নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন সায়াহ্নে মানবতার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭



রাস্তায় 'ভিক্ষে' করছেন ৯৯ বছর বয়স্ক ডবরি





রিক্সাচালক জয়নাল আবেদীনের কথা মনে আছে? রিক্সা চালিয়ে উপার্জিত অর্থে হাসপাতাল গড়েছেন। তারা বেঁচে আছেন বলেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়নি। অথবা যিনি ৯৯ বছর বয়স্ক? নিঃসঙ্গ । ঘৃণিত ভিক্ষাবৃত্তিকেই হয়তো পুঁজি করেছেন রাস্তায় দাড়িয়ে। ছোট একটা কাগজ বা প্লাস্টিকের গ্লাস হাতে শ্বেত-শুভ্র শ্মশ্রুমন্ডিত এক বৃদ্ধ নিরবে ঠায় দাড়িয়ে আছেন রাস্তার এক কোণে। ভিক্ষা করে এক বছরে ২০ হাজার ইউরো উপার্জনও করেছেন। এক পয়সাও নিজের জন্য রাখেননি। চার্চ, চ্যারিটি, এতিমখানায় গিয়েছে তার ভিক্ষার অর্থ।



ঘৃণিত ভিক্ষাবৃত্তির মাঝে একটা অসহায়ত্বের উপাদান আছে সেটা পড়েছিলাম হুমায়ুনের কোন এক বইতে। কেউ যখন কাজ দেয়নি, অর্থ উপার্জনের বিকল্প না পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেয়, অসুস্থ কারো ঔষধের খরচ জোগাড় করতে, নিজের জন্য এক পয়সা নয়।সত্যিকার অভাবীরা ভীষণ লজ্জা পায় হাত পাততে। মাথা নিচু করে, হাতটা সামান্য বাড়িয়ে নিরবে দাড়িয়ে থাকে।



৯৯ বছর অনেক বয়স। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমা বর্ষণের পর থেকে কানে খুব কমই শুনেন । বহু কিলোমিটার পথ হেটে শহরে গিয়ে ভিক্ষে করার মত একটা প্রবল মানসিক শক্তি লাগে। বয়সের ভারে ন্যুজ বুড়ো যখন মাথা তুলে চায় তার চাহুনিতে একটা সুগভীর অসহায়ত্ব দেখি। বার্ধক্যের ভারে ভাঙ্গা কন্ঠস্বরে শিশুসুলভ বিচলতা। প্লাস্টিকের গ্লাসে পয়সা পড়তেই নির্বিকার কৃতজ্ঞতাবোধে নড়েচড়ে দাড়ায়। বুড়ো ডবরি মাসে ৮০ ইউরো ভাতা পান, তাতেই তিনি সুখি।



আমার হঠাৎ সুদ, ঘুষ, অর্থ উপার্জনের মোহ থেকে মুক্ত হতে ইচ্ছে হয়। অপকারীর উপকার করার মত বিনয়ী হতে ইচ্ছে করে। ঘৃণা-দ্বেষমুক্ত হতে ইচ্ছে করে। সুখ আর অর্থের তাড়না মানুষকে পাপী ও উদ্ধত ছাড়া কিছু করেনা। প্রচন্ড লোভ হয় ডবরির ছেড়া, মোটা কাপড় দেখে, ভীষণ হিংসে হয় তার কাজ, স্রষ্টার প্রতি একনিষ্ঠতা দেখে, মৃত্যুর অপেক্ষা দেখে, স্রষ্টার কাছে মৃত্যুর পর দেখা করার আকুতি দেখে। নিজের পাপী মুখটাকে ডবরির মত শ্মশ্রুর আড়ালে লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।











মানবতার জন্য ভিক্ষে করাতে গ্লানি নেই।





মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

হাসিব০৭ বলেছেন: মানবতার জন্য ভিক্ষে করাতে গ্লানি নেই।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

উদাস কিশোর বলেছেন: স্যালুট এই সকল মানুষ কে ।
ওরাই মহান ।
সত্যি নিজের পাপী মুখটাকে ডবরির মত শ্মশ্রুর আড়ালে লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: একমত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.