নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবই বুঝি বাট কিছু কইতে পারিনা

chetamal

কোন প্রবলেমই প্রবলেম না, প্রবলেম হলো প্রবলেমের প্রতি তোমার দৃস্টিভংগি

chetamal › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামতি আলেকজান্ডার কি কুরআনে বর্নিত জুলকারনাইন ?

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৯

জুলকারনাইন
https://bn.wikipedia.org/s/28bh

জুলকারনাইন কুরআনে উল্লিখিত একজন ব্যক্তি। কুরআনের সূরা কাহাফ্-এ জুলকারনাইন নামটি উল্লিখিত আছে। কুরআনের তাফসিরকারীদের কারো কারো মতে তিনি একজন নবী ছিলেন। অন্যপক্ষে, ইসলামী পণ্ডিতদের কেউ কেউ মনে করেন কুরআনে বর্ণিত জুলকারনাইন হলেন আলেকজান্ডার। স্মর্তব্য, কুরআনে "আলেকজান্ডার" নামটি সরাসরি উল্লিখিত নেই। প্রাচীনকালে আরব উপদ্বীপে জুলকারনাইন নামটি পরিচিত ছিল অল্প বয়সী উচ্চ ক্ষমতাধর একজন শাসক হিসেবে। জুলকারনইন শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল "দুই শিং বিশিষ্ট"।


ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত কিশোর আলেকজান্ডারের মূর্তি

কুরআনে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা

কুরআন শরীফের সূরা কাহাফের আয়াত নম্বর ৮৩-১০১ অংশে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। নবী হিসেবে জুলকারনাইনের নাম উল্লেখ নেই যদিও কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না এমনটিও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁকে সকল বিষয়ে পথনির্দেশ বা দিকনির্দেশ এবং/অথবা কার্যপোকরণ দিয়েছেন। তিনি এরপর দুটি পথ অনুসরণ করেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতির দেখা পান। তিনি তাদের জন্য গলিত তামার তৈরি একটি প্রাচীর বানিয়ে দেন। সূরা কাহাফ ৮৩-৮৬ নম্বর আয়াতে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ

"তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"

জুলকারনইন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতেন নির্যাতীত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোসিত লোকদের মুক্তি দিতেন। কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারণাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। সূরা কাহাফের ৯৩ হতে ৯৮ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনের এই প্রাচীর নির্মাণের উল্লেখ আছে। ধারণা করা হয় এই জাতি ধাতুর ব্যবহার জানতো। তারা হাপর বা ফুঁক নল দ্বারা বায়ু প্রবাহ চালনা করে ধাতুকে উত্তপ্ত করে গলাতে পারতো এবং তারা লোহার পিন্ড ও গলিত সীসাও তৈরি করতে পারতো। পরবর্তী আয়াতের বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে গলিত তামার উল্লেখ আছে; ইংরেজি অনুবাদে তামার স্থলে সীসার উল্লেখ আছে। জুলকারনাইন তাদের প্রতিরোধ প্রাচীর তৈরি করার জন্য উপাদান ও শ্রম সরবরাহ করতে বললেন। তারা নিজেরাই জুলকারনাইনের আদেশ মত দুই পর্বতের মাঝে শক্ত লোহার প্রাচীর বা দ্বার তৈরি করলো।


জাঁ লিয়ঁ জেরোম ফেরিসের তুলিতে অ্যারিস্টটলের নিকট হতে শিক্ষালাভরত আলেকজান্ডার

বাইবেলে উল্লেখ

ইয়াজুজ মাজুজ জাতি কে বাইবেলে গগ ম্যাগগ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

জুলকারনাইন এবং আলেকজান্ডার বিতর্ক


আধুনিক যুগের গবেষক ও পন্ডিতদের মতে কুরআনে উল্লিখিত জুলকারনাইনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্ভাব্য ৩ টি চরিত্র নির্দেশ করা হতে পারে , যারা হলেন ;
• মহামতি আলেকজান্ডার
• সাইরাস দি গ্রেট
• হিমায়ার সাম্রাজ্যের একজন শাসক।

জুলকারনাইনের প্রাচীর

এই প্রাচীরটির সঠিক অবস্থান নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এ সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রচলিত। একটি মতবাদ অনুসারে, কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারনাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। এই বর্ণনার সাথে মিলে যায় এমন একটি দেয়াল রয়েছে কাসপিয়ান সাগর উপকূলে। ইতিহাসবিদদের দ্বারা স্বীকৃত যে এ দেয়াল তৈরি করেছিলেন আলেকজান্ডার। যা তৈরি করতে লোহা ও তামা ব্যবহৃত হয়েছে। সেখানে একটি তোরণ রয়েছে যেটি ‘কাসপিয়ান গেট’ বা আলেকজান্ডারের গেট নামে পরিচিত। দারিয়াল এবং দারবেন্ত নামে দুটি শহরে এর ব্যপ্তি। দারিয়াল রাশিয়া এবং জর্জিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এটিকে বলা হয় কাজবেক পাহাড়ের পূর্ব প্রান্ত। দারবেন্ত রাশিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত একটি শহর। কাসপিয়ান সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে নির্মীত এ দেয়ালটি তোলা হয়েছে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে। এ পাহাড় দুটিকে বলা হয় পৃথিবীর উঠান। আলেকজান্ডার নির্মীত এ দেয়ালের উচ্চতা ২০ মিটার এবং এটি ৩ মিটার (১০ ফুট) পুরু।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। "

-পড়লাম, পড়তে ভালো লেগেছে; বিষয়ের উপর মন্তব্য করবো না; করলে, গোলমাল লেগে যাবে!

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আধুনিক যুগের গবেষক ও পন্ডিতদের মতে কুরআনে উল্লিখিত জুলকারনাইনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্ভাব্য ৩ টি চরিত্র নির্দেশ করা হতে পারে , যারা হলেন ;
• মহামতি আলেকজান্ডার
• সাইরাস দি গ্রেট
• হিমায়ার সাম্রাজ্যের একজন শাসক।

আমি সাইরাস দি গ্রেটকে এ বিষয়ে অধিক সঠিক মনে করি।
তবে চাঁদগাজী সাহেবের অনুসরণ করছি, বেশী আলোচনায় যেতে চাইনা।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমিও দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। লিখবো লিখবো বলে ভাবতে ভাবতে আমি লিখে ফেললেন। ভালোই তবে আরো কিছু নবী-রাসুল নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিলো না হয় আপনিই লিখেন। সেটা হলো প্রথমত “জুলকিফর” আধুনিক গবেষকরা “জুলকিফর’ নবীকে মহামতি গৌতমবুদ্ধ কে বোঝাচ্ছেন। জুল শব্দের অর্থ বাসী এবং কিপর যা কপিলা শব্দের পরিবর্তিত রুপ। যার অর্থ দাড়ায় কপিলাবাসী।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: "তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। "-----পড়লাম, পড়তে ভালো লেগেছে; বিষয়ের উপর মন্তব্য করবো না; করলে, গোলমাল লেগে যাবে!


“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)

গোলমালের কি? আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো যোগ্যতা আমরা অনেকাংশে অর্জন করেছি। আর সামান্যই বাকী। "তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। "

অাপনার হাসির কারন আমরা বুঝতে পারছি। কারন আল কোরআনে “ তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন” । এতে হাসির কিছু নেই ভাই্। আল কোরআন নাযিল হয়েছিলো ১৪০০ বৎসর পূর্বের মানুষদের জন্য। যাদের সময় জানা ছিলো সুর্য অস্ত যায় এবং উদিত হয়। তাই আল কোরআনের আয়াতে ঐ সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি ফলো করে বলা হয়েছে। ১৪০০ বৎসর পূর্বের মানুষেরা জানতো না যে সুর্য কে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘোরে। তাই সূর্য উদয় হয় এবং অস্ত যায়।

সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। দীর্ঘদিন পূর্বেই এই নামকরন করা হয়। চাইনিজরা সুই সাম্রাজ্যের (Sui Dynasty) আমলে জাপানকে এ নাম দিয়েছিল। জাপানীরা তাদের দেশকে বলে “নিপ্পন” বা ‘নিহন’, যার আক্ষরিক অর্থ ‘সূর্যের উৎস’ বা ‘Source of Sun’। জাপানের চারপাশে প্রশান্ত মহাসাগরের বিপুল জলরাশি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না বলে চীনের কিনারা থেকে জাপানের দিকে তাকালে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। মনে হয়, সূর্য বুঝি জাপান থেকেই উদিত হয়। এ কারণে জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয়ের দেশ।

কেনো আল কোরানে সুর্যদোয়ের কথা বলা হলো। কারন তখনকার মানুষেরা সুর্যউদয় এবং সুয অস্তের কথা জানতো। আল কোরআন পৃথিবী ঘোরা বা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে বলে নাই কারন ঐ সময়ের মানুষের জন্য ঐটাই সত্য। স্রষ্টা জানতেন মানুষ এটা একটা সময় জানবে। আল কোরআন বলে “প্রত্যেক সংবাদ প্রকাশের নিদিষ্ট সময় রহিয়াছে। (৬:৬৭)”

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এক নহে ! বিশেষ করে আলেকজান্ডারের ব্যাক্তিগত চরিত্র ইতিহাসে যা পাওয়া যায় তাহা কখনো ইসলামের পবিত্রতার সাথে মিল খায় না !
জুলকারনাইন নেক বান্দা ছিলেন।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: টারজান০০০০৭ এর সাথে একমত কারন আলেকজান্ডার যে একেশ্বরবাদী ছিলেন তার কোন প্রমান অদ্যবদি পাওয়া যায় নাই। বরং তিনি ছিলেন কিছুটা অহংকারী যেটা নবীদের চরিত্রের সাথে যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.