![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস করে বারবার ঠকি তাই নিজেকে মাঝে মাঝে খুব বোকা মনে হয় কেন বারবার একি ভুল করি.........।
নিজের কানে কানে
এক এক সময় মনে হয়, বেঁচে থেকে আর লাভ নেই
এক এক সময় মনে হয়
পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত!
এক এক সময় মানুষের ওপর রেগে উঠি
অথচ ভালোবাসা তো কারুকে দিতে হবে
জন্তু-জানোয়ার গাছপালাদের আমি ওসব
দিতে পারি না
এক এক সময় ইচ্ছে হয়
সব কিছু ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে ফেলি
আবার কোনো কোনো বিরল মুঞূর্তে
ইচ্ছে হয় কিছু এককটা তৈরি করে গেলে মন্দ হয় না।
হঠাৎ কখনো দেখতে পাই সহস্র চোখ মেলে
তাকিয়ে আছে সুন্দর
কেউ যেন ডেকে বলছে, এসো এসো,
কতক্ষণ ধরে বসে আমি তোমার জন্য
মনে পড়ে বন্ধুদের মুখ, যারা শত্রুদের, যারাও হয়তো কখনো
আবার বন্ধু হবে
নদীর বিনারে গিয়ে মনে পড়ে নদীর চেয়েও উত্তাল সুগভীর নারীকে
সন্ধের আকাশ কী অকপট, বাতাসে কোনো মিথ্যে নেই,
তখন খুব আস্তে, ফিসফিস করে, প্রায়
নিজেরই কানে-কানে বলি,
একটা মানুষ জন্ম পাওয়া গেল, নেহাৎ অ-জটিল কাটলো না!
তুমি জেনেছিলে
তুমি জেনেছিলে মানুষে মানুষে
হাত ছুঁয়ে বলে বন্ধু
তুমি জেনেছিলে মানুষে মানুষে
মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়
হাসি বিনিময় করে চলে যায়
উত্তরে দক্ষিণে
তুমি যেই এসে দাঁড়ালে-
কেউ চিনলো না কেউ দেখলে না
সবাই সবার অচেনা!
নিজের আড়ালে
সুন্দর লুকিয়ে থাকে মানুষের নিজেরই আড়ালে
মানুষ দেখে না
সে খোঁজে ভ্রমর বিংবা
দিগন্তের মেঘের সংসার
আবার বিরক্ত হয়
কতকাল দেখে না আকাশ
কতকাল নদী বা ঝরনায় আর
দেখে না নিজের মুখ
আবর্জনা, আসবাবে বন্দী হয়ে যায়
সুন্দর লুকিয়ে থাকে মানুষের নিজেরই আড়ালে
রমনীর কাছে গিয়ে
বারবার হয়েছে কাঙাল
যেমন বাতাসে থাকে সুগন্ধের ঋণ
বহু বছরের স্মৃতি আবার কখন মুছে যায়
অসম্ভব অভিমান খুন করে পরমা নারীকে
অথবা সে অস্ত্র তোলে নিজেরই বুকের দিকে
ঠিক যেন জন্মান্ধ তখন
সুন্দর লুকিয়ে থাকে মানুষের নিজেরই আড়ালে।
যে আমায়
যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি
যে আমায় ভুলে যায়, আমি তার ভুল
গোপন সিন্দুকে খুব যত্নে তুলে রাখি
পুকুরের মরা ঝাঁঝি হাতে নিয়ে বলি,
মনে আছে, জলের সংসার মনে আছে?
যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি!
যে আমায় বলেছিল, একলা থেকো না
আমি তার একাকিত্ব অরণ্যে খুঁজেছি
যে আমায় বলেছিল, অত্যাগসহন
আমি তার ত্রাগ নিয়ে বানিয়েছি শ্লোক
যে আমার বলেছিল, পশুকে মেরো না
আমার পশুত্ব তাকে দিয়েছে পাহারা!
দিন গেছে, দিন যায় যমজ চিন্তায়
যে আমায় চেনে আমি তাকেই চিনেছি!
এই দৃশ্য
হাঁটুর ওপরে থতনি, তুমি বসে আছো
নীল ডুরে শাড়ী, স্বপ্নে পিঠের ওপরে চুল খোলা
বাতাসে অসংখ্য প্রজাপতি কিংবা সবই অভ্রফুল?
হাঁটুর ওপরে থুতনি, তুমি বসে আছো
চোখ দুটি বিখ্যাত সুদূর, পায়ের আঙুলে লাল আভা।
ডান হতে, তর্জনিতে সামান্য কালির দাগ
একটু আগেই লিখছিলে
বাতাসে সুগন্ধ, কোথা যেন শুরু হলো সন্ধ্যারতি
অন্যদেশ থেকে আসে রাত্রি, আজ কিছু দেরি হবে
হাঁটুর ওপরে থুথনি, তুমি বসে আছো
শিল্পের শিরায় আসে উত্তেজনা, শিল্পের দু’চোখে
পোড়ে বাজি
মোহময় মিথ্যেগুলি চঞ্চল দৃষ্টির মতো, জোনাকির মতো উড়ে যায়
কোনোদিন দুঃখ ছিল, সেই কথা মনেও পড়ে না
হাঁটুর ওপরে থুতনি, তুমি বসে আছো
সময় থামে না জানি, একদিন তুমি আমি সময়ে জড়াবো
সময় থামে না, একদিন মৃত্যু এসে নিয়ে যাবে
দিগন্ত পেরিয়ে-
নতুন মানুষ এসে গড়ে দেবে নতুন সমাজ
নতুন বাতাস এসে মুছে দেবে পুরোনো নি:শ্বাস,
তবু আজ
হাঁটুর ওপরে থুতনি,তুমি বসে আছো
এই বসে থাকা, এই পেঠের ওপরে খোলা চুল,
আঙুলে কালির দাগ
এই দৃশ্য চিরকাল, এর সঙ্গে অমরতা সখ্য করে নেবে
হাঁটুর ওপরে থুতনি, তুমি বসে আছো..,.
ইচ্ছে
কাচের চুড়ি ভাঙার মতন মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে
দুটো চারটে নিয়ম কানুন ভেঙে ফেলি
পায়ের তলায় আছড়ে ফেলি মাথার মুকুট
যাদের পায়ের তলায় আছি, তাদের মাথায় চড়ে বসি
কাঁচের চুড়ি ভাঙার মতই ইচ্ছে করে অবহেলায়
ধর্মতলায় দিন দুপুরে পথের মধ্যে হিসি করি।
ইচ্ছে করে দুপুর রোদে ব্লাক আউটের হুকুম দেবার
ইচ্ছে করে বিবৃতি দিই ভাঁওতা মেলে জনসেবার
ইচ্ছে করে ভাঁওতাবাজ নেতার মুখে চুনকালি দিই।
ইচ্ছে করে অফিস যাবার নাম করে যাই বেলুড় মঠে
ইচ্ছে করে ধর্মাধর্ম নিলাম করি মুর্গীহাটায়
বেলুন কিনি বেলুন ফাটাই, কাঁচের চুড়ি দেখলে ভাঙি
ইচ্ছে করে লণ্ডভণ্ড করি এবার পৃথিবীটাকে
মনুমেন্টের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে বলি
আমরা কিছু ভাল্লাগে না।।
সত্যবদ্ধ অভিমান
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ?
শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়
তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো
যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে
নীরার সুষমা
চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু ?
তখন সে যুবতীকে খুকি বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়–
আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে
মনে মনে বলি,
যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো–
ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন
পাপ করতে পারি ?
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালোবাসি–
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে পড়ে ভীষণ জরুরী
কথাটাই বলা হয়নি
লঘু মরালীর মতো নারীটিকে নিয়ে যাবে বিদেশী বাতাস
আকস্মিক ভূমিকম্পে ভেঙ্গে যাবে সবগুলো সিঁড়ি
থমকে দাঁড়িয়ে আমি নীরার চোখের দিকে….
ভালোবাসা এক তীব্র অঙ্গীকার, যেন মায়াপাশ
সত্যবদ্ধ অভিমান–চোখ জ্বালা করে ওঠে,
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালোবাসি–
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?
মন ভালো নেই
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোনো প্রিয় স্বাদ
এমনকি নারী এমনকি নারী এমনকি নারী
এমনকি সুরা এমনকি ভাষা
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে
একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল
আমার কী আছে অথবা কী ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!
৭ম পর্ব
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সব সময়
২| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালো লাগার মতো কিছু কবিতা।
ধন্যবাদ, বোকামানুষ।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
বোকামানুষ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পরার এবং মন্তব্য করার জন্য
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সব সময়
৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
হাফিজ হিমালয় বলেছেন: খুব ভাল লাগল একসাথে এত কবিতা দেখে।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
বোকামানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে
এই সিরিজের আগের আরও ৭টা পর্ব আছে চাইলে দেখতে পারেন হয়তো আপনার প্রিয় কোন কবিতা পেয়ে যেতে পারেন
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সব সময়
৪| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
একজন আরমান বলেছেন:
নিজের কানে কানে টা বেশি ভালো লেগেছে।
২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
বোকামানুষ বলেছেন: এক এক সময় মনে হয়, বেঁচে থেকে আর লাভ নেই
এক এক সময় মনে হয়
পৃথিবীটাকে দেখে যাবো শেষ পর্যন্ত!
তখন খুব আস্তে, ফিসফিস করে, প্রায়
নিজেরই কানে-কানে বলি,
একটা মানুষ জন্ম পাওয়া গেল, নেহাৎ অ-জটিল কাটলো না!
এই লাইনগুলো বেশি ভাল লাগে
যে আমায় এবং নিজের আড়ালে
এই কবিতা দুটোও অনেক ভাল লাগে
৫| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: কয়েকটি পড়েছি।
ভালোলাগা রইলো।
২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সব সময়
৬| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২১
বোকামানুষ বলেছেন: "পাহাড় চূড়ায়"
___সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
অনেকদিন থেকেই আমার
একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড়
কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম
পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের
চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য
কিনেছিলামি একটা দ্বীপের
বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ
ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড়
প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো।
প্রবহমান
ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ
পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল
হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম
নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর
দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ
গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন
একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর
যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড়
কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য,
আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব,
তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ,
নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ
শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না,
তিনি আমার মাথার
কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য
করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী,
এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার
নেই।
এখানে জয়ী হবার
বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ
করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।
৭| ২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
এহসান সাবির বলেছেন: সিরিজ টা চলুক, আশা করি সাথে থাকব সব সময়।
২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য
পোস্ট এত কম পঠিত হয় মাঝে মাঝে আর মন্তব্য সেতো সব সময়ই কম তখন পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা চলে যায়
তবুও আপনারা সাথে থাকলে সিরিজ চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ
ভাল থাকবেন সব সময়
৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: সাথে থাকব,
পঠিতও হবে, মন্তবও করবে।
সিরিজ চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৩
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া কষ্ট করে আবার মন্তব্য করার জন্য
অনুপ্রেরণা মূলক একটা মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগছে
আপনাদের এধরনের মন্তব্য অনেক উৎসাহ দেয়
ভাল থাকবেন সব সময় শুভকামনা
৯| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
এহসান সাবির বলেছেন: *মন্তব্যও
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪
বোকামানুষ বলেছেন: বুঝতে পেরেছি ভাইয়া
১০| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার একটা পোষ্ট। আপনার সাথেই আছি ভাই। আর মন্তব্য নিয়ে ভাববেন না। আপনি আপনার মত কাজ করে যান। মন্তব্যে কি আসে যায় মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাটাই আসল। এই যেমন আপনি যে কষ্ট করে সুন্দর কিছু কবিতার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এটাই বা কম কিসের ?
ভাল থাকুন শুভেচ্ছা শতত।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যর জন্য
কিন্তু একটা কারেকশন আপনি কষ্ট করে এই আপুর পোস্টের সাথে থাকেন কারণ এইটা একটা আপুমণির ব্লগ
আসলে ভাইয়া আমি যে মন্তব্য নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত তা না কিন্তু সিরিজ পোস্টের ক্ষেত্রে ফিডব্যাক না পেলে ঠিক বোঝা যায় না সবার পোস্টটা কেমন লাগছে সে কারনে পরবর্তী পোস্ট দিতে একটু সংশয় কাজ করে কারণ নিজের ভাললাগা গুলো এখানে সবার সাথে শেয়ার করা হয় যাতে সবার ভাল লাগে তা না হয়ে যদি সেটা বিরক্তির কারণ হয়ে যায়
আর তাছাড়া পোস্টে মন্তব্যতো এমনিতেও পেতে অনেক ভাল লাগে সেটা অস্বীকার করার কিছু নাই :#>
ভাল থাকবেন সব সময় শুভকামনা
১১| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুঃখিত আপু। আমি বুঝতে পারিনি। যাই হোক মন্তব্য নিয়ে না ভেবে আপনি আপনার মতো করে ব্লগিং করে যান। শুভকামনা রইল সব সময়ের জন্য।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৫
বোকামানুষ বলেছেন: ভাইয়া সিরিয়াস হওয়ার কিছু নাই আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি এখন মাঝে মাঝে মজাই লাগে আমার ব্লগের নামটাই এমন সবাই ভুল করে এখানে কারও দোষ নাই আসল দোষ তো আমার আমি নিজেই নামটা দিয়েছি
তবে আপনি বা যারা আমার ব্লগে নিয়মিত আসে অথবা আমি যাদের ব্লগে সব সময় মন্তব্য করি তাদের পরে বলে দেই
ব্লগ আমি আমার ভাল লাগার জন্যই বেশি লিখি যতদিন ভাল লাগবে ব্লগিং চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ
ধন্যবাদ ভাইয়া
১২| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
সুনীল অনেক পছন্দের কবি।
তার অনেক কবিতাই খুব ভালো লাগে।
শেয়ার করায় ধন্যবাদ, এই সময়ে পড়ে দারুন সময় গেলো।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৬
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কবি হিসেবে বেশি জনপ্রিয় হলেও আমি উনার কবিতা অনেক পরে পড়া শুরু করেছি উনাকে আমি লেখক হিসেবেই প্রথম চিনতাম প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম, সেই সময়ের মতো বিখ্যাত বইগুলোর জন্য ।
তার চেয়েও মজার ব্যাপার হল আমি অনেকদিন পর্যন্ত উপরে উল্লেখিত ৩টা বই ছাড়া উনার অন্য কোন বই পড়িনি কারন টা আরও মজার হাইস্কুলে পড়ার সময় উনার কোন একটা প্রেমের বই আমার হাতে পড়েছিল অনেক পুরনো বই ছিল মলাট সব ছিঁড়ে গেছে । ছেড়া বই থেকেই উনার আর গল্পের নাম উদ্ধার করেছিলাম গল্পের নাম এখন মনে নাই যাই হোক উনাদের প্রেমের উপন্যাসে যেমন প্রেমের ভাব একটু বেশি থাকে তো সেই বই পড়ে আমার মেজাজ খারাপ এই লোক এইসব কি লিখছে উনি খারাপ লেখক তারপর ইউনিভার্সিটি তে উঠা পর্যন্ত ঐ ৩টা বই ছাড়া আমি উনার কোন বই পড়িনি
ইউনিভার্সিটি তে তারপর আবার উনার বই পড়া শুরু করছি এখনতো কবিতাও ভাল লাগে
১৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমি সুনীলের কবিতা পেলেই পড়ি। কিন্তু তার উপন্যাস তেমন পড়া হয়ে উঠেনি। তার অনেক উপন্যাস, শিশুতোষ কর্মও বাংলা সাহিত্যের সম্পদ।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৩৮
বোকামানুষ বলেছেন: আমিও যে উনার অনেক বই পড়েছি তা না তবে কিছু পড়েছি প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম, সেই সময় উনার সব চেয়ে বিখ্যাত লেখা উপন্যাস গুলো আসলেই অসাধারণ
এছাড়া কিছুদিন আগে উনার লিখা ভ্রমণ কাহিনী ছবির দেশে কবিতার দেশে পড়লাম অনেক ভাল লেগেছে পড়ে দেখতে পারেন
তারপর আবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস নামে একটা বই পড়লাম ভাল লাগে নাই
আর কবিতা এখন পর্যন্ত যা পড়েছি তার ভিতর এগুলো একটু আলাদা করে ভাল লাগছে
১৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৬
শ্রাবণ জল বলেছেন: আপু কেমন আছেন?
আপনার ১০ তারিখের পোস্টটা পড়া হয় নি এখনো। ওটা পড়ব আগে, তারপর এটা।
সুনীলের কবিতা ভাল লাগে।
শুভেচ্ছা আপু।
৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
বোকামানুষ বলেছেন: এইতো চলছে মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ্
আপনি কেমন আছেন?
অনেকদিন পর আপনাকে দেখে অনেক ভাল লাগছে আপু
হুম অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসছেন অনেক পোস্ট জমা হয়ে আছে পড়ার জন্য
সুনীলের কবিতা আমারও ভাল লাগে
ভাল থাকবেন সব সময় শুভকামনা
১৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
রোদেলা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম,সময় নিয়ে পড়ব।
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো অপেক্ষায় থাকলাম
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সবসময় শুভকামনা
১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
চড়ুই বলেছেন: কেউ কথা রাখেনি আমার খুব প্রিয় কবিতা।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০০
বোকামানুষ বলেছেন: আমারও পছন্দের মিলে গেছে
সুনীলের কবিতা যারা পছন্দ করে তাদের সবারই বোধহয় এটা প্রিয় তালিকায় থাকবে
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম
ভাল থাকবেন সব সময়
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
লিরিকস বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।