![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
ছাত্র: স্যার, চাঁদের বয়সের বিষয়টি বুঝেছি, কোনো দেশ যদি চাঁদ দেখার দাবি করে অথচ সেদিন সে দেশে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স ১৭ ঘণ্টার কম হয় তাহলে বুঝতে হবে চাঁদ দেখার সে দাবীটা সত্য নয়। আজ কৌণিক দূরত্বের বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
শিক্ষক: আমি বলেছিলাম, অমাবস্যার সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী একই রেখা বরাবর বা একই দিকে অবস্থান করে। তারপর থেকে চাঁদ যত সরে আসতে থাকে তত চাঁদের বয়স বাড়তে থাকে। কিন্তু চাঁদ যত সরে আসতে থাকে সূর্যের সাথে তার একটি কোণ তৈরি হতে থাকে, এই কোণ হচ্ছে কৌণিক দূরত্ব। চাঁদের বয়স বাড়লেই যে কোন বড় হবে তা কিন্তু আবার না। পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘূর্ণনের সাথে বয়সের সম্পর্ক আর কোণ তৈরি হয় সূর্যের অবস্থানের সাথে চাঁদের অবস্থানের উপর। সাধারণত কোণ ৯ থেকে ১২ ডিগ্রীর মধ্যে হলে চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা থাকে।
ছাত্র: স্যার, বিষয়টা জটিল মনে হচ্ছে। অমাবস্যার পর থেকে চাঁদ সরে আসতে থাকলে বয়স বাড়বে কিন্তু কেন কোণ সবসময় বড় হবে না?
শিক্ষক: অমাবস্যার সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী একই রেখা বা একই দিকে অবস্থান করে সত্য কিন্তু একই তলে অবস্থান করে না। আরও বুঝিয়ে বলা যেতে পারে, যেমন প্রতি মাসেই অমাবস্যা হয়, কিন্তু প্রতি মাসে কি সূর্যগ্রহণ হয়? সূর্যগ্রহণ হয় তখনই যখন চাঁদ, পৃথিবী, সূর্য একই তলে অবস্থান করে, অর্থাৎ চাঁদ একদম পৃথিবীর সামনে এসে সূর্যকে আড়াল করে দেয়। চাঁদ-সূর্যের বিভিন্ন তলে অবস্থান করার কারণেও কোণ ছোট-বড় হতে পারে।
ছাত্র: স্যার, কৌণিক দূরত্ব বাড়ার সাথে চাঁদ দেখার কি সম্পর্ক?
শিক্ষক: কৌণিক দূরত্ব বাড়তে থাকলে সূর্যের প্রতিফলিত আলো পৃথিবীতে আসতে থাকে। সাধারণত ৭ ডিগ্রী পর্যন্ত সরে আসলে চাঁদের প্রতিফলিত আলো পৃথিবীতে আসেনা। ৯ ডিগ্রীর বেশি সরে আসলে পৃথিবী থেকে চাঁদ দেখা যায়।
ছাত্র: তাহলে আমরা বলতে পারি চাঁদ-সূর্যের কৌণিক দূরত্ব বেশি হলে চাঁদের প্রতিফলিত আলো বেশি আসে বলে আমরা চাঁদ দেখতে পাই
শিক্ষক: সঠিক। আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে আমরা আবার আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
শাফা সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
শাফা সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল লাগলো