![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
'সাম্প্রদায়িক' শিক্ষানীতির সাথে পরিচয় জাফর ইকবাল স্যারের কলামে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যার যার ধর্ম, তাকে তার ধর্ম শিক্ষা দেবার আপাত নিরাপরাধ বিষয়ে একটা পাল্টা যুক্তি চলে আসে। এত অল্প বয়সে ছাত্রের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, "তুমি মুসলিম তুমি ইসলাম পড় এবং তোমার সহপাঠী হিন্দু বলে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা পড়ছে।" কোমলমতি শিশুদের ধর্ম দিয়ে মানুষের মাঝে বৈষম্য, বিভেদ চিহ্নিত করাটা বা শেখানোর রীতিটা 'সাম্প্রদায়িক' ।
ধর্মের অপবিত্র ছোঁয়ায় শুধু শিক্ষা নয়, বস্তু জগতের যেকোন কিছুই সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠে। ধরুন ওআইসি'র তহবিলে চলা গাজীপুরের আই ইউটি শুধু মুসলিম ছাত্রদের প্রবেশাধিকার দেয়। নটরডেম কলেজের ছাত্রাবাসে স্থান পেতে হলে খ্রিস্টান হতে হয়, ইত্যাদি। অর্থাৎ ধর্মের এমন অস্তিত্ব বিপজ্জনক, আপত্তিকর । ধর্মকে হতে হবে সার্বজনীন। ধর্মকে গ্রহণযোগ্য হতে হলে তাকে সেক্যুলার ব্যবস্থাপনার সহায়ক ও সমর্থক হতে হবে।ধর্মকে হতে হবে গান, শিল্প, ভাস্কর্য তথা সকল বৈশ্বিক সৌন্দর্যের একান্ত ও উদার অনুশীলনকারী ।
আমি নিজেকে বার বার প্রশ্ন করি, ধর্মের সীমারেখাটা কতটুকু থাকবে, যাতে করে 'সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী' ইত্যকার বিব্রতকর গালমন্দ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ যারা গালি দিচ্ছেন, তারা ধর্মের এই বাড়তি উপস্থিতিকে শুধু অপছন্দই করছেন না, নিজেদেরকে অসুবিধাজনক অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন । কাজেই মানুষকে অসুবিধাজনক অবস্থায় না ফেলার ব্রত নিয়েই ধর্মকে তার অস্তিত্ব গুটিয়ে নিতে হবে, যতটা সম্ভব।
অথবা অন্যভাবেও দেখা যায়? জানিনা। যদি কুরবানি ঈদে হিন্দু বাবা-মা সন্তানকে ঘর থেকে বের হতে মানা করে, বা পুজোতে মুসলিম বাবা-মা পুজোর প্রসাদ খেতে নিষেধ করে --সেটাও কি সাম্প্রদায়িক ভাবধারা থেকে উৎসারিত ? কুরবানির নামে গরু হত্যার বিষয়টা ভীষণ অস্বস্তির সাথেই নেন হিন্দুরা সেটা জানি। তারা বিব্রত ও মানসিকভাবে অসুস্থও বোধ করেন।
সমাজে এক ধর্মের উপস্থিতি অন্য ধর্মকে খাটো করে, বা সংখ্যাগুরুদের ধর্মাচার সংখ্যালঘুদের মানসিক কষ্টের কারণ হয়--অভিযোগ গুলো গুরুতর । যে ধর্মের কাজ ছিল শান্তি-সৌহাদ্য বিতরণ, সেই ধর্মের উপস্থিতি হয়ে যাচ্ছে উল্টো সাম্প্রদায়িকতার কারণ। অর্থাৎ ধর্ম ওক সাথে মধু ও বিষ দুটোই ধারণ করে। তার সমাধান হতে পারে ---ধার্মিকদের ধর্ম করতে হবে মনে মনে, ধর্মকে একটা স্রেফ সামাজিক উৎসব বলে মেনে নিয়ে । ধর্ম যখনই কঠোর বিশ্বাসের জায়গায় দাড়িয়ে পালিত হচ্ছে, তখনই তা সাম্প্রদায়িক গালি খাচ্ছে।
অর্থাৎ পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাইলে ধর্ম কীভাবে পালন করতে হবে এ বিষয়ে সমাজের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলিম সকলকে এক মত হতে হবে। অর্থাৎ সবাই মিলে ধর্মের একটা গ্রহণযোগ্য অসাম্প্রদায়িক কাঠামো গঠন করবে --যেটা গণতান্ত্রিকভাবে সব ধর্মের মানুষ মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
কোন ধর্মের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব-ব্যাখ্যা-প্রবৃদ্ধি-চাহিদা-লক্ষ্য-চেতনা-পরিব্যপ্তিকে সাম্প্রদায়িক জ্ঞান করে সেটাকে রুখে দাড়িতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এখন সচেতনভাবেই চলে । আগরবাতি-গোলাপজল-টুপি-পাঞ্জাবি-আতর বদ্ধ গন্ডি ছেড়ে সেই 'পবিত্র' ধর্ম সমাজে প্রকাশিত হয়ে 'অপবিত্র, সাম্প্রদায়িক' হয়ে ধরা দিক এটা কোন 'সত্যিকারের' ধার্মিক চাইতে পারেনা।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ধর্ম শিক্ষা বাড়ীতে, পরিবারের দায়িত্ব; স্কুলে ধর্ম সম্প্রকিত ইতিহাস থাকতে পারেবে মাত্র।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
ঝটিকা বলেছেন: কোথায় নেই সাম্প্রদায়িকতা? অঞ্চল ভিত্তিক, ভাষা ভিত্তিক, দেশ ভিত্তিক, বর্ণ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা হর হামেশা চোখে পড়ে। অফিসে/আদালত বা ভার্সিটিতে আমার এলাকার কাউকে পেলে অন্যরকম সখ্যতা গড়ে তুলি। বিদেশে দেশি ভাইএর অগ্রাধিকার। এগুলো কি সাম্প্রদায়িকতা নয়? কিন্তু শুধু মাত্র ধর্মিয় সাম্প্রদায়িকতায় গুটি কয়েকের বহুত এ্যালার্জি, যদিও আমি মনে করি বাংলাদেশে সেই অর্থে সাম্প্রদায়িকতা নেই বললেই চলে। ভিন্ন ধর্মিদের কোথাও কোন বৈষম্য করা হয় না। আর সহিংসতার কথা যদি বলি, সাধারন মুসলিমরাও তো শিবিরের হাত থেকে রক্ষা পায় না।
আসলে কিছু সুশিল চায় ধর্মকে যত পার কাটছাট করে ঈদে গোশ পোলাউ আর শবেবরাতে হালুয়া রুটিতে এনে ঠেকাও, ব্যাস তুমিও খুশি আমিও খুশি।
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ধর্ম শিক্ষা বাড়ীতে, পরিবারের দায়িত্ব; স্কুলে ধর্ম সম্প্রকিত ইতিহাস থাকতে পারেবে মাত্র। আমি যদি বলি, দুয়ে দুয়ে চার হয় তা গন্ড মুর্খ সবাই জানে অথবা সাধারন লৌকিকতা করতে সবাই পারে তাহলে স্কুলে অংক বা সামাজিক বিজ্ঞানের কি দরকার?
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আসলে কি বলতে চাইলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত...!
সেকুলার ধর্ম বলতে কিছু নেই। সবচেয়ে বড় ধর্ম হল "মানবধর্ম"। অন্যের ক্ষতি করো না বা চেয়ো না - আমি মনে করি।
পোস্টে ++++++++++++