নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমৃত্যুর দু:খের তপস্যা এ জীবন-

চৈতী আহমেদ

নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে।

চৈতী আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্প তুমি কাদের দাসী?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

প্রথম জৈবনিকবোধ উন্মেষের দিনে তোমায় কতো ভালোবেসেছি

হৃদফাগুনে তোমার সুরের ঘোরে ঘোরে মাতাল হয়েছি!

আমার দেশের রাখালিয়ার বাঁশির সুরে তোমায় বুঝেছি!

আজ বদ্বীপ জুড়ে জ্বলছে যখন ঘৃণার আগুন, শিল্পমনা

মানুষগুলোর কোমল ত্বকে আর্তনাদের কাতর নদী, এমন সময়

কেমন করে তুমি বাজলে বাঁশি? বাংলাদেশের নিদানকালে

কার কপালে আঁকলে তিলক? শিল্প তুমি কাদের দাসী? কারা তারা?

পেট্রোল বোমায় শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মেরে মুমূর্ষকে পথে ফেলে,

হুজুগ নামের শিল্পবোধে মাথা দোলায় তোমার সুরে? কারা তারা?



“ চৌরশিয়া রক্স, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মোহময়ী সুরে যাচ্ছি পৌঁছে অমরলোকে”

স্মার্ট ফোনে স্টাটাস লিখে দ্রুত লয়ে কানের ভেতর তুলো গুজে

ঘন ঘন তুলছে জৃম্ভণ কারা ওরা? অমরলোকের তারা কি সব মানুষ চেনে?

মানুষ বোঝে? পুড়ে মরা স্বজন হারার আর্তি বোঝে? মানুষ যদি

তারা নাই বা বোঝে কাদের জন্য বাজাও তুমি, চৌরশিয়া? শাস্ত্রবোদ্ধা

পিশাচ তারা, এয়ার উইকের সুগন্ধিতে পোড়া লাশের গন্ধ ঢাকে?

যারা শিল্পবোদ্ধার মুখোশ এঁটে জাতে উঠার ফিকির করে?



সব সুশীল, টকশোজীবি, প্রতিক্রিয়াশীল আজ সমঝদার আর বোদ্ধা তোমার!

এদের সহমতের আগুনেই তো পুড়ে গেলো এমন করে সোনার বাংলার

ধুলো মাখা মানুষগুলো, তোমার বাঁশি শুনবে কারা? মানুষের ভেতর মানুষ যদি নাইবা বাঁচে? বাঁশি তুমি কেমন করে শিল্প হবে? মানবতার সুরটি যদি

তোমার বুকে নাই বা বাজে? ছি: চৌরশিয়ার বাঁশি ছি:!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনি কবিতা দারুণ লেখেন, কবিতায় ভালো লাগা। তবে কবিতার মূল বক্তব্যে আমার কিছু কথা আছে,- আমরা রাস্তা ঘাটে মানুষ পুড়ছে যত্র তত্র, তাতে আমাদের আর সব কিছুতে তেমন সমস্যা আপত্তি না থাকলে চৌরাশিয়ার বাশিতে কেন? চ্যানেল গুলার বিনোদন, নাচ, গান বন্ধ নাকি? সিনেমা হল গুলো শাটার নামিয়েছে নাকি? বহুজাতিক শপিং মলের বাহারী পন্যের বিক্রি বন্ধ হইসে নাকি? শোকে প্রতিবাদে বিবশ সচেতন নাগরিকেরা সঙ্গম বন্ধ করে দিয়েছে নাকি? তাহলে চোউরাশিয়ার বাঁশী নিয়ে আপত্তি কেন?

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

চৈতী আহমেদ বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ আপনাকে ধন্যবাদ। তবু ভালো আপনি এসে একটা প্রতিক্রিয়াতো জানালেন। লক্ষ্য করেন, আমার এই লেখাটি সতেরবার পঠিত। লেখাটি কারো মনেই কোনো প্রতিক্রিয়া জাগাতে পারেনি। কারণ লেখাটির বিষয়বস্ত। আমরা আসলে সহ্য করতে করতে একটা নির্লিপ্ত আবরণে নিজেকে আবৃত্ত করে ফেলেছি। সকলের ভাবখানা এমন এই লেখাটি আমি অন্য কোনো দেশ অন্যকোনো সমাজ থেকে তুলে নিয়ে এসেছি। তাই এখান থেকে পাঠকের সাহিত্য রসদটুকু নেয়া ছাড়া আর কিছু নেয়ার বা বলার নেই। কিন্তু আসলেই কি তাই? না আমি লেখাটি লিখেছি আমার সৎকারের আগুন থেকে উঠে এসে। যখন ঘৃণার দাউ দাউ আগুনে পুড়ছে আমার দেশ। প্রকাশ্যে যেখানে পুড়ানো হচ্ছে দলকে দল মানুষ। এই মানুষগুলো আমার কাছের কেউ নয়, আমার দেশের মানুষ। অসম্ভব কিছু নয় যে কোনো সময় এই দলে জুড়ে যেতে পারে আমার আপনার একান্ত আপন কেই। তখনও কি আমি গায়ে আলোয়ান জড়িয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশি শুনতে যাবো? জানি না আর কার কি মনে হয়, আমারতো মনে হয় এটা পরিকল্পিত আয়োজন। মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার আয়োজন। ঘোষিত না হলেও দেশে এখন বিরাজ করছে একটা জরুরি অবস্থা।
আমার লেখার কোথাও বলিনি অন্যগুলোতে আমার আপত্তি নেই। আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো আমার লেখায় তুলে এনে আপত্তি না জানাতে পারা আমার লেখার ব্যর্থতার একটি দিক। এটা আপনি বলতে পারেন, কতদিন ঘরে অবরূদ্ধ হয়ে আছি এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। বাচ্চার পরিক্ষা পেছাতে পেছাতে আদৌ হবে কিনা এমন একটা অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। যে দেশের বাচ্চাদের শিক্ষা জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে, সেই দেশে এমন একটি সঙ্গীতায়োজন খুব স্বাভাবিক আয়োজন নয়। যারা এই সঙ্গীতাযোজনের স্রোতাদর্শক তারাই বহুজাতিক শপিং মলের বাহারী পণ্যের ক্রেতা, মনে হয় যুদ্ধাবস্থাতেও তাদের এই প্রবণতা বন্ধ হবে না। আর সিনেমা হলগুলোতে আদৌ কেউ যাচ্চে কিনা কিংবা গেলে তারা কারা এটাও অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। বিষয়টি আমি আমার লেখায় তুলে আনতে না পারার ব্যর্থতা আমি স্বীকার করছি। সঙ্গম বিষয়টি যাদের কাছে অক্সিজেনের মতো, পানির মতো তিনবেলা খাবারের মতো জরুরি তাদেরকে আমি এটা বন্ধ রাখতে বলি কি করে? পতিতালয়ের পতিতাকে তার দোকানের সাটার নামিয়ে রাখতে বলাটাও সমিচীন মনে করছি না। তাদের ক্রেতাদেরকেও আমি সচেতন নাগরিকের পর্যায়ের মনে করছি না। যারা টেলিভিশনে বিনোদন জারি রেখেছে তারাই দেখেন গিয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশির নেশায় ভোর রাত অবধি ‍বুঁদ হয়ে থেকেছে, কারণ একজন অন্তস্বত্তা নারীর আর্তনাদকেও পারলে তারা বিনোদনের জায়গায় নিয়ে যাবে, কারণ এই দেশের মাটি এই সব কর্পোরেট কুলাঙ্গারদের নিজের গর্ভে ধারণ করেছে। কারণ যখন তারা চৌরাশিয়ার বাঁশি নেশায় দেবত্ব লাভ করে অমরলোকে পৌঁছে যাচ্ছিলো তখন একজন অন্তসস্বত্তা নারীর আর্ত চীৎকার হয়তো সত্যিকারের দেবলোক কেঁপে উঠছিলো। ঐ অন্তস্বত্তার ব্যর্থতা চীৎকারে সে দেবলোক কাঁপাতে পারে কিন্তু কুলাঙ্গার কর্পোরেট দুনিয়াকে ধ্বসিয়ে দিতে পারে না।
নীচের এই লেখাটি আমার একজন বন্ধু দুই ঘন্টা আগে তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে।
শামীম আরা নীপা
[{( 'ভাই, ভাইরে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমার পেটে ছয় মাসের বাচ্চা আছে। আমাকে বাস থেকে নামতে দাও। আগুন দিলে পরে দিও'।
"ভাই আমি অসুস্থ, আমাকে একটু আগে নামতে দিন।"
শরীরে আগুন নিয়েও তিনি বলেন, "ভাই আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে বাঁচতে দিন।"
গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা জানান, শিরিনার পেটের সন্তানের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তার খুব শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।
বারবার চিকিত্সকের কাছে জিজ্ঞাসা করছেন ভাল আছে তো তার সন্তানটি। শত চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিত্সকরা কোন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না শিরিনাকে।)}]

আমি আমার চোখের পানি কে ধরে রাখতে পারিনি এবং তাদের কে ধরে রাখতে চাচ্ছি ও না ...
আমরা কি আদৌ মানুষ ??? মানুষ এর সন্ধান মিলবে কোথায়???
চোখটা বন্ধ করে শুধু একবার নিজেকে শিরিন এর জায়গায় ভেবে নিলাম...
নিজেদের অসহায়ত্ব আর অপারগতা কে আর মেনে নিতে পারছি না ... নিজেকে প্রচন্ড রকম বন্দী লাগছে ...!!!!

শিরিন এর বাচ্চা এবং শিরিন এর এই অসহায় অনিশ্চিত জীবন এবং আমার এই বন্দী দশার জন্য আপনারা সবাই দায়ী ... সবাই দায়ী আপনারা ... কেউ মানুষ নন আপনারা ...!!!

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

ইখতামিন বলেছেন: সহমত

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

ইখতামিন বলেছেন: শিল্প আজ বন্ধি

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

ইখতামিন বলেছেন: * বন্দি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.