নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাষা হাবিব। কবি, গবেষক ও শিক্ষক। প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য গ্রন্থ; কবিতা-১৩, গবেষণা-১৩, প্রবন্ধ-২, গল্প গ্রন্থ-২, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ-৬০ এবং গান রচনা-৩০; নাটক-২ । করেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা নিয়ে একাধিক গবেষণা।

চাষা হাবিব

কবি, গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

চাষা হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চারটি কবিতা

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৪

১. বোকা কথারা ।। চাষা হাবিব

মগজের শিকড় থেকে জন্ম নেয়া সময়
ভ্রুণের মুকুলে আলোকিত করে অন্ধকার, আর জেগে তোলে পুরো শহর নিঃসলতের আলোতে। অন্ধ গ্রাম বুকের চোরাপথে চাষ করে বাদামী ফসল। সে ফসলে ঘুণ পোকা দল বেধে মেখে খায় কিশোরী সস্যল বীজ।

বোবা সংগীত সময়ের শুরুতে দলবেধে
গেয়ে ওঠে কোরাসে, হঠাৎ করেই লুফে নেয় চাষার সব ফসল। আর তখনই ঝিম মেরে রাষ্ট্রযন্ত্র নেমে পড়ে উদ্ধারে গলা পর্যন্ত পানিতে নেমে খোয়ানো সৌরভ।

আদি বিস্ফোরণের পর জন্ম নেয়া সময়
নিউরনের সরু গলিতে জেগে তোলে যে স্বণন ঘ্রাণ, সে শব্দে সৃষ্টিরেণু ডালপালা ছড়ায় যেনো পৃথিবীময়। ময়দানে ময়দানে বেজে ওঠে গন্ধভরা জলে বাতাসের আদি স্রোত। সে স্রোতে জল ছেড়ে ডাঙ্গায় উঠে পড়ে সুযোগ বুঝে সন্ধ্যানী বুনো খেচরের দল। সে দলে ভিড়ে লেজওয়ালা উভচর মুখপোড়া আদিস্বর লাফিয়ে ওঠে মাটি ছেড়ে মগডালে। আর আমি সে দলে বংশ থেকে বংশ পরম্পরায় কি সুন্দর আদর্শ মানব যেনো বহতা জ্যামিতিক মহাপ্রাাণ।

মগজ ধোলাই পানি পড়া ফর্সা করে ধবল উর্বরতা, আর বিকিয়ে দেয় সূর্য থেকে সব কিনে নেওয়া উত্তাপে বোকা অনাবাদী মনাচর।

২. দৃশ্য কাব্য।। চাষা হাবিব

সিনায় সিনায় এতো কাছে
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস
তবুও তুমি গন্ধ খুঁজো ষড়যন্ত্রের
অনুপ্রবেশের অপবাদে
পাশ ফিরে জড়িয়ে ধরো নির্বোধ বালিশ।
তোমার বুকে বুক মেলাবো বলে
আমি কতবার কৃষ্ণচূড়ায়
কতবার বরই তলায়
উদ্দাম দেহে শ্রীপুরের সিরাপ খেয়ে
মেখেছি পৌরুষে রাহু চণ্ডালের তেলে
ঘৃতকুমারীর ছাল। আর এখন
তুমি রাতের আকাশে নাটাই ছিড়ে
বুক মেলাও হরি বাসরে উত্তর পাড়ায়
বিরোধী দলের গোপন মিটিংয়ে
গড়ে তোলো ঐক্য মহা-জোট
অপবাদে আমাকে তাই
তুমিও আজ পিছন ফিরে লাথি মারো।

আজ আমি অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশকারী
আর তুমি পরকীয়া আর্য প্রেমিক!

৩. দৃশ্য কাব্য।। চাষা হাবিব

তোমাকে চুমু খেতে গিয়ে
চপাং করে শব্দে ঠোঁট ফেটে যায় আমার
তারপর কাটাতার
সিমান্ত আর বুক পোড়া শহর
মাটি কেপে কেপে ফাটা ঠোঁটে আর্তনাদ।
চুমুতেই দেহভাগ
ধুতি আর সেলেয়ার।
তুমি চিৎকারে বললে শালা মালাউন
তারপর আমি ও ঠোঁটে আর চুমু খাই না
এখনো তৃষ্ণা
ফাটা ঠোঁটে আর্তনাদ
জ্বলজ্বলে আলোয় জাগে সিমানা পিলার।

৪. যাযাবর ক’ছত্র ।। চাষা হাবিব

বেসরম রাতে শির শির বাতাসে
গায়ের নগ্ন নখরে গেয়ে ওঠে গান পাজরের ঘুণ।
লেপ্টে শীমের ডগাতে ঝরে শরীরের মেদ
কাফনের শাড়িতে মেখে বেদনার কর্পুর
মিশে যায় বুকের ওম
আর রাতের আধারে
উন্মুক্ত দেহে খেলা করে নটবর চাঁদ।
বেশরম রাত শিখে ফেলে বেহায়া আন্দোলন
কখন যে ধারাপাতের ফাঁকে ঢুকে দেয়
বিষের মাতম।
নিশি রাতে ভেজা অশ্রæতে নিদারুণ প্রেমে
বেড়ে চলে নগ্নতার চাষাবাদ
সেই কবে যেন এক রাতে উলঙ্গ হয়ে
আমি বেরিয়েছি রাজ পথে
এরপর নগ্নতার উষ্ণ ভোরে
কলের গাড়িতে হয়েছি কতবার
উদ্দাম সাওয়ার
সেই থেকে বেহায়া মনে একেঁছি
আর বেশরম থেকে বেশরম
উলঙ্গ যাত্রির নগ্নতায় মেখেছি প্রেম পরশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.