![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একটি পুরনো বাড়ির আত্মকথা, যেখানে বাড়িটি নিজেই তার অতীত, বর্তমান এবং অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে। এই ধরনের রচনায়, বাড়িটি তার জীবনের গল্প বলে, যেখানে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন, মানুষের আনাগোনা, আনন্দ-বেদনা, এবং ধ্বংসের সম্মুখীন হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হয়।
এমন একটি পুরনো বাড়ির আত্মকথায় যা থাকতে পারে-
বাড়ির বর্ণনা। অর্থাৎ বাড়িটি দেখতে কেমন, তার নির্মাণশৈলী, ব্যবহৃত উপকরণ, এবং কতদিনের পুরনো, ইত্যাদি।
থাকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট- বাড়িটি কোন সময়কালে নির্মিত হয়েছিল এবং সেই সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট। বর্ননা থাকবে বাড়ির বাসিন্দাদের কথা।
বাড়িটিতে যারা বসবাস করতেন, তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, এবং জীবনের গল্প। সময়ের সাথে সাথে বাড়ির পরিবর্তন, সংস্কার, এবং নতুন প্রজন্মের আগমন। থাকবে ধ্বংসের চিত্র। বাড়িটির জীর্ণ অবস্থা এবং মানুষের অবহেলা। সব শেষে আবেগ ও নস্টালজিয়া। পুরনো বাড়ির প্রতি মানুষের মায়া, মমতা, এবং ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ। এগুলো সবই আছে।
একটি পুরনো বাড়ির আত্মকথা লেখার মাধ্যমে, আমরা একটি নির্দিষ্ট স্থানের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারি। একই সাথে, এটি আমাদের সময়ের গুরুত্ব, পরিবর্তনশীলতা, এবং স্মৃতির মূল্য উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। দাদা, চাচা, বাবার থেকে অনেকজন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আমিও একজন উত্তরাধিকার হিসাবে বাড়ির আত্মকাহিনী লিখতে পারছিনা। এই বাড়িটি একশো বছরে পদার্পণ করবে ২০৩৪ সালে। জানিনা একশো বছর পূর্ণ হবার আগে উত্তরাধিকার বন্টন ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে কি না! আপাতত ইতিহাস অলিখিতই থাকুক। উত্তরাধিকার বন্টন সম্পন্ন হলে বাড়ির ইতিহাস লিখিবো যদি বেঁচে থাকি।
আমাদের উয়ারীর বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের একটা রুম বহু বছর যাবত তালাবদ্ধ- যেহেতু বাড়িতে কেউ থাকেনা তাই ময়লা আবর্জনায় রুমের দড়জার অস্বিত্ব বোঝা যাচ্ছিলো না। গত সপ্তাহে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঐ রুমের চাবি যদিও খুঁজে পাইনি তবুও ঘরটার বাইরের দিকটা দুইজন লোক দিয়ে একটু পরিস্কার করিয়েছি। সেই বন্ধ রুমের দড়জার তালা-চাবি এবং বৈদ্যুতিক সুইস এর ছবি.....কলবেল সুইসটাও ভারত বিভাগের আগে লাগানো। আমার ধারণা, এমন পুরনো বস্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ছাড়া আর কোথাও খুব বেশি নাই!
০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৩৪ সালে এক বিঘা জমির প্লটে তৈরী আমাদের এই বাড়ির মালিক আমাদের দাদাজান। আমার বাবা-চাচারা তিন ভাই, এক বোন ছিলেন। দাদা, বাবা-চাচা এবং ফুফু ইন্তেকাল করেছেন বহু বছর আগে। কিন্তু বাড়ি উত্তরাধিকারদের মধ্যে ভাগ বন্টন করা হয়নি। এখন আমরা এই বাড়ির উত্তরাধিকার ১৮ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন প্রবাসী স্বাধীনতার পূর্বাপর থেকেই। এখন বাড়ির মালিক বলা যায় জ্ঞাতি সম্পর্কের একজন কেয়ার টেকার। জরাজীর্ণ বাড়িতে ৮ টা পরিবার নামমাত্র ভাড়ায় ভাড়া থাকেন। উত্তরাধিকার নির্ণয়ে সব উত্তরাধিকারদের একত্রিত হতে হবে। কিন্তু প্রবাসীদের কোনো গরজ নাই। যার জন্য আমরা কেউই আইনী দখল স্বত্ব বুঝে পাচ্ছিনা।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জ্বীন ভুত থাকলে জানাবেন।
০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: নাহ মানুষ থাকাই যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ সেখান ভুতপ্রেত আসবে কোনো সাহসে!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
মুনতাসির বলেছেন: এটা আডডার আয়োজন করেন। বাকরখানীর সাথে চা আর গল্প।