![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
২য় পর্বের পর.............
অ্যাসোসিয়েট অব প্রেসের (এপি) মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি ডেইল গাভলাস লিখেছে, ‘সিরিয়ার বিদ্রোহীরা তার কাছে স্বীকার করেছে যে, তারা রাসায়নিক অস্ত্রের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের সউদী আরব থেকে যে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিলো, তা অসাবধানতার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানি ঘটেছে।’ ভয়েস অব রাশিয়াও এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আড়াই বছর ধরে আসাদ বাহিনী যুদ্ধ করছে। এ যাবৎ লাখেরও বেশি মুসলমান শহীদ হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। আরো প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দেশের ভেতরে ভিটামাটি ছাড়া হয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে- আড়াই বছর যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষায় থেকে এই সময়ে অভিযান চালাতে চাচ্ছে কেন এবং অজুহাত সৃষ্টি করছে কেন? অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার। ইরাক-ইরান যুদ্ধ, ইরাকের কুয়েত দখল, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত ও ফাঁসিতে ঝোলানো ইত্যাদি ঘটনা প্রবাহের প্রেক্ষাপট এবং তার ফলাফল দেখলে যে কেউ বুঝতে পারেন কত ধূর্ততার সঙ্গে কূটচালের প্যাঁচে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র এক এক করে ঘায়েল করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ইরাক ইতোমধ্যে ভূপাতিত। এখন সিরিয়ার পালা। সিরিয়ায় সফল হলে পরবর্তীতে পাশ্চাত্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে ইরানের উপর। মানুষের প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র, সউদী আরব, ইসরাইলের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে।
প্রথম পর্ব।
২য় পর্ব।
©somewhere in net ltd.