![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস করে বারবার ঠকি তাই নিজেকে মাঝে মাঝে খুব বোকা মনে হয় কেন বারবার একি ভুল করি.........।
তুমি ও কবিতা
তোমার সাথে প্রতিটি কথাই কবিতা, প্রতিটি
মুহুর্তেই উৎসব-
তুমি যখন চলে যাও সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর
সব আলো নিবে যায়,
বইমেলা জনশূন্য হয়ে পড়ে,
কবিতা লেখা ভুলে যাই।
তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো
মনোরম
একেটি তুচ্ছ বাক্যালাপ অন্তহীন নদীর কল্লোল,
তোমার একটুখানি হাসি অর্থ এককোটি বছর
জ্যোৎস্নারাত
তুমি যখন চলে যাও পৃথিবীতে আবার হিমযুগ
নেমে আসে;
তোমার সাথে প্রতিটি কতাই কবিতা, প্রতিটি গোপন কটাক্ষই
অনিঃশেষ বসন্তকাল
তোমার প্রতিটি সম্বোধন ঝর্নার একেকটি কলধ্বনি,
তোমার প্রতিটি আহ্বান একেকটি
অনন্ত ভোরবেলা।
তাই তুমি যখন চলে যাও মুহূর্তে সব নদীপথ
বন্ধ হয়ে যায়
পদ্মার রুপালি ইলিশ তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে,
পুষ্পোদ্যান খাঁখাঁ মরুভূমি হয়ে ওঠে;
যতোক্ষণ তুমি থাকো আমার নিকটে থাকে
সপ্তর্ষিমণ্ডল
মাথার ওপরে থাকে তারাভরা রাতের আকাশ,
তুমি যতোক্ষণ থাকো আমার এই হাতে
দেখি ইন্দ্রজাল
আঙুলে বেড়ায় নেচে চঞ্চল হরিণ;
তুমি এলে খুব কাছে আসে সুদূর নীলিমা
তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গীতের
অপূর্ব মূর্ছনা
যেন কারো অবিরল গাঢ় অশ্রুপাত;
তোমার সাথে প্রতিটি বাক্য একেকটি কবিতা
প্রতিটি শব্দ শুভ্র শিশির
কোথায় যাই, কার কাছে যাই
আজ বন্ধের দিন; কোথাও কিছু খোলা নেই
সবখানে শুধু বন্ধ, শুধু বন্ধ;
একেকটি দরোজার সামনে বড়ো বড়ো শাটার নামানো
যেন বন্ধ-করা একটি কাঠের বাক্সের মতো সমস্ত শহর,
তালাবন্ধ যেন এই সুনীল আকাশ; আজ
বন্ধের দিন, নিউ মার্কেটের সবগুলো গেটে তালা
সাকুরায় যেন বহুদিনের কারফিউ;
পোষ্টাপিসের হলূদ বারান্দা জনশূন্য,
কাঠের সিঁড়ি শব্দহীন
ব্যাঙ্ক, বীমা, নীলক্ষেত টেলিফোন অফিস
কোথাও কোনো স্বাভাবিক কাজকর্ম নেই,
এই বন্ধের দিনে বেইলী রোডের দোকানগুলোতে
কিছুই পাওয়া যাবে না-
সারা এলিফ্যান্ট রোড যেন কোন এক অচিন ঘুমের দেশ।
আজ বন্ধের দিন, কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই,
নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকান বন্ধু,
সাকুরা আজ খুলবে না
স্টেডিয়ামের সবগুলো দোকানে ঝাঁপফেলা,
খবরের কাগরের অফিসে কেউ নেই, টেলিফোন বন্ধ
আমি আজ কোথায় যাই; শহরের একটি রোস্তরাঁ কিংবা
পানশারঅও খোলা নেই,
শিশুপার্ক, কার্জন হল, কলা ভবন
বন্ধ, বন্ধ, সব বন্ধ,
এই বন্ধের দেনে এই জনশূন্য গোধূলিতে
তাহলে আমি কোথায় যাই, কার কাছে যাই!
বন্ধুরা ছুটিতে কেউ গেছে দেশের বাড়িতে, কেউ দেশের বাইরে
যারা ঢাকায় তারাও যে যার গর্তে ঢুকে আছে,
সবখানে এই দরোজা-লাগানো শহরে, এই গেটবন্ধ
নগরীতে আমি কোথায় যাই।
ব্যাঙ্ক, বীমা, পত্রিকার অফিস আজ
সব বন্ধু, কোথাও কেউ নেই,
তাহলে এই একলা রিকশায়, উদাসীন সাইকেলে চেপে
আমি কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো!
এই বিষণ্ন সন্দ্যায় একাকী ঘুরতে ঘুরতে
যদি তোমাদের বাড়ির কাছে চলে যাই-
তোমাদের সেই বন্ধু গেটটিও কি কিছুতেই খুলবে না,
সারারাত ডাকাডাকিতেও কি গুম ভাঙবে না তোমাদের কারো,
এই শহরে একটিবারের জন্যেও কি কেউ এই বন্ধ দরোজা
আর খুলবে না, আর খুলবে না?
তাহলে এই বন্ধের দিনে, এই সর্বত্র তালা-লাগানো শহরে
এই নিঃসঙ্গ সাইকেলে চেপে অবিরাম বেল বাজাতে বাজাতে
বলো আমি কোথায় যাই, কার কাছে যাই,
কোন নরকে যাই!
তুমি চলে যাবে বলতেই
তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে
পাড় ভাঙার শব্দ শুনি-
উঠে দাঁড়াতেই দুপুরের খুব গরম হাওয়া বয়,
মার্সির কাঁচ ভাঙতে শুরু করে;
দরোজা থেকে যখন এক পা বাড়াও আমি
দুই চোখে কিছুই দেখি না-
এর নাম তোমার বিদায়, আচ্ছা আসি, শুভরাত্রি,
খোদাহাফেজ।
তোমাকে আরেকটু বসতে বললেই তুমি যখন
মাথা নেড়ে না, না বলো
সঙ্গে সঙ্গে সব মাধবীলতার ঝোপ ভেঙে পড়ে;
তুমি চলে যাওয়ার জন্যে যখন সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকো
তৎক্ষণাৎ পৃথিবীর আরো কিছু বনাঞ্চল উজাড়
হয়ে যায়,
তুমি উঠোন পেরুলে আমি কেবল শূন্যতা শূন্যতা
ছাড়া আর কিছুই দেখি না
আমার প্রিয় গ্রন্থগুলির সব পৃষ্ঠা কালো কালিতে ঢেকে যায়।
অথচ চোখের আড়াল অর্থ কতোটুকু যাওয়া,
কতোদূর যাওয়া-
হয়তো নীলক্ষেত থেক বনানী, ঢাকা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট
তবু তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে
সেই থেকে অবিরাম কেবল পাড় ভাঙার শব্দ শুনি
পাতা ঝরার শব্দ শুনি-
আর কিছুই শুনি না।
জীবনের পাঠ
শুধাই বৃক্ষের কাছে, ‘বলো বৃক্ষ, কীভাবে
চলতে হয় কঠিন সংসারে? তুমি তো দেখেছো
এই পৃথিবীতে অনেক জীবন;
বৃক্ষ বলে, শোনো, এই সহিষ্ণুতাই জীবন’।
বলি আমি উদ্দাম নদীকে, বলো, পুণ্যতোয়া নদী,
কেমন দেখেছো তুমি মানুষের জীবনযাপন?
তুমি তো দেখেছো বহু সমাজ সভ্যতা’;
মৃদু হেসে নদী বলে,
দুঃখের অপর নাম জীবনযাপন’।
যাই আমি কোনো দূর পাহাড়ের কাছে
বলি, শোনো, হে মৌন পাহাড়,
তুমি তো কালের সাক্ষী, বলো না
বাঁচতে হলে কীভাবে ফেলতে হয় এখানে চরণ’?
কেবল দেখায় তার নিজের জীবন।
অবশেষে একটি শিশুকে আমি বুকে নিয়ে বলি,
‘তুমি এই জীবনের কতেটুকু জানো,
কোথায় নিয়েছো তুমি জীবনের পাঠ’?
কেবল শিশুটি বলে, ‘এসো খেলা করি আমরা দুজনে’।
৪র্থ পর্ব
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১
বোকামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
কিন্তু এই সিরিজটা দিতে গিয়ে আমার মনে হচ্ছে কেউ এখন আর কবিতা পড়তে বোধহয় পছন্দ করে না
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
দারুণ +++
কবিতা পড়তে ইচ্ছে করলেই আপনার পোষ্টে ঢুকে যাবো বোমা!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
বোকামানুষ বলেছেন: অবশ্যই ভাইয়া যেকোনো সময় এসে পড়ে একটা মন্তব্য রেখে যাবেন অগ্রিম স্বাগতম দেয়া থাকলো
কীভাবে তোদের বলি
আজ আর কীভাবে তোদের কাতর মুখের দিকে
চেয়ে বলি
কোথাও তোদের জন্য একখণ্ড
জমি যদি নাও থাকে
তবুও আছে তোদের পিতার এই বুক,
যে-কোনো সবুজ জমির চেয়ে স্নেহচ্ছায়াময়,
অধিক সবুজ;
যে-কোনো নদীর চে’ও জলময়
তোদের এ পিতার হৃদয়
আজ কী করে তোদের বলি, তোদের পিতার
এই দুটি চোখ
পৃথিবীর সব আশ্রয়ের চে’ও
নিরাপদ অনন্ত আশ্রয়
এই তোদের অক্ষম পিতার দুইখানি হাত
তোদের আগলে রাখার জন্য যে-কোনো কিছুর চেয়ে
বেশি কার্যকর, শক্তিশালী-
আজ আর কীভাবে তোদের বলি
এই পিতৃহৃদয়
প্রেইরী অঞ্চলের চেয়েও তৃণাচ্ছাদিত
ছায়াময়;
বড়ো ভয় হয় অক্ষম পিতার
এই নিস্ফল আশ্বাস শুনে যদি
তোমরা না পাও ফিরে মনোবল
কিংবা সাহস
আজ তাই বারবার ভঅবি
কীভাবে তোদের কাতর মুখের দিকে চেয়ে বলি
এইসব কথা!
৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২
এহসান সাবির বলেছেন: চিঠি দিও কই?
অটঃ
ভাইয়া আমি গিয়েছিলাম। সত্যিই আমি আগে দেখিনি এই ফুল। তবে মনে হয় এটা কৃষ্ণচূড়া না। দুইটা কারণ ১ ফুল গুলো আলাদা টাইপের, ২ গাছের বাকল। কৃষ্ণচূড়ার সাথে বাকলের মিল নাই। যদিও ঐ বাড়ীর কেয়ার টেকার এনামুল জানাল এটাকে তারা কৃষ্ণচূড়া বলে।
বাকল
বাড়ীর মালিক সৈয়দ সাহেবের সাথে দেখা হয় নি, আশে পাশের লোক জন জানাল রাস্তা বড় করবার জন্য কিছু গাছ কাটবে তবে সৈয়দ সাহেবের অনুরোধে এই গাছ টি কাটবে না। আমি আবার যোগাযোগ করব।
আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব ঠিক বুঝতে পারছি না। শুভ কামনা, শুভ কামনা।
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২২
বোকামানুষ বলেছেন: করুণা করে হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও
আঙুলের মিহিন সেলাই
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো
অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি।
চুলের মতন কোনো চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও
সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও, ফুল, পাখি, সবুজ পাহাড়
বর্ণনা আলস্য লাগে তোমার চোখর মতো চিহ্ন কিছু দিও!
আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌঁছে দেবে।
এক কোণে শীতের শিশির দিও একফোঁটা, সেন্টের শিশির চেয়ে
তৃণমূল থেকে তোলা ঘ্রাণ
এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল!
ওই তো রাজার লোক যায় ক্যাম্বিসের জুতো পায়ে,কাঁধে ব্যাগ,
হাতে কাগজের একগুচ্ছ জীজন ফ্লাওয়ার
কারো কৃষ্ণচূড়া, কারো উদাসীন উইলোর ঝোপ, কারো নিবিড় বকুল
এর কিছুই আমার নয় আমি অকারণ
হাওয়ায় চিৎকার তুলে বলি, আমার কি কোনো কিছু নাই?
করুণা করেও হলে চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি
দিও খামে
কিছুই লেখার নেই তবু লিখো একটি পাখির শিস
একটি ফুলের ছোটো নাম,
টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু হয়তো পাওনি খুঁজে
সেইসব চুপচাপ কোনো দুপুরবেলার গল্প
খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড়ো একা লাগে, তাই লিখো
করুণা করেও হলে চিঠি দিও, মিথ্যা করে হলে বলো, ভালোবাসি।
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২৩
বোকামানুষ বলেছেন: অটঃ ভাইয়া এখনতো গাছটাতে ফুল একদম অল্প শেষের পথে আর হয়তো চুপসে গেছে এজন্য এরকম অথবা ফুল ফোটার আগেও এমন লাগতে পারে একথা এইজন্য বলছি কারণ প্রায় একমাস আগে আমি যখন ফুলগুলো প্রথম দেখি তখন গাছ ভরতি ফুল ছিল আর ফুলগুলো দেখতে একদম কৃষ্ণচূড়ার মতোই পাপড়ি মেলে ছিল ইশ আমি কেন যে তখন কিছু ছবি তুললাম না
গতকাল গিয়ে আমি নিজেও ফুলগুলো দেখে একটু অবাক হইছি তখন ভাবলাম হয় ফুলগুলো ঝরে যাবে অথবা পুরোপুরি পাপড়ি মেলার আগে এরকম লাগে এই গাছটাতে ফুল বেশি সময় থাকে না গতকাল গিয়ে যে আমি ফুল দেখতে পাবো এটাই নিশ্চিত ছিলাম না কারণ গতবার এরকম শুনছি গাছে ফুল ফুটছে যাবো যাবো করে কিছুদিন পরে গিয়ে দেখি আর ফুল নাই
আর এটা যদি নীল কৃষ্ণচূড়া নাও হয় তবু রেয়ার প্রজাতির গাছ এতে কোন সন্দেহ নাই এইজন্য অনুরোধ রইলো ভাইয়া পারলে বাড়ীর মালিকের সাথে কথা বলে বীজ অথবা ডাল যেভাবে নতুন চারা পাওয়া যাবে তার চেষ্টা কইরেন কারণ রাস্তার পাশে গাছ এবার না কাটলেও কবে কেটে ফেলবে তার ঠিক নাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: চলুক....