নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাষা হাবিব। কবি, গবেষক ও শিক্ষক। প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য গ্রন্থ; কবিতা-১৩, গবেষণা-১৩, প্রবন্ধ-২, গল্প গ্রন্থ-২, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ-৬০ এবং গান রচনা-৩০; নাটক-২ । করেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা নিয়ে একাধিক গবেষণা।

চাষা হাবিব

কবি, গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

চাষা হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আততায়ী প্রেম।। চাষা হাবিব

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

একটি দীর্ঘ কবিতা
আততায়ী প্রেম।। চাষা হাবিব

আততায়ী প্রেমে আমি শিখে ফেলি জীবন
যে প্রেম যায়
সে ফেলে যায়
ও জীবন মানুষের
যেন এক অখ্যাত ভুল
নিসর্গের কোলেও নিদ্রাহীন রাত কাটে
দুঃস্বপ্নের দাঁত-নখ, এপাশে-ওপাশে
নখের থাবায়-লোমশ ছায়া চমকায়
আর্তনাদ করুণ হলে আততায়ী আসে
আততায়ী ছাই মেখে প্রেমের উত্তাপে।
দীর্ঘ গল্প মাঠে বুনি আমি বুনো কলমি
কুয়াশায় কাতর মনে শিশির শুকায়
সেও পড়েছে নরম রোদের কাহিনি
মিশিয়ে ধুয়েছে পা হেমন্ত আর আসেনি!
নেই ডানা নেই পালক আমার শূন্য চরে
মুখ দেখিনি তার-মুখেসে মেখেছে কলপ
আমি পাখি হবো-পাখি হবো তাই
দোয়েল, শালিখ হোক যা এবেলা
সাতরঙ থেকে দুটো বিশুদ্ধ রঙে
বুঝে নিয়েছি ষোলো কোটি মনে
ঝরেছে যে প্রাণ নক্ষত্র ঝড়ে
মন্ত্রে তুমি কাঁপানো আঙুলে
অস্থি-কঙ্কালে বছর জুড়ে
আমিও বুঝেছি সেদিন-
আগ্নেয় শিলা হলে মানুষও হয় মরনাস্ত্র
প্রজন্মও খেলা করে
জীবনে-বীজতলাতে
শাড়ির আড়ালে ওই মুখ যেনো কার!
ঘরেই বসতি হলে এ ঘর তবে কার!
প্রলয়ের শাড়িতে তুমিও বড় বিস্ময়!
এ বাড়িতে নিশিন্দা ঝোঁপে বঁইচি ফুল ফোটে
মৌমাছি পাক খায় আশেপাশে
তবুও একা রাত নির্ভয়ে জাগে
মুঠোয় মেঘ নিয়ে শ্রাবণ হয়েছিল তখন
মেঘ নাকি ফোটা ফোটা বৃষ্টির জলে
অথচ এখনও খরায় কাঁদে সহস্র চাতক
অলক্ষ্যে কতশত ঘাসফুল ফোটে ঝোপঝাড়ে
তোমার শরীর নয় যেনো এ আতরের শিশি
ঘুণপোকা খেয়ে ফেলে কিশোরি চটুল হাসি
আর আমি হৃদয় ও শরীর নির্মাণ করি অক্ষরে
সেখানে তোমার মুখের অবভাস হয়ে যায়!
মিছে রঙিন পতাকা যেনো মৃত্যুদিন
পাখির নীড়ও ঠিক আকাশের মতো
তার উড়াল পথে চোখ মেলে দেই
যেমন জীবন ভাসে ঢেউ ও জোয়ারে
দীঘিও রোমাঞ্চিত নিরব একলা ঘাটে
মানুষের বুকে পিঠে রোদের হাসি
শীতকাতর মেয়েটি উঠোনে নামে
নেমে এসে সবকিছু ছোঁয়
নীড়ের পাখি এ ঘনঘোর রাতে
ফুলেশ্বরী মনে কী তেজ জাগে।
অর্বাচীন ও অনিয়ম ইশারায়
দীঘল চড়ায় ঈগল ওড়ে আর
ভেঙে পড়ে স্বপ্ন ইটের গাঁথুনি
খসে পড়ে পলেস্তার টপাটপ
কাঁটার ব্যথা-দুই আঙুলের ফাঁকে
গোপন তোমার মরনাস্ত্র হয়ে থাকে
ঢেউহীন তবু জলের তোড়ে ভেসে যাই আমি
যদিও দেখি কাছেই নদী, তোমার দেখাও পাই
আমি সে ভাঁটফুল যৌবন ছিঁড়ে
পাতার ঘরে বসে বসে পত্রহীন
তুমিই অনন্ত, আমাকে করেছ নির্বাসন
নগ্ন বাতাস, খোলা হাওয়া যাকে বলি
নিজের মুখ দেখায়, খাতায় পাতায়
একেঁবেকে দূরেই বয়ে যাক বহতায়
হতে পারে আমি নিজেই বুঝিনি-জানিনি
হাজার বছর জাদুকর হেমন্ত-বর্ষায় আসে শরতে
হেমন্তের শূণ্য মাঠ ঘুরে
শিশিরে করুণ শূণ্যতা ভালোবেসে
যদি তুমি এক স্রোতস্বিনী হতে
ভরতো মনের সকল গিরিখাত
তুমি এসে ফিরে যাও অবহেলা দিয়ে
ফানুসে
কথার
ব্যথার
রঙের
আমিও সে আততায়ী প্রেমে বুঝে যাই জীবনের মানে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.