নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

rm -rf /

আর্কিওপটেরিক্স

Cyber Security

আর্কিওপটেরিক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ এক অবিশ্বাস্য হ্যাকিং - চতুর্থ পর্ব

১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৭


বিটেক্স
এনাদার এয়ার গ্যাপড ফ্যাসিলিটি। বিটকয়েন স্টোরেজ নিয়ে গবেষণা করে। এখানেও কোনো ট্রেস না রেখে ৮০০ বিটকয়েন একেবারে লাপাত্তা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই এক বিটকেল অভিজ্ঞতা হলো। পকেট রাউটারটা নেই। চার্জার কেবল দিয়ে থেটার করলাম। তখনই আমার মাথাটা খুলে গেল। আপডেট দিয়েই ম্যালওয়্যার ঢুকেছে!

লাস্ট আপডেট এর ড্রাইভটা আনতে বললাম। এটা একদমই মাথায় ছিলো না। রুবাব রেড হ্যাটের আপডেট সিগনেচার চাইলো। হেডকোয়ার্টার থেকে ওটা আসতেই গরমিলটা চোখে পড়লো। হ্যাশ একই কিন্তু একটা ফাইল আলাদা। ড্রপার। র্যামে থেকে কাজ সারে। তারপর মুছে যায়। অত্যাধুনিক ভাইরাস।

এয়ার গ্যাপড কম্পুটারের আপডেট মেকানিজমটা অদ্ভুত। প্রথমে একটা ইন্টারনেট কানেক্টেড কম্পিউটারে আপডেট সার্ভার থেকে আপডেট নামাও। তারপর সেটা একটা ড্রাইভে কপি করো। তারপর সেটা ইন্টারনেট বিহীন কম্পুটারে কানেক্ট করে আপডেট করে ফেলো। এ ক্ষেত্রে ফাইলগুলোর হ্যাশ ভেরিফাই করা হয়। রেড হ্যাট SHA ব্যবহার করে। তাহলে হ্যাকাররা হ্যাশিং ও ভেঙে চুরমার করেছে। ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে!

দিনাকে আপডেট ড্রাইভটা কপি করে নিতে বললাম। সেক্টর বাই সেক্টর। এরপর গেলাম ইন্টারনেট কানেক্টেড কম্পিউটারটার খোঁজে। সেটা আছে শহরের আরেক পাশে। ডক্টর রুশানের অফিসে। রুবাব চেকিং করা শুরু করলো। অপটিক্যাল ফাইবারের কাটা অংশটা অবশ্য আমিই পেলাম। ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী একটা ডিভাইস ফিট করা এখানে। আপডেট সার্ভার এভাবেই চেঞ্জ করা হয়েছিল। ডিভাইসটা পকেটে চালান করে হেডকোয়ার্টারে চলে আসলাম।

তাহলে... বিটকয়েন ফর সাইন্স রহস্যের সমাধান পেলাম ? নোপ। এবার খুঁজতে হবে ডেটা বাইরের দুনিয়ায় পাচার হলো কিভাবে। দিনাকে ওখানে পাঠিয়ে একটা পিৎজা অর্ডার দিলাম। ভাইরাস আছে যেহেতু তাহলে অর্ধেক কাজ সমাপ্ত। এখন শুধু কালপ্রিটটাকে ধরা। APT হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

IDA Ultimate হাসিখুশি মনে ম্যালওয়্যারটা ডিকম্পাইল করে দিলো। বেশিরভাগ কোডিং হিজিবিজি লেখায় ভর্তি। ভাইরাস অথররা মিসগাইড করতে ভালবাসে। এজন্যই এই মুখরোচক রান্না। সবচেয়ে কুখ্যাত হিজিবিজি লেখা সবাই দেখেছে StuxNet এর সময়। ভয়ানক সময় লেগেছিল ওটার একটা অংশ ডিকোড করতে। একঘেয়ে কাজ। লরাকে লাগিয়ে দিলাম। বটনেট খুঁজে মরুক!

পিজায় এক কামড় দিতেই দিনার ফোন।
"বস এখানের ইলেকট্রিক্যাল লাইনে কিছু যুক্ত করা হয়েছিল। "
"আমরা এটাই খুঁজছি। পুরো তারটা খুলে আনো। রুবাবকে পাঠাচ্ছি। "

"যাও তোমার জান কে আনো", বলতেই রুবাব হেসে বেরিয়ে গেল। এবার বিটেক্সে একটা ফোন দিলাম। তারের সাথে ডিভাইসটা পেয়ে গেল চার ঘন্টা পর। এখানে পাঠিয়ে দিতে বললাম। দুটো ডিভাইস আর একটা ভাইরাস, এই ত্রিরত্ন আজ আমার খেলার সাথি। সামনে দীর্ঘ রাত!



চলবে.......




তৃতীয় পর্বের লিংকঃ এক অবিশ্বাস্য হ্যাকিং - ৩য় পর্ব

দ্বিতীয় পর্বের লিংকঃ এক অবিশ্বাস্য হ্যাকিং - ২য় পর্ব

প্রথম পর্বের লিংকঃ এক অবিশ্বাস্য হ্যাকিং - ১ম পর্ব

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কম্পিউটার সম্পর্কে খুব কম জানি। বুঝি।
লেখা চলুক।

অনেকদিন বই রিভিউ দেন না!!

১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বহুত বিজি এখন। একসময় ইচ্ছে ছিলো ডেইলি একটা বুক রিভিউ দেওয়ার। পরে সেটা বাদ দিলাম। বুক রিভিউ লেখার সময়টাতে নতুন বই পড়া যাবে - এমনটা ভেবে। এখন পড়ছি - কাকাবাবু সমগ্র। ছোটকালে পড়া। আবারো পড়ছি।

২| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উপভোগ্য লেখা। 

১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর কয়টা পর্ব আছে? সব পর্ব দেয়া হোক, একবারে পড়বো। আমার আবার স্মৃতিশক্তি দূর্বল। আগের পর্বের ঘটনা মনে থাকে না। :)

১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেখা যাক কয়টা পর্বে সমাপ্ত হয় B-))

৪| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: ব্লগার করুণাধারা'র ১৮ পর্বের গল্প একসাথে পড়ে (আগের দিন রাত থেকে পড়া শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত) তারপর কমেন্ট করেছি।আপনার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করব ইং শায়া আল্লাহ ।মেমোরি দূর্বল;মনে রাখতে পারিনা।তাছাড়া একসাথে পড়ার মজাই আলাদা।লেখা চলুক লেখকের মর্জিতে....

শুভকামনা রইলো।

১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:২০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সমস্যা নেই। একসাথেই পড়বেন :)

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.