নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগে ঢুঁ দেবার জন্য ধন্যবাদ

রাত কাটে নির্ঘুম আমি নিশ্চুপ

েমাজািহদুল ইসলাম িটটু

ইচ্ছে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া, দেখা যাক কতটুকু পারি।

েমাজািহদুল ইসলাম িটটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখানে আবর্জনা ফেলা নিষেধ ; আদেশক্রমে কতৃপক্ষ !!!

২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১



বর্তমান বাংলাদেশটা এমন হয়ে গেছে যে, রকক্ষরাই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন।

এতে দেখা যাচ্ছে অপরাধ করলে সাধারণ মানুষের হয় ১৭ বছর জেল, আর নীতি নির্ধারকরা অপরাধ করলে পায় বাহবা, আরো কত কি।



স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিকেল কলেজ সহ রাস্তাঘাটে দেয়ালে দেখা যায় সাদা কাগজে বড় বড় হরফে লেখা একটি স্টিকার যা গাম বা আঠা দিয়ে লাগানো থাকে।

এতে যেসব দৃষ্টি আকর্ষণ লেখা থাকে তা নিম্নরুপ :

(০) এখানে ধূমপান নিষেধ।

(১) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিষেধ।

(২) এই গলিতে প্রস্রাব করিবেন না।

(৩) রাতে এই জায়গায় অবস্থান করবেন না।

(৪) পলিথিন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি

--------------------আদেশক্রমে কতৃপক্ষ।



প্রশ্ন হলো এসব উক্তি কজন মানে ? তাছাড়া এসব দৃষ্টি আকর্ষণী যারা দেন তারা আদৌ এসব নিয়মের ধার ধারেন কিনা আমার সন্দেহ।



উদাহরণস্বরুপ বলা যায় :

ধূমপান করলে ৫০ টাকা জরিমানা।

প্রকাশ্যে ধূমপান করলে টাকা না দিলে জেলতো রয়েছেই।

এখন কথা হলো বর্তমানে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ ট্রাফিক পুলিশরাও দেদারছে সিগারেটে টান দিয়ে আত্মার শান্তি খুজে বেড়ান !!

অনেক পুলিশকে দেখেছি টুপাইস ইনকাম করার জন্য, সাধারণ মানুষের সিগারেট টানার অপরাধে তার কাছ থেকে ৫০ টাকা জরিমানা জোর করে আদায় করেছে। যদিও এটাকা রাষ্ঠ্রীয় কোষাগারে যোগ হয় না। এছাড়াও ওই ব্যক্তিকে লাঞ্ছিতও করে থাকে এসব পুলিশরা।

কিন্তু কিছুণ পরেই দেখা যায় চিপা গলির ভিতরে পুলিশ ওই টাকা দিয়ে সিগারেট ফুকছে, আর তার কালো ধূঁয়া আকাশ ভারি করে তুলছে।



এছাড়া দেখা যায় ২০০৫ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। আইন করা হয় যে, পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তারপরও চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি শেষে পলিথিন ব্যাগে মাছ তুলে দিচ্ছে নীতিনির্ধারকদের বড় ব্যাগে। আর সেই জব্বর নীতিনির্ধারকরা মনের সুখে বড় মাছটি তুলে বাসায় নিয়ে মজা করে খাচ্ছেন। একটিবারও ভাবলেন না মাছ, কি ব্যাগের মধ্যে দিল ওই মাছ ব্যবসায়ী। পলিথিন না চটের ব্যাগ।

আসলে সত্য বলতে কি : ধূমপান বন্ধের নীতিমালা যারা করেছিলেন তারা সিগারেট টানতে টানতেই। এজন্য তাদের এসব মনে থাকে না।

তাই এসব দৃষ্টি আকর্ষণী দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তাছাড়া ওই দৃষ্টি আকর্ষণীর নিচে দেয়া থাকে আদেশক্রমে কতৃপক্ষ।



আমার প্রশ্ন ওই কতৃপক্ষ কি নিয়ম মানেন ?



তিনি কি বুঝে শুনে নিয়ম করেন ?



আর ওই শ্রদ্ধেয় কতৃপক্ষটাই বা কে ???



জানতে খুব মন চায়।



দেখতে পারলে আরো ভাল লাগত !!!



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শব্দ-সওয়ারী বলেছেন: ভৌতিক কর্তার আধিভৌতিক আইন !!! B:-/

২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

েমাজািহদুল ইসলাম িটটু বলেছেন: সত্যিই সেলুকাস
কী বিচিত্র এই বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.