![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে এক পাকিস্তানী অধ্যাপকের লেখা কলাম ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আজকের পাকিস্তানী তরুণরাও যে কতোটা অজ্ঞ, তার কিছু নমুনা এই লেখায় তুলে ধরেছেন কায়দে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার সাবেক অধ্যাপক পারভেজ হুদভয় (লেখাটি বাংলায় অনুবাদ করে ছেপেছে ঢাকার প্রথম আলো।) বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানীদের এই ভ্রান্ত ধারণায় আমি অবাক হই না। আমি অবাক হই বাংলাদেশেরইু কিছু মানুষ যখন তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্যাপারে একই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গী পোষন করে।
জীবনে প্রথম কোন পাকিস্তানীর সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সরাসরি বাতচিতের সুযোগ হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের লীডস শহরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব ছাত্র-ছাত্রী সেবছর ইউনিভার্সিটি অব লীডসে পড়তে এসেছেন, তাদের একটা স্বাগত জানাতে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন শহরের মেয়র। সেখানে এই পাকিস্তানী ছাত্রের সঙ্গে পরিচয়। আমি বাংলাদেশের মানুষ জেনেই দুই হাত জড়ো করে মাফ চাইলেন। বললেন, ১৯৭১ সালে আামরা আপনাদের সঙ্গে অনেক অবিচার করেছি। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। বাংলাদেশের রাজাকাররাই যেখানে এখনো বুক ফুলিয়ে বলে, একাত্তরে আমরা ভুল করি নাই, সেখানে এই পাকিস্তানী তরুণের ক্ষমা প্রার্থনা অবাক করার মতোই।
পরে সেই অনুষ্ঠানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে তার সঙ্গে। পরে আমি বুঝতে পেরেছি, কেন বাংলাদেশের জন্য তার এত সহমর্মিতা। তিনি বালুচিস্তানের মানুষ। বাঙ্গালিদের মতো তারাও লড়ছেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে। তার ভাষায়, 'ইন বালুচিস্তান, দেয়ার ইজ নো পাকিস্তান।' ঠিক এই একই কথার প্রতিধ্বিনি শুনেছি পরে বালুচিস্তানের অনেক মানুষের কন্ঠে। অস্ত্রে র বলে পাকিস্তানী বাহিনী বালুচিস্তানকে দমিয়ে রেখেছে। কিন্তু কতদিনের জন্য?
পারভেজ হুদভয় তার লেখা শেষ করেছেন এই বালুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনেই। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান যদি ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়, তাহলে বালুচিস্তানের সমস্যা উপলব্ধি করা অনেক সহজ হবে।
পাকিস্তান হয়তো কোন একদিন তাদের ভুল স্বীকার করবে, হয়তো পাকিস্তানের নব প্রজন্ম জানতে পারবে সঠিক ইতিহাস। কিভাবে একটি জাতির ওপর এক অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল তাদের সেনাবাহিনী।
কিন্তু এই পাকিস্তানী বাহিনীর দোসর বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কাছে কি সেই একই জিনিস প্রত্যাশা করা যায়? স্মরণ করে দেখুন তাদের নেতাদের দম্ভোক্তি। গোলাম আযম বলেছেন, একাত্তরে তারা কোন ভুল করেন নি। মুজাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।
কাজেই পাকিস্তানকেও আমরা হয়তো একদিন ক্ষমা করার কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত, কিন্তু এই গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদ গং, এই জামায়াত-শিবির চক্রকে কখনোই নয়। ওদের ক্ষমা নেই।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
তাসজিদ বলেছেন: পাকিস্থান কে জাতি হিসেবে ক্ষমা চাইতে হবে। করজোর করে।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুন্দর লিখসেন
++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমার মনে হয়না যে, পাকিস্তান ক্ষমা চাইলেও আমি বা এভারেজ বাংলাদেশিরা পাকিস্তানকে কখনো ক্ষমা করতে পারবে।
ওরা যা আমাদের সাথে করেছে তা ভোলার নয় বা ভোলা উচিৎ নয়।