নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমন কিছু লিখতে চাই যা পড়ার উপযোগী, অথবা এমন কিছু করতে চাই যা লেখার উপযোগী

দূর-পরবাসী

দূর-পরবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্প, আমেরিকা এবং মুসলিম

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

আমেরিকার বুড়ো ঘোড়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ( আমার রিপাব্লিকান প্রফেসরের ভাষায় বিগ মাউথ) ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষনা দিলেন, মুসলিম এবং আমেরিকার মাঝে সমস্যা আইডেন্টিফাই না হওয়া পর্যন্ত মুসলিমদের সাময়িকভাবে আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করা উচিত ! এটা নিয়ে আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে !!! এমনকি নেতানিয়াহুর মত লোক ট্রাম্পকে সবক দিচ্ছে মুসলিমদের সম্মান করার জন্য ( কেয়া বাত হ্যায়,ভাইলোগ তালিয়া বাজাও) !!!
আসেন আমরা একটু ঊল্টাভাবে চিন্তা করি !!!!
ট্রাম্প বলেছেন, " আমাদের পলিটিক্যালি কারেক্ট হবার সময় শেষ এন্ড লেটস ফাইন্ড আউট হোয়াট দা হেল ইজ গোয়িং অন বিটুইন আমেরিকা এন্ড মুসলিমস " ।
এই কথাখানি যে কত মহামুল্যবান, এটা মোটা মাথার মুসলিমদের বুঝতে আরো ১০০ বছর সময় লাগবে! আমার মতে ট্রাম্প এটাই বলতে চাচ্ছিলেন, ঊই আর নট অ্যাগেন্সট মুসলিম বলে বুশের ইরাক, আফগানিস্থানে গনহত্যা, ওবামার মুসলিমস আর আনডিভাইজিবল পার্ট অব আমেরিকা বলে মধ্যপ্রাচ্যে অন্তহীন যুদ্ধের প্রনোদনা যোগানো, মিশরে নিষ্ঠূর সেনা অভ্যূত্থানকে বৈধতা দেওয়া, সারা পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশে দেশে জংগী উত্থানে মদদ দিয়ে একই সাথে আবার মুসলিমদের সাথে নিয়ে হোয়াইট হাঊজে স্বাড়ম্বরে ইফতার পার্টি করা, এইগুলা হচ্ছে পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়া !!! এবং ট্রাম্প এগুলোর সমাধান করতে চেয়েছেন ( মনে অন্য কিছু থাকলেও মুখে এটাই বলতে চেয়েছেন ) !!!
তবে আসল কথা হচ্ছে, মুসলিম এবং আমেরিকার মাঝে আসলেই সমস্যা চলছে, কেঊ স্বীকার করুক বা না করুক অথবা অ্যাভয়েড করুক, ইট ইজ আ ফ্যাক্ট, দেয়ার ইজ আ প্রব্লেম আঊট দেয়ার !!!! হিলারিরা যতই এটাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেস্টা চালাক, সমস্যার সমাধান হবে না !!! এক বড় ভাই সেদিন বলছিলেন, তিনি মিজৌরীতে এক চেইন রেস্টুরেন্টে কাজ করার সময় এক ইয়েমেনী ওনার সাথে কাজ করতো। কথায় কথায় সেই লোক একদিন বলতেছিল সে বছরে তিন ঈদ পালন করে , দুই ঈদ আর নাইন-ইলেভেন !! এক আমেরিকান ঘটনাক্রমে তার কথা শুনে ফেলে এবং সাথে সাথে এফবিআইকে খবর দিয়ে দেয়। এফবিআই ওই লোককে ধরে নিয়ে ড্রাগ কেইসে ফাঁসিয়ে দেয়। পরে তাকে দুটো অপশন দেয়া হয়ঃ হয় দশ বছর জেল অথবা ইয়েমেনে ডিপোর্টেশন যদিও সে সিটিজেন। অথচ নাইন-ইলেভেনের আগে দুই ঈদের দিন পুরো আমেরিকায় সরকারী ছুটি ঘোষনা প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। ধরলাম এটা সিআইএরই একটা চাল ছিলো, কিন্তু হামলা যারা করেছিল তারা তো সৌদিয়ান মুসলিম !! আমার মনে আছে, আমেরিকা যখন আফগানিস্থান হামলা করে, বাংলাদেশে তখন মোল্লা ওমর-লাদেনদের কিভাবে হিরো বানানো হয়েছিলো !!! আমি নিজেও একটা লাদেন-মোল্লা ওমরের ছবি সংবলিত ক্যালেন্ডার ঘরে টানাই, যদিও আব্বু ওটা ছিঁড়ে ফেলে। আমি তখন ক্লাস সেভেনের ছাত্র।আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি সারা পৃথিবীর ৯৯% মুসলিম আমেরিকাকে পছন্দ করে না, যদিও আমেরিকায় এসে নিজে ভাগ্য পরিবর্তন করতে কোন সমস্যা নেই।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নারদিনোতে নির্বিচারে গুলি চালনাকারিদের দু'জন মুসলিম কাপল সনাক্ত হওয়ার পর তামাম অ্যাামেরিকান মুসলিমদের বুক ধড়পড় শুরু হয়ে যায় !! এই বুঝি পুলিশ এসে ধরবে, সাদারা বাড়িতে ,রাস্তাঘাটে হামলে পড়বে ! সবাই ব্যাপক প্যানিকড !!!! এখানকার মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা নিজেদের আগে মুসলিম ভাবে, আমেরিকান ভাবে না ! মানে দেশের চাইতে জাতি বড় ! ঠিক বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির মত !!!
যে কারনে মুসলিমরা চরম কুপমন্ডুকতার মাঝে আবদ্ধ !!! কেঊ সাদাদের অনুসরন করতে যেয়ে নিজের সবকিছু বিসর্যন দিয়ে কাকের ময়ুরপুচ্ছ ধারন করে আবার কেঊ নিজেকে একেবারে সামাজিকতার বাইরে নিয়ে যায় ! সবচেয়ে বড় কথা, এরা এ দেশেরই খেয়ে পরে, সরকারের দেওয়া সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পরেও এ দেশকেই নিজেদের চরম দুশমন মনে করে! যে কারনে এ দেশের বাসিন্দা হয়েও এ দেশকে মাতৃভূমি ভাবতে পারে না , এ দেশকে ওন করে না !!!!

মুসলিম স্কলারগন( মুসলিম রাস্ট্রপ্রধানরা বেশিরভাগই ক্ষমতালোলুপ আর সাম্রাজ্যবাদের পা-চাটা কুকুর, হোক আঞ্চলিক কিংবা গ্লোবাল তারা বাদে ) এটা নিয়ে গভীরভাবে এম্পিরিক্যাল স্টাডি চালানো এবং এটা নিয়ে উচ্চকিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি !!!

(বিঃদ্রঃ আমি কোনভাবেই আমেরিকায় মুসলিম প্রবেশ বন্ধ করার পক্ষে নই, তবে আমি চাই এই মিসট্রাস্ট নিয়ে রেকন্সিলিয়েশনের চেস্টা করা হোক বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে !!!!)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: এখানকার মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা নিজেদের আগে মুসলিম ভাবে, আমেরিকান ভাবে না এই কথাটায় আমার আপত্তি আছে। আমেরিকার লিবারাল ভ্যালু এর সাথে পলিটিকালি সবাই অনুগত থাকতে বাধ্য। কিন্তু একজন মুসলিম থিওলজিকালি অনেক ভ্যালু কোনভাবেই এপ্রিশিয়েট করতে পারে না। যেমন - সেইম সেক্স ম্যারেজ। কেউ সেইম সেক্স ম্যারেজ একশটা করুক তাতে পলিটিকালি কোন মুসলিম এর কিছুই বলার নাই, কিন্তু কেউ যদি আমারে জিজ্ঞাসা করে সেইম সেক্স ম্যারেজ নিয়ে তুমি কি ভাব আমি তারে স্ট্রেইট বলব, আমার রিলিজিওন এইটাকে কখনই সাপোর্ট করে না। আরো সহজ উদাহরণ দেই - একটা পার্টিতে কোন মুসলিম যদি রিলিজিয়াস কারণে এলকোহল না খায়, তাহলে সেখানে কোন সাদা যদি অফেন্ডেড হয় তাইলে সেইটা তার প্রবলেম। এইখানে মুসলিম হিসেবে আমার কিছু করার নাই। আমাদের সমস্যা হইল আমরা নিজেদের আইডেন্টিটি ঠিক মত ধরে রাখতে পারি নাই। আপনি কি মনে করেন না, গুগল এ সার্চ দিলে অন্তত এইটুকু জানা যায় না যে, একজন মুসলিম এর আইডেন্টিটি কি,সে কি করতে পারে আর না পারে। আমরা আমাদের আইডেন্টিটিকে ধরে রাখি নাই বলে আমাদের বেসিক জিনিস নিয়ে আমাদের র‍্যাডিকেলাইজ করা হইতেছে। যেমন - আমেরিকায় কোন হিজাবী, কিংবা কোন দাড়িওয়ালা কাউকে দেখলে এখন বাকা চোখে দেখা হয়। অথচ হিজাব একটা বেসিক এবং মাস্ট রিকোয়ারমেন্ট ফর এ মুসলিম ওমেন। আমরা সেইটা ধরে রাখি নাই বলে, এখন সেই জিনিস নিয়ে এরা র‍্যাডিকেলাইজ করতেছে। এবং মুসলিম মাথা মোটা মহিলা গুলা আবার বড় গলায় নিজেদের না মানাটারে জাস্টিফাই করার জন্য বলে, ইউ নো উই আর নট দ্যাট টাইপ অফ এক্সট্রিম মুসলিম, উই আর মডারেট মুসলিম। দুই দিন পর বিকিনি পইরা ঘুরার সময় কইব ইউ নো উই আর মডারেট মুসলিম ওমেন্স। তখন দেখা যাইব, যেই মেয়েটা হিজাব ছাড়া শালীন পোশাক পইড়া ঘুইরা বেড়াইতেছে, সেই পোশাক নিয়ে র‍্যাডিকেলাইজ করবে। আমরা নিজেদের কবর নিজেরাই খুড়ছি।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন:


//এখানকার মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা নিজেদের আগে মুসলিম ভাবে, আমেরিকান ভাবে না ! মানে দেশের চাইতে জাতি বড় ! ঠিক বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির মত !!!//

/আপনার এ মন্তব্যের পর আমার একটা কৌতুহলঃ আমেরিকায় বসবাসকারী ইহুদীরা নিজেদের কি ভাবে? আগে আমেরিকান তারপর ইহুদী নাকি উল্টোটা? যদি উল্টোটা হয়ে থাকে, আমেরিকান মুসলিমরা আগে নিজেদের মুসলিম ভেবে কি দোষ করলো?

/জামাতে ইসলামীর মতো কি কি নৃশংস গনহত্যা আমেরিকান মুসলিমরা আমেরিকার মাটিতে চালিয়েছিল? যেহেতু জামাতে ইসলামীর সাথে তুলনা করলেন তাই প্রাসঙ্গিকভাবেই এই প্রশ্নটা এলো?

/কোন মুসলিম যদি ইসলামী values ঠিকমতো মেনে চলে তাহলে তা আমেরিকান কোন কোন values এর সাথে সাংঘর্ষিক হবে? না হয়ে থাকলে সমস্যা কোথায়?

/প্রতি বছর স্কুল কলেজ বা জনসমাগম হয় এমন জায়গায় কতো মানুষকেই নির্বিচারে গুলি করে মারা হয়। কিন্তু তার পরও american gun culture এর কোন পরিবর্তন হয় না। বছর পেরোতে না পেরোতেই সেখানকার আম-জনতা স্রেফ ভুলে যায়। কিন্তু এবার তারা ভুলছে না। কারন এবার গুলি ছুড়েছে মুসলমান। মুসলিমরা গুলি ছুড়লেই দোষ। মুসলিমদের ছোড়া গুলির একটা ধর্মীয় পরিচয় দেয়ার জন্য সেখানকার গনযোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় কি তোলপাড় অবস্থা। এখন আমেরিকানরা কি করবে? তারা কি তাদের gun culture এ কোন পরিবর্তন (যেমন gun সংগ্রহের সহজলভ্যতা আম-জনতার জন্য আর থাকবে না) আনবে? নাকি শুধু মুসলমান বাদে বাকি সবাই আগের মতোই gun সংগ্রহ করতে পারবে? সেক্ষেত্রে তা আবার হিপোক্রিসি হয়ে যায়। Either way আমেরিকানরা কি তাদের values সমুন্নত রাখবে? আসলে হিপোক্রিসিটাও তো part of American Values.

/ " সবচেয়ে বড় কথা, এরা এ দেশেরই খেয়ে পরে, সরকারের দেওয়া সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করার পরেও এ দেশকেই নিজেদের চরম দুশমন মনে করে! যে কারনে এ দেশের বাসিন্দা হয়েও এ দেশকে মাতৃভূমি ভাবতে পারে না , এ দেশকে ওন করে না !!!!"

আপনার করা উপরে ঐ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার কথা হলো আমেরিকান শাসকগোষ্ঠী দেশে আপামর সবার জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে। কিন্তু আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি? (অন্তত মুসলমানদের ব্যাপারে) লাগামহীন নীতিহীনতাই তাদের পররাষ্ট্রনীতি। তাদের এই দ্বৈতনীতি কি সেখানকার মুসলমানদের জীবনযাত্রা কি কঠিন করে দিচ্ছে না? শুধু একটু কল্পনা করি যে আমেরিকান সরকার ইসরায়েলি রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কিছু একটা করলো তখন আমেরিকান ইহুদীরা নিশ্চয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে না। The American Israel Public Affairs Committee (AIPAC) তখন কি করবে সেটা আমার মনে হয় না কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কল্পনাও করতে চাইবেন।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

বাংলার জামিনদার বলেছেন: আমেরিকায় থাকতে হলে আমেরিকান হতে হবে, না হলে ওখানে যাবার দরকার নাই। সোজা হিসাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.