![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সুস্থ নাকি কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলুম, তা বুঝতে অনেক কষ্ট হয়েছিল আমার। সৌমিকদা কে সবসময় ভালো লাগতো। সেটা ভালোবাসা ছিলো কিনা তা বোঝার বয়সও হয়নি তখন। বাবা বিয়ে দিয়ে দেন। কেঁদেছিলুম অনেক। তবে সৌমিকদা কে বলা হয়নি তাকে চাওয়ার কথাটা, তাই কষ্টটা বেশি পেয়েছিলুম। বিয়ে হয় আমার দেব বাবুর সাথে। তাকে সইতে পারতুম না। গায়ে হাত দিলে ঘৃণা হতো। হাপানি ছিলো তার। সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে ফেলি। কেউ ধরতে পারেনি আমায়। চুপ থাকতুম খুব, তা দেখে সবাই ভাবতো আমি দেব বাবুর দুঃখে এমন হয়ে গিয়েছিলুম। অতঃপর বিয়ের ৬মাসের মধ্যেই বিধবা হয়ে ফিরে আসি পিতৃনিবাসে। সৌমিকদা কে দেখে আবার ভালো লাগাটা বাড়তে থাকে কিন্তু সুখ হয়তো আমার কপালেই ছিলো না। ছোট বোন মিতালী আর সৌমিকদার প্রেম সম্পর্কের কথা জানতে পারলুম। বাড়ি থেকে তাদের সম্পর্কও মেনে নেওয়া হয়। বিয়ের কথাও ঠিকঠাক হয়ে যায় আর কেউ আমার নীরবতাও ভাঙার চেষ্টা করেনা। স্বার্থপর আমার নিজ ছোট বোনের সুখ সইলো না। তাকেও হত্যা করে ফেললুম। এরপর মিতালীর রক্ত হাতে সৌমিকদা কে মনের কথাগুলো বলে দেই। আর এর বদলে খাইলুম একটা থাপ্পড়। বাবাকে সৌমিকদা সব বলে দিলেন। আমিও স্বীকার করলুম।
এরপর পোড়াকপালি আমি পথের ভিখিরিনী হয়ে গেলুম। ভালো কিছুই জুটলো না এই জীবনে...
©somewhere in net ltd.