![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
অফিস সকাল আটটায়। সবাই সকাল ৭:৫৫ এর মাঝে এসে হাজির। ভোর ৫ টায় উঠে নাস্তা, হাতের কাজ সেরে ১ ঘন্টা ড্রাইভ করে অফিসে এসে হাজির। কী অদ্ভুত নিয়মতান্ত্রিক পশ্চিমারা। সেহরির সময়ে ফজরের নামাযে মসজিদে যাবার পথে দেখবেন শত শত গাড়ি, মানুষ তার কর্মস্থলে যাচ্ছে। তারা তো মুসলিম না। তাদের এত সকালে না উঠলেও চলতো। এত বাড়াবাড়ি কেন করে তারা? আমি ভাবি!
মিশরীয় এক রুমমেট এক বাঙালি মুসলিমকে ফজরের নামাযের জন্য ডেকেছিল বলে সে কি তুলকালাম কান্ড! ভোর ৫ টার ঘুম কেউ যদি ভাঙ্গে খুনাখুনি হয়ে যেতে পারে, অথবা এধরনের চাকুরি করার দরকার নেই বলে সিদ্ধান্তও নিতে পারে।
আমাদের সকালে উঠতে এত আলসেমি কেন? জাতীয় সমস্যাটা কোথায়? কেন?
বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করে, রাত আটটায় রাতে খাবার খেয়ে ১০ টার মাঝে ঘুমানোর মত হয়তো মূর্খ না আমরা। আমাদের ছোটবেলা থেকে অভ্যেস ১০ টায় রাতের খাবার খেয়ে ১২ টা - ১ টার দিকে ঘুমাতে যাওয়া।
ফলে চাকুরি জীবনে এসেও সে অভ্যেস চালু থাকে। অভ্যেসবশত আমাদের আর রাতে ঘুম আসেনা। টিভির রিমোট ঘুরানোর মত অনর্থক বিনোদন বা মোবাইল বা ফেইসবুকের নেশার মাঝে কাটাতে ভাল লাগে। নির্ঘুম মুহূর্তগুলো তো বেকার কাটানো যায়না। এভাবে ঘুম আসতে আসতে রাত ১-২ টা । নিজে থেকে ঘুম না এলে ঘুমানোর চেষ্টাও করা হয়না।
আমাদের রাত জাগাটা একটা জাতীয় আলসেমি যার প্রতিকার আমরা কখনই চাইবোনা। রাতকে সজাগ থেকে উপভোগ করা মানুষগুলো ভোরবেলাকে ঘৃণা করবে এটাই তো স্বাভাবিক। তারা কখনই এই বৃত্ত হতে বের হতে চায়না।
অথবা সারা সপ্তাহ পড়ালেখা না করে (আড্ডা দিয়ে, তাস পিটিয়ে) এসাইনমেন্ট জমা দেবার বা পরীক্ষার আগের রাতে সারা রাত জেগে পড়াশোনা করার একটা ভাল কারণ দাড় করানো যায়। পরের দিন ক্লাস মিস, পরীক্ষা মিস, অফিস মিসের পক্ষে এসব কারণ গুলো চলেও আসে।
১০ টার অফিসে নিয়ম করে সাড়ে ১০ টায় যাওয়া যে একটা দুর্নীতি, অপরাধ, অন্যায়, অবৈধ উপার্জনের কারণ ---এই বোধটা অনেক বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায় একটা জাতির জন্য---যারা মিলে মিশে দেশটাকে শোষণ করার সমস্ত পন্থাকে জাতীয়ভাবে বৈধ করে নিয়েছে।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০১
মনিরুল হাসান বলেছেন: আমেরিকাতে উন্নতির একটা বড় কারণ হচ্ছে 'সময়ানুবর্তিতা'। এখানে যখন যেই কাজ যেই সময়ে আরম্ভ ও শেষ করার কথা, ঠিক সময়েই শেষ করতে হয়। আমেরিকার মানুষেরা সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠার পাশাপাশি ঘুমুতেও যায় তাড়াতাড়ি, ফলে বিদ্যুৎ খরচও হয় কম। 'ডে লাইট সেভিংস' নিয়মের কারণে গরমের দিনগুলোতে মাগরিবের নামাজ হয় (অর্থাৎ সন্ধ্যা হয়) প্রায় সাড়ে আটটা'র দিকে। অর্থাৎ, সূর্যাস্তের পর ঘরের বাতি জ্বলে দুই থেকে বড়জোর আড়াই ঘন্টা।
সকাল সকাল ঘুমাও, সকাল সকাল জেগে উঠো।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০৮
কালের সময় বলেছেন: দশটার ভিতরে ঘুমাইলে কি ভোর ৪টা ৩মিনিতে ব্লগ লেখা যাবে তারচেয়ে বরং অন্যরকম ভাবে চালাতে হবে যারা রাতে জাগার অভবাস তাদের জন্য নাইটে অফিস রাখতে হবে । তাতে মনে হয় রাস্তার যানযত কম হবে ।
লেখা ভালো হয়েছে ভাই ++++++
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , আমরা সেই অনাদিকাল থেকেই আমুদে জাতি ।
শুভ সকাল
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করে, রাত আটটায় রাতে খাবার খেয়ে ১০ টার মাঝে ঘুমানোর মত হয়তো মূর্খ না আমরা। আমাদের ছোটবেলা থেকে অভ্যেস ১০ টায় রাতের খাবার খেয়ে ১২ টা - ১ টার দিকে ঘুমাতে যাওয়া।
++++++
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরলি টু বেড আরলি টু রাইজ, মেকস এ ম্যান হেলদি ওয়েলদি এ্যান্ড ওয়াইজ। চিরন্তন সত্য কথাটা আমরা ভুলে থাকি। এই জাতির উন্নতি হবে কীভাবে?
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি রাত সাড়েঁ ১২টার আগে বিছানাতেই যেতে পারি না যদিও ভোর ৬টার মধ্যে উঠি।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:১৫
মিতক্ষরা বলেছেন: ভাই, আপনি কি চাকুরী নিয়েছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো বলেছেন!