নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের একটি সামান্যতম উদাহরন। ১৭ মাস ধরে মুসলিম তরুনীকে আটকে রেখে অমানবিক, বর্বর নির্যাতন

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

নির্যাতিতা এক ভারতীয় মুসলিম বোনের আত্মবিবৃতি ...!

কেউ এড়িয়ে যাবেন না।

-------------------------------------------------



১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বরাবর

পুলিশ পরিদর্শক

সন্তোষ নগর পুলিশ স্টেশন।

হায়দারাবাদ।



বিষয়ঃ আমাকে অপহরণ করে অবৈধভাবে কাস্টোডিতে রেখে টর্চারিং,

আমার ধর্মকে গালাগালি এবং সতেরো মাস ধারাবাহিকভাবে আমাকে ধর্ষন করার জন্য



জনাব সত্য প্রকাশ সিং(মীরপেট,

রাঙ্গা রেড্ডি জেলায় অবস্থিত টি আর আর কলেজ ক্যান্টিন

এবং বালাপুরের টেস্টি ফুডকোর্টের মালিক) এবং তার সহকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ একশন

নেয়ার আবেদন।



উপরে বর্ণিত বিষয়ের সাথে বিবৃত করছি যে, আমি মিস সাদীয়া মুবীন,

পিতা- মরহুম এম এ রাউফ, বয়স-২০ বছর, টি আর আর কলেজের পলিটেকনিক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কলেজ চলাকালীন

সময়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রায়ই বন্ধুদের সাথে কলেজ

ক্যান্টিনে যেতাম। সেখানে ক্যান্টিনের মালিক সত্য প্রকাশ সিং এর

সাথে অনেকবার দেখা হয়েছে। ৩ এপ্রিল ২০১৩তে আমি সুস্থতা বোধ

করছিলাম না, তাই কলেজ ক্যান্টিনে যাই কিছু জুস খাবার জন্য। কথিত সেই

মালিকের কাছে যখন আমি কিছু জুস চাইলাম, তিনি আমাকে একটি জুস দিলেন এবং আমার সাস্থ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। জুস

খাবার পর মনে হল যেন আমার মাথাটা ঘুরছে এবং একটু পর আমি জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেললাম। জ্ঞ্যান ফেরার পর

আমি নিজেকে একটি অন্ধকার রুমের মধ্যে দেখতে পেলাম এবং দেখলাম

আমার কাপড়গুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার দিতে চেষ্টা করলাম।

আকস্মিকভাবে সত্য প্রকাশ সিং এসে আমার হাত বেঁধে ফেলে একটি বেল্ট দিয়ে আমাকে অত্যন্ত কঠিনভাবে প্রহার করতে শুরু করে।

এবং আমাকে ধর্ষণ করে যার ফলে আমার গুপ্তাংগ থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করে। খুব অন্ধকার থাকায়

আমাকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। পরের দিন কিছু খাবারের

প্যাকেট নিয়ে আবা আসে এবং আমাকে খেতে বলে। খাবার খেতে অস্বীকার করায়

আমাকে আবারো প্রহার করে এবং খাবার খেতে বাধ্য করে। কিছু সময় পর সে আমাকে ধর্ষণ করে। এইভাবে প্রায় এক মাস

আমাকে তালাবদ্ধ করে রেখে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করতে থাকে। বাড়ীর মালিক তার কার্যক্রমে সন্দেহ করায় তাঁকে বাড়ী ছেড়ে দিতে বলে। এই

বাড়ীটি ছিল রাঙা রেড্ডি জেলার মীরপেটের আলমাসগুদায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট। আমার তীব্র চীৎকারে বাড়ীর মালিক

তাকে বাড়ীটি ছেড়ে দিতে বলে।

একদিন রাত তিনটার দিকে এসে আমাকে অঙ্গীকার দেয়

যে আমাকে আমার বাড়ীর পাশে ছেড়ে দিয়ে আসবে সেজন্য আমি যেন

তার সাথে যাই। সে আমাকে আমাকে নীল রঙয়ের

একটি টাটা সুমো গাড়ীতে(এপি ১১ জি ৯১০৮) তুলে। এক

ঘন্টা জার্নি করার পর গায়াত্রি নগরের অন্তর্ভূক্ত বালানগরের মীরপেটের

একটি ফ্ল্যাটে জোড় করে নিয়ে তুলে। আমার প্রতিবাদ এবং চিৎকার

স্বত্বেও এক মহিলার সাহায্যে আমাকে লক করে ফেলে, যেই মহিলামকে আমি দেখেই

চিনতে পারি। এই ফ্ল্যাটেও সে আমাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করত এবং গালাগালি করে বলত যে সে সব মুসলিম মেয়েকে এইভাবে ধর্ষণ করবে।

সে বলত আমি পঞ্চম মুসলিম মেয়ে যাকে সে ধর্ষণ করেছে। আমার আগেও আরো চারটি মুসলিম মেয়েকে এইভাবে ধর্ষণ

করে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। সে বলত তার অবসরপ্রাপ্ত

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বাবা এবং তার ক্রিমিনাল আইনজীবী ভাই তাকে সব সময়

পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। মে ২০১২তে একদিন অতিরিক্ত এলকোহল পান করে আমাকে ধর্ষণ করার পর সে ঘুমিয়ে পড়ে। আমার

হাত খোলা থাকায় আমি তার ফোন দিয়ে আমার মায়ের কাছে ফোন করি এবং মাকে আমার নির্যাতিত হওয়ার কথা বলি। আমার ভাই

আমার হারিয়ে সম্পর্কে সন্তোষ নগর পুলিশের কাছে আমার হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মামলা করেছিলেন। তিনি আবার পুলিশের

কাছে গিয়ে আমার ফোন করার কথা বলেন। সত্য প্রকাশ সিং প্রায় পাঁচ দিন রুমে আসেনি। আমার তত্ত্বাবধানকারী সেই

মহিলা আমাকে জানালা দিয়ে আমাকে খাবার-পানি দিত।

আমাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

৬ষ্ঠ দিন মাতাল অবস্থায় হঠাত করে এসে সত্য প্রকাশ

সিং আমাকে প্রহার করা শুরু করে এবং আমার মা ও আমাকে অত্যন্ত

খারাপ ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। সে বলছিলো আমি কেন তার ফোন

দিয়ে ফোন করলাম যার ফলে পুলিশ তাকে সন্দেহ করা শুরু করেছে। প্রহার করার পর সে আমাকে আবারো ধর্ষণ

করে এবং বলে যে কলেজের মালিক তীগালা কৃষ্ণ রেড্ডি(সাবেক মেয়র)

এবং টিডিপি নেতা ও তার ছেলের মধ্যস্ততায় পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।

একদিন সে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আসে। যার মধ্যে তার বাবা, স্ত্রী এবং ভাইও ছিল। আমাকে তাদের

সাথে দেখা করতে বলে। দেখা করার পূর্বে সে জোড়

করে আমাকে একটি তিলক পড়িয়ে দেয়। সে তা পরিবারের লোকদের

কাছে আমাকে দেখিয়ে ভাণিতা নামে পরিচয় দিয়ে বলে সে যেহেতু

সন্তানহীন তাই আমাকে বিয়ে করেছে। তার বাবা বিশমুখ প্রকাশ সিং(সাবেক

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা), ভাই জয় প্রকাশ সিং(এডভোকেট)

এবং স্ত্রীর সামনে আমি কাঁদতে শুরু করি এবং তাদেরকে বলি যে, সত্য প্রকাশ

সিং আমাকে অপহরন করে নিয়ে এসে বন্দী করে গত চারমাস ধরে ধর্ষন

করে চলেছে। আমার কথা শুনে তারা সবাই হাসতে শুরু করে। বলে যে, সত্য

প্রকাশ যেহেতু এসব একটি মুসলিম মেয়ের সাথে করছে তাই তারা সবাই তাকে সমর্থন করে। তার বাবা এবং স্ত্রী আমাকে চিৎকার

করে কাঁদতে দেখে তার এডভোকেট ভাইয়ের সাথে রেখে তারা বাইরে চলে যায়। তার এডভোকেট ভাই আমাকে স্লিপার দিয়ে পেটায়

এবং ধর্ষণও করতে চেষ্টা করে। তাদের নির্যাতনে আমি জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলি। তার ভাই আমাকে হুমকী দেয় যদি আমার মা,ভাই

সন্তোষ নগর থেকে মামলা তুলে না নেয় তাহলে তাদেরকে খুন করে ফেলবে। কয়েক মাস পর সে আমাকে তৃতীয় আরেকটি নতুন জায়গায়

সরিয়ে নেয়। সেখানে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং খুব বেশি বমি করতে থাকি। সে কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে আসে আমাকে পরীক্ষা করার

জন্য এবং বিবৃত সেই মহিলা বলে আমি গর্ভবতী হয়ে গেছি। আমি কাঁদতে শুরু করি এবং তাদেরকে বলি আমাকে ছেড়ে দিতে।

গর্ভপাত করার পর ছেড়ে দিবে এই অঙ্গীকার করে সে আমাকে একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যায় এবং মহিলা ডাক্তারকে গর্ভপাত করতে বলে।

আমি মহিলা ডাক্তার এবং তার স্টাফদের গর্ভপাত করার প্রতিবাদ করি কিন্তু মহিলা ডাক্তার আমার কথা না শুনে গর্ভপাত করে ফেলে।

গর্ভপাতের পর খুব বেশি রক্তক্ষরণ হচ্ছিল আমার। সে আমাকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। গর্ভপাত করার পরও তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য

সে আমাকে উত্যক্ত করত। সে আমাকে ওরাল সেক্স এবং এলকোহল পান করার জন্য ফোর্স করত। একদিন যখন আমি খুব জোড়ে চিৎকার

করে কাঁদছিলাম তখন কিছু প্রতিবেশি পুলিশকে ফোন করে আমার কথা বলে। কিছু সময় পর তিনজন পুলিশ আসে।

আমি তাদেরকে সবকিছু খুলে বলি যে আমাকে অপহরন

করে নিয়ে এসে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং ধর্ষণ ও বিভিন্ন রকম নির্যাতন করছে। পুলিশ

সত্য প্রকাশ সিং কে তাদের সাথে নিয়ে যায় এবং কিছু সময় পর ফিরে আসে। আমি দেখলাম সব পুলিশ এবং সত্য প্রকাশ

সিং মাতাল। পুলিশরা রুমে প্রবেশ করে বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ন

মন্তব্য করতে থাকে। তারা সত্য প্রকাশ সিং কে ধর্ষণ করতে উইশ

করে চলে যায়। যাবার আগে আমার শরীরের গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করে আমার বিরুদ্ধে অশ্লীল কথা-বার্তা বলে।

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩তে দুপুর ১টার দিকে সে বরাবরের মত মাতাল

অবস্থায় কিছু খাবারের প্যাকেট নিয়ে আসে। লাঞ্চ করার পর সে আমাকে আবারো ধর্ষণ করে এবং ঘুমিয়ে পড়ে। দরজা খোলা থাকায়

আমি তার হাত থেকে ছুটে দৌড়াতে শুরু করি। দৌড়াতে দৌড়াতে সাড়ে চারটার আমি আমার বাড়ীতে পৌছে যাই।

সত্য প্রকাশ সিং, তার বাবা, তার ভাই, তার স্ত্রী, তিন ফ্ল্যাট

মালিক যাদের ফ্ল্যাটে আমাকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখে টর্চার

এবং ধর্ষণ করা হয়েছে, টি আর আর কলেজ মালিক যে সন্তোষ নগর

পুলিশের কাছ থেকে সত্য প্রকাশ সিং কে ছাড়িয়ে দিয়েছিল, নার্সিং হোম ও সেই মহিলা ডাক্তার যে আমার গর্ভপাত করেছিল

এবং তিনজন পুলিশ সদস্য যারা আমাকে উতপীড়ন

করতে চেষ্টা করেছিল তাদের সবার বিরুদ্ধে যথাযথ একশন নেওয়ার জন্য

আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুরুধ করছি। যথাযথ একশন আমার প্রতি ভয়প্রদর্শনকারী হতে পারে।



বিনীত -

আপনার আন্তরিকতায়

সাদীয়া মুবীন

=================================

অনুবাদ - শরীফ রেজা



এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে প্রতিদিন ভারতে এবং খোদ বাংলাদেশেও মুসলিম মেয়েরা নির্যাতিত। ঘটনার মূল হোতা সত্য প্রকাশ সিং এর জন্য এটা ৫ম মুসলিম তরুনী যাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। শুধু একজন যদি ৫কে এমন বর্বর নির্যাতন করে তাহলে সারা ভারতে এবং সারা বিশ্বে কি অবস্থা শুধু একবার চিন্তা করলেই বুঝা যায়।





নিউজ লিংক ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

স্বপনচারিণী বলেছেন: ভয়ঙ্কর সব ঘটনা! পৃথিবী যত তারাতারি ধ্বংস হবে ততই মঙ্গল। এই ঘটনার যাতে যথাযথ বিচার পায় সাদীয়া।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

মাটির কথা বলেছেন: বিচার পাওয়ার আশা করি সবাই । কিন্তু ভারতে মুসলমানদের জন্য কোন ন্যায় বিচার নেই।

পৃথিবী যথাসময়েই ধ্বংস হবে। আর অপকর্ম করে মানুষ নিজে থেকেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। এদেরকে ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী,,,,,,,,,,,,,,,
ঘটনাটি যখন পড়ছিলাম তখন কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল,,,,,,,,,,,,
যারা খারাপ তারা সব সময়ই খারাপ,,,,,,,,,,,এদের কোন ধর্ম নেই,,,,,,,,,জাত নেই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তারা শয়তান

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

মাটির কথা বলেছেন: শয়তান ও এ পাপ করেনি।
এদের ধর্মই মূখ্য।
ওই তরুনী অপরাধ সে মুসলিম।
আর ধর্ষক বর্বরের ভাষ্য অনুযায়ী সে এরকম আরো চারজন মুসলিম তরুনীকে নির্যাতন করে কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছে।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

গরম কফি বলেছেন:
ভারত একটি কট্টর ধর্মান্ধ দেশ । প্রতিটা কট্টর ধর্মান্ধ দেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে হাজারটা অন্যায় করা হয় । মানুষের মধ্যে মানবতা জেগে উঠুক মানুষ যেনো আগে মানুষ হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.