলামকে অচল অবাস্তব বলে বাতিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কামালের সেই তুরষ্ক বার বার তার মূলে ফিরে যেতে চাইছে। সেক্যুলাররা কি না করেছে! ইসলাম প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্দেরেসকে সর্বসমক্ষে ফাসি দেয়ার মত গর্হি্ত কর্মটিও কবুল করেছে কামালিস্টরা। তারপরেও কি তুরষ্ক সেদিকেই যাচ্ছে না।


২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হুমম শিখিলতা (বনাম বাড়াবাড়ি)

হুমম প্রকৃত ইসলামের দীপ্তি (বনাম ভুল ইসলামের অন্ধকার)

আবার সেই পুরনো কথামালা।

আপনার কাছে মুরসি বেশ প্রিয় হবে। কিন্তু সালাফিস্টরা কিন্তু মুরসিদের দেখতে পারেনা। যদিও দুপক্ষই মৌলবাদে বিশ্বাসী।

অন্তত মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা ও প্রসারের খাতিরে একতা, সাম্য, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়না?

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

হুপফূলফরইভার বলেছেন: হা হা হা! ইসলাম কি আদৌ এই আপনাদের চৈন্তিক গন্ডিতে আবদ্ধ, স্বপ্রনোদিত অনুসিদ্ধান্তের কেবল মাত্র একটা শব্দবদ্ধ ধর্ম ('ধৃ+মন' ধাতুজাত) বিশ্বাসের নাম? যদি তাই হত তবেইনা এর যুগোপযোগি একটা পরিবর্তনের বিশেষ প্রয়োজন হত।

ভাষাবিজ্ঞানের সংকীর্ন শব্দমূল (ধৃ+মন = ধর্ম) দিয়ে "দ্বীন আল ইসলাম" কে কখনোই পরিপূর্ণ অর্থে ব্যাক্ষা করতে পারেনা।

তথাকথিত শিক্ষিত ভেড়ার পাল(!) নিয়ে আজাইড়া ক্যাচাল বাধানোর অতিউত্তম! শব্দচয়নে আপনার প্রায়োগিক মুন্সিয়ানায় ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

রামন বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের আইন বিধান যে পরিবর্তন হচ্ছে না তা ঠিক নয়। খোদ ইসলাম ধর্মের জন্মভূমি আরবদেশগুলোতে ইহুদি নাসারাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আইন পরিবর্তন হচ্ছে অহর্নিশি। এসব দেশগুলোতে নিজেদের সুবিধার্থে আইন পরিবর্তন করে স্বার্থ হাসিলের প্রমান রয়েছে ভুরিভুরি। কিন্তু যত সমস্যা হচ্ছে আমাদের বেলায়। সমাজের স্বার্থে কিছু পরিবর্তনের কথা মুখে আনলেই কপ্টার সফি-বাবুনগরীরা দলবল নিয়ে হামলে পড়তে চায়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনাদের মত শিক্ষিত-সচেতন নাগরিকদের ধর্ম বিষয়ে পড়াশোনা করে, ধর্মকে ম্যানিপুলেট করে স্বার্থ-সুবিধা আদায়ের ব্যাপারগুলো রপ্ত করতে হবে। তবেই শফি-বাবুদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারবেন।

আর তা না করে কোরআন খানি যদি শুধু লাশের সদগতির জন্য ব্যবহার করেন আর হাদিস শুধু মিলাদেই পড়েন---বাবুনগরীদের সাথে ধর্ম নিয়ে টক্করে যাওয়া একটু সমস্যাই।

২৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসলেই ইসলামের পরিবর্তন দরকার, তা না হলে হাফ হার্টেড ধার্মিক মুসলমানের সমস্যা, যেমন ধরেন এশার নামাজের পর নাইট ক্লাবেও যাব, তারপর তাহাজ্জুদ পড়ে ঘুমাবো, ফজরের নামাজটা সকাল নয়টায় হলে মন্দ নয়,

আবার ধরেন, ২কোটিটাকার যাকাত ৫লক্ষটাকা, ৫লক্ষটাকা অনেক টাকা , এত না দিয়ে আপনি একটু কমই দিলেন ৩লক্ষ দিলেন এ আর কম কি??? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মাফ করবেন!!

আবার ধরেন পর্দা করের কি দরকার, নবিজির যুগে কি আর বিকিনিকি ছিল, উনি কি বুঝেন এর সৌন্দর্য?? চোষ পাজামা আর বিকিনিকি ইজমার মাধ্যমে লিগাল করে দিলেই হয়, সবাই মেনে নিলাম, যুগের চাহিদা বলে কথা!!!!!!!!

তালাকের ব্যাবস্থা আছে, বন্ধুর বৌকে পছন্দ হয়েছে, আর বন্ধুর পছন্দ হয়েছে আপনার বৌকে?? কোন সমস্যা নাই, তালাক কে ছেলে খেলা বানিয়ে নিন, পরিবর্তন করতে থাকুন যত বার ইচ্ছা!!!!!

হুম , যুগের চাহিদা মতাবেক সব কিছুর পরিবর্তন না হবার জন্যই ইসলাম এসেছে, মানুষকে মানুষ রাখবার জন্য আল্লাহের শেষ চেষ্ট বা নেয়ামত, বেশির ভাগ ব্যাপারে কিয়াস বা ইজমা কাজ করবে না, তাই তো কেয়ামতের আগে দিনে দিনে ইসলামের অনুসারি কমে যাবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভন্ডামিমুক্ত খাটি মৌলবাদ---সবার মাঝে এমন ঐক্য চাই।

মানুষের জন্য ধর্ম বদলাবেনা, বরং ধর্ম অটুট রাখতে মানুষকেই বদলাতে হবে।

২৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "যেকারণে নবীকে গালি দেয়া অসংখ্য অমুসলিম পাবেন, কিন্তু যীশু, দুর্গা, কৃষ্ণ, বুদ্ধকে গালি দেবার মত মুসলিম পাওয়া যায়না। "

এইটার আসল কারন অন্যত্র। পবিত্র কোরানের সুরা আনআমের ১০৮ নং আয়াত দিয়ে ভিন্ন ধর্মের দেব দেবীদের গালি গালাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আয়াতটি নীচে দিলাম:


"তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।"

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কোরআন পড়ে/কোআন মেনে সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠা করার মত মুসলিম সমাজ খুব কমই আছে।

স্বার্থে আঘাত লাগলে সবাই গালি দেয়, গালি দেবার ব্যাপারে মানুষের কোন ধর্ম নেই।

নবীকে গালি দিল, তো আমি দুর্গাকে গালিয়ে দিলাম--ল্যাঠা চুকে গেল। ব্যাপারটা এমন হলেই শান্তিপূর্ণ হত যে সবার কাছে নিজ নিজ ধর্ম হল কল্পিত উপসানা, আলো আধারি বিশ্বাস। মৌলবাদ না। তাই গালাগালে দোষ কি?


কিন্তু খেলাটা একতরফা, কুতসা রটায় অমুসলিমরা, সন্ত্রাস করে শুধু মুসলিমরা। ধর্ম জিনিসটা জলকেলির মত কাদাকেলি জাতীয় উৎসবের কাতারে আনতে পারছেনা মুসলিমরা।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: অসাধারন ভাই!
চিন্তার গভীরতা,ভাবের শুদ্ধতাগুলোকে ভাষা নামক টুলস ব্যবহার করে প্রকাশ করার যে অসাধারন বিশ্লেষনী ক্ষমতা অাপনার অাছে,তাকে হিংসা করি।
নোয়াম চমস্কি কি এর একমাত্র কারন?
ক্রিটিকাল থিংকিং এর উপর সহজবোধ্য কোন কোর্সভিত্তিক ভিডি লিংক শেয়ার করলে উপকৃত হতাম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.