![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরম সুখ ।। চাষা হাবিব
তোমার খুলে দেওয়া অবগুণ্ঠিত পত্রালি
শীতের দুপুরে উষ্ণ করে সতেজে জড় দেহময়। আমি বুদ হয়ে কুড়ির বিটপে
ধ্যানবুদ্ধ মগ্নতায় যপে চলি আঙ্গুলে, তোমাকে পাবো বলে সময়ের দড়িতে।
শূন্য পরমশূন্য মহাসুখ
আমি খুঁজি–
কী হবে দীপ জ্বেলে
কী হবে নৈবেদ্যে
তীর্থ তপোবনে–
নগ্নতায় বুনো চাষে
যদি না নির্বান জ্ঞানে
যদি না স্নান আত্মধ্যানে।
ছাই মেখে এ দেহে
জটাধারী আমিও
অনুদিন বাহির টানে
যদিও দেখিনি ভিতর।
কতদূর গেলে শূন্যতা
কতদূর গেলে জড়তা
জেগে রয় শুধুই দেহ
কিসে বলো পরম সুখ
যে কাজের মাল্য দিয়েছি গলায়
কিভাবে উর্ধ্বে ওঠে মৃত এ শরীর।
যে প্রেম জাগিয়ে দেয় আড়মোড়
যে ছোঁয়ায় ভেঙ্গে পড়ে জীর্ণতা,সতেজতা ফিরে আসে ধূলোয়,ভেঙে যাওয়া বোবা শরীর নদী হয়ে আবার জাগায় পানির ক্ষুধা অগণনে। তুমি কি অমোঘ চক্র এনে দাও আর্যবর্তে, অ শূন্য নিরবতা নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে ভরাট করে সকল লেনদেন। যে শরীর ছুঁয়ে ফাগুন হাওয়ায় আগুনে প্রাণ দিয়ে যায়,সে বুকের ফলায় ভাষা তাজা রক্তে ফেরে নোনা ঘ্রাণে কি প্রেমময়। যদি মুক্তি হতো নগ্নতায়–তবে শ্বাপদও মুক্তি পেত, যদি লোম তুললেই সিদ্ধি-পুত করতো, তবে যুবতীর নিতম্বও হতো যে পুত পবিত্র! যদি চক্রাকার পুড়ে দেয় সকল পাপ,তবে শাপমোচন তো ঘরেই।
মোক্ষ যে আত্ম হত্যায় প্রিয় আত্মবিনাশে, পরম সুখ যে এতেই মহামুনি আমিও বিবর তাতেই।
©somewhere in net ltd.