![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি লেখালেখি লেখা আমার পেশা ও নেশা ঘৃনা করি হলুদ সাংবাদিকতা
২ জানুয়ারি (১৯৭৩) স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। আর এদিন পল্টন ময়দানে আয়োজিত এক সমাবেশে ডাকসুর পক্ষ থেকে তত্কালীন ভিপি মুজাহিদুল ইসলাস সেলিম তুমুল করতালীর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রত্যাহার করে নেন এবং ‘ডাকসু’র আজীবন সদস্য পদ বাতিল করেন। এসব ঘটনা ওই সময়ের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়।
এর আগে ১৯৭৩ সালের ১লা জানুয়ারী স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছাত্র, জনতা এবং সাংবাদিকের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের বছরকাল পার না হতেই বিরোধী দমনে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এদিন শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ বেপরোয়া ও নৃশংসভাবে গুলি চালিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষ অনার্সের ছাত্র মতিউল ইসলাম এবং ঢাকা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র মির্জা কাদেরকে হত্যা করে। এ সময় গুরুতর আহত হন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, দৈনিক বাংলার বাণীর ফটোসাংবাদিক রফিকুর রহমানসহ ৬ জন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আহূত দেশব্যাপী ‘ভিয়েতনাম দিবস’-এর কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় সংগ্রামী ছাত্রসমাজ ভিয়েতনামের মার্কিনীদের বর্বর বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বেলা সোয়া ১২টায় মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের সামনে ছাত্রদের ওপর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। গুলির আগে পুলিশ কোনো রকম হুশিয়ারি দেয়নি। লাঠিচার্জ বা ফাঁকা গুলিও করেনি। ছাত্রহত্যার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজধানীর দোকানপাট স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। অফিস আদালতের লোকজন রাস্তায় নেমে আসে। চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। তারা সোচ্চার কণ্ঠে হত্যার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ মিছিলে উচ্চারিত স্লোগানগুলো হচ্ছে—‘নিক্সন-মুজিব ভাই ভাই,— এক রশিতে ফাঁসি চাই,’
‘শহীদ মতিউল-কাদেরের রক্ত— বৃথা যেতে দেব না,’
‘খুনি মান্নানের— ফাঁসি চাই,’
‘খুনিশাহী মুজিবশাহী ধ্বংস হোক,’
নিক্সনের দালালি করা চলবে না,’
‘বাংলার মীরজাফর শেখ মুজিব।
২| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
খাটাস বলেছেন: যুগে যুগে বাঙালির আবেগি বোকামির প্রমাণ ছিল এখন ও বিদ্যমান।
সকালে ভাই, বিকালে চু** ভাই। রাগ কমলে আবার ভাই।
সে ভাই যেমনি হোক।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন সরকার ও জনগণ- উভয়েই যথেষ্ট অধৈর্যশীল ছিলেন বলে মনে হল।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১৫
সকাল হাসান বলেছেন: খাটাস বলেছেন: যুগে যুগে বাঙালির আবেগি বোকামির প্রমাণ ছিল এখন ও বিদ্যমান।
সকালে ভাই, বিকালে চু** ভাই। রাগ কমলে আবার ভাই।
সে ভাই যেমনি হোক।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন সরকার ও জনগণ- উভয়েই যথেষ্ট অধৈর্যশীল ছিলেন বলে মনে হল।
কমেন্টে +++
৪| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
অন্তীম বলেছেন: তারপরেও হাওয়ামীলীগ তারে বঙ্গবল্টু বইলা ডাকে
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
নহে মিথ্যা বলেছেন: ইতিহাস... বড়ই বেদনাদায়ক