![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
৭১ এর পরাজিত ঘাতকদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশ। ৭৫ এর পর থেকেই দেশটি পরাজিত শক্তির জবরদখলে ছিল। ২০০৯ সাল থেকে ৭১ এর বিজয়ী শক্তির হাতে পাকাপাকিভাবে চলে আসে বাংলাদেশের শাসনের ক্ষমতা। এরপরে কোন পরাজিত শক্তির হাতে যেন দেশ বেদখল না হয়ে যায়--সেজন্য সংবিধান বদলানো হয়েছে--শাহবাগ নির্মাণ হয়েছে।
জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৭১ এর বিজয়ী শক্তিকে অন্ততকালের জন্য চেয়েছে বলেই শাহবাগে দাড়িয়েছে। শাহবাগ প্রমাণ করেছে "গণতন্ত্র" ৭১ এর বিজয়ী শক্তির পক্ষে--ফলে দলীয় স্বার্থে সংবিধান বদলিয়ে ক্ষমতায় শক্ত হয়ে বসে থেকে ৭১ এর বিজয়ী শক্তি প্রকান্তরে গণতন্ত্রেরই চর্চা করেছে। শাহবাগের কল্যাণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ৭১ এর বিজয়ী শক্তিকে আবার "গণতান্ত্রিকভাবে" সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে ।
৭১ এর মতই ২০১৪ এর নির্বাচনে বিজয়ী শক্তিকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু--ভারত। ভারত পূর্ব বাংলার বিজয়ী ও শুভ শক্তির পক্ষে থেকে পূর্ব বাংলার গণ মানুষের অশেষ কল্যাণ করেছে। সেই সাহায্যের ধারাবাহিকতায় বাংলার মাটিতে পরাজিত শক্তির বিচার হচ্ছে, পূর্ব-পশ্চিম বাঙালি জাতির দায়মুক্তি হচ্ছে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী থেকে উঠে আসা অশুভ শক্তি বি এন পিকে পুরোপুরি বিকলাঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে।
দেশ এখন এগিয়ে যাবে ৭১ এর বিজয়ী এবং শুভ শক্তির হাত ধরে। যারা ৭১ এর বিজয়ী শক্তির বিরোধিতা করেন--৫ ই জানুয়ারির বিরোধিতা করেন--তাদের বাংলার মাটিতে থাকার কোন অধিকার নেই । ৭১ এর বিজয়ী শক্তির বিরোধীতা করতে গিয়ে যারা পরাজিত শক্তির হাতকে শক্তিশালী করেছেন--তারা বাঙালি নন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াটা রাষ্ট্রীয় কর্তব্যের মাঝে দাড়ায়।
তাই দুর্নীতিবাজদের তালিকাতে শুধুমাত্র তারেক, খাম্বা মামুন, কোকো, খালেদা, বাবর, নিজামীরাই থাকবে। বাংলার মানুষ এদের দুর্নীতি বিষয়ে চর্বিত-চর্বণ করে এবং করবে বহুযুগ ধরে। কারণ ৭১ এর বিজয়ী শক্তিরা কখনও দুর্নীতি করতে পারেনা, দুর্নীতি করলেও সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ না। অথবা তাদের দুর্নীতির পিছনে একটা যুক্তি বা কার্যকারণ আছে।
পরাজিত শক্তির দুর্নীতি ও অপরাধ বিষয়ে আলোচনাটা সদা-সর্বদা সরব-সরগরম রাখাটা ৭১ এর বিজয়ী শক্তির দুর্নীতি-অনাচারকে আড়াল করার একটা সুকৌশলও বটে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়নের মোক্ষম হাতিয়ার ।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪১
মিতক্ষরা বলেছেন: দেশ এখন এগিয়ে যাবে ৭১ এর বিজয়ী এবং শুভ শক্তির হাত ধরে। যারা ৭১ এর বিজয়ী শক্তির বিরোধিতা করেন--৫ ই জানুয়ারির বিরোধিতা করেন--তাদের বাংলার মাটিতে থাকার কোন অধিকার নেই । ৭১ এর বিজয়ী শক্তির বিরোধীতা করতে গিয়ে যারা পরাজিত শক্তির হাতকে শক্তিশালী করেছেন--তারা বাঙালি নন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াটা রাষ্ট্রীয় কর্তব্যের মাঝে দাড়ায়।
চমৎকার লাগল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বৈরাচারী ....বিজয়ী শক্তিরা কখনও দুর্নীতি করতে পারেনা, দুর্নীতি করলেও সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ না। অথবা তাদের দুর্নীতির পিছনে একটা যুক্তি বা কার্যকারণ আছে।!!!!!
পরাজিত শক্তির দুর্নীতি ও অপরাধ বিষয়ে আলোচনাটা সদা-সর্বদা সরব-সরগরম রাখাটা কথিত চেতনার শক্তির দাবীদারদের দুর্নীতি-অনাচারকে আড়াল করার একটা সুকৌশলও বটে।
মুক্তিযুদ্ধের সার্বজনিন চেতনাকে দলীয় আবরনে প্যকেটজাত করে কুক্ষিগত করে রাখা "কথিত স্বার্থবাদীদের চেতনা" এখন শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়নের মোক্ষম হাতিয়ার ।
+++++