![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
অনেক বুদ্ধিমান কাবুলীওয়ালারও ধারণা ছিল না আমেরিকা কতদুরে, কোনদিকে; তারা জানতো পাকিস্তান নামে দেশ আছে পুর্বদিকে, ওখানে গিয়ে পেস্তা বাদাম বিক্রয় করা যায়; পশ্চিমে ইরান, ওখানে যেতে দেয় না; উত্তরদিকে রাশিয়া।
আমেরিকান মিসাইল পড়া শুরু হলে কাবুলীওয়ালারা হতবাক; তবে, তারা ভয় পায়নি কখনো; তাদের ধারণা, কেহ আফগানিস্তানের পর্বত অতিক্রম করে ভেতরে আসতে পারবে না; আর এসে গেলে তাদেরকে খুঁজে পাবে না, পর্বতের ভেতরে পালিয়ে যাবে। যাক, আজ তালেবান ও সাধারণ মানুষ মিলে ৯০ হাজার মারা গেছে, ২০০ হাজার পংগু, এবং যুদ্ধ চলছে।
আফগানীরা কোন আমেরিকানকে 'তুই'ও বলেনি; তা'হলে মিসাইল দিয়ে শুরু, এখন যুদ্ধ, কেন?
১৯৭০ সালের পর, আফগানিস্তানের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম শুরু করে; গণতন্ত্র কোনদিন আসেনি, দেশ ডুবে গিয়েছিল এনার্খির মাঝে, বিশৃখলার মাঝে; সেই বিশৃংখলাকে কাজে লাগায়ে আল-কায়েদা সেখানে ঘাঁটি করে বসে; সেই আল-কায়দার বিরুদ্ধে আমেরিকা অভিযান চালায়, তাতে পাথর যুগের নিরপরাধ কাবুলীওয়ালারা যুদ্ধ জড়ায়ে যায়।
আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটছে, তা'হলো ১৯৭০ সাল থেকে ২০০১ সাল অবধি বিশৃংখলার ফল।
বাংলাদেশে মুলত বিশৃংখলার শুরু ১৯৭৫ সালে, আজ ৪০ বছর ক্রমাগতভাবে তা বেড়ে চলছে; প্রতি ৪/৫ বছরে বিশৃংখলা আগের চেয়ে ভয়ংকরতার দিকে যাচ্ছে। এনার্খি সৃস্টির যত প্রকার ফ্যাক্টর আছে, সবগুলো সর্বোচ্চ লেভেলে পৌচেছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুদ্ধের অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে; সব রাজনৈতিক দল( তথাকথিত) ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একই সময়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়, কেহ বিরোধী দলে বসতে চায় না; ব্যুরোক্রেটরা প্রশাসনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে; আইন-শৃংখলা বাহিনী আইনকে বিক্রয় করছে; ক্ষমতাশালীরা রাস্ট্রের তহবিলকে নিজেদের সেইফ হিসেবে ব্যবহার করছে; এলিট ডাকাতরা ঋণের নামে ব্যাংক ডাকাতি করছে; ব্যুরোক্রেট, রাজনীতির লোক ও প্রশাসনের লোকেরা দেশের পুঁজিকে দখল করে বসে আছে।
মিডিয়ার কোন ইনফেরমেশনই সঠিক নয়: আজকের উদাহরণ: আমাদের জনপ্রিয় সাংসদ পিন্টু হার্ট এটাকে মারা গেছে; পুলিশ বলছে তাকে সাধ্য মতো চিকিৎসা দেয়ার চেস্টা করা হয়েছে; ওর পরিবার বলছে, ওকে পুলিশ ও কারা পক্ষ হত্যা করেছে; বিএনপি'র সভাপতি বলেছে, প্রাইম মিনিস্টার জড়িত। এখন চেস্টা করুন, সঠিক ইনফরমেশন পেতে। বাংলাদেশের সরকার, বিরোধীদল ও প্রশাসন বিশৃখলা সৃস্টি করে ঘোলা জলে মাছ ধরেছে ৪০ বছর।
৪০ বছর বিশৃংখলা চলছে, আরো চলতে পারে; আমরা আফগান নই; আমরা জানি আমেরিকা কোথায়, কোথায় ভারত; কিন্তু শিক্ষিতদের বুঝতে হবে যে, বিশ্ব বিশৃংখলা সহ্য করে না, আমাদেরও সহ্য না করা উচিত।
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা মুল্য দিচ্ছি।
৯১ দিনের তান্ডবে ১৫০ জন প্রাণ হারায়েছে; ২০০ জন আগুনে পংগু; খালেদা জিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেন কিছুই ঘটেনি।
২| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন:
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময়ের দিক থেকে আমরা আফগানিস্তানের পর্যায়ে।
জনসংক্যা ও ভুমির দিক থেকে আমরা ভয়ংকর খারাপ পজিশনে।
৩| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: গর্দভ জনগনের জন্য ওই হাসিনা-খালেদাই যোগ্য.........। দ্যাখেননাই........ কমিশনার যারা নির্বাচিত হইছে প্রায় সবই হত্যা মামলা সহ দাগী আসামী.....আর ফেয়ার ফেইসের ম্যাক্সিমামই জামানত হারাইছে..........
০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ নিজের ভালো বুঝার পর্যায়ে যেতে পারেনি ।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:০২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটা কিন্তু আজ ধ্রুব সত্য যে,কায়েদা,বোকো হারাম,আইএস সহ যত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি আছে,তাদের জন্মের জন্য বেশীর ভাগই পশ্চমাগোষ্ঠি এবং তাদের মিত্ররা দায়ী।। বর্তমান প্রমান মিসরের ব্রাদারহুড,লিবিয়ার,ইয়েমেন,সিরিয়া,ইরাকের বিভক্তি।। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির বিপুল সামরিক অস্ত্রাদি কেনা(সবই কিন্তু এই বিশেষ লক্ষ্যেই)।।
সর্বোপরি মুসলিম দেশগুলিতে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে দর্বল করা।। সেই '৭০ দশকের ডঃ হেনরী কিসিঞ্জারের নীতির ফলাফল।।
আমাদের দেশেও একই লক্ষ্যে কাজ চলছে।। ডিভাইড এন্ড রুল।।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা বোধ হয়, মানব সভ্যতার অংশ।
আজ মার্কিন নীতি চোখে পড়ছে, কারণ মানুষ শিক্ষিত ও এনালাইসিস করে সঠিক অবস্হা বুঝতে পারে।
হ্যাঁ, আমেরিকা অনেক কিছু করছে, সেখান থেকে 'বাই-প্রোডাক্ট'ও হচ্ছে। আমেরিকা না গেলে কে উত্তর কোরিয়াকে থামাবে? কে চীনকে কন্ট্রোল করবে?
৫| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার প্রশ্নগুলি অর্থবোধক।। আমি যদি বলি ভারত,রাশিয়া,ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলিকে কাউন্টার দেবে কে?? আর আমেরিকা কি পেরেছে উত্তর কোরিয়া আর রাশিয়াকে বেধে রাখতে??
প্রয়োজন ব্যালেন্স অব পাওয়ারের।। একক কেউ হলেই তার ভিতর স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব জেগে উঠে।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ