নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি? প্রচুর মুভি দেখি, পজিটিভ ক্যারেক্টারকে সাপোর্ট করি, ভূল করলে স্বীকার করি, তথ্য জানতে ভালবাসি, সবকিছুতেই ইন্টারেস্ট আছে, নিউট্রাল ওপিনিওন দেই। কিন্তু ৯৯% চান্স আপনি আমার লজিকে অফেন্ডেড হবেন!

BM Khalid Hasan

পৃথিবীটা সার্ভাইবারদের জন্য, তাই বুলিং ও হিউমিলিয়েশন ওভারকাম করলাম। গ্রাজুয়েশন করে ক্রিয়েটিভ রাইটার, ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর-সিনেমাটোগ্রাফার এবং শো উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। পারকৌর ও ফাইট করা হবি।

BM Khalid Hasan › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইক এক্সিডেন্টে কিশোরদের মৃত্যুর কারণ কি?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬



“মা বাবাকে বাধ্য করে কেনা বাইকে কেড়ে নিলো দুই বন্ধুর প্রাণ”, প্রতিদিনই নিউজ সাইট স্ক্রোল করে এরকম একটা শিরোনাম দেখি। প্রায়ই দেখা যায় বাবা-মা সন্তানের জেদ ও আবদারের কারণে বাইক কিনে দেয়। আর এই বাইক নিয়ে তারা পাবলিক প্লেসে স্টান্ট করে, অন্য গাড়ির সাথে রেসিং করে! চলুন এসবের কারণ জেনে নিই।

বখাটে টিনেজারদের বাবা মা কেন বাইক কিনে দেয়?
বর্তমান জেনারেশনের বাবা মায়েরা হয় চাকুরি করে, না হয় নতুন ইন্টারনেট চালানো শিখে ফেসবুক-টিকটকে ব্যস্ত থাকে। শিশু কিশোররাও নিজেরা সময় কাটায়। এরা একটু বড় হয়ে সঙ্গদোষে জোরে বাইক চালানো, ইভ টিজিং এসবকে কুল মনে করে। নিজের দামী বাইক , দামী ফোন দিয়ে শো অফ করাকে জীবনের অর্জন মনে করে। বাবা-মা দেখে নিজেদের কাজের ভিড়ে সন্তানকে কন্ট্রোল করতে পাচ্ছে না, তাই সাময়িক ঠান্ডা করতে বাইক কিনে দেবার মত আবদার মেনে নেয়।

কেন অল্প বয়সে বাইক কিনে দেওয়া কেন ভূল?
একজন টিনেজারের কেন বাইক লাগবে? সে কি কোথাও জরুরি কাজে যাচ্ছে নাকি শুধুই বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে পেট্রোল খরচ করছে? এগুলো বাবা মায়ের দেখা উচিৎ। এটা বলছি না যে বাইক কেনা যাবেনা! ইটস ইওর মানি, ইওর চয়েস! রাইট? আর দেশের আইন যদি কিশোরদের বাইক চালানোকে সমস্যা মনে না করে আমি বলার কে!

আমি সমালোচনা করছি কারণ যে বয়সে টিনেজারদের বাইক দেওয়া হয় ওই বয়সে আমাদের জীবনধর্মী চিন্তাভাবনার মত ব্রেইন থাকেনা। বিভিন্ন রেকলেস কাজ করে নিজেকে হিরো মনে হয়। অন্যরা যেটা ভয় পায় সেটা করে নিজেকে এক্সপার্ট দেখানোর মত সাইকলোজি ভর করে। যেটা নিষেধ করা হয় সেটা বেশি করা হয়।

আমাদের বন্ধুদের বাবা মা ও বাইক চালানো যেরকম ছিল
উত্তরাতে অফিস করার সময় প্রায়ই দেখি আবাসিক এরিয়ার চাপা রোডে টিনেজাররা বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছে। নিজের জীবনের পাশাপাশি আমাদের জীবনও তারা রিস্কে ফেলছে। আমার বন্ধুদের অনেকেই কিশোর বয়স থেকে বাইক চালায়। কিন্তু তারা নিয়ম মেনে চালায় আর জীবন যাত্রা সহজ করার জন্য বাইক কিনেছে। তাদের কখনো চশমা পরে রাস্তাঘাটে রেস করে বাইক চালাতে দেখিনি, কারণ তাদের বাবা মা কিভাবে চলতে হবে সেই নৈতিক শিক্ষা দিয়েছিল।

আমি কি বাইক হেটার, তাই টিনেজারদের বাইক চালানোর বিপক্ষে?
মোটেও না। আমি বাইক খুব পছন্দ করি। কিন্তু কখনো কখনো বন্ধুদের দেখাদেখি বাবা মায়ের কাছে বাইকের জেদ করিনি। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাইক কেনার মত নয় এটা ছোটবেলা থেকে বুঝাতে সক্ষম ছিল প্যারেন্টস । বাবা মায়ের উচিৎ ছোটবেলায় বাচ্চাকে সময় দেওয়া। তার মাঝে নৈতিক গুণাবলীর শিক্ষা দিয়ে কোনটা দরকারি আর কোনটা দরকারি না এটা বুঝানো।

আমারও বাইক কেনার ইচ্ছে আছে, তবে বাবা মাকে এমোশোনালি হার্ট করে নয়। যেদিন নিজে এফোর্ড করতে পারবো সেইদিন কিনবো, আর রেস বা স্টান্ট করতে হলে রেস ট্রাকে গিয়ে করবো। পৃথিবীতে কিছুই খারাপ না যদি আপনি ব্যবহার জানেন, ব্যবহার করার মত বয়স হয় এবং আশেপাশের সিচুয়েশন বুঝেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

নতুন বলেছেন: বাবা মায়েরা সন্তানের সাথে সময় দিলে তারা অন্যায় খুবই কম করে।

একটা দালানের ভীত মজবুত না হলে বড় হলে সেই দালানে সমস্যা আসবেই।

বাইক বা যে কোন যানবাহন চালানোর আগে ঠিক মতন শিক্ষা নিয়ে লাইসেন্স নিয়ে চালানো উচিত।

ঠিক মতন বাইক চালানো না শিখে, হেলমেট না পড়ে, রাস্তায় দূঘটনায় আক্রন্ত হবেই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

BM Khalid Hasan বলেছেন: এক্স্যাক্টলি এই বিষয়টাই। দেখা যায় একটা সোসাইটিতে যে বাবা মা এত বেশি কেয়ার করে যে বাচ্চা নিজের থেকে পড়ে গেলে উঠে দাড়ানোও শেখে না! আরেকটা সোসাইটিতে বাচ্চা কই গেলো কি করলো খোঁজই রাখেনা। সুস্থ জীবন গড়তে হলে একই সাথে দৃঢ় হতে হবে, আবার সুচিন্তাকারী হতে হবে। আর বাবা মা ছোটবেলা থেকেই গাইড করলে সেটা সম্ভব। একটা বয়স পর্যন্ত গাইড করলে এরপর বাচ্চার গুড সেন্স তৈরি হবেই। ভাল মন্দের তফাতটা জানানো দরকার।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

BM Khalid Hasan বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শায়মা বলেছেন: কিশোরদের এই লেখা পড়ানো উচিৎ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

BM Khalid Hasan বলেছেন: শিশু থেকে কিশোর হবার সময় সবার লাইফে এমন একজন মানুষ দরকার যে উচিৎ অনুচিৎ বোঝাতে পারবে। বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা ফিলসপিকাল কথাবার্তা বলতে সংকোচ পাই, বাবা মায়ের সাথে ফ্রি না। এজন্য অনেক কিছু আছে নিজের মাথায় ক্লিক না খেলে শেখার চান্স জিরো পারসেন্ট।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমি আমার প্রথম বাইক নিজের টাকায় কিনেছিলাম। আমরা মনে হয় একটা বয়স হলে যেখানে দায়িত্ব কি সেটা বোঝার পর বাইক চালানো উচিত। টিনেজদের এটার অভাব। বয়সের কারণে এসব হয়ে থাকে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২১

BM Khalid Hasan বলেছেন: আমি যখন ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে, কয়েকজন মিলে চ্যারিটি চালাতাম। বস্তির বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দিতাম। আবার ছেলেমেয়েরা মিলে ফ্রিলি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতাম। অথচ তিন বছর পর যারা ফার্স্ট ইয়ারে এলো দেখলাম বাইকে জোরে হর্ন দেওয়া, মেয়েদের মেসেজ করে পাত্তা না পেলে টাকা পয়সার ভাব দেখানো, “ আমাকে চিনোস” টাইপের এটিচিউড দেখানো এগুলো করতো। এরা কোনো প্রোগ্রামে থাকতো না! খুবই অবাক হলাম যে সেম বয়সে আমাদের ব্যাচের সাথে ম্যাক্সিমাম ছাত্রের চিন্তা ও চরিত্র সম্পূর্ণ আকাশ পাতাল তফাত। এই বয়সেই যদি একটা এডাল্ট ছেলে ভাল খারাপ কাজ বোঝার বিবেক না থাকে, কিশোরার কিভাবে বুঝবে বলেন!

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স কত?

আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী 18 বছর বয়স পর্যন্ত যে কোন মানুষ শিশু থাকে।
18 বছর পার হলে সে ভোটাধিকার প্রাপ্ত হয় এবং যুবক হয়ে যায় এবং লাইসেন্সটাও সম্ভবত এই বয়সে পায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

BM Khalid Hasan বলেছেন: বাইকবিডি এর তথ্যমতে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। কিন্তু রাস্তায় ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা কিভাবে আর-ওয়ান-ফাইভ এর মত বড় বড় বাইক চালাচ্ছে? সম্ভবত তিনটা কারণে। ১। অভিভাবকদের নামে লাইসেন্স করেছে। ২। শক্ত ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে আইন শৃংখলা কর্মীরা লোকালদের কিছু বলে না। ৩। কোনো একটা আইনের ফাকফোকর কাজে লাগিয়ে শিক্ষণবীশ লাইসেন্স নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.