![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভার্সিটিতে ঢুকতেই দূরে তাকিয়ে দেখে সায়েন্স ল্যাবের সামনে দাড়িয়ে আছে নীলিমা।এভাবে কখনো দড়িয়ে থাকতে দেখেনি নীলিমাকে।কৌতুহলী হয়ে সামনে গিয়ে নিলয় জিঙ্গেস করলো
"নীলিমা,তুই এখানে একা একা দাড়িয়ে কি করছিস?"
"ও তুই আসছিস?তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম,গতকাল রাতে অনেকবার তোকে ট্রাই করেছি, পাই নি।"
"গতকাল আমার মোবাইলে চার্জ ছিলো না,তাই মোবাইল অফ ছিলো।কি হয়েছে তোর?তোকে এতো মন মরা লাগছে কেন?"
"নিলয় ক্লাস শেষে তুই আমাকে একটু সময় দিতে পারবি?তোর সাথে কিছু কথা ছিলো।"
"আচ্ছা ঠিক আছে,ক্লাস কয়টায় শেষ হবে?"
"বারোটাই, বারোটার সময় ক্যাফেটেরিয়াতে আসিস।"
"ওকে, ক্লাসে যাবি না?"
"না রে,আজ ক্লাস করবো না,ভালো লাগছে না।ইতি আসবে ওর সাথে একটু দরকার আছে।"
"ওকে,তাহলে 'বাই', বারোটাই দেখা হচ্ছে।"
"হুম, বাই।" আস্তে করে বলল নীলিমা।
নীলিমা আর নিলয় দুইজন খুব ভালো বন্ধু।ভার্সিটিতে দুইজন একই অনুষদে পড়ে।নিলয় লক্ষ্য করলো আজ নীলিমার মনটা কেমন জানি ভীষন খারাপ।এমন কখনো দেখেনি নিলয়, আজই প্রথম নীলিমাকে এমন দেখলো।যেন সমস্ত মন খারাপের কালো ছায়াগুলি এসে নীলিমার হাসিখুশি মুখটাকে মলিন করে দিয়েছে।
ক্লাস শেষ করে ক্যাফেটেরিয়ায় গেলো নিলয়।ভেতরে ঢুকেই নীলিমাকে দেখতে পেলো।পেছনের টেবিলে এক কোনে বসে আছে ।চারপাশে বসে থাকা স্টুডেন্টগুলো গল্প গুজবে মেতে উঠেছে।সামনে থেকে চেয়ার টেনে নিয়ে বসলো নিলয়।
"নীলিমা,আজ তুই ক্লাসটা করতে পারতি।স্যার আজ কিছু ইম্পর্টেন্ট টপিক্স নিয়ে আলোচনা করেছে।"
"নিলয় আমার কিছু ভালো লাগছে না।" কাঁদো কাঁদো গলায় বললো নীলিমা
"কি হয়েছে তোর নীলিমা?তুই কাঁদছিস কেন?"উৎকন্ঠার স্বরে বলল নিলয়
চারপাশের পরিবেশ কেমন যেন ভারি হয়ে এসেছে।নীলিমা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদছে ।কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীলিমা বললো
"নিলয় তুই তো জানিস, ওর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়ে গেছে?"
ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বললো নীলিমা
"হুম, সে তো প্রায় চার পাঁচ মাস আগে।"নিলয় বলল
"গতকাল ওর বিয়ে হয়ে গেছে।"কথাটি বলে আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো নীলিমা।
"কি বলিস তুই এসব?"ব্রেক আপ হওয়ার পর এতো তারাতারি কেমন করে বিয়ে করা সম্ভব?"
নীলিমার মুখে কোন কথা নেই,অবিরত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেদেই চলেছে।
"তুই ভালো করে জানিস তো?তুই দেখ, তুই মনে হয় ভুল শুনেছিস।এটা কখনো হতে পারে না।"
বিস্মিত কন্ঠে বলল নিলয়
"আমি জানি,সে বিয়ে করেছে।"ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলল নীলিমা
কথাগুলো কেমন জানি বিশ্বাস করতে পারছিল না নিলয়,এতো ভালো রিলেশন,ব্রেকা আপ হওয়াও বেশিদিন হয়নি আর এতো তারাতারি বিয়ে!!
চুপ করে নীলিমার সামনে বসে কথাগুলো ভাবছে নিলয়।সবকিছু কেমন যেন ধোয়াশা ছবির মতো লাগছে নিলয়ের কাছে।
নীলিমাকে এখন কি বলে শান্তনা দিবে তার ভাষা খুজে পাচ্ছে না নিলয়।কারণ সে জানে, এখন কোন কথা বলেই তাকে শান্তনা দেয়া যাবে না,তার চেয়ে বরং কান্না করুক,কান্না করে বুকের কষ্টগুলোকে একটু হালকা করুক।
চারপাশের সবাই যখন হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেছে তখন ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে এক পাশে নিলয় আর নীলিমা বসে আছে।নীলিমা কেঁদেই চলেছে,এ সময় শান্তনার কোন মহামন্ত্র নীলিমার কানে গুজে দিলেও কোন কাজে আসবে না কারণ ভালোবাসার মানুষকে হারালে মন নামক যন্ত্রটি মনে হয় বিকল হয়ে যায়,তখন কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়ার ,কোনটিই কাজে আসে না।কিছুক্ষন পর আস্তে করে বলে উঠলো নিলয়
"নীলিমা।"
কোন উত্তর নেই।
কি বলবে বুঝতে পারছে না নিলয়।আবারো ডাক দিলো
"নীলিমা।"
"বল।" ভাঙা কন্ঠে বলল নীলিমা
"দুপুর ১:৩০ বাজে,বাসায় চল।"
"নিলয় আমার জীবনটা এমন কেন হলো বলতে পারিস?আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নি যে আমার জীবনে এমন হবে।" কান্না মাখা কন্ঠে বলল নীলিমা।
"নীলিমা, তোকে কি বলবো কিছু বুঝতে পারছি না, কারন কিছু বলে তোকে বোঝানো যাবে না,তবু একটা কথাই বলি, ধৈর্য ধর,সবকিছু ভাগ্য বলে মেনে নে,ধরে নে এটা তোর লাইফের একটা এক্সিডেন্ট, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে,লাইফটাকে আবার নতুন করে সাজা।"আস্তে আস্তে কথাগুলো বললো নিলয়।
এসব মানুষগুলো কেন এমন হয়? যে ব্রেক আপ করে যায় সে কি একবারও ভেবে দেখে না যে " যার সাথে এতো দিন সম্পর্ক ছিল সেই মানুষটিকে ছেড়ে চলে গেলে তার কি হবে?তার পিছনে ফিরে একবারও কি দেখতে মন চাই না, সেই মানুষটি কেমন আছে?"
এসব মানুষগুলোর প্রতি কখনো ভালোবাসা জন্মায় না শুধু ঘৃণার একগাদা স্তুপ বুকে বাসা বাধে।
রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের মতো গেমস খেলার জন্য ডেক্সটপ নিয়ে বসে নিলয়। কিন্তু আজ তার কোনকিছুতে মন বসছে না, না বসাটাই স্বাভাবিক। নীলিমা তার অনেক ভালো বন্ধু,আজ তার এই অবস্থা।এই সময় নীলিমার পাশে থাকা দরকার।গেমস খেলা বাদ দিয়ে টেবিলের উপর থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে নীলিমাকে কল দিল।ও পাশ থেকে নারী কন্ঠে ভেসে আসলো "এই মুহুর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না,অনুগ্রহ করে একটু পর আবার চেষ্টা করুন।"
নিশ্চয় নীলিমা এই সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে মোবাইলের সুইচ অফ করে বালিশে মুখ চাপড়ে কান্না করছে। মনে মনে ভাবলো নিলয়
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়।নীলিমার কোন খোজ পায় না নিলয়।মোবাইল অফ,ভার্সিটিতে আসে না,কেউ তার খবরও ঠিকমতো বলতে পারে না।
ভার্সিটিতে একদিন হঠাৎ করে নীলিমার সাথে দেখা নিলয়ের।
"ঐ তুই এতো দিন কোথায় ছিলি?ব্যাঙের মতো শীতনিদ্রা পালনের জন্য গর্তে ঢুকেছিলি নাকি?আর বের হওয়ার নাম নাই।কোথায় ছিলি এতো দিন বলতো? আমি তোকে সারা ক্যাম্পাস,রাস্তা, সব জায়গায় খুজে বেড়াচ্ছি আর তোর কোন নাম গন্ধ নাই।" দুষ্টুমি করে বলে নিলয়
"কি করবো বল?আমি তো আর আমি নেই,কিছু ভালো লাগে না।" একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল নীলিমা
"আরে তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে।" বলল নিলয়
"কি গুড নিউজ ?" নীলিমা জিঙ্গেস করলো
"তোর ব্রেক আপ হয়ে ভালোই হয়েছে,তোর সাথে লাইন মারার জন্য ফুল হাতে এখন কতোজন তোর পেছনে আছে জানিস?"উত্তেজিত হয়ে বলল নিলয়
"এই তুই ফাজলামি করিস না তো, তোর ফাজলামি ভালো লাগছে না,অন্য কথা বল।" ধমকের সুরে বলল নীলিমা
"অন্য কথা বাদ,এখন থেকে এটাই সাবজেক্ট।"আনন্দের সাথে বলল নিলয়
"আচ্ছা এগুলো বলে তোর লাভটা কি একটু শুনি?"রাগান্বিত কন্ঠে বলল নীলিমা
"লাভ মানে? আবার জিগায়?তোকে যখন সবাই একে একে ফুল দিয়ে প্রপোজ করবে তখন আমি পাশে থেকে ছবি তুলবো,সেই ছবির প্রতিবেদন পত্রিকায় আসবে,আমি সাংবাদিক হতে পারবো, সাথে একটা ভালো ফটোগ্রাফার। দোস্ত প্লিজ তুই একবার,শুধু একবার পেছনে ফিরে তাকা,দেখ কতজন তোর পেছনে লাইন ধরে আছে।প্লিজ দোস্ত, প্লিজ।"আমাকে একবার ফটোগ্রাফার হওয়ার সুযোগ করে দে।"অনুরোধের সুরে বলল নিলয়
"এই নিলয় তুই থামবি?ভালো লাগে না এসব।"রেগে গিয়ে বলল নীলিমা
"দোস্ত আমাকে সুযোগ করে দিবি না?"বিনয়ের সুরে বলল নিলয়
" অনেক মেয়ে আছে,ফটোগ্রাফার হতে চাইলে ওদের ছবি তুলে বেড়া,ওদের পেছনে কতজন আছে তার হিসাব নে,যা।আমি এসব পারব না।"নীলিমা বলল
"আচ্ছা ঠিক আছে,কি আর করার, আমার আর ফটোগ্রাফি করা হলো না।"মন খারাপের কন্ঠে বলল নিলয়
"আচ্ছা নিলয়,হঠাৎ করে কি হয়েছে তোর বলতো?"জিঙ্গেস করল নীলিমা
"আমার কিছু হয় নি,তুই একবার পেছনে ঘুরে ওদের হাত থেকে ফুলগুলো নে,আমি ছবি তুলি।"আবার বিনীতভাবে বলল নিলয়
"যদি ফুল নিতে হয় তাহলে আমি তোরটাই নেব,অন্য কারো থেকে না।"হাসতে হাসতে বলল নীলিমা
"না না,আমার হাতে তো কোন ফুল থাকবে না,আমার হাতে ক্যামেরা থাকবে,তাছাড়া আমি তো তোর পেছনে থাকবো না,পাশে থাকবো।"নিলয় বলল
"আচ্ছা বাদ দে তো এসব,তারপর বল তোর দিনকাল কেমন যাচ্ছে?"জিঙ্গেস করল নীলিমা
"বিনদাস কাটাচ্ছি,খাচ্ছি,ঘুমাচ্ছি,ক্যাম্পাসে আসছি,বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ব্যাস কেটে যাচ্ছে।" নিলয় বলল
"হুম বুঝলাম।আচ্ছা তুই যে বললি আমার পেছনে অনেকেই আছে,বলতো শুনি দুই একটার নাম"নীলিমা বলল
"ওরে ন্যাকার ষষ্ঠি,এতোক্ষন খুব ভাব নিলেন,'ভালো লাগছে না,বাদ দে'আর এখন?" মুখ ভেঙিয়ে বলল নিলয়
"আচ্ছা বলনা কে কে আছে,একটু শুনি।" বিনয়ের সুরে বললো নীলিমা
"হুম, বলবো, যেদিন আমাদের ভার্সিটি লাইফের শেষ ক্লাস,সেদিন সবাইকে বলে রাখবো, তারা যাতে ফুল নিয়ে আসে,তোকে প্রপোজ করার জন্য।ঐ দিন দেখবি কে কে আছে তোর পেছনে।বুঝলি?"বলল নিলয়
"হুম, বুঝলাম।
এভাবে নিলয় আর নীলিমার প্রতিদিন কথা, কেয়ারিং, শেয়ারিং, ঘুরতে যাওয়া, দুষ্টুমি চলতে থাকে।
অনেকদিন পর,ভার্সিটি লাইফের শেষ ক্লাস।নীলিমার সাথে দেখা করলো নিলয়
"কি, রে তুই রেডি তো?"নিলয় বলল
"কেন?কোথাও যাবি তুই?"বলল নীলিমা
"ওমা! তুই ভুলে গেছিস? আজকে না শেষ ক্লাস।তুই দেখবি না তোর পেছনে কে কে গোলাপ নিয়ে আছে?"বলল নিলয়
"ও হ্যা,আমি তো ভুলে গেছিলাম,আচ্ছা ঠিক আছে দেখবো,কই ওরা?ডাক সবাইকে।দেখি কে কে লাইন ধরেছে?"জোড় গলায় বলল নীলিমা
"সেকি!এভাবে হয় নাকি?এক কাজ করবি,আজ ক্লাসে তুই সবার সামনের বেঞ্চে বসবি, আমি সবাইকে বলে রাখবো,ওরা যাতে তোর পেছনের বেঞ্চে বসে।আর হ্যা ক্লাস শেষে সবাই বের হবার পর তুই বের হবি।"
বলল নিলয়
"ওকে।"আস্তে করে বলল নীলিমা
ভার্সিটি লাইফের শেষ ক্লাস,সবাই সবার সাথে কথা বলছে।স্যার ক্লাস শেষে সবাইকে কিছু উপদেশ দিলেন,মনোযোগ দিয়ে সবাই শুনলো।ক্লাস শেষে সবাই যখন চলে গেলো তখন নীলিমা সামনের বেঞ্চে একা বসে আছে।আর পাশের সারিতে বেঞ্চে বসে আছে নিলয়
"কি রে নিলয়? সবগুলো কই,পালাইছে?সবাইকে ডাক,তুই ছবি তুলবি না?"
চুপ করে নীলিমার দিকে তাকিয়ে আছে নিলয়, কিছু বলছে না।
"কি রে, কি হলো তোর?চুপ কেনো?"
"বিশ্বাস কর নীলিমা,এতো দিন সবাই ছিল তোর পেছনে,হঠাৎ করে যে কি হলো সবার,বুঝলাম না।"
"হইছে,আমি সব বুঝছি,আমার আর বুঝার বাকি নাই কিছু।"
"কি বুঝছিস তুই?"
"বুঝলাম যে,এতো দিন কেউ আমার পেছনে ছিলো না,তুই আমাকে মিথ্যা মিথ্যা বলেছিস,আমার মন ভালো রাখার জন্যে।"
নিলয় চুপ করে আছে,কিছু বলছে না।
"নিলয় শোন,যারা সত্যিকারের ভালোবাসে তারা কখনো পেছনে থাকে না,তারা সবসময় পাশে থাকে।"
"হুম।"
"তুই এতোদিন আমাকে মিথ্যা বলেছিস,আচ্ছা যাই হোক চল এখন যাই,বাইরে সবার সাথে দেখা করি।"
"নীলিমা একটু দারা।তুই কি যেন বললি 'যারা সত্যিকারের ভালোবাসে তারা সবসময় পাশে থাকে'।"
"হ্যা,কেন তোর বিশ্বাস হয় না?"
"হুম হয়।"
"তাহলে ?"
"না কিছু না,আচ্ছা সত্যি একটা কথা বলবি?"
"এতো ন্যাকামি করছিস কেন? বল কি বলবি?"
" না মানে,আচ্ছা যা কিছু না।"
"এগুলো খুব বিরক্ত লাগে, বলতে চেয়ে বলিস না।বল তারাতারি কি বলবি?"
"না মানে,বলছিলাম যে,এতো দিন তোর পাশে কেউ ছিল?"
"কই না তো,আমার পাশে আবার কে থাকবে?"
"একটু ভেবে বল,প্লিজ।"
কিছুক্ষন ভাবার পর
"এতোদিন তো তুই সবসময় আমার পাশে ছিলি,তার মানে?"কৌতুহলী হয়ে বলল নীলিমা
"হয়ছে আর মানে বের করতে হবে না,চল যাই, সবাই অপেক্ষা করছে।"তারাতারি বলল নিলয়
"নিলয় দারা, আগে বলে যা।
পথ আটকিয়ে অপলক দৃষ্টতে তাকিয়ে আছে নীলিমা নিলয়ের দিকে
"এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন আমার দিকে? মনে হয় নতুন দেখছিস আমাকে?"কিছু না বোঝার ভান করে বলল নিলয়
"তার মানে,তুই এতো দিন!" অবাক হয়ে বলল নীলিমা
নিলয় মাথা নিচু করে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে,কিছু বলছে না।
"এতো দিন আমাকে কিছু বলিস নাই কেন,বল?"জিঙ্গেস করলো নীলিমা
"বলিনি যদি বন্ধুত্ত্ব নষ্ট হয়ে যায়!"মৃদুস্বরে বলল নিলয়
""নিলয় আমি এতোটাই গাধা যে,তুই আমার এতো কাছে ছিলি অথচ আমি কখনো বুঝতেই পারি নি যে,তুই আমাকে এতোটা ভালোবাসিস।"
"হুম ,হয়েছে এবার চল।" বলল নিলয়
"নিলয় দারা,আমার হাতটা একটু ধর।"
আলতো করে হাত ধরলো নিলয়
"নিলয়, তুই আমার এই হাত সারাজীবন এভাবে ধরে রাখতে পারবি?"
মৃদু হেসে নিলয় বলল
"হুম, পারবো।"'
©somewhere in net ltd.