![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
স্বপ্নে মাঝে মাঝে মনে হয়, এই দৃশ্যটা আমার পরিচিত । এর আগেও দেখেছি। যেমন গত রাতের স্বপ্নটা।
দুঃস্থ, দুর্গত, বিচ্ছিন্ন, বিধ্বস্ত এলাকার এক অন্ধকার ঘরে বসে রুটি সেকছে ৫-৭ বছরের দুটি শিশু। ক্ষুধার্ত। মায়া হলো আমার। পেছন থেকে কেউ পরিচয় করিয়ে দিল।
---এদের বাবা-মা নেই?
প্রশ্ন করলাম। মা নেই । বাবা কোথায় বলতে চাপা নিরবতা। আমাকে নিজে থেকে বুঝে নিতে হলো তার বাবা আই এস আই এসে নাম লিখিয়েছে।
---তোমরা কোন দেশের?
---ইরাকের সংখ্যালঘু সুন্নি।
আমি জানি আমার ক্রেডিট কার্ডের ফাকে ৫ ডলার আছে। দিলাম, এটা রাখো।
তারা নিতে চাইলোনা । আমেরিকার নোট তারা নিবেনা।
--কেনো? তোমাদের এখানকার মুদ্রায় ভাঙ্গিয়ে নিতে পারো । ভাল কিছু কিনে খেয়ো।
---আমাদের কাছে আমেরিকান মুদ্রা আছে, জানলে ওরা ধরে নিয়ে যাবে।
আমি হতাশ হয়ে বেরিয়ে এলাম। সব দোকানপাট বন্ধ। নিস্তব্ধ জনপদ। ভাবলাম, আমেরিকা সাদ্দামও চায়না, আই এস আই এস চায়না। তারা ইরাকের তেল খনিগুলো নিজেদের স্বার্থে রাখতে নিজেদের তাবেদার কাউকে চায়।
প্রচন্ড শব্দ হলো আকাশ থেকে। দেখি সাজোয়া যানে ভরপুর আমেরিকান হেলিকপ্টর । টহল দিচ্ছে। বোমা মারা লক্ষ্য খুজঁছে। ইরাকের মাটি আমেরিকার ঘাটি হতে পারেনা, এটা তাদের দেশ নয়। এখানের মানুষ ইতিহাস, সভ্যতা ধ্বংস হলে আমেরিকার কিছু যায় আসেনা। কিন্তু তাদের অন্তহীন যুদ্ধের কারণ ভিন্ন।
চার পাঁচজন শ্মশ্রুধারীকে দেখলাম অস্ত্র হাতে দৌড়াদৌড়ি করতে। নিরাপদ, গোপন স্থানে লুকিয়ে, হেলিকপ্টর নিশানা করতে। হাজার মাইল দূরে সাদ্দামকে সরিয়ে শিয়া-সুন্নির যুদ্ধ আমেরিকাই লাগিয়ে দিল, আবার সেই যুদ্ধে শিয়া পক্ষ নিয়ে আমেরিকা সুন্নিদের বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধ করছে। কী অদ্ভুত! যুদ্ধ হচ্ছিল হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মাঝে, সেখানে সপ্ত নৌবহর পাঠানোর দরকার কী ছিল?
খুব নিচু দিয়ে আমেরিকন হেলিকপটর উড়ে যাচ্ছে প্রচন্ড শব্দ করে। আমি আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে লাগলাম। মনে হতে থাকে এই বুঝি আমাকে দেখে ফেললো, বোমা মেরে হত্যা করবে।
পৌরাণিক আসমানি গজব আসতো ঈশ্বরের তরফ থেকে, এখন আকাশ থেকে অন্যের দেশে গজব নাজিল করে আমেরিকা, তাদের সীমাহীন লোভ, ক্রোধ, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বৈধভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য জাতি রাষ্ট্রের উপর। গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিথযশা সাংবাদিক লিখেছেন, ৪ জন ব্রিটিশ-মার্কিন নাগরিককে জবাই করাতে এই ক্ষোভ? কই সৌদী আরব তো এ বছর ৫৯ জনকে শরীয়ার নামে প্রকাশ্যে জবাই করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তো সেটার বিচার করছেনা?
আসমানি গজব নাজিলের মত বোমাবাজি করে আমেরিকা তার পছন্দমত 'সভ্যতা'র জন্য যুদ্ধ করেই যাবে।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "ইরাকের মাটি (অন্য যে কোন সার্ভভৌম দেশের মাটি )আমেরিকার ঘাটি হতে পারেনা, এটা তাদের দেশ নয়। এখানের মানুষ ইতিহাস, সভ্যতা ধ্বংস হলে আমেরিকার কিছু যায় আসেনা। কিন্তু তাদের অন্তহীন যুদ্ধের কারণ ভিন্ন।"
---"পৌরাণিক আসমানি গজব আসতো ঈশ্বরের তরফ থেকে, এখন আকাশ থেকে অন্যের দেশে গজব নাজিল করে আমেরিকা, তাদের সীমাহীন লোভ, ক্রোধ, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বৈধভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য জাতি রাষ্ট্রের উপর। গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিথযশা সাংবাদিক লিখেছেন, ৪ জন ব্রিটিশ-মার্কিন নাগরিককে জবাই করাতে এই ক্ষোভ? কই সৌদী আরব তো এ বছর ৫৯ জনকে শরীয়ার নামে প্রকাশ্যে জবাই করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তো সেটার বিচার করছেনা? "
করবে কেন- তারাতো দাসানুদাস, ক্রীতদাস.. খত দিয়ে ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে ভেকধারী... তাদের গাল চুমা খায় আম্রিকা!!! স্বার্থের চুমা...
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: ওবামা বুদ্ধিমান লোক। তিনি বুশের মত ''ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি'' না বলে বলে '' ওমুক তমুক সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি''। এতে তার মুসলিম নিধন নিয়েও সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় না। অথচ বুশের থেকে বেশি মুসলিম তিনি হত্যা করতে পেরেছেন।