![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
সরকার দেশপ্রেম বলতে কঠোরভাবে একটা পুস্তিকা অনুসরণ করেন। ঠিক একখানা বেদবাণী। এর ব্যতিক্রম যারা করেন, তারা সমমর্যাদা ও সমান নাগরিক অধিকার পান না। আদর্শ দিয়ে, চেতনা দিয়ে, বিশ্বাসের বাধ্যবাধকতা দিয়ে সকল নাগরিককে কীভাবে বশে আনা যায়, বাধ্য রাখা যায়?
ধরুন ৭১ এর যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল ছিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। একমাত্র দল হিসেবে তারাই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিলেন । ফলে যে নতুন দেশটির জন্ম হবে, তার দেশপ্রেমের নীতিমালাগুলো কঠোরভাবে কমিউনিস্ট ম্যানিফ্যাস্টো অনুসরণ করবে। অর্থাৎ, আপনি যদি বলেন, আপনি কমিউনিজমে বিশ্বাস করেন না, তার মানে আপনি বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন না। এটা দেশদ্রোহীতা এবং সেই অপরাধে আদালতে রুল জারি হতে পারে।
একটা ভূখন্ডে জন্মের পর সেই মাটি ও মানুষকে ভালোবাসা খুবই মৌলিক অনুভূতি এবং সহজাত। গরুও তার গোয়াল চিনে, ঘরে ফিরতে চায়। মাটিকে ভালবাসার এই সহজাত প্রবৃত্তিকে আদর্শ বা পছন্দ সাপেক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ বা কলুষিত করার প্রক্রিয়াটা শুরু হয় যখন একটা আদর্শভিত্তিক দলের হাত দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়।
৭১ এ আওয়ামীলীগ বিরোধী যে কেউ অবধারিতভাবে পাকিস্তানপন্থী ছিল। কিন্তু ২০১৪ তে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তেমনটা মনে করেনা। কিন্তু দেশকে স্বাধীন করার ঔদ্ধত্য নিয়ে এখনও আ্ওয়ামীলীগ সেটাই মনে করে। অর্থাৎ আওয়ামীলীগের দলীয় নীতিমালাই এখন দেশের সংবিধান, আওয়ামীলীগের প্রণীত ম্যানিফেস্টো বাধ্যতামূলকভাবে দেশের মানুষকে একপ্রকার দেশপ্রেমের কঠোর অনুশীলন করাচ্ছে।
মানুষ এখন বহুবিধ কারণে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। প্রথমত, আওয়ামীলীগ জাতীয় বিবেক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের পক্ষে ও সমর্থনে আছে পরাধীন একটা আদালত । দেশের মানুষ আন্দোলনপন্থী নয়, মিশর, সিরিয়ার মত জঙ্গী-সাহসী নয়। ক্ষমতা বদলে, ক্ষমতা দখলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কিছু যায় আসেনা। মানুষ এই আদালতের শাসন ও তার সরকারের ধমকিকে ভয় পায়।
শাহবাগে যেটি হয়েছে সেটা ২০-৩০ জন সাহসী যুবকের কারণে। বিষয়টি সেখানেই মুখ থুবড়ে যেত, যদি সরকার দলীয় পুলিশ লাঠি পেটা করতো, কিংবা শক্তিশালী স্বাধীন আদালত তার রায়ের প্রকাশ্য অবমাননার কারণে নিষেধাজ্ঞা বা হুমকি জারি করতো। কিন্তু তার উল্টোটাই ঘটেছে। বিতর্ক এড়াতে চাইলে বলতে হয়, সরকার নিঃস্বার্থভাবে জনগণকে শাহবাগে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগে যে জনসমুদ্র হতে পেরেছ, আদালত তার সামনে মাথা নিচু করে নিজেদের ভুল শোধরাতে পেরেছে। ঠিক নির্বাচনের আগের এক বছর সরকারের সমর্থনে এই বিপ্লবটা খুবই জরুরি ছিল।
এখানে একটা দখলদারি মানস কাজ করে। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, তাই দেশ শুধুই আমাদের । গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মত সংখ্যালঘুদের এ দেশে ঠাই নেই। ছাত্রলীগ কর্মীরা যখন ছাত্রলীগ নেতা সাদকে হত্যা করলো--সেটা ঠিক আলোচনার বিষয় নয়। শিবির নেতা হত্যা করলেই বরং সংসদে একটা নিন্দা প্রস্তাব আসতো । কারণ ছাত্রলীগের হত্যাকান্ডের লাইসেন্স/বৈধতা আছে, শিবিরের নেই । কারণ বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিবিরের স্থান ২য় বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে। সাদকে রড দিয়ে পেটানোর ভিডিও থাকলেও হয়তো জনগণের তেমন সহানুভূতি পেতনা, যেমন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছিলেন ৭১ হলো দুই কুকুরের কামড়া কামড়ি।
অথবা সাদ যদি নিরীহ, নির্দলীয় ছাত্র হতো, তার প্রতি দয়া দেখানো মানুষ কৌশলেই কমানো যেত। সাদ মুসলিম নাম। কাজেই এর সাথে দেশদ্রোহী জামাত-শিবির চক্রের সংশ্লিষ্টতা অবধারিতভাবে আনা যায়। সাদ শিবির কর্মী, তাই তার হত্যার পক্ষে অগণিত মানুষের সমর্থন ও যৌক্তিকতা মিলবে। বাংলাদেশে সে অর্থে হিন্দু হয়ে জন্মানো তাই সৌভাগ্যের, বিশ্বজিৎকে দেশদ্রোহীদের দোসর বানানো যায়নি শুধু তার ধর্ম পরিচয়ের কারণে।
এসব হত্যাকান্ডের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিধিরাম সর্দার তারেক জিয়া সাত সমুদ্র ওপারে বসে নিজের পিতৃদেবের প্রশস্তি গাইতে গিয়ে তাকে প্রথম প্রেসিডেন্ট বলে বসলো। ফিলিস্তিন যেমন আর কোন কালেই স্বাধীনতা পাবেনা, বি এন পি আর কোন কালেই ক্ষমতায় আসতে পারবেনা। ক্ষমতার লোভে আদর্শহীন যে ক'জন বি এন পিতে ভিড়েছিলেন, পাঁচ বছর হতে না হতেই দল ছাড়বেন । কাউকে দুর্নীতির দায়ে, কাউকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে (জাহিদ হোসেন প্রমুখ), কাউকে প্রথম প্রেসিডেন্ট বলায় আদালত অবমাননার দোহাই দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে। গুম চলবে, রেব বন্দুকযুদ্ধে সক্রিয় থাকবেই। জনগণ কোন কিছুর ব্যাপারেই কিছু বলতে পারবেনা। মানুষের একে তো আদালত বা গুমের ভয়, অপরদিকে বাধ্য থাকার সুবাদে পদোন্নতির লোভ ।সবার উপরে জ্বলজ্বল করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই ।
৭১ এ জামায়াতে ইসলামের কর্মকান্ডের কারণে অনেকেই ইসলাম ধর্মের উপরেই শ্রদ্ধা, আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক আক্রমণের শিকার হয়ে, সাম্প্রদায়িক ক্ষোভ বিদ্বেষ লালন করছেন মুসলিম/ইসলামিক বিষয়াদির বিরুদ্ধে। তার মাঝে মধ্যস্থতাকারীরা চিৎকার করে বলছে, "জামাতে ইসলামী আসল ইসলাম না, ইসলাম শান্তির ধর্ম ।" মুখে মেনে নিলেও অন্তরে বিদ্বেষ থেকে যাচ্ছে। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাইতে যারা দিনরাত উচ্চকন্ঠ তারা এই ফাঁসির মাঝে শুধু ন্যায়বিচারের স্বার্থ দেখেননা, মৌলবাদের মৃত্যুর স্বপ্ন দেখেন, ধর্মভিত্তিক যেকোন ব্যবস্থাপনাকে সভ্যতা ও দেশের শত্রু মনে করেন ও তা ধ্বংসের কৌশলও খুঁজেন এই ফাঁসির মাঝে। কারণ জামাতের অপকর্মের কারণ হলো ধর্মের দোহাই ও মৌলবাদ--যাকে সমূলে উচ্ছেদ করার কঠোর পণ এই ফাঁসির দাবির মাঝে সুকৌশলে উহ্য থাকে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে আওয়ামীলীগের এ সমস্ত কর্মকান্ডের কারণে কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাপারে বিতশ্রদ্ধ হয়ে যায়, ঈমানহারা বেঈমান হয়ে যায়--তার দায়টা কার? মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি এমন প্রজন্ম যখন আওয়ামীলীগের কর্মকান্ড দেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে চেষ্টা করে তখন "আওয়ামীলী মানে মুক্তিযুদ্ধ নয়" ইত্যাদি বলে কি পার পাওয়া যাবে?
সরকার একটা কাজ করতে পারেন । বেঈমান হয়ে যাওয়া তরুণ প্রজন্মকে জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করা। এতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসকারীর কপাল খুলে যেতে পারে ভিনদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে। জার্মানিতে দাউদ হায়দার, সুইডেনে তসলিমা, আমেরিকাতে রাজাকার মইনুদ্দিনরা 'সুখেই' আছেন। এসব দেশ বরং সহাবস্থানে বিশ্বাস করে, পাকি, হিন্দি, ইহুদি, আফগানি, 'পুছলিম' সবাই মানুষ পরিচয় নিয়ে সমান নাগরিক অধিকার নিয়ে শান্তিতে বাস করে।
দেশ তসলিমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিলেও, তসলিমার কি দেশে ফিরতে ইচ্ছে করেনা? পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখা নিজামী-সাঈদী কি পাকিস্তানে চলে যেতে পারতোনা? মার্কিন প্রবাসী মিনা রানী সাহার কি ইচ্ছের করেনা দেশে পিতার ভিটায় আসার? নাগরিকত্ব বাতিল বা তার আগেই নাগরিক অধিকার কেড়ে নেবার মানসিকতা থেকে কবে মুক্ত হবো? সরকার এবং তার পোষ্য আদালত ঠিক কি ধরনের নাগরিক আচরণ প্রত্যাশা করেন? কতটা বাধ্য, কি রূপে বাধ্য নাগরিক তারা চান? সেইসব বুঝবার মত জাতীয়তাবাদী জ্ঞান কি দেশে ৭০ ভাগ মানুষের আছে?
২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
মিতক্ষরা বলেছেন: জামাতের সাথে অতি সখ্যতা আর তারকের বেপরোয়া ক্ষমতার অপব্যবহারের সেই গ্লানি বিএনপিকে আজো তাড়া করছে। খালেদা এখন শারীরিক ভাবে অসমর্থ, কিন্তু তিনি ব্যতিরেকে বিএনপিতে কোন নেতৃত্ব নেই। বিলাসী জীবন ছেড়ে রাজনীতির কন্টকময় পথে হাটার কোন যোগ্যতা কিংবা মানসিকতা তারেকের নেই। বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে তাই অনেকেই শংকিত। এই দলে নিবেদিত প্রান কর্মী ও সমর্থক রয়েছে অসংখ্য, কিন্তু ভেদাভেদ ভুলে এদের সবাইকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে এসে শক্তিতে পরিনত করার মত নেতৃত্ব নেই।
নিজামীদের পাকিস্তানে যাওয়ার স্বপ্নের বিষয়ে আপনার সাথে একমত হওয়া গেল না। পাকিস্তানে যেসব রাজাকাররা ৭১ এ চলে গিয়েছিল তাদের অবস্থা সুবিধাজনক নয়। বরং বাংলাদেশে থাকা রাজাকার আল বদররা ব্যাংক ব্যবসা এসব করে সুখেই রয়েছে। সুতরাং পাকিস্তান যেতে চাইবে কোন আক্কেলে? পাগলেও নিজের ভালোটা বুঝে। বরং এই দেশে থেকে মাঝে মাঝে পাকিস্তানে গিয়ে সম্বর্ধনা নেয়াটাই বুদ্ধির পরিচয়।
০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৪০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মৃতপ্রায় কাউকে দেখে তার মরতে বসার কারণ গুলো আলোচনা করাটা বেশ এখন জনপ্রিয়। মরতে বসার দায়টা পুরোপুরি মৃতপ্রায় ব্যক্তিটির। ঘটনাচক্রে যে লোকটি তাকে তিলে তিলে হত্যা করেছে, সেই কূটকৌশলের অবতারণা তখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়।
বি এন পি নষ্ট হবার দায় জামাতের এবং তারেকের --এমন "শুভ" উপলব্ধি একমাত্র বি এন পির চির শত্রু আওয়ামীলীগের নেতাদের মুখেই শোনা যায়। এত শুভ কথামালার মাঝে আমরা পাল্টা প্রশ্ন করিনা,
"তাহলে তারেক/বি এন পির চাইতে আওয়ামীলীগ কি কম দুষ্ট-নীতি গ্রস্থ? তারেকের চাইতে জয় কি বেশি যোগ্য?"
দুষ্ট নীতির কারণে কোন দলের পতন হবার সংস্কৃতি থাকলে বাংলাদেশ বহু আগেই ভারতকে ছাড়িয়ে যেত। আসল অনুঘটক হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আফিম। দেশকে একনায়কদের মত লজ্জাহীন, বোধশক্তিহীন, বিবেকহীনভাবে চালানোর জন্য জনগণকে এই আফিম সেবন করানো দরকার ছিল।
সেই আফিমের সুপ্রভাবে আওয়ামীলীগের ২০ হাজার কোটি লোপাটের বদলে তারেকের চুরি করা ২০ কোটা টাকা ফিরিয়ে আনাটা আমাদের কাছে মুখরোচক হয়ে ওঠে।এখানে পাল্টা প্রশ্ন করা যায়না। হাসিনার অধীনে খালেদাকে নির্বাচনে যেতে বলার সুপরামর্শ দেবার আগে কেউ বলেনা, তাহলে খালেদার অধীনে নির্বাচন হলে হাসিনা কি মেনে নিবে?
____________
বাংলাদেশে থাকা রাজাকার আলবদরদের ব্যাঙ্ক-ব্যবসার অবৈধতা বলার আগে তাদের দুর্নীতির খতিয়ানটা দিলে যুক্তি-তর্কে ভাল করবেন। তারাও বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক এবং সেই কারণেই নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার বৈধ অধিকার রাখে। এবং নাগরিক হবার সুবাদেই তাদের "বাংলার মাটিতেই" বিচার করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু যুক্তি আগে আমরা জাতীয়তাবাদী আফিমের অগ্রাধিকার দেই। মুক্তিযোদ্ধা শামীম ওসমানরা সাত খুন করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিলেও তাদেরকে ঠিক দেশদ্রোহী ভাবতে পারেনা স্বাধীন বাংলার জাতীয় সংসদ।
দেশদ্রোহীতা নিরূপণের মাপকাঠী সন্ত্রাস বা দুর্নীতি নয়, এর মাপকাঠি একটা আফিম--একটা চেতনা। রাজাকারদের ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, স্কৃল, কলেজকে ঘৃণার বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধাদের রানা প্লাজা, সালমান এফ রহমান, নূর হোসেন, দখল হওয়া চর, মানুষের জমি, ঘর-বাড়ি দেখে সামান্য নিন্দা জানানো যায়।
মুক্তিযুদ্ধ যে দেখেনি, তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির এই বীভৎস রূপ দেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। যে দেশের সার্বিক কল্যাণের পক্ষে, সামনে এগিয়ে যাবার পক্ষে, সে চেতনা/ধর্ম/আফিম দিয়ে ভাল-মন্দ, পক্ষ-বিপক্ষ, শত্রু-মিত্র নির্ধরাণ করেনা।
দুঃখিত!
৩| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৮
মিতক্ষরা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লাম এবং ধন্যবাদ। অবশ্যই আপনার মন্তব্য যুক্তি সংগত কিন্তু তা অসম্পূর্ন।
আপনি লিখেছেন, "মরতে বসার দায়টা পুরোপুরি মৃতপ্রায় ব্যক্তিটির।"
আমার জবাব: "মরতে বসার দায় কার" - এই আলোচনায় অনেকের প্রসংগ আসতে পারে। মুজিবের পতনের জন্য তার নিজের দায়ভার যথেষ্ঠ ছিল বলে আমার বিশ্বাস। যদিও এমন নৃশংস হত্যাকান্ড সমর্থন যোগ্য নয়। তাই আজকের এই অবস্থার জন্য "পুরো দায়" না থাকলেও "কিছুটা দায়" বিএনপির নিজেকে নিতে হবে।
বিএনপি এই মুহুর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে ঘৃনিত একটি দল। কিন্তু এটা সত্ত্বেও আমি বলব, বিএনপিকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছি না তাদের অতীত দুর্নীতির কারনে। তারা যে সামনে ক্ষমতায় গিয়ে আবার দুর্নীতি করবে না - তার কি বিশ্বাস? অনেক মানুষ এই অনাস্থা থেকেই বিএনপির পক্ষে গনঅভ্যুথানে শরিক হয় নি। বিএনপির নেতৃত্ব ব্যর্থ, অযোগ্য এবং জনবিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় দল হিসেবে বিএনপি জনগনের কাছে নিজের দায় অস্বীকার করতে পারে না।
আপনার মন্তব্য: "সেই আফিমের সুপ্রভাবে আওয়ামীলীগের ২০ হাজার কোটি লোপাটের বদলে তারেকের চুরি করা ২০ কোটা টাকা ফিরিয়ে আনাটা আমাদের কাছে মুখরোচক হয়ে ওঠে।"
আমার জবাব: ক্ষমতাসীনরা তো সেটা করবেই। কিন্তু সাধারন মানুষ এত বোকা নয়। আপনি নিজেকেই দেখুন। একটা সময় আপনি নিজেই কি তারেকের সমালোচনা করেন নি? আজ যখন প্রতিপক্ষ দুর্নীতিতে আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে তখন "মুক্তিযুদ্ধের আফিম" আপনার কাছে একটা ভন্ডামি ব্যতিরেকে আর কিছু মনে হচ্ছে না। এটা যেন দুর্নীতি করার একটি লাইসেন্স। অথচ আগে যখন জামাত শিবিরের লোকেরা এই পয়েন্টগুলো নিয়ে কথা বলত যে মুজিব শাসন ছিল স্বাধীনতার চেতনাকে কুক্ষিগত করে লুটপাটের শাসন। তখন কিন্তু অনেকেই বিরক্ত হত। বিএনপি আমলের দুর্নীতি হয়ত অতীত, কিন্তু তা মিথ্যা নয়। বিএনপিরই দায়িত্ব হল নিজেকে সেই কালিমা থেকে মুক্ত করা। একমাত্র সেভাবেই তারা নিজেদের জনগনের কাছে আস্থাভাজন করতে পারবে।
আপনার মন্তব্য: "মুক্তিযোদ্ধা শামীম ওসমানরা সাত খুন করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিলেও তাদেরকে ঠিক দেশদ্রোহী ভাবতে পারেনা স্বাধীন বাংলার জাতীয় সংসদ। দেশদ্রোহীতা নিরূপণের মাপকাঠী সন্ত্রাস বা দুর্নীতি নয়, এর মাপকাঠি একটা আফিম--একটা চেতনা।"
আমার জবাব: শামীম ওসমান নৃশংস অপরাধী হলেও তিনি দেশদ্রোহী নন। দেশদ্রোহিতা একটি সংজ্ঞায়িত শব্দ।
রাজাকারদের চেতনাগত কিছু সমস্যা অবশ্যই রয়েছে। যার ফলে তারা যতই সৎ কিংবা ভাল মানুষ হোক না কেন, স্বাধীন দেশের সংসদে তারা অনাকাংখিত। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও না হয় একটা কথা ছিল। সংসদে যাবার মর্যাদা তারা রাখে না, যারা ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা দিবসের উপরে শ্রদ্ধা বোধ রাখে না।
বিএনপির সমস্যা হল, বিএনপি জামাতের অতি সখ্যতার কারনে বিএনপিকে ভারত বিদ্বেষী কিংবা রাজাকারপ্রিয় হবার তকমা সহ্য করতে হচ্ছে যদিও বিএনপি এর কোনটিই নয়। যার ফলে বিএনপির চূড়ান্ত সফলতা আসছে না।
২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনার দেশদ্রোহীতার সংজ্ঞা একাত্তরেই আটকে আছে তাহলে। আর সেই সাথে শামীম ওসমান বা নূর হোসেনরা নিশ্চয়ই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?
এ ধরনের শুধু ৭১ বিজোড়িত সংজ্ঞায় আমার বিশ্বাস নাই ভাই। এত খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ করাটা তাহলে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধ না।
স্বাধীন দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত বা সংসদের যাবার মর্যাদা রাখেনা---এ সমস্ত কথা বার্তা তো গণতন্ত্রের জন্য শুভ না। চেয়ারম্যান নির্বাচনে এত লাখ লাখ ভোট জামাতের পক্ষে পড়লো---তাহলে তো বলতে হয় জামাতকে যারা ভোটে দেয় তারাও অবৈধ নাগরিক--তাদের নাগরিক অধিকার নেই।
এভাবে দেশ উজাড় করতে পারেন।আপনারা যুদ্ধে জিতেছেন বলে দেশটা একান্ত আপনাদেরই থাকুক। আমি চেষ্টা করবো বাংলাদেশে না ফিরতে--পৃথিবীটা ঠায় পাবার জন্য অনেক বড় । শুধু ৭১ এর চেতনা দিয়ে যে দেশের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় --এমন সংকীর্ণ জাতীয়তাবোধের সাথে আমি মৈত্রী অনুভব করিনা।
জয় বাংলাকে (এটা পশ্চিম না পূর্ব বাংলা মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হই) মানতে হলে আমাকে আওয়ামী কুকর্মকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে হবে, দৈনিক জনকন্ঠের সাথে একাত্ম হতে হবে, শামীম ওসমানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে, ভারতকে নিঃশর্তভাবে বন্ধু রাষ্ট্র জ্ঞান করতে হবে । বিশাল দাপুটে ভারতে পেটের মাঝে বিচ্ছিন্ন একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা ভাবলে অস্বস্তি লাগে, হতাশা লাগে। এ দেশের সত্যিকারের মঙ্গল যদি চান পূর্ব আর পশ্চিম বাংলাকে এক দেশের ভিতরে নিয়ে আসতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুরু করলেই আমি হাসিনাকে দেখি, শামীম ওসমানকে চোখের সামনে দেখি। মিথ্যুক, লুটেরা, নির্লজ্জ খুনি, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের দেখি।
দুঃখিত ভাই । আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাস করলে আসলেই কারো কিছু এসে যায়না--এজন্য বাংলাদেশের বাইরে কোথাও আমার ঠায় খোজা প্রয়োজন । সেটা আপনার আমার উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক।
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: "মানুষ এখন বহুবিধ কারণে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়।"
আপনি তো প্রকাশ্য ফোরামে সরকারকে ধুয়ে দিলেন..... আপনি কি ভয় পেয়েছেন
টিভির টক শো তে সারাক্ষন শুনি (৮০% টাইমে) যে এখন নাকি কারো কোন বাক স্বাধীনতা নাই..... কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না......। উনারা যে সারাদিন এই কথা বলতে পারতেছেন, তাতে কি বুঝা যায় না যে পূর্ন বাকস্বাধীনতা আছে বলেই উনারা এত জোর গলায় বলতে পারেন যে বাক স্বাধীনতা নাই!!!
২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ভাই, যে বাক স্বাধীনতায় সরকারের ক্ষমতা খর্ব হয়না বা মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়না সেই পরিসরে বা পরিমন্ডলে অবাধ বাক স্বাধীনতার চর্চা আছে।
বর্তমান সরকারের যেহেতু কোন লজ্জাবোধ নেই --সেখানে নোবেল বিজয়ী ইউনুস বা গণফোরামের কামাল হোসেনের মত বিশিষ্টজন কিছু বললেও সরকারও পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুনিয়ে দেয়। আর টকশোর কিছু নাদান লোকের কথায় সরকারের কিছু এসে যাবে ভাবলেন কিভাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে আদালত, হে সরকার আমার যবন দেশপ্রেমকে ফিরিয়ে দে, ফিরিয়ে দে!
++++++++++++++++++++++++++++++