নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণগ্রস্থ পশ্চিমা জীবন ও সুদের উপর স্বচ্ছলতার সঙ্গা

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৬

ঋণ নেই এমন মানুষ পাওয়া দুর্লভ । অথচ এত এত ঋণের পরেও তারা স্বচ্ছল, বিনোদন, সাধ-আল্লাদের ঘাটতি-কমতি নেই। জীবনটা বাকির খাতায় চলবে এটা হয়তো দেশে থাকতে ভাবতেই পারতাম না। দেশে সবকিছুই নগদে ঘটে। যথেষ্ঠ সম্পদশালী হলেই হয়ত ব্যাঙ্ক ঋণ মিলে।



পশ্চিমে শত প্রকার বীমা প্রতিষ্ঠান মানুষের ঋণের ভাগ্য প্রকৃতি নির্ধারণ করছে। দুর্ঘটনা, চিকিৎসা, মামলা যেকোনভাবে আপনার উপর চেপে বসতে পারে আরো কঠিনতর ঋণ যেটা মাসের কিস্তিতে দিয়েও সারা জীবনেও পরিশোধযোগ্য না। ঋণ পরিশোধের অপারগতায় আপনাকে তারা জেলে দিবেনা, কিন্তু ভবিষ্যতে ঋণ নেবার অনিবার্য বাস্তবতায় আপনাকে এক ঘরে করে ফেলবে।



ঋণকে ডাল-ভাতের মত বাস্তবতা মনে করে শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ফেলার মত মানুষের অভাব নেই। আপনি মরে গেছেন, আপনার ঋণ মাফ। মামলা শেষ। কিন্তু পরকালে যাদের অন্ধ বিশ্বাস--তারা কি তৃপ্তি নিয়ে মরতে পারবে? অথবা ঋণের বোঝা ঠেলার জন্য মাসে মাসে যাদের সুদ দেয়া লাগে, আসলের সাথে । ঋণ শোধের আগেই যদি মৃত্যু হয়।



যারা ছাত্র হয়ে আসে তাদের ৬-১২ হাজার ডলার ঋণ জমে যায়। চাকুরি পেলে খরচ আরো বাড়ে, ঘর বাড়ি করার ইচ্ছে জাগে । তারপর সন্তানের পড়ালেখার বিশাল খরচ।এত এত ট্যাক্স দেবার পরে পুরোপুরি ঋণমুক্ত হয়ে ওঠা কি হয় আদৌ? সাথে যদি কোন দুর্ঘটনা যোগ হয়, যার কোন বীমা ছিলনা।





পশ্চিমে অমানুষিক পরিশ্রমের পরে যে উপার্জন, পরিবেশ, পরিস্থিতি, ধর্ম -সংস্কৃতির সাথে বেহিসাবি আপোস করা চলার যে মনোবৃত্তি তৈরি করতে হয় --তার সাথে বোঝাপোড়া প্রায়শই দুরহ। হালাল-হারাম, মদ-পর্ক, নামাযে স্থান-কাল ভুলে গেলে একটা জাগতিক উন্নতির রাস্তা তৈরি হয়--জীবনকে সহজসাধ্য করে নিতে অনেকেই সে পথেই প্রবাস জীবনটা গড়ে নেন। কিন্তু ধর্ম-সঙস্কৃতির কারাগার থেকে মুক্ত হতে না পারলে এই আপোসের টানা পোড়েনটা দুরহ। অথবা ওরা নিজের দেশের যোগ্যতর মানুষ ফেলে আমাকে কেন বৃত্তি, চাকুরি সুবিধা দিবে সেটাই বোধগম্যতার মাঝে আসেনি এই ৫ বছরের প্রবাস জীবনে। এক বা একাধিক ডিগ্রির পরে নিজেকে কেন যথেষ্ট উপার্জনক্ষম মনে করবো, তারও যৌক্তিকতা পাইনা।



নামাযের সময় বিরতি বা স্থান না পেলে নিজেকে নিতান্তই হতভাগ্য মনে হয়। হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা ঋণের আতঙ্ক আমাকে স্বস্তি দেয়না। ভিন দেশের নাগরিক হিসেবে একজন এটর্নি জোগাড় করার সামর্থ্য বা বীমা কোম্পানি আইন -আদালতের কঠোর মারপ‌্যাচে আমি জড়োসড়ো হয়ে থাকি। ধর্মের বাধাগুলো সরিয়ে লোকাচারের সাথে মিশে গেলেই উন্নতি --এটা তো মর্ত্যের নিয়ম।



কিন্তু আমি ঋণ নিয়ে মরতে চাইনা, প্রবাসে ৫ বছর পরেও এতটুকু উন্নতি না হবার আক্ষেপ ছাড়াই বাঁচতে চাই, সামর্থ্য অনুযায়ী দু'বেলা রুটি খেয়েই বাঁচতে চাই । সামর্থ্যের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের উপর ঋণগ্রস্থ থেকে সুখ-স্বচ্ছলতা চাইনা। আমি চাইনা যে ঋণ শোধের সামর্থ্য নেই, সেই ঋণ নিয়ে সুদের চাকা ঘুরিয়ে পশ্চিমা দেশে সুখি-স্বচ্ছল হতে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: বস্তুর মধ্যে মুক্তি নাই। বিশ্বাসের মধ্যেই মুক্তি।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২০

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আপনার সৎ লক্ষ্য যেনো সফল হয় সেই কামনা থাকলো!

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

রামন বলেছেন:
অনেকের ইচ্ছা না থাকলেও বাড়তি করের বোঝা থেকে বাঁচতে ঋণ করে তবে পশ্চিমা দেশগুলোতে গ্রাহকগনের ব্যক্তিগত ঋণের চেয়ে বন্ধকী ঋণের প্রতি আগ্রহ বেশী। কারণ বন্ধকী ঋণ দীর্ঘ মেয়াদী এবং সুদের হার তুলনামূলক কম হয়। বিগত বছরগুলোতে আবাসন শিল্পে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে এই খাতে বাবল সৃষ্টি হয়। সে সময় অনেকেই প্রকৃত দামের চেয়ে ৩ গুন বেশী দামে বাড়িঘর মর্টগেজ নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিশ্বমন্দা দেখা দিলে দিনের পর দিন কর্মজীবিরা তাদের চাকুরী হারাতে থাকে, একই সাথে ক্লায়েন্টের অভাবে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ব্যাঙ্কগুলো ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কঠিন হলে বাড়িঘরের দাম প্রকৃত মূল্যের চেয়ে নিচে চলে আসে ফলে ভুক্তভোগীরা তাদের বাড়িঘর হারিয়ে ঋণখেলাপির খাতায় নাম লেখায়।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ঝটিকা বলেছেন: বহুত দোটানার মধ্যে আছি আমি। সিডনীতে আমার হাবির ছাত্রত্ব প্রায় শেষ। আমরা এখানে আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আশেপাশের কয়েকটা সাবার্ব জুড়ে প্রায় ৯০% মুসলিম। ধর্ম পালনে কোন সমস্যা হয় না। তাই এখানে আমার থেকে যাওয়ার খুব ইচ্ছা, কিন্তু হাবি চলে যাবে প্লান করছে। আমার উন্নত জীবনের কোন মোহ নেই, আমার কাছে ধর্মকে অনুসরন আর প্রশান্তিতে ভরা একটা সংসার ব্যাস আর কিছু চাই না। থেকে যেতে চাওয়ার প্রধান আর একটা কারন, এখানে দুজনের পারস্পারিক বোঝাপড়াটা খুব ভালো হয়েছে। যেটা কিনা বাংলাদেশে থাকতে সাংসারিক ফালতু জটিলতায় পড়ে প্রায় ডিভোর্সের দিকে চলে যাচ্ছিল। এদিকটা বাদ দিলে আমিও দেশে চলে যাওয়ায় এক পায় খাড়া।

ভাইয়া কি করবেন? দেশে ফেরত যাবেন?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দেশ হলো আমার জন্য সবচাইতে বিপজ্জনক জায়গা। তারপরেও দেশে ফিরতে চাই।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

মিতক্ষরা বলেছেন: পুজিবাদ একটা আজব চীজ। পশ্চিমে না এলে এটা বোঝা যায় না। পর্নোগ্রাফি আর ধর্ম চর্চা চলে সমান তালে। ধনী দরিদ্র কারো পক্ষেই ঋণমুক্ত থাকা অসম্ভব। সেই সাথে সুদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.