নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিলাপি, আগরবাতি আর গোলাপ জলের পবিত্র ধর্ম

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জিলাপি মনে হয় একটা ধর্মীয় মিষ্টান্ন । একটা সম্প্রদায়ের, তাই সাম্প্রদায়িক । শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ । সেখানে গোলাপ জল ছিটিয়ে দেয়া হয়, আগরবাতিরও ব্যবস্থা থাকে । আগরবাতির কি পাপ ? গোলাপ জল তো দোষ করে নাই ।





জিলাপি ভিত্তিক ধর্মাচারটা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য । 'আবহমান', 'সার্বজনীন' আর যা যা মানবতাবাদী শব্দমালা আছে তার সাথে ভালো মিলে । মানুষের রাজনৈতিক ও জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির মাঝেও সুন্দরভাবে স্থাপন করা যায় । ধর্মের নামেই করা হয় । ধর্ম যেহেতু মানুষের সৃষ্টি, মানুষকেই এই ধর্মের কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে । মানুষের ব্যবহার ও ব্যবসার জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য তো আর মানুষ না ।





কবরের কি পাপ? কবর না দিয়ে মরণোত্তর দেহ দান করলে বরং উত্তম হত । বেওয়ারিশ লাশের দুর্দিনে চিকিত্স্যা বিজ্ঞানের ভালো সাহায্য হত । তারপরেও মানুষ জমি দখল করে কবর দেয়, সেটার উপরে ঢিবি তৈরি করে ভেড়াশাহর মাজার দেয়, ওরশ করে । কোরান শরীফে চুমু দেয় । পবিত্র ধর্ম, শান্তির ধর্ম ।





ভারতবর্ষের মানুষের ধারণা মুসলিমরা হত্যা, বর্বরতা চালিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের আরবের ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছে । সেটাকে ঐতিহাসিকভাবে ভুল প্রমাণের চাইতে, ধর্মীয়ভাবে ভুল প্রমাণের বেশ তাগিদ অনুভব হয় । ইসলামের আসল, সঠিক, ব্যাখ্যা সুফিবাদে, মরমীবাদে-- আজমিরির মাজার, শাহজালালের মাজার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, সার্বজনীন হয়ে ওঠে । দলমত, নির্বিশেষে সবাই যায় ভক্তি জানিয়ে শুভ কর্ম শুরু করতে ।





এমনকি বিমানবন্দরের মত জাগতিক স্থাপনায় শাহজালালের (রা.) নাম করণে কারো ধর্মনিরপেক্ষ প্রাণ কেঁপে ওঠেনা । এই ভাবমূর্তি নির্মাণ খুবই জরুরি যে সুফিবাদ এই দেশে ইসলাম এনেছে, ওহাবী-সালাফি-খারেজি সন্ত্রাসীরা আনেনি । "আব্দুল্লাহ" উপন্যাসে যে 'পীর ব্যবসা'কে মৌলবাদ বা ধর্ম ব্যবসা বলে স্কুলের ছাত্রদের পাঠ দেয়া হত, সে পীরের মুরিদরাই আজকাল সেই পবিত্র-শান্তির ধর্মের প্রমাণ দিতে গিয়ে স্বধর্মীয় ওহাবি উগ্রবাদীদের হাতে শহীদ হচ্ছেন । মাদ্রাসার ঘৃণিত ধর্মীয় "আলেমদের" চাইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক জাতীয় দৈনিক পত্র পত্রিকা গুলোতে 'প্রকৃত' ও 'শান্তির' ধর্মের বিশেষায়িত জ্ঞান বিতরণ করছেন ।



জিলাপি, আগরবাতি, গোলাপজলের ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা গেলে খুব সহজেই ইজরায়েলের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়, কাশ্মীরে শান্তির সুবাতাস বয়, মায়ানমারে আর গণহত্যা ঘটেনা, বাবরি মসজিদ বাঁচাতে গিয়ে ৩০০০ আরবীয় সন্ত্রাসীকে মরতে হয়না, ধর্মের নামে এত রক্তপাত হয়না ।



কলংক থেকে বাঁচতে মুসলিমরা এমন ধর্মই তো চায়, নাকি ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.