![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কুষ্টিয়ার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সদস্য মি আর কে বিশ্বাস গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত রাজাকার চিকন আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আসামী চিকন আলীকে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ দালাল আদেশের ১১(ক) ধারার সাথে গঠিত ফৌজদারী আইনের ৩০২ ধারা মতে দণ্ড দান করা হয়। দালাল নির্দেশের অধীনে এটা দেশের প্রথম দণ্ড। মামলার বিবরণে প্রকাশ, মিরপুর গ্রামের অধিবাসীআসামী চিকন আলী বাংলাদেশ দখলদার আমলে রাজাকারে ভর্তি হয় এবং হত্যা, লুঠ, অগ্নি সংযোগ ও মহিলাদের শ্লীলতাহানি কাজে অংশগ্রহন করে। গণহত্যা অ অন্যান্য ধরনের অপরাধমূলক কাজে সে সক্রিয়ভাবে পাকবাহিনীর দালালী করে।আসামী ১৯৭১ সালে তার গ্রামের জনৈক কামাল উদ্দিন মন্ডলকে দেকে নিয়ে বলে যে সে (চিকন আলী) ইয়াজুদ্দীনের বাড়ি থেকে দুলালী বেগমকে অপহরণ করতে চায়। উল্লেখযোগ্য যে আবদুল গফুরের কন্যা দুলালী বেগমকে দখলদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ইয়াজুদ্দিনের গৃহে রাখা হয়েছিল। তারপর চিকন আলী ইয়াজুদ্দিনের গৃহে গিয়া দুলালী বেগমকে তার কাছে দিবার জন্য দাবী করে। কিন্তু ইয়াজুদ্দিন অস্বীকার করলে তাকে রাইফেল দিয়া গুলি করে হত্যা করে। আসামী পক্ষের উকিল বলেন, চিকন আলী কখনও রাজাকার ছিল না। মাননীয় জজ উক্ত যুক্তি গ্রহণ না করে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাকে ফাঁসির হুকুম দেন। তবে আদালতে তাকে আপিলের হুকুম দিয়েছেন। উক্ত জজ আসামীকে একই মামলায় দালাল নির্দেশ ১১(খ) ধারার সাথে ফৌজদারী আইনের ১২১ ধারা মতে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে ইতিমধ্যে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবার ফলে পৃথক কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি কৌসুলি জনাব আমজাদ হোসেন, আসামী পক্ষে কৌসুলি ছিলেন এড মীর আতাউর রমান।"
আমার প্রথম পোষ্ট। রাজাকারদের মিথ্যাচার দেখতে ভালো লাগে না। তাই এই সিকুয়াল চলবে। চলবে ততদিন যত দিন জামাত-শিবির-রাজাকার বিচার, তাদের দোসর এবং তাদের উত্তরসূরীদের রাজনৈতিক অধিকার এবং তাদের মতাদর্শ প্রচারের স্বাধীনতা রহিত করা না হবে।
©somewhere in net ltd.