![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
খুব বেশি দূরে আর কই? ঘর থেকে পা বাড়ালেই মিরপুর দশ নম্বর গোলচত্বর। সেখান থেকে রিকশা নিলাম আমরা। অগ্নি নির্বাপণ সংস্থার কার্যালয় পেছনে ফেলে কিছুদূর এগোলেই মিরপুর বেনারসি পল্লীর ১নং গেট। সেই গেট অতিক্রম করে পৌঁছলাম পিচঢালা পথের শেষমাথায়। সেখানে অবস্থিত পুরোনো পাওয়ার হাউজ।
পুরোনো সেই পাওয়ার হাউজের পাশেই বাঙালির বেদনাভারাক্রান্ত অসংখ্য স্মৃতিপীঠের একটি- ‘জল্লাদখানা বধ্যভূমি’।
কুখ্যাত এই বধ্যভূমিটি মূলত মিরপুর দশ নম্বর শহরাঞ্চলের ঝুটপট্টির অন্তর্গত নির্জন একখণ্ড জমির উপর অবস্থিত। জমির একপ্রান্তে একটি একতলা পাকা ঘর। স্বাধীনতাপূর্বকালে এই অঞ্চলের জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে এখানে বসানো ছিলো একটি জল উত্তোলন যন্ত্র।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিরুদ্ধপক্ষ চোখ আর হাত বেধে আমাদের স্বজনদের ধরে আনতো এখানে। একটা ১ বর্গফুট বেদীর উপর তাঁদের মাথা চেপে ধরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তা বিচ্ছিন্ন করতো শরীর থেকে। তারপর সেই দেহখণ্ডগুলো ফেলে দিতো দুটো বর্গাকার কূপে।
নির্মমতা-বিভৎসতায় এতোটাই কুখ্যাত হয়ে উঠেছিলো এই বধ্যভূমি যে, একসময় এর নাম প্রতিষ্ঠিতই হয়ে যায় জল্লাদখানা হিসেবে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের তিক্ত স্মৃতির চাপে আমাদের শহীদ-স্বজনরা অনেকটাই তলিয়ে যান বিস্মৃতির অতলে। বিরুদ্ধ সময়ের চাপে ঢাকা পড়ে যায় বধ্যভূমিগুলোর বুকভাঙা কাহিনীও। কিন্তু কোনো চাপই যে শেষ পর্যন্ত বাধাগ্রস্ত করতে পারে না সত্যের প্রকাশপথকে, তার উজ্জ্বল প্রমাণ হিসেবে দৃশ্যমান হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একটি অনন্য উদ্যোগ।
১৯৯৯ সালে শহীদ স্বজনরা আবার প্রবেশ করেন জনগণের আলোচনার মূলস্রোতে। ভাবনার কেন্দ্র জুড়ে পুনরায় ধ্বনিত হয় বধ্যভূমির বৃত্তান্ত। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরীর পরিচালনায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ পদাতিক বিগ্রেডের সহায়তায় মিরপুরে শুরু হয় বধ্যভূমি খনন।
ভীষণ শ্রমসাধ্য এই খননের এক পর্যায়ে উঠে আসে পরিপূর্ণ এক বেদনার ভাণ্ড, যার ভেতরে জাতির রক্তাক্ত ইতিহাসবোধ, স্বজনহারার কান্না-ক্রোধ, যুদ্ধাপরাধের সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণাদি বিদ্যমান। বেদনাভাণ্ডের অভ্যন্তরের উপাদানগুলো রক্ষা করার যথাসম্ভব চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিরুদ্ধশক্তির সক্রিয়তার বিপরীতে সে চেষ্টা সফলতার মুখ দেখে খুব সামান্যই।
তবে সামান্য সফলতাও যে চেতনার অগ্নিস্পর্শে কখনও কখনও ধারণ করে অসাধারণ আঙ্গিক, তার প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমির প্রায় ত্রিকোনাকার ছোট্ট জমিটি, যেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব হিস্টোরিক সাইট মিউজিয়ামস অব কনশান্স’ এর সংশ্লিষ্টতায় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সালের ২১ জুন, বৃহস্পতিবার, বিকেল চারটায় উদ্ধোধিত হয় একটি সংরক্ষিত স্থাপনা- জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ।
ফেলে আসা সেই সব দিনের কথা ভাবতে ভাবতে আমরা প্রবেশ করি স্মৃতিপীঠের অভ্যন্তরে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকের শিল্পভাবনার প্রেক্ষাপটে স্থপতি রবিউল হুসাইন নির্মিত এই জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠের অসম ভূমিপৃষ্ঠটির অবস্থান রাস্তা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ফুট নিচুতে। ভাঙা দেয়ালাকৃতির বেষ্টনীপ্রাচীরের ডানকোণে চার ফুট প্রশস্ত আধা বৃত্তাকার ছাদের প্রবেশপথ। তারপর সাতধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ি এবং সিঁড়ি যেখানে শেষ, সেখান থেকে পায়ে চলার পথ শুরু।
বাংলার আদি নির্মাণ সামগ্রীতে নির্মিত সেই পায়ে চলার পথে কেবলই বেদনাগাথা।
দেয়ালের পাশ জুড়ে সমাধিফলকের আকারে শ্বেতপাথরে কালো অক্ষরে খোদিত সাড়ে চার শতাধিক হননভূমির বিভাগওয়ারী নামগুলো পড়তে পড়তে ঝাপসা হয় চোখ!
এতো এতো নামের অসম্পূর্ণ প্রবাহ মনের ভেতর তৈরি করে এক বিমূর্ত অভিঘাত, যা থেকে অবমুক্ত হয়ে মূর্ত জীবনের চলমান ধারায় আবার অভিযোজিত হতে সাহায্য করে হাঁটা পথের সমদূরত্বে স্থাপিত মৃন্ময়পাত্রে সংরক্ষিত ছয়টি বধ্যভূমির মাটি; সাহায্য করে স্মৃতিপীঠের পশ্চিমদিকে স্থাপিত পনেরো বর্গফুট আকারের একটি নান্দনিক দেয়ালচিত্র।
পরিত্যাক্ত পোড়া ইট, সিমেন্ট, মাঝে মধ্যে লোহার খাড়া দণ্ড সহযোগে খুব সাধারণ অথচ অসাধারণ মনকাড়া ভঙ্গীতে নির্মিত এই দেয়ালচিত্রটিতে একাত্তরের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মর্মস্পর্শী প্রকাশ ঘটিয়েছেন যশস্বী শিল্পী রফিকুন্নবী এবং মোহম্মদ মুনীরুজ্জামান। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াই আমরা। ক্ষরিত হৃদয়ে অনুভব করার চেষ্টা করি ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা শহীদ দেহাবশেষ আর তাঁদের চেতনার স্পর্শে উদীয়মান সূর্যের উষ্ণতাকে।
তারপর আবার হাঁটা- হাঁটতে হাঁটতে চোখ যায় উত্তরদিকের দেয়ালে, যেখানে পৃথিবীর তাবৎ হত্যাযজ্ঞভূমির নাম এবং হত্যাসংখ্যার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সাথে স্বদেশভূমির সন্নিবেশন প্রয়াস প্রতীয়মান। এই প্রয়াস আমাদের ভেতর জাগ্রত করে যে হাহাকার তার শেষ কোথায়?
সম্ভবত কালো গ্রানাইড পাথরের ওপর লাল হরফে লেখা শহীদ জহির রায়হানের সত্যভাষণে- ‘স্টপ জেনোসাইড’- ‘গণহত্যা বন্ধ করো’-
পূর্বদিকে প্রক্ষালন কক্ষের পাশে বধ্যভূমির দুইটি কূপের একটি। এই কূপটির অবস্থান সম্পূর্ণ উন্মুক্ত পরিবেশে। মোটা একখণ্ড কাঁচে আচ্ছাদিত কূপটির বর্গাকার মুখ। পাশেই সর্বাপেক্ষা আলোচিত কক্ষটি। কক্ষটির প্রবেশপথের ওপর একটি পেতলের ঘণ্টা ঝোলানো। কক্ষের ভেতরে ঢোকার মুখেই বাংলাসহ পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচলিত ছয়টি ভাষায় খোদিত ‘কী ঘটেছিলো এখানে?’- এমন একটি প্রশ্ন।
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পেতলের ঘণ্টায় অনুরণন তুলি আমরা। প্রবেশ করি আলো-অন্ধকার কক্ষের ভেতরে।
এই কক্ষেই অবস্থিত বর্গাকৃতির দ্বিতীয় কূপটি- একটি চতুষ্কোণ কৃষ্ণবলয়ের ভারসাম্যহীন কোণে- এই কূপের ওপরও মোটা কাঁচের আচ্ছাদন, যার ওপরে লেখা ‘মাথা নত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করি সকল শহীদদের প্রতি’- নিচে কালো জল কৃষ্ণসময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কূপের কাছেই সাদা রংয়ের নিধনবেদীটি। বেদীর উপর রক্ষিত এই বদ্ধভূমির পবিত্র মাটি। কক্ষটির ভেতর ছোট একটি আলমারি সদৃশ্য স্থানে রয়েছে খননের সময় প্রাপ্ত কিছু শহীদস্মৃতিচিহ্ন। প্রদর্শন সংখ্যায় যা অল্প, কিন্তু বেদনাভারাক্রান্ততায় অসীম- এতো বেদনার ভার সহ্য করে সাধ্য কার!
দমবন্ধ হয়ে আসে ভেতরে। বাইরে আসি দ্রুত- চিত্ত বিদারিত এই উপলব্ধি থেকে পরিত্রাণ পেতে একটু বসি স্মৃতিপীঠের সর্বাপেক্ষা খোলামেলা এবং সর্বশেষ কক্ষটিতে। কক্ষটির চারকোণায় চারটি কাঠের টেবিলের উপর বধ্যভূমি সংক্রান্ত নানা তথ্য, উপাত্ত এবং ‘দ্যা জেনোসাইড কনভেনশন, ১৯৪৭’-এর সংরক্ষিত কপি। আর মাঝখানে সিমেন্টে বাঁধানো টেবিলের উপর রাখা আছে একটা পরিদর্শন খাতা। মন চাইলে কিছু লেখা যায় এই খাতায়- লিখবো কিছু? ভাবি একা একা- মন তো চায় লিখতে! কিন্তু কি লিখবো? বেদনার কথা? বেদনার কথা লিখতে যে ভালো লাগে না- কিন্তু লিখি শেষঅবধি- বেদনার কথাই, তবে নিজের কথা নয়, কাহলিল জিবরানের- ‘তোমার উপলব্ধিকে আবৃত করে রাখে যে খোলস, বেদনাই তাকে বিদীর্ণ করে-’
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সত্য নিজস্ব নিয়মেই সামনে আসে সবসময়।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নস্টালজিক.....
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান লেখা অাছে অশ্রুজলে ।" বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহিদের প্রতি ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা সকল মুক্তিসংগ্রামীর প্রতি।
"তোমাদের এ ঋণ কোনদিন শোধ হবেনা..."
শুভকামনা। অনেক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
সাহাবী বলেছেন: Sai jolladhra ajo amader pasha asea, rup bodolea tader ee amra bondhu vabce
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: সুন্দর উপলব্ধি।
বেদনায় বিদীর্ণ হোক উপলব্ধি আবৃত করে রাখা খোলস।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
গোধুলী রঙ বলেছেন: পড়তে পড়তেই চোখটা ঝাপসা হয়ে গেলো, বুকে ধরলো কাপন, চোখ বন্ধ করে ভাবার চেষ্টা করলাম কি ঘটেছিলো এর ভিতর, বেশিদুর যেতে পারলাম না। একদিন স্বচক্ষে দেখতে যাবো।
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান লেখা অাছে অশ্রুজলে ।" বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহিদের প্রতি ।
অসাধারন পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: বাংলাদেশে বধ্যভূমি অসংখ্য।
বলা যেতে পারে, ১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশই ছিলো বধ্যভূমি।
জল্লাদখানা বধ্যভূমি অসংখ্য বধ্যভূমির ভেতর একটি, যেটি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে।
জানবেন আমার শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট| যাওয়া হয়নি কখনও সেই নরকে, তবে আপনার বর্ণনায় সব চোখে ভাসছিল| ঘৃণা আর থুথু তাদের প্রতি যারা এসব দেখেও চোখ বন্ধ রাখে আর সমর্থন করে তাদের
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা অনেক।
মিথ্যে দিয়ে সত্যকে ঢাকা যদি যায়, সেটা সাময়িক।
সত্যের জয় শেষপর্যন্ত অনিবার্য।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
সুলতানা রহমান বলেছেন: শেষে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ই পাই নিজের।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: দীর্ঘনিঃশ্বাস উঠে আসে মনের সংবেদনশীল অংশ থেকে।
শ্রদ্ধা জানবেন।
এবং কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট| যাওয়া হয়নি তবে আপনার বর্ণনায় সব চোখে ভাসছিল| ধন্যবাদ দীপংকর দা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রতিও প্রামানিক ভাই।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
সুমন কর বলেছেন: কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তেই ঘুরলাম আর মনটা খারাপ হয়ে গেল।
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো সকল শহীদদের প্রতি....
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: জল্লাদখানা বধ্যভূমি সংরক্ষিত স্মৃতিতীর্থ।
এমন স্মৃতিতীর্থ বাংলাদেশের বিশাল প্রান্তর জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অসংরক্ষিত অবস্থায়।
কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,
আমাদের ভেতর জাগ্রত করে যে হাহাকার তার শেষ কোথায়?
কোথাও এর শেষ নেই । হবেও না কখনও ..................
শুধু এটুকুতেই শান্তনা খুঁজে পেতে হবে ---‘তোমার উপলব্ধিকে আবৃত করে রাখে যে খোলস, বেদনাই তাকে বিদীর্ণ করে-’
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয়।
কৃতজ্ঞতা মুক্তিসংগ্রামীর প্রতি।
শান্তনা কেন?? আশাবাদ জীবন্ত রাখুন প্রতিনিয়ত।
আশাহত হবার অনেক উপাদান আমাদের চারপাশে থাকলেও আশাবাদী হবার মতো অনেক কিছুই তো ঘটে আমাদের যাপিত জীবনে, তাই না??
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
একজন মানুষ শুধু ভালো লেখার কারণেই 'প্রিয়' হয়ে ওঠেন না।
প্রিয় মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
জুন বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী
+
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ জুন। অনেক।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রায়ই যাই, দেখে কস্ট পাই, অতীতকে মনে পড়ে। সরকারী শ্রদ্ধা খুব একটা দেখিনি।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা আপনার প্রতি, আপনাদের প্রতি- যাঁঁরা লালন করেন অতীতস্মৃতি চেতনায় প্রতিমুহূর্তে।
কৃতজ্ঞতা। অনেক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম কবিতা বুঝি।
সুন্দর পোস্ট। শহীদ দের রক্ত যে বৃথা যাচ্ছে না বা যাবে না, তা কিছুটা হলেও সাম্প্রতিক ঘটা ব্যাপারে বুঝা যাচ্ছে
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা।
কৃতজ্ঞতা জানবেন সহৃদয় উপস্থিতিতে।
জানবেন শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জায়গাটি এবং স্থাপনার সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। গুড শেয়ার। +++
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক।
এবং কৃতজ্ঞতা।
প্রার্থণা করবেন ভাই, পরিচয় করিয়ে দেবার ধৃষ্টতা যেন আমার না হয় কখনও।
আসলে বিষয়গুলো কম-বেশি সকলের জানা।
জানা বিষয়গুলোই বারবার বলার চেষ্টা করি।
কারণ, এই তো চলার পথের অন্যতম পাথেয় আমাদের।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: ‘তোমার উপলব্ধিকে আবৃত করে রাখে যে খোলস, বেদনাই তাকে বিদীর্ণ করে-’ - আঁধারে মিশে থাকা সত্যকে তুলে ধরার জন্য- অভিবাদন প্রিয় দাদাভাই দীপংকর চন্দ,
অনেক শুভকামনা ...
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই উপস্থিতিতে।
সত্য সত্যই।
এবং অভিবাদন শুধু সত্যেরই প্রাপ্য।
সত্য তার নিজের আলোতেই আলোকিত।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সত্যকে কেউ কখনো ধামাচাপা দিয়ে সফল হয় নাঃ
//স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের তিক্ত স্মৃতির চাপে আমাদের শহীদ-স্বজনরা অনেকটাই তলিয়ে যান বিস্মৃতির অতলে। বিরুদ্ধ সময়ের চাপে ঢাকা পড়ে যায় বধ্যভূমিগুলোর বুকভাঙা কাহিনীও। কিন্তু কোনো চাপই যে শেষ পর্যন্ত বাধাগ্রস্ত করতে পারে না সত্যের প্রকাশপথকে, তার উজ্জ্বল প্রমাণ হিসেবে দৃশ্যমান হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একটি অনন্য উদ্যোগ।//
লেখকের মত পাঠকের মনোজগতেও বেদনার আনাগোনাঃ
//বাংলার আদি নির্মাণ সামগ্রীতে নির্মিত সেই পায়ে চলার পথে কেবলই বেদনাগাথা।
দেয়ালের পাশ জুড়ে সমাধিফলকের আকারে শ্বেতপাথরে কালো অক্ষরে খোদিত সাড়ে চার শতাধিক হননভূমির বিভাগওয়ারী নামগুলো পড়তে পড়তে ঝাপসা হয় চোখ!//
................
//ক্ষরিত হৃদয়ে অনুভব করার চেষ্টা করি ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা শহীদ দেহাবশেষ আর তাঁদের চেতনার স্পর্শে উদীয়মান সূর্যের উষ্ণতাকে।//
যাদের প্রতি বিশ্ববাসীর এই আবেদন,তারা তো আজও
//‘স্টপ জেনোসাইড’- ‘গণহত্যা বন্ধ করো’-//
খুব অল্প কথায়,বেদনার অসামান্য প্রকাশঃ
//প্রদর্শন সংখ্যায় যা অল্প, কিন্তু বেদনাভারাক্রান্ততায় অসীম- এতো বেদনার ভার সহ্য করে সাধ্য কার!//
খোলস থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চাই বেদনার আঘাতঃ
//‘তোমার উপলব্ধিকে আবৃত করে রাখে যে খোলস, বেদনাই তাকে বিদীর্ণ করে-’//
কিছু কিছু লেখা পড়ার পর আমার খুব একা থাকতে ইচ্ছে করে, দীপংকর দা, আপনার লেখাটা তেমনি।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //সত্যকে কেউ কখনো ধামাচাপা দিয়ে সফল হয় না//
ভাই শামসুল ইসলাম,
আপনার নিবিড় পঠন আমাকে ভীষন আপ্লুত করছে!
শ্রদ্ধা বাড়ছে আপনার প্রতি।
লেখার সামান্য চেষ্টাটুকুতে আমার সম্পৃক্ততা কিন্তু একেবারেই গৌণ।
লেখাটি সমৃদ্ধ শুধুমাত্র তার বিষয়গুণে।
আমি যা দেখেছি, তা-ই তুলে ধরেছি। আমার অবস্থানে অন্য যে কেউ তা-ই দেখতো এবং সেটাই তুলে ধরতো আমাদের সামনে।
আমাদের সমৃদ্ধ মুক্তিসংগ্রাম আমাদের অহংকার।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
দর্পণ বলেছেন: দারুন অনুভুতি দীপংকর চন্দ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় গড়ে উঠুক আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
এহসান সাবির বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রইল।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক এহসান ভাই।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। বারবার।
শুভকামনা থাকছেই। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘তোমার উপলব্ধিকে আবৃত করে রাখে যে খোলস, বেদনাই তাকে বিদীর্ণ করে-’
দারুন এক সত্যকে সামনে আনায় ধন্যবাদ।
++++