নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মাঝে মিশে থাকতে চাই, তবে কিভাবে শুরু করব তা ভাবতেই অনেক সময় পেরিয়ে যায়। তাই, গান কবিতা এগুলোর আশ্রয় নিয়ে চলি নিজেকে আড়াল করে।

মায়াস্পর্শ

মনের বিপরীতে পার করে এসেছি সহস্রকাল, হঠাৎ এক উদ্ভ্রান্ত অবয়বে বেঁচে থাকি এপার ওপার।

মায়াস্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিং গো বাজি

৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯



বর্তমানে বাজারে সেলিব্রেটিদের ছড়াছড়ি, তাও আবার বেশির ভাগই প্রতিযোগিতায় নেমেছে কতটা খোলামেলা ভাবে নিজের দেহখানা দেখানো যায়।এদের জ্বালায় আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস বুকে স্ক্রল করাই কঠিন হয়ে গেছে। এরা এতটাই বেহায়াপনা শুরু করেছে যে নির্লজ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কিছু ইতর শ্রেণীর নিকৃষ্ট অমানুষ সমাজে বর্তমানে মিডিয়া নাম লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারাদিন রাত এবং এসব কথিত সেলিব্রেটিদের পঁচে যাওয়া পশ্চাৎদেশের দুর্গন্ধ শুকে শুঁকে তাদের ভেজাল শরীরের ভিডিও গুলো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ভিউ ব্যবসা করে যাচ্ছে।
খুব ভালোমতো খোঁজ করলে দেখা যাবে এরা বেশিরভাগই দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। কেন জড়িত বলছি? এরা কোনো অভিনয় বা শিল্পসত্ত্বার ধারক বাহক তো নয়ই বরং অভিনয় শিল্পকে কলুষিত করার খেলায় মত্ত হয়ে গেছে।এরা এতো উচ্চমূল্যের প্রসাধনীএবং পোশাকের ব্যবহার করছে এবং নোংরা মিডিয়ার সামনে মুখের ভঙ্গিমা এঁকে বেঁকে সেগুলোর দাম প্রকাশ করছে তাতেই বোঝা যায়এরা দেহ ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই করেনা।
এদের এসব খোলামেলা অশ্লিলতা আটকানোর মতো বা বন্ধ করার মতো সমাজে কেউ আর অবশিষ্ট নেই। কেউ সাহস করে এদের বিরুদ্ধে বললেই তাকে মোল্লা বা উগ্রবাদী ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া সুশীল নামক আরেক নোংরা নারীভোগীদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই দেহ ব্যবসায়ীগুলো শুধু দেহ ব্যবসা করেই ক্ষান্ত নয় এদের কে দিয়ে হানি ট্র্যাপ, ব্ল্যাকমেইল, অর্থআত্মসাতের মতো মারাত্মক খারাপ কাজগুলো করানো হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে দেখলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ নির্বাচন করা হয়েছে এক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে।কোনো এক মেইনস্ট্রিম মিডিয়া অনেক আগে এই বাটপারের অপকর্মগুলো একটা অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছিলো কিভাবে সে অর্থ আত্মসাৎ করে এবং নারীদের অভিনয়/ মডেলিং শেখানোর নামে খারাপ কাজে আকৃষ্ট করে।
এই দেহব্যবসায়ী চক্র নিজেরাই কিছু সংগঠন খুলেছে এবং নিজেরাই নিজেদের ভেতর অর্থ লেনদেন করে বিভিন্নরকম এওয়ার্ড প্রদান করে যাচ্ছে।
এসব নিয়ে ট্রল বা মিমিক্রি তৈরী করলেও সমাজে এসবের একটি খারাপ প্রভাব অবশ্যই বিস্তার করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন এই চক্রে পুরুষ নামধারী যারা আছে তারা সকলেই তৃতীয় লিঙ্গের এবং এদেরকেই নোংরা মিডিয়াগুলো হাইলাইট করছে পুরুষ হিসেবে। একটা ছেলেকে অবশ্যই পুরুষ হিসেবেই বেড়ে উঠতে হবে যদি তার কোনো হরমোনাল প্রব্লেম না থাকে। মনস্তাত্ত্বিক নোংরামি আর অসুস্থতা একবিষয় নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ২/১ জন এখনই হাজির হয়ে যাবে এই বলে যে, আপনি নারীদের সম্মান করতে জানেন না।

৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

মায়াস্পর্শ বলেছেন: তাদের বলা বা না বলা দিয়ে কিচ্ছুই হবে না। যারা সম্মানিত তাদেরকে অবশ্যই সম্মান দিতে আমার অসুবিধে নেই।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: চমৎকার বিষয় তুলে এনেছেন। বাংলাদেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সমৃদ্ধ না; এখানে কাজ করে সচ্ছল ভাবে বেঁচে থাকা দুরূহ ল্যাভিস লাইফ তো অনেক দুরের কথা। স্পষ্টতই নামধারী শিল্পীরা নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

তবে সমকামীতা LGBTQ ক্রমেই আরো‌ প্রকট আকার ধারন করবে বলে আমার ধারনা। কে পপ, পশ্চিমা মিডিয়া, মিউজিক , ছবির মাধ্যমে যেভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা থেকে বেঁচে থাকা কঠিন।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যারা ঐ লোককে সুদর্শন বলে তাদের রুচি ও সুদর্শন এর মাপকাঠি নিয়ে আমার শতভাগ সন্দেহ রয়েছে।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এরা সেলিব্রেটি নয়।
এরা মূলত সমাজের আগাছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.