বৃষ্টি স্নাত মেঘ কালো বিকেল

১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

২০০৮ সালের একটা ঘটনা মনে পড়ছে খুব...চট্টগ্রাম এ পড়াশুনা কালীন সময়...কলেজ হোস্টেলের কিছু রুমমেট মিলে বেড়াতে গিয়েছিলাম আমাদের বাড়ি...বান্দরবানে।সারাদিন ঘুরে বেড়ালাম,খেলাম অনেক..........আনন্দ হলো প্রচুর...................এবার ফিরে যাবার পালা।যথারীতি বাসে উঠে বসলাম।৩ ঘন্টার একটা জারনি হলো।চট্টগ্রামে পৌছালাম..........।বহদ্দার হাট থেকে কিছুদূর যেতেই দেখি রাস্তায় প্রচুর পানি...........কোন রিক্সা বা সি.এন জি আমাদের নিতে চাইলোনা, হাতে ছিলো ব্যাগ আরো কত কি.......... উপায় না দেখে আজস্র পানিতে হাটা শুরু হলো।শুরু হলো যুদ্ধ.....।কোনো দিন এই ধরনের পরিস্হিতিতে পড়িনি।কোমড় সমান পানিতে এই প্রথম নিজেকে খুব অসহায় লাগছিলো।একে তো সাঁতার পারিন..।তার উপোর সাপের ভ্য়।তারপর ও মনে সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি রুমমেটরা মিলে।চলতে চলতে শক্তি ও সাহস দুটোই হারিয়ে ফেলছি.....।হঠাৎ বিশাল একটা গরতে পডে গেলাম।ভেসে গেলো ব্যাগ ,পায়ের জুতো.....।আমার রুমমেট আমাকে বাচালো।আবার শুরু হলো হাটা।হাটাতে গিয়ে খে্য়াল করলাম আমরা দুজন অন্য রুমমেটদের হারিয়ে ফেলেছি।হঠাৎ খুব কান্না পেলো।পথ হারিয়ে ফেলছি আবার হোস্টেলের গেইট এতক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে।হোস্টেল সুপারের কাছে কালার হয়ে যাবো।খুব কাঁদলাম........উপায় নেই তবুও পৌছতে হবে।শেষ পরযন্ত ২ নং গেইট পৌছলাম..... অপরিচিত মানুষের সাহায্য।রিক্সা ডাবল ভাড়া দিয়ে কলেজ পৌছলাম.............হোস্টেল পৌছে কি হলো??????সেই অনেক ঘটনা ...............................সেই বিষম পরিস্থিতি.............এরপর ২ ঘন্টা স্নান..........সাবানটা ব্যবহার অনুপোযোগী হলো নিমিষেই...............।




এখনো বন্যা হলে দু্্যসহ স্মৃতি ভাসে চোখে.......আর কখোনও এমন পরিস্তিততে পড়তে চাইনা

১ টি +১/-০