![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
জন্মের সময় মুসলিম পিতার সন্তান ঔরসজাতভাবে ৫০ ভাগ ছাগুত্ব নিয়ে জন্মায়। বাকি ৫০ ভাগ ছাগুত্ব নির্ধারণ হয় তার বয়োঃপ্রাপ্তির পরে। 'কিন্তু' বলা সম্প্রদায়কে ছাগু হিসেবে সনাক্ত করার নিরীহ পরিসরে থাকেনি শব্দটি। শব্দটি ব্যাপক পরিব্যাপ্তি পেয়েছে।
আপনি অনলাইনে কোথাও কারো সন্দেহজনক (আপনার নিজস্ব দৃষ্টিতে) মন্তব্য দেখলেই 'ছাগু' শব্দটা জুড়ে দিচ্ছেন, অন্তত এটা নিশ্চিত হয়ে যে মন্তব্যকারীর নামটি মুসলিম।
কারণ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কারো পক্ষে ছাগু হওয়া অসম্ভব।
অথবা মুসলিম পরিচয়ধারীর মাঝেই একটা উপ-সম্প্রদায়ক সনাক্ত করতে চাইছেন। রীতিমত কারেন্ট জাল পেতে।
১. রাজনীতিকে অপছন্দ বা ঘৃণা করে।
২. মুক্তিযুদ্ধ বা বঙ্গবন্ধু বিষয়ক আলাপ এড়িয়ে চলে।
৩. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে নীরব, নিরপেক্ষ থাকে।
অর্থাৎ নিরব, নিরপেক্ষ, চুপচাপ শান্ত-শিষ্ট থাকা ছেলেটিও রক্ষা পাচ্ছেনা।
সেও ছাগু, অবশ্যই 'মুসলিম' বলেই ছাগু।কারণ, হিন্দুরাতো ছাগু হতে পারেনা। অথবা বলা যায় হিন্দুদের সম্প্রদায়গত অবস্থানের কারণে তারা সর্বতভাবে সবাই ডিফল্ট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং কখনই দেশদ্রোহী হতে পারেনা।
কিংবা মুসলিম পরিচয় থেকেও আপনি অ-মুসলিমদের কাছে 'ভাল' বা 'অছাগু' সনদ পেতে পারেন। তার জন্য আপনাকে কঠোর পরীক্ষ দিতে হবে । সেই পরীক্ষার বিষয়াদি শুধু মুক্তিযুদ্ধ বা যুদ্ধাপরাধ কেন্দ্রীক থাকেনা, সেটা তার গোড়া ধর্ম বিশ্বাসকেও আঘাত করে। যেমন : শাহবাগের দাবিনামা থেকেই শুরু করুন।
১. সকল প্রকার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও অর্থনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই দাবির পিছনে একটা প্রকাশ্য বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা করা হয় যে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা নিপীড়ন বা শোষণ মূলক। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলো পাকিস্তান ও জামাত।
২. মুসলিম পরিচয়ের পাশাপাশি আপনাকে পুরোপুরি বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে।
---< শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরিতে অবশ্যই যান এবং এ সংক্রান্ত বিষয়াদিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে।
---< বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিবেন।
---< শিখা চিরন্তনের সামনে দাড়িয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এক মিনিট শ্রদ্ধা জানাবেন ।
---< পয়লা বৈশাখে মুখোশ ও প্রতিকৃতি নিয়ে নববর্ষ করতেই হবে।
---< আওয়ামীলীগ অথবা বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাস করতে হবে।
এসবের ব্যত্যায় ঘটানো গোষ্ঠীটিই ছাগু । নিরব, নিস্ক্রিয় থাকলেও ছাগু। ছাগুদের পরাজিত করেই মানুষেরা বাংলার মাটিকে নিজেদের দখলে নিয়েছে সেই ১৯৭১ সালেই, কাজেই ছাগু গোষ্ঠীর বাংলার মাটিতে থাকার কোন অধিকার থাকতে পারেনা।
কাজেই পয়েলা বৈশাখ এলে কাওমী মাদ্রাসাতে গিয়ে তদন্ত করি তারা জাতীয় সঙ্গীত গাইছে কিনা, নববর্ষ পালন করছে কিনা । তাবলীগ করা দাড়িওয়ালাকে প্রশ্ন করি তিনি শহীদ মিনারে কেন ফুল দিতে যাননা, বা মানুষকের আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণের ব্যাপারে তার মতামত কি? অথবা বঙ্গবন্ধুকে মোনাজাতে জাতির জনক না বলায় মসজিদের মৌলানাকে বরখাস্থ করার পুরো অধিকার রাখি।
ফলে ছাগুত্ব আর জামাত-শিবির পাড়ায় সীমাবন্ধ থাকেনা। সেটাকে ইসলামী মৌলবাদ বা ধর্মাচারের বিপরীতে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে দ্বন্দ্বমূলক সাম্প্রদায়িক গালিতে পরিণত করা হয়।
কলকাতায় পালিয়ে যাওয়া মানুষটি হয়তো কলকাতার মতই একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন--যেখানে প্রকাশ্যে গরু জবাই হবেনা। প্রতিটি মানুষ পিতৃপুরুষের ধর্ম ভিত্তিক পরিচয়, সংস্কৃতির সাথেই বেশি সখ্যতা অনুভব করেন। সবারই সে স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা ধর্মনিপরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তির হাতেও যখন হিন্দুধর্মালম্বীরা অনিরাপদ ---তখন সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেও উড়িয়ে দেয়া যায়না।
কিন্তু বিশ্বাসের ভিত্তিতে এই গালাগালি বা দেশের মাটি বা সংস্কৃতির উপর দখলদারিত্ব কায়েম করাটা ঠিক প্রগতিশীল চর্চা না। ছাগু গালি দেবার পিছনে একজন সরকার দলীয় সমর্থকের যেমন রাজনৈতিক ক্ষোভ থাকে, তেমনি সাম্প্রদায়িকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত কারো মনে থাকে পাল্টা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা।
চুপচাপ, নিরপেক্ষ, নীবর থেকেও মুক্তি মিলছেনা, আপনাকে সরাসরি একটা পক্ষ নিয়ে এই সাম্প্রদায়িক যুদ্ধে নামতে হবে।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬
ল্যাটিচুড বলেছেন: এরকম পোষ্ট আপনাকে ছাগু উপাধী পেতে যথেষ্ট সহায়তা করবে
(কথায় আছে - দুষ্ট শুনেনা ধর্মের কথা)
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ভাই আপনি যা ভাবছেন ব্যাপারটা সেরকম নয়। ছাগু বলা হয় কেবলমাত্র জামায়াত-শিবির ভাবাপন্ন বা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্লগারদেরকে। ঢালাওভাবে সব মুসলিমকে ছাগু বলা হয়না। এর একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আছে।
ছাগল একটা নিরীহ প্রাণী। কিন্তু একজন মানুষ যখন আরেকজনকে ছাগল বলে গালি দেয়, তার মানে ধরা হয়, যাকে গালি দেওয়া হল, সে অনেকটা নির্বোধ, মূর্খ, বোকা, অপদার্থ ইত্যাদি। এ ধরণের পরিচিতি যে কোন মানুষের জন্যই কিছুটা অবমানকর এবং লজ্জাশকর।
জামায়াতি ব্লগাররা একটু চেপে চেপে থাকে। তার নিজেদেরকে জামায়াত সমর্থক পরিচয় দিতে ভয় পায়। কারণ চেতনাধারী ব্লগাররা যদি একবার জেনে যায় যে তার প্রতিপক্ষ জামায়াতি, তখন তারা স্ট্র্যাটেজী চেঞ্জ করে ফেলে। কোন রকম যুক্তির ধারে কাছে না গিয়ে সরাসরি ছাগু ডাকা শুরু করে এবং সেইসঙ্গে বর্ষণ করতে থাকে নানা ধরণের অশ্রাব্য স্ল্যাং। ফলশ্রুতিতে ঐ জামায়াতি ব্লগার আর টিকতে না পেরে রনে ভঙ্গ দেয়।
একবার কাউকে 'ছাগু' ট্যাগ দেওয়া মানে প্রকারান্তরে এটা বুঝানো, 'তোর কথা আর কি শুনব, তুই তো ছাগু', 'যা ফাকিস্তান গিয়ে ম্যা ম্যা কর' বা 'এই নে তোর জন্য কচি কাঁঠালপাতা' বলে কাঁঠালপাতা আর ছাগলের হাস্যকর ছবি এটাচ করে প্রতিপক্ষ ব্লগারকে মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত করে ফেলার স্ট্রাটেজী নেওয়া হয়, যাতে ঐ ব্লগার কোন উপায়ান্তর না দেখে ব্লগ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩২
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: লেখাটা আবার পড়ুন । ছোট লেখা, বেশি কথা নাই।
সব মুসলিমদের কথা বলা হচ্ছেনা। মুসলিমদের মাঝে যারা গোড়া বা রক্ষণশীল তাদেরও ছাগু তালিকাভুক্ত করা হয় বা যায়। নিজের অ-ছাগু স্ট্যাটাস অক্ষুন্ন রাখতে কি কি করতে হয়, তারও তালিকা দেয়া হয়েছে।
আট বছর ধরে ব্লগ দেখছি, কোথায় কাকে কী প্রেক্ষিত কী বলা হতো আর আজকে/এখন কি বলা হয়--তার পর্যবেক্ষণটা নেহায়েত খারাপ না আমার।
পরিশেষে বলি ছাগু শব্দটা এখন প্রকাশ্যে, স্বনামে ফেইসবুকে স্রেফ একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই করা হয়। ব্লগ থেকে ভাগানো, বা মানসিক আক্রমণ না । এর পিছনে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ক্রোধটা উপেক্ষা করলে ভুল করবো।
পরিশেষে বলি< ছাগু শ্দ
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আপনার কারেন্ট জালে আটকা পড়েছি। এখন আমার করণীয় কিছু আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০০
কাহাফ বলেছেন:
তথাকথিত এই সব চেতনার গুষ্ঠিমারী!!!