![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
শামীম ওসমানের একটা জনপ্রিয় উক্তি আছে। সাংবাদিক মুন্নি সাহার উপস্থিতিতে বলেছিলেন, নবী হিজরত করেছিলেন, তাই শামীম ওসমানও পালিয়ে গিয়েছিলেন।
শীর্ষ রাজাকারাও নবীর ইতিহাস ভেবে ও মেনে এভাবে পালিয়ে যেতে পারতো। অন্তত গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করতে পারতো। অন্তত মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাসী সরকাকে ক্ষমতায় দেখে ভারতে বা পাকিস্তানে বা তাদের প্রিয় যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যেতে পারতো।
এমনটিই তো হবার কথা ছিল। "এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়" শ্লোগানের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে চিহ্নিত রাজাকাররা যদি বাংলাকে ঘৃণা করে বিদেশে চলে যেত সেটাই তাদের জন্য নিরাপদ হতো। কিন্তু রাজাকাররা থেকে গেছে তাদের আদর্শ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। পাকিস্তানকে ভালোবেসে, পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ-গণহত্যা করেও তারা পাকিস্তানকে ফেলে বাংলার মাটিতেই ফিরে এসেছে।
এই ফিরে আসার পিছে দুরভিসন্ধি কাজ করছে। তারা হয়তো এককালে তাদের প্রিয় মাটিকে পাকিস্তানের মত করে তুলতে চায়। প্রতিশোধ নিতে চায়। যেকরেই হোক গোলাম আযমরা তাদের সন্তানদের ব্রিটিশ খেদমতে আশ্রয় নেয়নি। শত্রু দেশের নাগরিকত্বের পাসপোর্ট হাতে নিয়ে যুগের পর যুগ বাংলার আলো বাতাসে থেকেছে, মানুষের নিরন্তন ঘৃণা গায়ে মেখে টিকে আছে।
রাজাকারদের এই ফিরে আসা ও পুনর্বাসন দ্বারা একটা শাপে বর হয়েছে। বাঙালি জাতি ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর্যাপ্ত রসদ পাওয়া গেছে। অথচ নাজিদের মত রাজাকাররা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকলে জাতির এই কলঙ্ক মোচনের শুভ ক্ষণে রাজাকারদের হাতের কাছে পাওয়া যেতোনা।
এমন কি শীর্ষস্থানীয় রাজাকাররা যদি শরীয়তপুর, মাদারীপুরের গ্রামে সাধারণ দিন যাপন করতো তাতেও তাদের ধরা সম্ভব ছিলনা। রাজাকারদের ধরে বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করানোর প্রসঙ্গটা আসে এবং এসেছে যখন তারা দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে। একটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, স্বাধীনতার চেতনার শত্রু বা হুমকি হিসেবে তারা পুনরায় প্রকাশমান হয়েছে --ঠিক তখনই ।
বিশেষত গোলাম আযমের নাগরিকত্ব প্রদান, নিজামী, মুজাহিদের গাড়িতে বাংলার পতাকা ওঠা এবং সাঈদীর 'ধর্ম ব্যবসা' ইত্যকার কারণে জাতির বিবেককে আলাদাভাবে নাড়া দিয়েছে। যতনা স্রেফ-সাদাসিধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, তার চাইতে বাংলার মাটিতে শত্রুদের মাথা চাড়া হিসেবে দাড়ানোটাকে দমন, তার পাশাপাশি ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থাপনাকে নিষিদ্ধ করা, কখনওবা আওয়ামী বিরোধী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পর্যদস্তু করা বিভিন্ন সুপ্ত ও অনুক্ত কার্যকারণেই বিচারটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কল্লা কাটা আই এস এস কে যদি ড্রোনের বোমার ভয় দেখিয়ে থামানো যেত অথবা রাজাকারদের ফাঁসির ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত বা পলায়ন উন্মুখ করা যেত তবে শুভ শক্তি অনেক আগেই বিজয়ী হতে পারতো। ড্রোনের বোমা বা ট্রাইবুনাল দিয়ে আমরা এমন শক্তিকে নির্মূল বা শাস্তি দিতে চাচ্ছি যারা মৃত্যুটাকে পবিত্র এবং কাম্য জ্ঞান করে এবং সেই মৃত্যুর উপর দাড়িয়ে বংশ বিস্তার করে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শুভ শক্তি যদি সীমাহীন দুর্নীতি, খুন, হত্যা, ধর্ষণে লিপ্ত না হতো, তেলের লোভে সাম্রাজ্যবাদীরা যদি আগ্রাসন না চালাতো তাহলে এইসব অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে দাড়ানোর সুযোগ পেতনা। বোমা মারবো, সন্ত্রাসী ব্রিড করবো, সে সুযোগে আবার বোমা মারবো, ফিলিস্তিনের মত 'সন্ত্রাসী'রা মরার জন্যই আবার বিপুল উদ্যোগে 'সাপের বাচ্চার' জন্ম দিবে।
পুরো ব্যাপারটিই বৃত্তের মত, অন্তহীন।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
মুদ্দাকির বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ
জিয়া জিন্দাবাদ
তারেক জিয়া জিন্দাবাদ
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কীসের মাঝে কী বললেন, ভাই?
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১১
ম.র.নি বলেছেন: স্যার, আইএসাইএস এর প্রধান এ.বি.এ বাগদাদী মোসাদ ও সি আই এ'র দ্বারা ট্রেিইন্ড।উনার আসল নাম 'সাইমন ইলিয়ট'।তাই পোস্টে মাইনাস
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৮
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আপনার প্রিয় হিটলারও ইহুদিদের সৃষ্টি---খুশি?
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
ম.র.নি বলেছেন: স্যার, আইএসাইএস এর প্রধান এ.বি.এ বাগদাদী মোসাদ ও সি আই এ'র দ্বারা ট্রেিইন্ড।উনার আসল নাম 'সাইমন ইলিয়ট'।তাই পোস্টে মাইনাস
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪
রাফা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন,পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই এরা স্বাধীনতার পর থেকেই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু তারা জানেনা মির্জাফরদের জন্য এদেশের মাটি অনুপোযুক্ত।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০
মিতক্ষরা বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ১৫ ই অগাস্ট এবং মানবতা বিরোধী ট্রাইবুনালের পর আওয়ামী লীগ কি নিয়ে রাজনীতি করবে সেইটাই চিন্তা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
ভাইটামিন বদি বলেছেন: চমতকার বলেছেন......
....কিন্তু চেতনার চাদরের তলে
......কত খেলা যে চলে!!!