নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধ্যাপক জাফর ইকবাল তাহলে বি এন পিকে কিছুটা হলেও ক্রেডিট দিচ্ছেন

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩৪

অধ্যাপক জাফর ইকবালের সাম্প্রতিক 'কিন্তু' শিরোনামের কিছু অংশ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

গোলাম আযমকে যখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল তখন সবাই মন খারাপ করেছিল। এখন কী আমরা বলতে পারি না এই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে এই দেশে থেকে যাওয়ার জন্যেই তাকে ধরে জেলখানায় রাখা সম্ভব হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি পেয়ে তাকে জেলখানায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই কলঙ্কমোচনের কাহিনি আজীবনের জন্যে লেখা হয়ে গেল!


এখান থেকে অনেক গুলো অনুসিদ্ধান্ত খুব সাদাসিধেভাবে দাড় করানো যায়।

জাতির দায়মুক্তি প্রসঙ্গ

দায়মুক্তির ব্যাপারটি অস্তিত্বে এসেছে সেই নাগরিকত্ব দানের দিনটি থেকে, একটি অপমানবোধ, ক্ষোভ, হতাশা থেকে গণ আদালত তৈরি হয়েছিল।
অর্থাৎ ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটলে গোলাম আযমদের দেশে ফেরা হতো না । ফলে ৭১ এর দায়মুক্তির প্রসঙ্গও সেখানে অপ্রয়োজনীয় ও অনুপস্থিত থাকতো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে

নাগরিকত্ব বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের দেশের ফেরার পথ রুদ্ধ করে দিবেন । ঘটনাক্রমে কোন অপরাধী ঢুকে পড়লে--"এই মুর্হূতে বাংলা ছাড়" হুংকার দিবেন ---তাহলে বিচার হবে কী করে? মেজর জিয়া পুনর্বাসিত করেছিল বলেই হাতের কাছে রুই-কাতলা শিকারের বিমলান্দ পাচ্ছে আজকে এই জাতি।

রাজাকারদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেখে হঠাৎ জাগ্রত হয় বিবেক

দীর্ঘ তালিকা করা যায়। ১৫ আগস্টের ঘটনা না ঘটলে এই তালিকা অবান্তর হয়ে যায়।

১. গোলামের নাগরিকত্ব লাভ এবং সেই কারণে নির্মূল কমিটি ও গণ আদালতের আর্বিভাব।

২. ২০০১ সালে বি এন পির সাথে রাজাকারদের রাজনৈতিক জোট এবং জোটের বিজয়ের ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির বিবেক এবং প্রতিশোধ স্পৃহা দুটোই জাগ্রত করে। যেটি আগে অনেকটাই স্তিমিত ছিল।

৩. নিজামীর মন্ত্রী হওয়া । উস্কে দেয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে । বিবেক ও দায়মুক্তি প্রসঙ্গ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠিক তখনই একটি নির্বাচনী অঙ্গীকারের বিষয় হয়ে দাড়ায়।

৪. রাজাকারদের শক্তপোক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি। এখন প্রস্তাবনা আসছে রাজাকারদের ব্যাংক বীমা বাজেয়াপ্ত করে দুঃস্থ বাঙালিদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হোক।

তার পাশাপাশি আছে শাহবাগের ব্যাপারে সরকারের সীমাহীন ধৈর্য্য ও সম্মান । সরকারের রাজনৈতিক ক্ষতি হয় এমন কিছু শাহবাগে দাড়াতে দেবার কথা নয়। মহামান্য আদালতের রায় বর্জন করার ধৃষ্টতা দেখনোর পরে আদালত সরকারের সহায়তায় উলটো নিজেকে শুধরে নেয়।

মেজর জিয়া খাল কেটে কুমীর গুলো এনেছিলেন বলেই না আজ আমরা পশু বধে নির্মল আনন্দ পাচ্ছি, দায়মুক্ত হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছি। নচেৎ ব্রিটেন, আমেরিকা, ক্যানাডার মত স্বাধীনতার শত্রুদের হাত থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভবই ছিল।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

কাহাফ বলেছেন:
ভালো বল্লেন তো।!!!

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: একটূ ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করেছেন।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মিতক্ষরা বলেছেন: কি যে বলেন! উনি কি আপনার মত নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.